এক গুচ্ছ লিমেরিক
গুচ্ছমেরিক
সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়
ফুশমন্তরে
বৃষ্টি ভিজে দেববর্মার ব্যস্ত শালা ধূমজ্বরে
পড়লে জামাই ডাকল পাড়ার ধন্বন্তরী ডাক্তারে
“হপ্তাতে রোগ হবে হাওয়া
নিয়মে চাই ওষুধ খাওয়া
ওষুধ বিনে সাতটি দিনে সারাব ফুশমন্তরে...”
* * *
খানা-খাজানা
শনি আর মঙ্গলে ভেজ খায় বর্মা
রোববার ফিক্সড প্রণ-পটলের দোর্মা;
বাকি দিন শোনা যায়
মিক্সড চারাপোনা খায়
হপ্তায় একদিন রকমারি কোরমা।
* * *
ছড়ি-মামা
দেববর্মার মামা ফ্ল্যাট গড়িয়াতে,
সারাদিন ঘরে কেন ঘোরে ছড়ি হাতে?
পণ্ডিতি ত্রিশ সাল
তাই নাকি এই হাল,
ছড়ির দাপটে ঘুমও আসে শুনি রাতে!
* * *
রাতারাতি
বর্মাবাবুর ফেমাস দাদুর হাতির শিংয়ের ছাতি
সাজিয়ে রাখে ড্রয়িং রুমে গর্বিত তার নাতি
কুখ্যাত সেই রাঘব ডাকাত
ছাতির পেটায় হয় কুপোকাত
সেই থেকে নাম বর্মাবাড়ির ছড়ায় রাতারাতি।
* * *
মিরাক্যুলাস
কচি দূব্বোর স্যুপে
গুটিকয়
পাস্তা
খেয়ে গিন্নির এই মিরাকেল নাস্তা
পথসভা চাতরায়
বলে নাকি নাথ রায়:
‘এই হবে আগামীতে বাঁচবার
রাস্তা!’
* * *
হেল্পিং হ্যান্ড
বুড়িঠাম্মার কথামতোই ভাত ছেড়ে খায় মুড়ি
তাতেই নাকি চুপসে যাবে দেববর্মার ভুঁড়ি
ধামা বিশেক মুড়ির সাথে
চপ-শিঙ্গাড়ার জোগান দিতে
দেবগিন্নির হেল্পিং হ্যান্ড চার-কুড়ি সেই বুড়ি।
----------
ছবি - আন্তর্জাল
No comments:
Post a Comment