গল্পের ম্যাজিক:: হুল - অদিতি সরকার


হুল
অদিতি সরকার

নাঃ, এই বনে আর মনে হয় থাকা যাবে না। মাংকু গাল বেয়ে গড়িয়ে আসা চোখের জলটা এক হাতে মুছে নিল। অন্তত এই ইশকুলে তো আর কিছুতেই পড়া যাবে না। কিন্তু মা-কে ইশকুল ছাড়ার কথা বলবে কী করে মাংকু?
ভুতুম স্যারের ইশকুলের এত নামডাক বলেই না মা তাকে নিয়ে সেই কালাগড়ের জঙ্গল ছেড়ে এত দূরে এসেছে। যদি একটু ভালো করে পড়াশোনাটা শিখতে পারে মাংকু, সেই আশাতেই তো? কী করে বলবে মা-কে মাংকু যে সে আর ইশকুল যাবে না? যদি ধরো সাহস করে বলেও, এমন একটা অদ্ভুত ঘোষণা শুনে মা কারণ জানতে চাইবেইআর তাহলেই তো সব বলতে হবে। সেই প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত যা যা হয়েছে মাংকুর সঙ্গে, যা যা এখনও হয়ে চলেছে, সব। মা যে ভীষণ দুঃখ পাবে।
সেগুন গাছের চওড়া ডালের খাঁজে বসে বসে মাংকু এই সব আকাশপাতাল ভাবছিল আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল। আচমকা কানের কাছে বেজায় কর্কশ একটা গলা ক্যাঁ ক্যাঁ করে উঠল।
- এই যে। ওহে। বেলা দুপুরে ইশকুল ফাঁকি দিয়ে এখানে কী হচ্ছে, অ্যাঁ? চোখে আবার জলও দেখছি যেন? কী হয়েছে শুনি?
মাংকু চমকে আর একটু হলেই গাছ থেকে পড়ে যাচ্ছিল প্রায়। নেহাত ল্যাজ দিয়ে পাশের ডালটা আচ্ছা করে প্যাঁচানো ছিল তাই রক্ষে। পড়লে আর লজ্জার শেষ থাকত না। এসব কথা কী আর চাপা থাকে? কালকেই ইশকুলে ঢি-ঢি পড়ে যেত। বাঁদরের ছানা হয়ে মাংকু ঠিকঠাক গাছেও চড়তে পারে না। ব্রুনোর দলবল আরও একটা সুযোগ পেয়ে যেত মাংকুকে হেনস্থা করার।
ক্যাঁকক্যাঁকে আওয়াজটা কোথা থেকে এল তাই খুঁজছিল মাংকু। একটু একটু রাগ হচ্ছিল তার। ভয়ও করছিল একটু একটু। ব্রুনো কি তাহলে তার এই একেবারে নিজস্ব লুকোনো জায়গাটাও খুঁজে বার করে ফেলেছে?
