ODD-ভূতুড়ে - দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী
আলোচনাঃ সুলগ্না ব্যানার্জ্জী
বইঃ ODD-ভূতুড়ে, লেখিকাঃ দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী, প্রকাশকঃ অরণ্যমন প্রকাশনী, দামঃ ১২৫ টাকা
স্যামুয়েল
গল্পের কথক
অপরাজিতা প্যারাসাইকোলজি-তে পিএইচডি করে এমন একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত যেখানে তার
সংস্থার প্রধান ডঃ জানকীমোহন জোয়ারদার ওরফে জে. জে এমন একটি চশমা আবিষ্কার করেছেন
যা দিয়ে অশরীরী আত্মাদের দেখা যায়, এছাড়াও চশমার আরেকটি বিশেষত্বও আছে যা গল্পে
পাওয়া যাবে। অপরাজিতার কাজ সেই চশমার সাহায্যে অশরীরী আত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন
করে তাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া।
স্যামুয়েল
এমনই এক অপঘাতে মৃত আত্মা যে মুক্তির আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু নিজের নয়, অপরাজিতার
সঙ্গে সে আরেক বিখ্যাত আত্মার যোগাযোগও করিয়ে দিতে চায়।
লেখিকা
দ্বৈতা হাজরা গোস্বামীর কলমের যাদু প্রথম গল্পটির পর অচিরেই পাঠককুলকে বাধ্য করবে
দ্বিতীয় গল্পটি পড়তে।
পার্ক স্ট্রিটের গোরস্থানে
স্যামুয়েল-এর
পরিচিত সেই বিখ্যাত আত্মার জন্য তাঁর পছন্দের কাটলেট নিয়ে অপরাজিতা এসে পৌঁছোল পার্ক
স্ট্রিটের কবরখানায়। তারপর যা হল সেটা জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে বইটি।
ছোটো
গল্পে টুইস্ট আনা মুখের কথা নয়, যা লেখিকা দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী-র কলমে
সুনিপুণভাবে ফুটে উঠেছে।
ডোনোভান সাহেবের বাড়ি
এবার
অপরাজিতা একা নয়; তার সঙ্গে আছে তিমিরবরণ তলাপাত্র। কে এই তিমিবাবু?? তা
জানতে পার্ক স্ট্রিটের গোরস্থানে পড়তেই হবে।
ডোনোভান
সাহেবের বাড়ি কলকাতার সবচেয়ে ভয়াবহ ভূতুড়ে জায়গা বলেই জানানো হয়েছে
অপরাজিতাদের। কারণ পুরো পরিবারসহ ডোনোভান সাহেব ছাড়াও সেই বাড়ির আশেপাশে যাওয়া
কৌতূহলী মানুষদেরও হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যু। জে. জে সেখানে অপরাজিতাদের
পাঠিয়েছেন কারণ ডোনোভান সাহেবের একটি মহামূল্যবান বস্তু সেখানে আছে যা নিয়ে এসে
তুলে দিতে হবে সাহেবের নাতির হাতে।
কী সেই
জিনিস?? পারবে
কি অপরাজিতারা সেই জিনিসটি খুঁজে বের করে এনে ডোনোভান সাহেবের নাতির হাতে তুলে
দিতে?? নাকি
বাড়িতে প্রবেশ করে নতুন কোনও রহস্যের সম্মুখীন হবে তারা?? দ্বৈতা
হাজরা গোস্বামী-র কলমে এটি একটি যথাযথ ভয়ের গল্প।
রবীন্দ্র সরোবরের কেসটা
কলকাতার
ভৌতিক স্থানসমূহের মধ্যে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন অন্যতম সেটা অনেকেই জানেন।
কারণ সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা এই স্টেশনেই হয়। না কোনও টার্গেট নিয়ে নয়; প্রেততত্ত্ব
বিশারদ অপরাজিতা সেদিন বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরার জন্য গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবর
মেট্রো স্টেশনে। অফিসে স্যারের কাছে সে শুনেছিল বটে ক’দিন ধরেই রবীন্দ্র সরোবর
মেট্রো স্টেশনে অশরীরী আনাগোনা বাড়ার কথা। যেখানে অপরাজিতা সেখানে নতুন কিছু তো
ঘটবেই। লেখিকা দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী-র কলমে এই রবীন্দ্র সরোবরেই অপরাজিতার সঙ্গে
নতুন কী ঘটল তা জানতে চাইলে অবশ্যই পড়তে হবে ODD-ভূতুড়ে।
ভয়ং-কার
অপঘাতে মৃত
