ছাতাদাদুর কেরামতি
দিলীপ কুমার মিস্ত্রী
দিলীপ কুমার মিস্ত্রী
ঘোড়াঘাটা
একটি ছোট্ট পিছিয়ে পড়া গ্রাম। গ্রামের
প্রায় সকলেই খুব গরিব। গ্রামে কাজকর্মের
সুযোগ তেমন নেই বললেই চলে। চাষের
জমির বেশিরভাগটাই বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। সেচের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই চাষাবাদ তেমন ভালো হয় না। এ কারণে, অনেকেই দূর গাঁয়ে চলে যায় কাজের খোঁজে। তাও তো রোজ পাওয়া যায় না। তাই গাঁয়ের লোকের দুঃখ-কষ্ট নিত্যসঙ্গী।
কিন্তু
ঘোড়াঘাটা গাঁয়ের খুব নামডাক আছে। কারণ
ওই গাঁয়ের মালোপাড়ার একজনও লেখাপড়া জানে না। শুধুমাত্র
নিজের নামটুকু লিখতে পারে, এমন একজনও
ও-পাড়ায় নেই। ছোটো-বড়ো সবাই নিরক্ষর।
অথচ গাঁয়ে ইস্কুল আছে।
অন্য সব পাড়ার ছেলেমেয়েরা সেই ইস্কুলে যায়। কিন্তু মালোপাড়ার কেউ সেখানে পড়তে
যায় না। পঞ্চায়েতের
লোকজন অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু
তা সব বিফলে গেছে। মালোপাড়ার
কোনও বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পড়তে পাঠায় না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, দুপুরে মিড-ডে-মিল খেতে পাড়ার
সব বাচ্চারা ইস্কুলে নিয়মিত যাওয়া-আসা
করে।
সম্প্রতি
ব্লকের নতুন বিডিও হয়ে এসেছেন একজন মহিলা।
তিনি অল্প সময়ের মধ্যে ব্লকের সমস্ত মানুষের কাছে ভীষণ আপনজন হয়ে উঠেছেন। সবাই তাদের দিদিমণি বলতে অজ্ঞান। দিদিমণিও দিন রাত ব্লকের গ্রামে-গ্রামে, দোরে-দোরে ঘুরে বেড়ান। সকলের দুঃখ-কষ্টের কথা মন দিয়ে শুনে, সাধ্যমতো সাহায্য করতে
চেষ্টা করেন। তবে তাঁর একটু
বেশি যাতায়াত ঘোড়াঘাটা গ্রামে।
এক
রোববার সন্ধ্যায়, দিদিমণি সোজা চলে এলেন ঘোড়াঘাটা গ্রামের
যুগীপাড়ায়। সেখানে
শিমুলতলায় গ্রামের সাতটি পাড়ার মাতব্বরদের নিয়ে বসলেন গল্প করতে। বাদ গেল শুধুমাত্র মালোপাড়ার মাতব্বররা। অথচ দিদিমণি গল্পে গল্পে তুললেন মালোপাড়ার
ছেলেমেয়েদের কথাই। সবাইকে
বোঝালেন, ওই ছেলেমেয়েদের জন্য ভবিষ্যতে এই সাতটি পাড়ায় কী কী সমস্যা
সৃষ্টি হতে পারে; সে-সব কথা।
অনেক
আলোচনার পর দিদিমণি সকলের উদ্দেশে বললেন, ওদের সকলকে অন্তত
স্বাক্ষর করে তোলার জন্য এই সাতটি গ্রামের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। দিদিমণির কথা শুনে সবাই চুপটি করে
বসে থাকল। কিন্তু
সত্তর ছুঁই ছুঁই এক বুড়ো উঠে দাঁড়াল।
আট গ্রামের মানুষের কাছে সে ছাতাদাদু নামে পরিচিত। ছোটো থেকে বড়ো, সবাই তাকে খুব ভালোবাসে।
সে ফোকলা দাঁতগুলো বের করে,
একগাল হেসে বলল, “এ আর এমন কী কাজ। দিদিমণি, তুমি নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরে যাও। ওদের নিজের নামটুকু লেখা, ও আমি শিখিয়ে দেব’খন। তবে হ্যাঁ, বেশি মাষ্টারি করতে পারবনি; তা কিন্তু বলে দিলুম তোমাকে।”
ছাতাদাদুর
ঘর কুমোরপাড়ায়। লেখাপড়া
তেমন বিশেষ কিছু জানে না। তবে