- আহা ওদিকে কোথায় খুঁজছ? এইদিকে তাকাও, এইদিকে। আরে আচ্ছা ক্যাবলা ছেলে তো হে তুমি। এই যে ঠিক তোমার নাকের ডগায় বসে আছি দেখতেও পাচ্ছ না? গলাটা আবার ক্যাঁও ক্যাঁও করে ওঠে।
এতক্ষণে দেখতে পায় মাংকু। সত্যিই ঠিক নাকের ডগায় সেগুনপাতার সঙ্গে মিশে বসে আছে চড়া গলার মালিকমস্ত টিয়াটার পরনে ধোপদুরস্ত চকচকে সবুজ পালক, গলায় আবার লাল মালা একটা। গোল গোল চোখে কটকট করে মাংকুকেই দেখছে।
- এই যে। এতক্ষণে। আচ্ছা ছেলে বাবা। বলি জঙ্গলে অমন উদাস হয়ে বসে থাকলে চলে? কখন কোথা দিয়ে গুলবাঘা ঝপ করে এসে টপ করে ধরে নিয়ে ব্রেকফাস্ট বানিয়ে ফেলবে টেরও পাবে না যে হে। কিছুই কি শেখায়নি ইশকুলে? মাংকুর মুখের সামনে ডানা নাড়ায় টিয়া।
- আপনি কে? আমি তো চিনি না আপনাকে। মাংকু মিনমিন করে।
- সে কী হে? জঙ্গলগড়ে থাকো আর আমাকে চেনো না? তুমি তো দেখছি নিতান্তই একটি ইয়ে ছোকরা। শোনো শ্রীমান বুদ্ধুরাম, আমার নাম শ্রীপোপটলাল তোতারাম প্যারটিয়া। মনে রেখো নামটা। এই জঙ্গলগড়ে সব থেকে বড়ো বুদ্ধির ব্যাবসা আমার, বুঝেছ? ওপর নিচে দু’বার মাথা ঝাঁকায় পোপটলাল।
- আ-আজ্ঞে রাখব। নিশ্চয়ই মনে রাখব। আর ইয়ে, মানে আমার নাম মাংকু। বুদ্ধুরাম নয়। মাংকু তোতলায়।
- বাহ্। এই তো দিব্যি কথা ফুটেছে। তা মাংকুরাম বাহাদুর গভীর বনে একা একা বসে চোখের জল কেন ফেলছেন জানতে পারি? হুতুম মাস্টারের গোয়াল তো এখান থেকে ঢের দূরে।
- হুতুম না, ভুতুম। স্যারের নাম ভুতুম। নাম বাঁকিয়ে বলবে না। ভারি রাগ হয় মাংকুর।
- ওই হল। তা ভুতুম মাস্টারের ছাত্তরের মুখ গোমড়া কেন?
মাংকু গোঁজ হয়ে বসে থাকে। জবাব দেয় না।
- আহা বলেই ফেল না হে। বললাম না, আমার বুদ্ধির দোকান আছে। সমস্যাটা জানতে পারলে একটা কিছু উপায় হয়তো বের করেও দিতে পারি। একদম ফিরিতেই দেব, চিন্তা নেই। ছোটো বাঁদরদের কাছ থেকে আমি বুদ্ধির দাম নিই না। এই নাও, এই পেয়ারাটা ধরো দেখি। খেতে খেতে টুক করে বলে ফেল। মুখ দেখে তো মনে হচ্ছে অনেকক্ষণ পেটে কিছু পড়ে-টড়েনি। পোপটলাল খুব নরম সুরে বলে। তার বাড়িয়ে ধরা ডান পায়ে একটা টসটসে পাকা পেয়ারা।
মাংকুর কান্না থেমে গিয়েছিল, কিন্তু হঠাৎ কী যে হল। পোপটলালের আদরের সুরে আবার একেবারে ভেতর থেকে ভাসিয়ে কান্না উঠে এল তার। এতদিনের এত হেনস্থা, এত কষ্ট সব হুড়হুড় করে বেরিয়ে আসতে থাকল বন্যার জলের মতো।
সবটা শান্ত হয়ে শুনল পোপট। কী ভাবে রোজ মাংকুর টিফিন কেড়ে নিয়ে খায় ব্রুনো আর তার চ্যালারা, কীভাবে রোজ ইশকুল ছুটির পর মাংকুকে মাটিতে ফেলে মারে, কীভাবে নিজেরা রোজ একটার পর একটা অন্যায় করে তার দায় নতুন ছেলে মাংকুর ওপর চাপিয়ে দেয়। এমন কী আজকের কাণ্ডটাও চুপচাপই শুনল। সবাই জানে ভুতুম স্যার দিনের বেলা চোখে ভালো দেখেন না। সেই সুযোগ নিয়ে আজ ব্রুনো আর টেডি স্বয়ং ভুতুম স্যারের খাবার চুরি করে খেয়েছে। আর ভালো মানুষের মতো মুখ করে দোষ চাপিয়ে দিয়েছে মাংকুর ঘাড়ে।