মানুষের আত্মা প্রতিশোধ নিতে শুধুমাত্র জীবিত মানুষের দেহের সাহায্যই যে নেয় তা
কিন্তু নয়। লেখিকা দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী তাঁর কলমের সাহায্যে এই গল্পের মাধ্যমে
বুঝিয়েছেন প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকা আত্মা জীব বা জড় যে কোনও কিছুর ওপর ভর
করে প্রতিশোধ নেয়।
ভূত ভুতুম ভালোবাসা
গভীরভাবে
পড়লে বোঝা যাবে এই একটি গল্পে দুইটি বিশেষ দিক ফুটিয়ে তুলেছেন লেখিকা দ্বৈতা
হাজরা গোস্বামী।
প্রথমতঃ
সমাজে আজও মেয়েদের ‘না’ বলার ক্ষমতা নেই; বললেই তাদের হেনস্থা হতে তো বটেই
এমনকি অ্যাসিডের আঘাত সহ্য করে মরতেও হবে।
অনেক
দিন পর অপরাজিতার হঠাৎ স্যামুয়েল নামক সেই দুখি আত্মার সঙ্গে গড়ের মাঠে আবার দেখা
হয় এবং সে জানায় সে তার গত জন্মের প্রেমিকা ব্রিজেট কে। সুনন্দিনী রূপে জন্ম নিয়ে
একজনের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে ব্রিজেটের মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেয়।
সুনন্দিনীর মৃত্যুর পর আজ আবার স্যামুয়েল আর তার আত্মা মিলিত ও সুখী হয়েছে।
আরেক
দিকে আবার লেখিকা ফুটিয়ে তুলেছেন শরীর অমর হয় না; দুর্দিন যতই
আসুক সত্যিকারের ভালোবাসা বেঁচে থাকে।
ডাকসা আইল্যান্ড
দ্বৈতা
হাজরা গোস্বামীর কলমে অনবদ্য নরপিশাচদের গল্প এটি। জানকীমোহন জোয়ারদার ডাকসা
আইল্যান্ডে তাঁর বন্ধু মার্কোর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েন এবং কিছুদিন পর
থেকেই বন্ধুর কার্যকলাপে সন্দেহ হয় তাঁর। তিনি অপরাজিতার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিমিরবরণকে
একটি বিশেষ বই স্ক্যান করে পাঠাতে বলেন। কী সেই বই?? কেনই বা
বন্ধু মার্কোর প্রতি সন্দেহ হয় জে. জে-র? ডাকসা
আইল্যান্ডে কি সত্যিই অলৌকিক ঘটনা ঘটে?? এসব জানতে চাইলে পড়তেই হবে ODD-ভূতুড়ে।
ভরদুপুরের আগন্তুক
পটভূমিকা
শহরে রক্তচোষাদের পুনরাগমন এবং পাঁচটা কেসে রক্তচোষাদের প্রমাণ পাওয়া গেলেও এ ক্ষেত্রে
লেখিকা দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী-র যাদু কলমে অনবদ্য গল্পটি অন্য মাত্রা পেয়েছে যা
জানতে চাইলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে।
ঘোস্ট মার্কেট
অপরাজিতা
নিজেকে অনেক আপডেট করেছে তিমিরবাবুর কথায়। সে যাই হোক
এ গল্পের মূল বিষয় বাচ্চা ভূত ‘কিন্তু’-র হারিয়ে যাওয়া। তাকে খুঁজতে ঘোস্ট
মার্কেটে এসে হাজির হয়েছে তিমিরবাবু এবং অপরাজিতার সঙ্গে বুনোবাবু আর ‘হে’-এর
অশরীরী আত্মাও যোগ দিয়েছে। পাবে কি তারা কিন্তু-কে খুঁজে?? এই গল্পটি তিনটি
পর্বে (ডাকিনীর ডাক - ন্যাশনাল লাইব্রেরি - নেফেরুর মমি) সমাপ্ত। দ্বৈতা হাজরা
গোস্বামী-র যাদু কলমে সবগুলোই অনবদ্য গল্প।
কিন্তুর বন্ধুরা
বাচ্চা ভূত ‘কিন্তু’-র
কথা আমরা আগেই জেনেছি। এই গল্পটি কিন্তু-র স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে দ্বৈতা হাজরা
গোস্বামী-র কলমে মন ভালো করা একটি গল্প।
বেগুনি শিশির রহস্য
তিমিরবাবু
নিজের ব্যাগটি ভুলে সেদিন অপরাজিতার বাড়ি ফেলে যাওয়ার পর ফোনে সেটা জানিয়ে বলেন
ব্যাগে তাঁর নিত্য প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ আছে সেটা পেলে ভালো হত। সন্দেহের
বশে অনেক প্রশ্ন করেও সঠিক উত্তর না পেয়ে অপরাজিতা নিজেই রহস্য উন্মোচনে নামে এবং
এক সাংঘাতিক সত্য জানতে পারে। কিন্তু সেটা কি সত্যিই সাংঘাতিক নাকি অন্য কিছু?
