হার্লো হাউসের বিভীষিকা
দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী
“হার্লো হাউস হন্টেড? বলেন কী মশাই?”
“নইলে আর বলছি কী? বেছে বেছে ওই হোটেলটাই পেলেন!”
“ওটা হন্টেড কী করে জানলেন?”
“কিছু তো গড়বড় আছেই,” কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে অমিয়বাবু বললেন। ভদ্রলোকও দার্জিলিং যাচ্ছেন কিছু একটা কাজে।
“কী গড়বড়?”
“গত পাঁচ বছরে দু-দুটো মৃত্যু একই হোটেলে। রিপোর্টে বলেছে হার্ট এটাক। আর তাছাড়া হার্লো ডেভিস-এর আত্মা যে ওই সাধের হোটেলের মায়া ছাড়তে পারেনি সে তো সবাই জানে।”
সত্যি মনটা একটু ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। মা’কে নিয়ে প্রথমবার একা একা বেড়াতে যাচ্ছি। এতক্ষণ খুব আনন্দ হচ্ছিল মনে। পুজোর সময় হোটেল বুক করা যে কী ঝক্কি! কোনো হোটেলই খালি নেই। যেখানেই ফোন করছি অলরেডি বুকড।
দার্জিলিং-এর কাছাকাছি একটা ভালো বনেদি হোটেল পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম। কিন্তু এমন কপাল, যেখানেই যাই ভূত আর ভৌতিক ব্যাপার আমাদের পেছন ছাড়ে না। ভৌতিক সরঞ্জাম কিছুই সঙ্গে নেই। সবুজ চশমাটাও আনিনি।
মা তো একেবারে হই হই করে উঠল, যেন মণ্ডপে নতুন থিমের ঠাকুর দেখার মতো ব্যাপার।
বাচ্চা মেয়ের মতো হাততালি দিয়ে বলে উঠল, “ইস কী মজা হবে রে অপু। ভূতের হোটেল।”
অমিয়বাবু অবাক হয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকালেন।
আমি আর অবাক হই না। রক্তচোষা থেকে শাঁখচুন্নি সবই মায়ের পোষ্য। কিন্তু এ যে সাহেব ভূত। তা আবার খুনে ভূত। এই খুনে ভূতেরা ভীষণ ডেঞ্জারাস হয়। তাদের প্রপার্টিতে কারও উপদ্রব সহ্য করতে পারে না।
এখন তো কিছু করার নেই। বুকিং ক্যানসেল করলে কোথাও এখন থাকার ঠাঁই হবে না। অগত্যা শেষপর্যন্ত দুপুর বারোটা নাগাদ ওখানে গিয়ে পৌঁছলাম।
আমাকে নমস্কার জানিয়ে মনোজবাবু বললেন, “অপরাজিতা নন্দী। তাই তো? ৩০৩ নম্বর ঘর। বারান্দা থেকে পুরো উপত্যকা দেখা যায় যেরকম বলেছিলেন। সব ব্যবস্থা করে রেখেছি। কোনো দরকার হলেই রিসেপশনে ফোন করে দেবেন।”
বেশ বিশাল জায়গা জুড়ে এই হার্লো হাউস। হার্লো সাহেব নাকি ভবঘুরে ছিলেন। বহুদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে দেশে বিদেশে ঘুরে বেরিয়েছেন নানান জিনিসের খোঁজে। ভীষণ পণ্ডিত মানুষ ছিলেন। বই পড়ার নেশা ছিল খুব। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করা বই হার্লো হাউসের সুবিশাল লাইব্রেরিতে রেখেছেন।
শেষ জীবনে এইটাই ছিল তাঁর আস্তানা। বাংলোর ভেতরটা ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতে আমাদের এই কথাগুলোই বলছিলেন মনোজবাবু। হোটেলের ম্যানেজার গেছেন দার্জিলিঙে মনোজবাবুকে দায়িত্বে রেখে। এই দু’জনই আপাতত হোটেলের দেখাশোনা করেন।
মনোজবাবুকে বেশ ভালো খোশমেজাজের লোক মনে হল। দিনের আলোয় জর্জিয়ান স্টাইলের এই বাড়ি আর দিগন্তবিস্তৃত সবুজ চা বাগান এতটাই ঝলমল করছিল যে তাকে কোনোভাবেই ভুতুড়ে বাড়ি বলা যাবে না। ওসব কথা বলতেই মনোজবাবু হেসে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, “শুনুন, এটা অনেক পুরোনো এবং বিখ্যাত হোটেল। অনেক সেলিব্রিটি, নেতা, অভিনেতা এখানে এসে থেকেছেন আর প্রশংসাও করেছেন। এবারে বিখ্যাত হলেই সেই জিনিসের একটু আধটু দুর্নাম তো রটবেই। রিপোর্টারদের কাজই হল যত আজগুবি গল্প ফাঁদা।”
“তা হলে যে দুটো মৃত্যুর কথা শুনেছি!”