- আমাকে স্যার ক্লাসের বাইরে বার করে দিলেন, জানো? সবাই যেতে যেতে একবার করে দেখে গেল আমায়। আচ্ছা তুমিই বলো, ওইসব ইঁদুর-টিঁদুর কি আমি খাই, যে চুরি করব? ফল-টল হলেও নয় বুঝতাম। স্যার এত রেগে গেছিলেন, আমার কোনো কথা শুনলেনই না। আর ওই পাজিগুলো যে পেছনে দাঁড়িয়ে কত ভেংচি কাটছিল, মিটমিট করে হাসছিল সে তো দেখতেই পেলেন না স্যার। উলটে বললেন আবার এরকম হলে আমায় ইশকুল থেকেই তাড়িয়ে দেবেন। হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে মাংকু।
- আহা অত কেঁদো না তো। শান্ত হও। ভাবতে দাও আমায় একটু। খুচখুচ করে বাঁ পা দিয়ে মাথা চুলকোয় পোপটলাল প্যারটিয়াবাঁকানো ঠোঁট ঘষে সেগুনের ডালে।
- আচ্ছা এই ব্রুনোটা কে বলো তো? ওই জাম্বুবান কেভসে থাকে কি? একটা রাম পাজি ভাই আছে?
- হ্যাঁ হ্যাঁ। টেডি। তুমি চেন নাকি? মাংকু আশ্চর্য হয়ে তাকায় পোপটলালের দিকে।
- মনে হচ্ছে যেন চিনি চিনি। ব্রাউন বেয়ার অ্যাকাডেমিতে পড়ত আগে দুটোই, না?
- হ্যাঁ। ইংলিশ মিডিয়াম থেকে এসেছে বলে ভারি ডাঁট। আমি বাংলা মিডিয়াম বলে সব সময় আমায় হ্যাটা করে। ওদিকে তো একটা পড়াও পারে না। শুধু মারপিট করতে পারে। মাংকু নাক মোছে।
- হুঁ। বুঝলাম। পোপট পালক ফুলিয়ে গা ঝেড়ে নেয় দু’বার।
- কী বুঝলে?
- বুঝলাম যে গুণ্ডামি দিয়ে তুমি ওদের সঙ্গে পারবে না।
- সে তো আমি জানিই। আমার গায়ে কি ওদের মতো জোর আছে নাকি? না ওদের মতো কুচুটে মতলব খেলে আমার মাথায়? মাংকুর গলা আবার কান্না কান্না শোনায়। - এত শুনে টুনে এই বুদ্ধি বেরোল বুঝি তোমার মাথা থেকে?
- আরে না হে না। বুদ্ধির কথা তো এখনও বলিইনি তোমায়। সে বলব সময় হলে। তার আগে একবার চেয়ে দেখো তো ওই দিকটায়।
পোপটলালের বাড়ানো ডানার ডগা অনুসরণ করে তাকায় মাংকু। ফুলে ভরা কয়েকটা ঝোপ ছাড়া আর কী যে দেখার আছে কিছুই মগজে ঢোকে না যদিও তার।
- কী দেখব? গোটা কয় বোলতা উড়ছে ভোঁ ভোঁ করে, আর কী আছে ওখানে?
- হ্যাঁ, বোলতাই তো। কিন্তু ওই বোলতার চাকের পাশ দিয়ে কারা খুব সাবধানে চুপি চুপি গুঁড়ি মেরে যাচ্ছে বলো তো?
- আরে, দুটো মানুষ তো। হাতে কাটারি না কী যেন। কাঠ কাটতে যাচ্ছে বোধহয়।
- ঠিক। একদম ঠিক। ওরকম সাবধানে পা টিপে টিপে যাচ্ছে কেন ওরা বলতে পারবে, মাংকুরাম? পোপট জ্বলজ্বলে চোখে তাকায় মাংকুর দিকে।
- বোলতার ভয়ে, না? যদি বোলতা হুল ফুটিয়ে দেয়।
- ভেরি ভেরি গুড। এবার বলো তো, অত ছোটো বোলতাকে অত বড়ো মানুষদুটো অমন ভয় পায় কেন?