লেখিকা
দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী-র গল্পগুলোয় সবসময় প্রাধান্য পায় শেষের টুইস্ট। এবারেও
তাই হয়েছে।
ডোনাল্ড ব্লেনের অভিশপ্ত ছবি
জন বয়েলের
ফ্যামিলি স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত পরিবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাঁর বাড়িতে একটি
পারিবারিক ছবি আছে একসঙ্গে সাত জনের যার মধ্যে ছয় জন মৃত আর প্রত্যেকেই মারা গেছেন
ভয় পেয়ে। কিন্তু জনের এক দিদি মারা যাবার সময় ছবির দিকে ভয়ার্ত দৃষ্টি নিয়ে
তাকিয়ে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই ডোনান ব্লেনের আঁকা সেই পারিবারিক ছবিটি দেখলে জন
ভয় পায়। খবর পেয়ে অপরাজিতা আর তিমিবাবু গেছেন সেই রহস্যের সমাধান করতে? সফল
হবে কি তারা?? দ্বৈতা হাজরা গোস্বামীর কলমে এ গল্পের অসাধারণ পরিসমাপ্তি
ঘটেছে।
সিরিয়াল স্যাম
ভূত কখনও
উপকারী আবার কখনও অপকারী, তার প্রমাণ এই গল্পে দেখিয়েছেন লেখিকা দ্বৈতা হাজরা
গোস্বামী। গল্পে স্যাম নামক এক সিরিয়াল কিলারের আত্মার সম্মুখীন হয় অপরাজিতা।
পারবে কি সে প্রাণ নিয়ে ফিরতে? কেনই বা স্যাম সিরিয়াল কিলার? টুইস্টের
দিক থেকে এটিও অনবদ্য।
তিমিবাবু আর ভূতের গল্প
এই গল্পে কথকের
ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিমিরবরণ তলাপাত্র। এক দম্পতি জেকব আর জুলি-র এই গল্পে
টান টান উত্তেজনা থাকলেও শেষটা অসমাপ্ত। সেটা বোঝার ভার লেখিকা ছেড়ে দিয়েছেন
পাঠকদের ওপর।
আগোন্ডা বিচের ঘোস্ট হোটেল
গোয়ার
আগোন্ডা বিচে রাশিয়ানদের তৈরি এক অসমাপ্ত ভৌতিক হোটেল এবার গন্তব্য অপরাজিতা আর
তিমিবাবুর। হোটেলটি কেন অসমাপ্ত? অপরাজিতা সেখানে কীসের সম্মুখীন হল
তাই নিয়েই লেখিকা দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী-র এই গল্প যা নিজ গুণে অসাধারণ।
রোমানিয়ার ভয়ঙ্কর
আজও মাঝে
মাঝেই সিনেমা হলগুলোতে এমন কিছু সিনেমা আসে যার ট্রেলার দেখেই মানুষের গা ছমছম
করে। এরকমই একটি সিনেমা ‘দ্য ফেস’ এর ভয়াবহ ট্রেলার দেখে মুভিটি দেখার
জন্য অপরাজিতা ও তার মায়ের সঙ্গে তিমিবাবুও হলে যান।
বেশ
খানিকটা দেখার পর সিনেমার বহুলচর্চিত ভয়াবহ দৃশ্যটি পর্দায় এলে অজ্ঞান হয়ে যান
তিমিবাবু। কিন্তু কেন? তবে কি এতদিনে তিনি সত্যিই ভয় পেলেন? এর
বেশি জানতে চাইলে পাঠকদের অবশ্যই পড়তে হবে গল্পটি।
পরিত্যক্ত শহর প্রিপ্যাট
জে. জে
অর্থাৎ অপরাজিতার স্যার উত্তর ইউক্রেনের হন্টেড সিটি প্রিপ্যাটে বেড়াতে গেছেন
তিমিরবরণকে নিয়ে। এক সময়ের সাজানো গোছানো শহর খাঁ খাঁ করছে বর্তমানে আর সেই
সুযোগে সেখানে নিবাস বিদেহীদের। গল্পটা ভয়ের না, কিন্তু লেখিকা দ্বৈতা হাজরা