ছেলেবেলায়, পাঠশালায় গিয়ে আদর্শলিপি বইটি শেষ করেছিল। সে আগে খুব ভালো ঠাকুর গড়তে পারত। এখন বয়সের কারণে সে সব কাজ তার ছেলে-ছেলেবৌ, নাতিরা করে। ঠাকুর গড়ার কাজটা অবশ্য ছাতাদাদুর
পরিবারে সাত-পুরুষ ধরে চলে আসছে। কিন্তু আট গ্রামে তার জনপ্রিয় হয়ে
ওঠার কারণটি অন্য। দাদু
মিষ্টভাষী, রসিক এবং মহা-গল্পবাজ
মানুষ। গ্রামের
ছোটোদের সঙ্গে তার খুব ভাব, যেন তাদের
গোল্লাছুটের বন্ধু। আসলে, ছাতাদাদু রোজই গ্রামের পথে ঘুরে ঘুরে তাদের সঙ্গে বসে মজার মজার গল্প করে। আর শীত গ্রীষ্ম বর্ষা,
ছাতা ছাড়া সে এক পাও নড়ে না।
ছাতা যেন তার সর্বক্ষণের সঙ্গী।
তাই সবাই তাকে চেনে-ডাকে,
ছাতাদাদু নামে।
পরদিন
বিকেলে ছাতাদাদু মালোপাড়ায় গিয়ে হাজির হল।
বাচ্চাদের ডেকে শিমুলতলায় বসল গল্প করতে।
কিছুক্ষণ গল্প হল।
তারপর সে বাচ্চাদের বলল,
“আমি তোমাদের সবাইকে মাটির জিনিস,
মানে পুতুল বানানো শেখাতে চাই।
কে কে শিখতে চাও, আমাকে হাত তুলে দেখাও।”
একটুও দেরি না করে,
বন্ধুরা সবাই একসঙ্গে এক হাত ওপরে তুলে ধরল।
সেই সঙ্গে তারা বড়ো-গলায় বলল,
“আমরা সবাই রাজি।”
বাচ্চাদের আগ্রহ দেখে ছাতাদাদু খুব খুশি।
সে বলল, “তাহলে আর দেরি কেন, কাল থেকেই শুরু হয়ে যাক আমাদের শুভযাত্রা।
আমি কাল সকালে এখানে চলে আসব।
তোমরাও সবাই চলে আসবে।
সকালের দিকে বললাম এই কারণে, মাটি ঘাঁটাঘাঁটি তো; তাই। ঘরে গিয়ে সবাই চান করে ফেললেই সব সাফ-সুতরো। কী,
ঠিক বলছি তো ?” সবাই আবার ঘাড় নেড়ে
তাদের সম্মতির কথা জানিয়ে দিল,
প্রিয় ছাতাদাদুকে।
পরদিন
সকাল ঠিক সাড়ে দশটায় ছাতাদাদুর ছোট্ট বন্ধুরা সবাই চলে এল সেই শিমুলতলায়। দাদু হাজির তারও আগে।
তার কথামতো সবাই সঙ্গে করে এনেছে কোদাল বালতি মগ ইত্যাদি। তুমুল উৎসাহে শুরু হয়ে গেল মাটির জিনিস গড়ার প্রাথমিক কাজ।
দাদু হাত লাগিয়ে শেখাল,
মাটি কীভাবে তৈরি করতে হয়।
মাটি তৈরি হয়ে গেলে, দাদুর পরামর্শমতো এক-একজন এক-একটি জিনিস গড়ে ফেলল প্রথম দিনেই।
বটকৃষ্ণ গড়ল একটি ক্রিকেট খেলার বল।
মালতি গড়ল একটি আম।
শিবেন গড়ল একটি আপেল।
পলাশ গড়ল একটি হাঁড়ি।
মৌসুমী গড়ল একটি কড়াই।
অন্য বন্ধুরা সবাই তাদের পাশে বসে সাহায্য করল।
শেষে দাদু যখন হাসি-হাসি মুখ করে বলল, “সবগুলোই খুব সুন্দর হয়েছে, দারুণ।” তখন কারিগরদের চোখে-মুখে যেন খুশির ফোয়ারা নেমে এল।
এবার বাড়ি ফেরার পালা।
যাবার সময় দাদু বলে দিল,
“এগুলো সাবধানে যে-যার ঘরে নিয়ে যাও।
রোজ রোদ লাগিয়ে শুকোতে হবে।
তারপর, আমরা আবার এখানে বসে এগুলোকে রং করব।
তখন দেখবে,
আরও কত সুন্দর লাগছে।”
এভাবেই মালোপাড়ার শিমুলতলায় বসে ছোটোরা মাটির নানান রকমের জিনিস তৈরি করতে শিখে গেল মাস কয়েকের মধ্যেই।
তার মধ্যে আম আপেল বাঘ হাতি হাঁড়ি কলসি কড়াই ঘর উটপাখি রথ হরিণ পেঁচা –
তাদের কাছে খুব পছন্দসই হল।
সকলের মনে হল, তারা আরও অনেক কিছু গড়তে পারবে দাদুর সাহায্য পেলে।