- তা তো জানি না। মাংকু মাথা চুলকোয়।
- কারণ বোলতার হুল একবার যে খেয়েছে সে জানে কী জ্বালা ওই হুলে। অত্তোটুকু হলে কী হবে। হুলের ভয়েই বোলতাকে তাই হাতিও ঘাঁটাতে সাহস পায় না, মানুষের কথা তো ছেড়েই দিলাম। ছোটো হলেই যে সব সময় পড়ে পড়ে বড়োর মার খেতে হবে তা কিন্তু মোটেই নয়। এবার তুমি নিজে ভেবেচিন্তে বলো দেখি এ কথা তোমায় কেন বলছি।
- হুল ফোটাতে বলছ ব্রুনোর দলবলকে? কিন্তু আমি হুল কোথায় পাব। আমি তো বোলতা নই। ফ্যালফ্যাল করে তাকায় মাংকু।
- ভাবো। খুব করে ভাবো। তুমি বুদ্ধিমান, ঠিক ভেবে বার করতে পারবে। আজ বাড়ি যাও, আর কষে ভাবো।
মাংকুকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ডানা ঝটপটিয়ে উড়ে গেল পোপটলাল তোতারাম প্যারটিয়া।

সারা রাত সত্যিই খুব করে ভাবল মাংকু। তারপর ভোর ভোর উঠে চান-টান করে ইশকুলের জন্য তৈরি হল।
- আজ আমায় একটু বেশি করে টিফিন দিও তো মা।
মাংকুর কথা শুনে অবাক হয়ে গেলেন হনুমতী। ছেলের হল কী আজ? অন্য দিন তো গোছানো টিফিনের পুঁটলি এখানে ওখানে লুকিয়ে রেখে চলে যায়। আজ নিজে থেকেই নিতে চাইছে, তাও আবার বেশি করে?
- বেশি টিফিন কেন নিবি রে? ইশকুলে কোনো অনুষ্ঠান আছে বুঝি? কৌতূহল চাপতে না পেরে জিজ্ঞেসই করে ফেলেন হনুমতী।
- না না, ওসব কিছু না। বন্ধুদের দেব। এত ভালো ভালো কলা, পেয়ারা হয় আমাদের এদিকে, ওরাও একটু খাক না।
- হ্যাঁ, হ্যাঁ, সবাইকে দিয়েথুয়ে খাওয়া খুব ভালো অভ্যেস। এই নে, আরও কতগুলো দিয়ে দিলাম তাহলে এই বড়ো শালপাতার পুঁটুলিটায়। ভারি খুশি হয়ে মাংকুর টিফিন গোছাতে থাকেন হনুমতী। যাক, ছেলেটা এতদিনে নতুন ইশকুলে সবার সঙ্গে মিলে মিশে গেছে তাহলে। যা লাজুক ছেলে তাঁর।
ইশকুলের পথে যেতে যেতে আরও কয়েকটা জিনিস টিফিনে যোগ করে মাংকু। এ জঙ্গলের মোটামুটি সব গাছ তার চেনা। বেছে বেছে কয়েকটা থেকে লাগসই কিছু ফলপাকুড় টুকটুক করে ঢোকে তার পুঁটুলিতে। আজ তার কাছ থেকে কেড়েকুড়ে কলা খেয়ে ব্রুনোর অবস্থাটা কী হবে কল্পনা করেই তার হাসি পেয়ে যায়।
ক্লাসে আজ কোনোদিকে না তাকিয়ে সটান সোজা হয়ে বসে মাংকু। একদম ফার্স্ট বেঞ্চে। নিজেকে লুকোতে একটুও চেষ্টা করে না সে বরং টুকটুক করে ভুতুম স্যারের সব প্রশ্নের উত্তর দেয়। ব্রুনো আর দলবল বেজায় অবাক হয়ে চোখাচোখি করে নিজেদের মধ্যে। ভিতু ছেলেটার হঠাৎ এরকম পরিবর্তন। কাণ্ডটা কী?
