রাজসভাতে হট্টগোল
অর্ণব ভট্টাচার্য্য
মহাবীর সেনাপতি সিধুচাঁদ সাঁতরা,
হেঁকে বলে সারাদিন, “ওরে বাপ খাতরা!”
কী যে তার ব্যামো হল, পারে কেউ বলতে?
মাঝে মাঝে খেয়ে ফেলে, প্রদীপের সলতে!
এই তো সে, রাজসভা গিয়ে গত পরশু,
রাজাকেই বলে কিনা, “হানাদার দস্যু।”
তাই শুনে মহারাজ সে কী হন ক্রুদ্ধ!
দু’জনের মাঝে লাগে
ভয়ানক যুদ্ধ।
সেনাপতি কেক ছোড়ে, রাজা ছোড়ে মিষ্টি,
আরও কী কী ছোড়া হল, শোনো বলি লিস্টি।
চমচম, লেডিকিনি,
মিহিদানা, মন্ডা,
কালাকাঁদ, জিভেগজা চার-পাঁচ গন্ডা।
এইসব দেখে, গিয়ে তাড়াতাড়ি থামাতে,
পায়েসের বাটি লাগে মন্ত্রীর জামাতে।
রাজসভা জুড়ে শুধু এই চলে চর্চা,
মন্ত্রীর কত হবে লন্ড্রির খরচা!
তক্ষুনি কে যে আসে হাসি হেসে অট্ট,
এই দেখো, এ যে খোদ হারুচাঁদ ভট্ট!
তার মামা হীরালাল ভুখানাথ চোখানি -
সে দেশের খুব বড়ো মিষ্টির দোকানি।
হেসে বলে, “খুব খুশ হয়ে গেল দিলটা,
এই বেলা শোধ হোক খাবারের বিলটা।
দিতে হবে দু’জনাকে, শুনে নিন কর্ণে,
পাঁচশত মুদ্রা যা নির্মিত স্বর্ণে।”
রাজা বলে, “হারুচাঁদ এই তোর শিক্ষা?
রাজকাজ ফেলে শেষে করাবি রে ভিক্ষা?”
সেনাপতি কেঁদে বলে, “এসে যাবে দৈন্য,
যুদ্ধে দেখিনি ভাই এতজন সৈন্য।”
তাই শুনে হারুচাঁদ, দাঁতে দাঁত চিপটে,
রেগে বলে, “দু’জনেই দেখি খুব কিপটে।”
তারপরে বিল ধরে কাছে যেই যাওয়া,
সেনাপতি, মহারাজ এক ছুটে হাওয়া।
----------
ছবি - আন্তর্জাল
No comments:
Post a Comment