“একজন ভারতীয় আমির সিং, পাঞ্জাব থেকে, আর একজন রাফায়েল সাহেব, ফ্রান্স থেকে এসেছিলেন। আমির সিং মারা গেছিলেন হার্ট এটাক হয়ে। হার্টের একটা সমস্যা ওঁর ছিলই, আর বয়স হয়েছিল। আর রাফায়েল বাথরুমে পা পিছলে। এবারে কাকতালীয়ভাবে দু’জনই একই বাথরুমে মারা যান। হার্লো সাহেবের নিজস্ব সুইটের বাথরুম। পুলিশ এসেও তদন্ত করে গেছে।”
আমাদের রুম ৩০৩ হার্লো সাহেবের রুমের উলটোদিকের রুম। শুনলাম হার্লো সাহেবের রুমে কে একজন এসে উঠেছেন।
মনোজবাবু বললেন, “আজব লোক মশাই। বললেন নাকি ভূতের খোঁজেই এসেছেন, তাই ওই সুইটটাই ওঁর চাই। আমাদের এতরকম মাংসের প্রিপারেশন কোনোটাই ওঁর পছন্দ নয়। এখানে বেশিরভাগই কন্টিনেন্টাল আইটেম। উনি আলুপোস্ত আর বিউলির ডাল খাবেন নাকি।”
আলুপোস্ত আর বিউলির ডাল শুনে মগজটা সুড়সুড় করে উঠল।
জিজ্ঞেস করলাম, “ভদ্রলোকের নাম জানতে পারি?”
“ভারী অদ্ভুত একটা নাম - তিমির বরণ তলাপাত্র।”
দেখলাম অনুমান ভুল নয়। স্বয়ং তিমিবাবু এসে উঠেছেন হার্লো সাহেবের সুইটে।
তোমরা যারা আমাদের কথা এখনও জানো না তাদের বলে দিই, আমি অপরাজিতা নন্দী, প্যারাসাইকোলজি নিয়ে রিসার্চ করছি আর তিমিবাবু আমার সতীর্থ। আমাদের গাইড হলেন আমাদের স্যার, ভূত তত্ত্ব, প্রেত, পিশাচ তত্ত্ব, তন্ত্র বিদ্যা আদি যিনি গুলে খেয়েছেন সেই জে জে, ডক্টর জানকী মোহন জোয়ারদার।
তিমিবাবু
আমাদের দেখে একটুও অবাক হলেন না। স্যারের কাছেই খবর পেয়েছিলেন নিশ্চয়ই। স্যারও আমাদের কিচ্ছুটি জানতে দেননি আগে থেকে। তাই ভাবছি, বেড়াতে যাচ্ছি শুনে স্যার এত তাড়াতাড়ি রাজি হলেন কী করে!