টিফিন হতে না হতে টেডি এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাংকুর ওপর।
- কী রে, খুব যে গুড বয়গিরি দেখানো হচ্ছিল? স্যারকে তেল দিয়ে ক্লাসে ফার্স্ট হবি ভেবেছিস বুঝি? ভারি তো বাংলা মিডিয়ামের হ্যাংলা বাঁদর একটা, কী করে যে এই স্কুলে চান্স পেলি তাই ভাবি।
প্রত্যেকটা কথার সঙ্গে দুমদুমিয়ে কিল পড়তে থাকে মাংকুর পিঠে। অন্যদিন হলে মাংকু কেঁদেকেটে একশা করত। আজ অবশ্য একদম চুপ করে থাকে সে, মুখে মুচকি হাসি। তাই দেখে আরও হিংস্র হয়ে ওঠে টেডি।
ব্রুনো ততক্ষণে হ্যাঁচকা দিয়ে মাংকুর টিফিন পুঁটলি কেড়ে নিয়েছে।
- উঃ, আজ যে দেখছি মেলা খাবার। বলতে বলতে খপ করে আস্ত একটা কলা মুখে পুরে দেয় ব্রুনো। লাফিয়ে এসে আর একটা গেলে টেডি।
বেশিক্ষণ লাগে না মাংকুর হুলের কাজ শুরু হতে।
দুই ভাইয়ের চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসে প্রায়। নাকমুখ দিয়ে জলের স্রোত। পেটে থাবা চেপে যন্ত্রণায় মাটিতে গড়াগড়ি খেতে থাকে দু’জন। ওদের চ্যালারা মাংকুর টিফিনে ভাগ বসাতে আসছিল সবে, কাণ্ড থেকে সবাই থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে।
- পরের জিনিস কেড়ে খেলে এরকম শাস্তিই পেতে হয়, বুঝেছ গোবরগণেশরা? আজ কলার মধ্যে ধানি লংকা পুরে এনেছি। কাল হয়তো বিছুটি পাতাও থাকতে পারে।
- তুই, তুই, তোর এত বড় সাহস? হেঁচকি তুলতে তুলতে বলে ব্রুনো। – জানিস আমরা তোকে কী করতে পারি?
- হ্যাঁ। সাহস। কী করবে? কী করতে পারো তোমরা? তোমরা আসলে নিজেরাই ভিতুর ডিম, তাই শুধু গায়ের জোর ফলিয়ে বেড়াও, আর নিজের করা দোষের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপাও। একটা হুল তো খেলে আজ, দেখলে তো তার কেমন জ্বলুনি। এবার থেকে কিন্তু আমার হুল রোজ শানানোই থাকবে। সাবধান থেকো বাপুকখন কোথায় হুল ফুটে যায় কে জানে।
গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে মাংকু পকেট থেকে নিজের টিফিন বার করে। হতভম্ব ব্রুনোর দলবলের চোখের সামনেই
নিশ্চিন্তে খেতে খেতে মাথার ওপরে একটা ঝটপট শব্দে চোখ তুলে তাকায় মাংকু। বলা যায় না, কোনো পাজি হয়তো গাছে উঠে বসে আছে। ওখান থেকে লাফিয়ে পড়বে ঘাড়ে। সাবধানে গাছের পাতার ফাঁকফোকরে নজর চালায় মাংকু।
না, ব্রুনো টেডির চ্যালা-ট্যালা কেউ নয়। পোপটলাল এসে বসেছে বটের ডালে। তার দিকে তাকিয়ে ফিক করে একটু হাসে মাংকু। আর পড়ে পড়ে মার খাবে না সে। একা একা কাঁদবেও না।  হুল ফোটাতে শিখে গেছে মাংকুরাম
_____
ছবিঃ পার্থ মুখার্জী

2 comments:

  1. ভারি ভালো। মাংকুরাম ভালো থাকুক।

    ReplyDelete