দেখতে দেখতে এসে গেল গ্রামে রথের মেলা।
দাদু সবাইকে বলল, “তোমাদের নিজের হাতে গড়া পুতুলগুলো রথের মেলায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হবে।
আর সেই পয়সায় তোমাদের নাগরদোলা চড়া, সার্কাস দেখা, আর পাঁপড়-জিলাপি খাওয়া হবে।”
দাদুর কথা শুনে সবাই আহ্লাদে আটখানা।
রথের মেলায় গ্রামের বাচ্চাদের তৈরি মাটির
পুতুল ভালোই বিক্রি হল। সেই
টাকা–পয়সায় সবাই মেলায় সাত দিন ধরে খুব
আনন্দ করল। এত
আনন্দ তারা জীবনে আগে কখনও করেনি।
যে কারণে তাদের বাবা-মা’ও খুব খুশি। সবাই ছাতাদাদুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
রথের মেলার ক’দিন পর যুগীপাড়ায় ঝুলনমেলা।
দাদু সবাইকে নিয়ে জোরদার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিল।
ছোট্ট বন্ধুদের সে জানিয়ে দিল, “এবার আমাদের কাজগুলো আরও সুন্দর করে গড়তে হবে।
সেই সঙ্গে চেষ্টা করা হবে,
মেলা খরচ থেকে কিছুটা টাকা বাঁচিয়ে রাখার।
সেই টাকা সকলের জন্য শীতের পোশাক কেনার কাজে লাগানো হবে।
এই সামান্য পয়সায় তা অবশ্য হবে না।
আমরা আবার পুজোর মেলা থেকে সেটা জোগাড় করব।”
দাদুর এই পরামর্শে বন্ধুরা যারপরনাই খুশি।
ঝুলনের মেলায় পুতুল ভালোই বিক্রি হল।
মেলায় হাত-খরচ করার পরও কিছু টাকা হাতে থেকে গেল।
তাই সবার মধ্যে পুতুল তৈরির উৎসাহ উদ্দীপনা দ্বিগুণ মাত্রায় বেড়ে গেল।
ছাতাদাদুরও খুশি রাখার জায়গা অনেকটাই বেড়েছে।
আর দু’মাস পর আসছে শারদ উৎসব।
এক মাস ধরে গ্রামের এখানে ওখানে অনেক মেলা বসবে। দাদু তাই বন্ধুদের নিয়ে এখন খুবই ব্যস্ত।
এবার গড়া হবে নতুন ভাবনায় কিছু পুতুল।
পুলিশ, বর-বৌ,
ঘাড়-নড়া-বুড়ো,
সৈনিক, খরগোশ, কোলা-ব্যাঙ তার মধ্যে অন্যতম।
মাটির পুতুল গড়ার কাজ শেষ হয়েছে।
চলছে রংয়ের কাজ।
দাদু হঠাৎ সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল, “আচ্ছা, তোমরা কে কোন পুতুলটা গড়লে, সেটা তো কেউ জানতে পারছে না। যদি সেটা করা যায়, তবে কেমন হয় বল তো?”
সবাই
একসঙ্গে বলল, “দারুণ, দারুণ হবে দাদু। বেশ মজার ব্যাপার হবে সেটা।”
দাদু
বলল, “তাহলে তার জন্য তোমাদের নিজেকে যার
যার নামটি লেখা শিখতে হবে।
সে এমন কিছু নয়। খুবই
সহজ কাজ। সেটা
এখন তোমাদের
কাছে বলতে গেলে জল-ভাত। ও আমি শিখিয়ে দেব।
কী বল, তোমরা শিখবে তো?”
ছোট্ট বন্ধুরা একটুও দেরি না করে সমস্বরে বলল,
“নিশ্চয় শিখব।”
বটকৃষ্ণ আরও বলল, “আমার পুতুলের পিছনে আমার নাম রং দিয়ে লেখা থাকবে, সে তো দারুণ ব্যাপার হবে দাদু।
সবাই জানবে, ওটা আমার হাতে গড়া।”
বটকৃষ্ণের কথাটাই এক-এক করে সবার মুখে ফুটে উঠল।
আর এসব দেখে-শুনে,
তাদের দাদু তোবড়া-গালে এক-গাল হাসি নিয়ে উঠে দাঁড়াল।
বলল, “চল, আজ তাহলে ঘরে ফেরা যাক।
কাল থেকে তোমাদের পুতুল তৈরির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে নিজের নিজের নাম লেখা শেখার কাজটি।
পুজোর আগেই ওটা শিখে ফেলতেই হবে সবাইকে।
কী পারবে তো ?”