বিকেল বেলায় আমরা হার্লো হাউসের বারান্দায় বসেছিলাম। কফির কাপে চুমুক দিয়ে তিমিবাবু বললেন, “বেশ জায়গা। আজ রাতে ভূতের সঙ্গে মোলাকাত হয়ে যাবে। ওই দুজনের মৃত্যু রহস্যও জানা যাবে। কিন্তু তোমরা না এলেই ভালো হত। আমি তো একাই কেসটা দেখছিলাম। স্যার যে কেন শুধু শুধু তোমাকে এই হোটেলের নামটা সাজেস্ট করলেন!”
আমি একটু রাগ রাগ গলায় বললাম, “কেন, আপনার কি আমাকে একেবারে অপদার্থ মনে হয়? স্যার আর আপনি তো সব ভূতুড়ে দেশগুলো ঘুরে এলেন, আর আমাকে শুধু গল্প শোনালেন। আজ রাতে আমি কিন্তু জেগে থাকব।”
মা পাশ থেকে সোৎসাহে বলে উঠল, “আমিও।”
তিমিবাবু কোনো উত্তর না দিয়ে দুটো চোখ উপরে তুললেন।
রাতের কন্টিনেন্টাল ডিনার তিমিবাবু ছুঁয়েও দেখলেন না। মনোজবাবুকে ডেকে বললেন, “পোস্তর বড়া, ঝিরিঝিরি আলুভাজা, সোনা মুসুরি ডাল, শুক্তো, এইসব কি নেই?”
মনোজবাবু হেঁ হেঁ করে মাথা চুলকে বললেন, “কুকটি তো ফরাসি। বাঙালি রান্না সেরকম জানে না।”
অবশেষে আমার রন্ধনপটীয়সী অন্নপূর্ণা মা কিচেনে ঢুকে ফরাসি কুকটিকে দিয়ে এইসব রাঁধিয়ে নিল। তিমিবাবুও পরম তৃপ্তিতে খেয়ে ঢেকুর তুলে উঠতে যাবেন, মনোজবাবু ডেসার্টের প্লেট এগিয়ে দিলেন।
“এই টেন্ডার কোকোনাট পুডিং আমাদের স্পেশালিটি। এটা খেতেই হবে।”
আমার আর মায়ের প্লেটেও পুডিং তুলে দিলেন।
পুডিংটায় কীরকম একটা গন্ধে আমার আর খেতে ইচ্ছে করল না। আমার ভাগেরটা তিমিবাবু আর মাকে ভাগ করে দিলাম।
ডিনারের শেষে হার্লো হাউসের পুরোনো লাইব্রেরিতে বসে আছি। কত বিষয়ের যে পুরোনো বই। একেবারে খনি জায়গা। বইগুলো নামিয়ে আবার সাবধানে ধুলো ঝেড়ে ভরে রাখছিলাম। যারা বই ভালোবাসে তারা বইয়ের বিষয়ে ভীষণ সেন্সিটিভ। সে আর আমার থেকে ভালো কে জানে?
বই ঘাঁটতে ঘাঁটতে অনেক রাত হয়ে গেল। এইবার অন্ধকারে এই বাড়িটার মধ্যে যে একটা অদ্ভুত গা ছমছমে ব্যাপার আছে তা বেশ টের পাচ্ছি। বেশিরভাগ এইরকম বাড়িতে গেলে আমার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয় যেটা ঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। যেন কেউ না থেকেও সারাক্ষণ আছে। আড়াল থেকে নজর রাখছে ঠিক সময়ের অপেক্ষায়। ওই বারান্দার করিডোরটুকু পার হতেই আমার বেশ গায়ে কাঁটা দিল। ঘরে এসে দেখলাম মা ঘুমিয়ে পড়েছে। জেগে থাকবে বলেছিল। সারাদিনের ক্লান্তিতে হয়তো আর জেগে থাকতে পারেনি। মাকে আর ডাকলাম না।
তিমিবাবুর ঘরটাও অন্ধকার মনে হল। উনিও কি ঘুমিয়ে পড়লেন নাকি?