গোস্বামী-র কলমে বেশ মোহময় একটি গল্প।
ডক্টর দিমিত্র
প্রিপ্যাট
শহরে প্রথমে কোনও সমস্যা না হলেও দ্বিতীয় দিনেই জানকীমোহন জোয়ারদার পড়লেন শহরের
বিখ্যাত সায়েন্টিস্ট আত্মা ডক্টর দিমিত্র-র পাল্লায়, যাকে পাওয়ার প্ল্যান্ট
দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মনে করে জীবিত লোকেরা পরিবারসহ একটি ল্যাবে আটকে রেখে চলে
যায়। মৃত্যুর পর ডক্টর দিমিত্র-র আত্মা তাই প্রতিশোধ নেয় জীবিত মানুষের ওপর।
অপরাজিতাকে
যখন মেইল করছেন জে. জে স্যার তার মানে তিনি আর তিমিবাবু দু’জনেই সুস্থ শরীরে
জীবিত। কিন্তু দিমিত্র-র মতো খারাপ প্রেতাত্মার হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পেলেন? অসাধারণ
এই গল্পটির শেষটা খুব মন খারাপ করা।
ইয়োকোহামার ডল হাউস
‘মিয়া’ নামে গাড়ি
অ্যাক্সিডেন্টে মৃত একটি বাচ্চা মেয়ের প্রিয় পুতুলের সঙ্গে জাপানের ইয়োকোহামা
ডল হাউস মিউজিয়ামে আলাপ হয় অপরাজিতার। লেখিকা দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী-র কলমে
অন্যরকম ভূতুড়ে পুতুলের গল্প।
আইল্যান্ড অফ দ্য ডলস
মেক্সিকোর
কুখ্যাত ডল আইল্যান্ডের ইতিহাস এই গল্পের মাধ্যমে অপরাজিতাকে শুনিয়েছেন তিমিরবরণ
তলাপাত্র। তবে কলমটা যখন দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী-র তখন চমক তো একটা আছেই; এবার
বেশ ভয়াবহ চমক।
বেলজিয়ামের অজানা আতঙ্ক
সমগ্র
সংকলনে এই একটি মাত্র গল্প যেখানে জানকীমোহন জোয়ারদারকে তাঁর দুই ছাত্র-ছাত্রী
তিমিরবরণ তলাপাত্র এবং অপরাজিতার সঙ্গে একত্রে অভিযানে প্রথমবার দেখা গেছে।
বেলজিয়ামে
জে. জে স্যারের বিশেষ বন্ধু থমাসের ডাকে একটি রহস্যের মীমাংসা করতে যান তাঁরা। লেখিকা
দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী-র কলমে টান টান উত্তেজনায় পরিপূর্ণ অপশক্তির অপব্যবহারের একটি
ভয়াবহ গল্প।
তিমিবাবু আর আফ্রিকার ভূত
সেবার
বিজয়ার আড্ডা বসেছে অপরাজিতার বাড়িতে যেখানে তিমিবাবু শুনিয়ে চলেছেন আফ্রিকায়
গিয়ে তার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম আত্মার পাল্লায় পড়ার গল্প। মন জয় করে নিল
গল্পটি।
প্ল্যানচেটের পাল্লায়
ভূত আছে কি
নেই সে নিয়ে দ্বন্দ্ব দূর করতে অনেকেই প্ল্যানচেট করে, কিন্তু আত্মা আছে জেনেও
যখন কেউ প্ল্যানচেট করে তখন তার ডাকে যে তার পরিচিত আত্মাই আসবে এমন কোনও নিশ্চয়তা
নেই, যার প্রমাণ পাওয়া গেছে এই গল্পে।
কখনও দুষ্টু
কখনও মিষ্টি, কখনও উপকারী ভূত কখনও বা অপকারী ভূত - নানা ধরনের ভৌতিক গল্প দিয়ে
সাজানো বইটি নিমেষে মন জয় করবে সকল পাঠক-পাঠিকাদের।
_____
No comments:
Post a Comment