সবাই ঘাড় নেড়ে উচ্চস্বরে বলল,
“খুব পারব।”
ঘোড়াঘাটা ইস্কুল মাঠে গ্রামের একমাত্র দুর্গাপূজাটি হয় প্রতি বছর।
পুজো উপলক্ষে মাঠেই বসে সপ্তাহব্যাপী মেলা।
আটপাড়ার বাচ্চা থেকে বুড়ো, সবাই খুব আনন্দ উপভোগ করে পুজোর ক’দিন।
এবার পুজো উপলক্ষে আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করতে আসবেন ব্লকের বিডিও দিদিমণি।
সবাই তাই খুব খুশি।
ষষ্ঠী পুজোর বিকেলে দিদিমণি এলেন ঘোড়াঘাটা গ্রামে।
সঙ্গে এল সমস্ত গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য,
থানার বড়োবাবুসহ গ্রামের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মেলা উদ্বোধন করে,
দিদিমণি সবাইকে নিয়ে প্রথমেই দেখা করলেন ছাতাদাদুর সঙ্গে।
তার ছোট্ট বন্ধুদের নিজেদের হাতে গড়া মাটির পুতুল কিনলেন বেশ কয়েকটি।
কিন্তু সেই পুতুলের পিছনে শিল্পীর নিজের হাতে নিজের নাম লেখা দেখে তিনি অবাক হয়ে গেলেন।
ছাতাদাদুর সামনে নিজে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে তাকে নমস্কার করলেন।
তারপর তার কেরামতির জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বললেন, “আপনি সত্যি সত্যিই এদের সকলের দাদু হওয়ার মতো একজন আদর্শ মানুষ।
আর মালোপাড়ার ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের স্বাক্ষর করে তুলতে আপনার কেরামতি সারা দেশের মানুষ হাজার বছর মনে রাখবে।
আপনার কেরামতির জন্য আমরা সবাই গর্বিত।
অল্প দিনের মধ্যে আমি সরকারের পক্ষ থেকে আপনাকে সংবর্ধিত করতে চাই।
আপনাকে, আর আপনার ছোট্ট বন্ধুদের অবশ্যই আসতে হবে সেখানে।
ওদেরও পুরস্কৃত করা হবে।”
ভাই-ফোঁটার পরদিন, বাঁকাদই ব্লক অফিসের সামনে আয়োজন করা হয়েছে ছাতাদাদুকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য এক বিরাট অনুষ্ঠানের।
সেখানে ব্লকের বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে উপস্থিত হয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী মশাই।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মন্ত্রীমশাই ছাতাদাদুর হাতে শাল,
মিষ্টি, ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তার ভূয়সী প্রশংসা করলেন।
তারপর মালোপাড়ার ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েদের মঞ্চে তুলে,
তাদেরও অনেক কিছু উপহার দিলেন।
এত উপহার পেয়ে,
তারা সকলেই খুব খুশি।
ছাতাদাদু তাদেরকে পাশে রেখে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলল, “নিজের নামটুকু শুধু লিখতে শিখেই তোমরা আজকে কত কত উপহার পেলে।
তাহলে, যদি স্কুলে গিয়ে অনেক লেখাপড়া শিখতে পার, তবে সারা জীবনে কত কত উপহার পাবে –
তা ভাবতে পারছ?
এবার, এটা তোমাদের বাবা-মাকে ভেবে দেখতে হবে।”
এরপরই ছাতাদাদু মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল তার ছোট্ট-বন্ধুদের উদ্দেশ্যে। “তোমরা কি কাল থেকে আমার সঙ্গে রোজ ইস্কুলে যেতে চাও?”
দাদুর কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ছোট্ট-বন্ধুরা গলা ফাটিয়ে বলল,
“হ্যাঁ, যেতে চাই।
আমরা ছাতাদাদুর কথামতোই এগিয়ে যেতে চাই।
দাদু যে আমাদের শুধু ভালোটাই করতে চায়।”
অনুষ্ঠান শেষ হতে মন্ত্রীমশাই ছাতাদাদুকে বিডিও দিদিমণির ঘরে ডেকে নিলেন।
প্রথমে তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেন।
তারপর তাকে নমস্কার জানিয়ে বললেন,
“সত্যি কথা বলতে কী, আপনার কেরামতির কারণেই মালোপাড়ার ছেলেমেয়েদের আমরা স্কুল-মুখী করতে পারছি।
আপনার সম্পর্কে আমি অনেক কথা শুনেছি।
আজকে স্বচক্ষে দেখে ধন্য হলাম।
আপনি এই গ্রামে শুধু ছাতাদাদু নামে পরিচিত।
কিন্তু আমি আজকে ঘোষণা করে যাচ্ছি, আপনি এই গ্রামের একজন আদর্শ শিক্ষক,
একজন প্রকৃত বন্ধু-মানুষ।”
ছবিঃ রাজা আক্তার
No comments:
Post a Comment