অথচ আমারই ঘুম আসছে না কিছুতেই। একটু আগে বেশ কড়া ব্ল্যাক কফি খেয়েছি।
বিছানায় খানিক এপাশ ওপাশ করে আবার বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। চাঁদের আলো এসে পড়েছে। বাইরে জোছনাভেজা স্বপ্নিল উপত্যকা। হু হু হাওয়া দিচ্ছে। এমন সময় পেছনে একটা নিঃশ্বাসের শব্দে চমকে উঠলাম। তিমিবাবু।
“আপনি ঘুমোননি? আমি ভাবলাম...”
তিমিবাবু ঠোঁটের কাছে আঙ্গুল দিয়ে ইশারায় চুপ করতে বললেন। তারপর ওঁকে অনুসরণ করতে বললেন। সুইটের ভেতরে শুধু একটা নাইট ল্যাম্প জ্বলছে। বাকিটা অন্ধকার। বেশ বড়ো রাজকীয় বাথরুমটার দিকে এগিয়ে গেলেন তিমিবাবু। এটাই তো সেই বাথরুম যেখানে ওই দু’জন মারা গিয়েছিল।
বাথরুমের একটা কল দেখিয়ে ইশারায় ওটা ঘোরাতে বললেন আমাকে। কল থেকে কোনো জল পড়ল না।
বললেন, “দু’বার বাঁ দিকে, দু’বার ডান দিকে ঘুরিয়ে মাঝখানে চাপ দাও।”
তাই করলাম।
হঠাৎ দেখলাম বাথরুমের শাওয়ারের পাশের দেওয়ালটা সরে গেল। সেখানে একটা সুড়ঙ্গের মতো পথ নেমে গেছে। তিমিবাবু তরতর করে নিচে নেমে গেলেন, এমনভাবে যেন পুরোটাই চেনা। আমার নামতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। মাকড়সার জাল, উঁচু নিচু সিঁড়ির ধাপ আর ভ্যাপসা একটা গন্ধ। এ কোথায় চলেছি কে জানে!
খেয়াল হল টর্চটা তো পকেটেই আছে।
টর্চটা অন করে সামনে ফেলতেই আক্কেল গুড়ুম।
টর্চের আলো তিমিবাবুর শরীর ভেদ করে যাচ্ছে। আমি ঢোঁক গিললাম।
এ কার সঙ্গে এই পাতালে যাচ্ছি? এ কি তিমিবাবু নয়? এ তবে কে?
সেই মূর্তি এবার থামল, তারপর বলল, “আমি যে তিমির নই এতক্ষণে বুঝে গেছ নিশ্চয়ই।”
আমার মুখ দিয়ে খুব কষ্টে বেরোল, “মিঃ হার্লো ডেভিস।”
এবারে ওই মূর্তির ঈষৎ সবুজ চোখ দুটো দেখতে পেলাম।
মনে হল একটু হাসলেন।
“এখনও বেঁচে আছ যখন তখন কয়েকটা কথা বলি। এই সিঁড়িঘরে আমার কিছু দুষ্প্রাপ্য জিনিস আর পুঁথিপত্র আছে। কিছু উপহার পাওয়া আর দেশ বিদেশের পুরোনো বাজার থেকে সংগ্রহ করা। চোরাই বাজারে এর দাম অনেক। ওই আমির সিং আর ওই রাফায়েল এই জিনিসগুলোর খোঁজেই এই সুইটে এসেছিল। ওরা সব জানে। ওরা আমার পুরোনো বন্ধু। বন্ধু না বলে শত্রু বলাই ভালো। তা ওরা যে আমাকে দেখেই মারা গেছে সে একরকম ভালোই হয়েছে। আরেকজনও এখন এই ঘরটার অস্তিত্ব টের পেয়েছে। সে জানে আমি তার কোনো ক্ষতি করতে পারব না। তাই আমাকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তাকে তুমি আজই দেখেছ।”
“মনোজ।”
“ঠিক ধরেছ। তোমাদের যাতে রাতে ঘুম না ভাঙে তাই ওই বিশেষ পুডিং খাইয়েছিল ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে। তিমিরকে জাগানোর কত চেষ্টা করলাম। কিছুতেই উঠল না।”
“কিন্তু আমাকে এসব কথা কেন বলছেন? আর আপনাকে অবিকল তিমিবাবুর মতো দেখতে কী করে?”
