ভাস্কর
শীল
কেষ্টপুরের
বটকেষ্ট লম্বামতন, কালো,
একটু
শুধু ভূতবিলাসী, আর বাকি সব ভালো।
মামদো, হুঁকো, পাকুড়মুখো কিংবা একানড়ে
বটকেষ্ট
আদর করেন সব ব্যাটাকেই ধরে।
খালের
জলে চুবিয়ে মুড়ো আশশেওড়া ঘষে
হাড়
মড়মড় তেলটা মাখান আচ্ছা করে বসে।
গাছের
থেকে হড়কে পড়ে মচকে গেলে থাই,
ব্রহ্মপিশাচ
ধরনা লাগায়, কোবরেজি তেল চাই।
কিংবা
যদি স্কন্ধকাটার পেটের ব্যামো ধরে
বেগুনপোড়া
কাজল পাবে বটকেষ্টর ঘরে।
তেঁতুল
বিচি, টিকটিকি ল্যাজ, আরশোলাদের পাখা,
বস্তাবাঁধা
ভূতঘুনসি সব সময়ই রাখা।
কার
যে কখন নজর লাগে, যায় কি বলা আগে?
চিন্তামগন
বটকেষ্ট রাত-বিরেতে জাগে।
ভাবছ
নাকি গুলতানি সব? হাসছ দেখি বড়ো,
বেশ
তো, তবে ট্রেনটা ধরো তিনটে সাড়ে তেরো।
আড়াইখানা
স্টেশন পরে বাঁদাড়বনের সারি,
ঐখানেতেই
নামতে হবে একটু তাড়াতাড়ি,
পাঁচ
পা গেলেই ডাইনেপানে কেষ্টপুরের চর,
নিজেই
না হয় ঘুরে এসো বটকেষ্টর ঘর।
No comments:
Post a Comment