“আমার আসল নাম ছিল বারিদ বরণ তলাপাত্র। ওই নামে লেখা আমার কিছু বাংলা আর সংস্কৃত বইও পাবে লাইব্রেরিতে। তিমিরবরণ আমার সম্পর্কে ভাইপো। যদিও বেশ দূর সম্পর্কের। আমি ছোটোবেলায় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর ধর্মান্তরিত হয়ে দেশে বিদেশে ঘুরি। এক বৃদ্ধা মহিলা আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। ওঁর সব সম্পত্তি আমার নামে লিখে দিয়েছিলেন। তারপর দেশে ফিরে এই বিশাল বাড়ি আর চা বাগানের ব্যাবসা শুরু করি।
“এখন এই সব কিছুই তিমির-এর। দার্জিলিঙে আমাদের ম্যানেজার-বাবুকে ফোন করে সব জানিও। উনি তিমির বরণের কথা জানেন।”
রাতটা কীরকম স্বপ্নের মতো কাটল। একটুও ঘুমোতে পারিনি। পরদিন সকালে ম্যানেজার-বাবুকে ফোন করতেই উনি চলে এলেন। এসেই সব শুনে মনোজকে দূর করে দিলেন উনি। মায়ের ঘুম ভেঙেছে। তিমিবাবুর ঘুম ভাঙল দুপুরে।
ঘুম থেকেই উঠেই বললেন, “খুব খিদে পেয়ে গেছে। ব্রেকফাস্টে লুচি-টুচির বন্দোবস্ত আছে এখানে?”
আমি হাত উলটে বললাম, “আপনিই জানেন। আপনার হোটেল। আপনার বাড়ি, আপনার চা বাগান। সবই তো আপনার।”
ভয় পেলে তিমিবাবুর ক্রমাগত হাঁচি হয়, কিন্তু সব কিছু শুনে ইস্তক তিমিবাবুর এমন হেঁচকি উঠল, সন্ধে অবধি সেই রেশ চলল।
_____
ছবিঃ
স্যমন্তক চট্টোপাধ্যায়
দ্বৈতা, গল্পটি পড়তে শুরু করে আর ছাড়তে পারলাম না শেষ না করা পর্যন্ত । তিমিবাবুকে নিয়ে লেখা তোমার গল্পগুলির মধ্যে এই গল্পটি থাকবে একেবারে প্রথম সারিতে। স্বচ্ছন্দ সাবলীল ভাবে বলে গেছ গল্প এবং সাসপেন্স ধরে রাখতে পেরেছ শেষ অবধি। অসাধারণ মুনশিয়ানা বলব...কারণ, এমন ছদ্ম হালকা চালে যে (pseudo casual approach) ভূতের গল্প লেখা সম্ভব, তা তোমার "হার্লো হাউসের বিভীষিকা" না পড়লে ধারণা করতেই পারতাম না! আমার তরফে তোমার জন্যে থাকছে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteঅসা গল্প!
ReplyDeleteতোমার প্রতিটা লেখার মতোই দারুণ
ReplyDeleteদারুণ
ReplyDeleteDarun
ReplyDeleteবেশ লাগলো ��
ReplyDeleteঅসাধারণ গল্প। কিন্তু আমার একটাই প্রশ্ন রয়ে গেল সোনা মুসুরির ডাল টা কিরকম হয়।
ReplyDeleteআজ পর্যন্ত কেবলমাত্র সোনা মুগের ডালের কথা শুনেছি।
খুব ভালো লাগলো।
ReplyDelete