একটি লম্বা সফরের কাহিনি
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
।। পর্ব আট ।।
অক্টোবর ২, ১৮৩৫
ক্রেটার জেটি থেকে রওনা হওয়া গেল। তবে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই পালে
বিলকুল হাওয়া না থাকার ফলে দুই দ্বীপের মাঝখানের খাঁড়িটার মধ্যেই থেকে যেতে হল।
অক্টোবর ৩
আলবের্মাল (আগের এপিসোডে সামান্য ভুল হয়েছিল এই নামটায়। - অনুবাদক) দ্বীপের
উত্তর কোণের কাছাকাছি পৌঁছোনো গেল অবশেষে। জায়গাটা একেবারে ন্যাড়া। উঁচু উঁচু
আগ্নেয় ঢিবি আর তার গায়ে ছোটো ছোটো মৃত জ্বালামুখ ছড়িয়ে আছে চারপাশে।
জ্বালামুখগুলো থেকে পুরোনোকালের লাভাস্রোতের জমাট বাঁধা কালো কালো ধারা বের হয়ে
চারপাশে ছড়িয়ে গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন তাল তাল কাদা জমে রয়েছে।
ক্রান্তিয় অঞ্চলে, অর্থাৎ কর্কটক্রান্তি আর মকরক্রান্তির মধ্যেকার এলাকাটায় প্রায়
পঁচাত্তর মাইল লম্বা এ-হেন সম্পূর্ণ নিষ্কর্মা জমি বোধ হয় আর দ্বিতীয়টি নেই। এদিকে
জাহাজ যেন আর চলতে চাইছে না। একে হাওয়া নেই, তায় উলটোমুখো স্রোত বইছে সমুদ্রে।
অক্টোবর ৮
অবশেষে জেমস দ্বীপে পৌঁছোনো গেল। পাঁচ-পাঁচটা দিন কেটে গেছে এই
পঞ্চাশ মাইল পাড়ি দিয়ে আসতে। এইখানে আমি নেমে গেলাম। সঙ্গে মিস্টার বাইনো, আরও
তিনজন লোক। আমাদের নামিয়ে জাহাজ চলে গেল চ্যাথাম দ্বীপ থেকে জল তুলে আনতে। নেমে
দেখি সেখানে চার্লস দ্বীপ থেকে একটা দল এসেছে। জানা গেল মিস্টার লসন তাদের
পাঠিয়েছেন মাছ আর কচ্ছপ ধরে শুঁটকি বানিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। ওইসঙ্গে কচ্ছপের মাংস
থেকে খানিক তেলও বের করে নিয়ে যাবে তারা। ঠিক হল দ্বীপে যদ্দিন থাকব, এদের
থেকেই খাওয়াদাওয়ার রসদ নেওয়া হবে।
উপকূল থেকে অল্প খানিক দূরে একটা ছোটো নাবাল জায়গার ভেতর আমাদের
তাঁবু পড়ল। দুটো পুরোনো জ্বালামুখ জুড়ে জায়গাটা তৈরি। ভারী সরু একটা জলের ধারা
রয়েছে তার মাঝখানে। এককালে এই জ্বালামুখরাই লাভা উগরে এই দ্বীপগুলোর জন্ম দিয়েছে।
অক্টোবর ৯
সঙ্গে একজন গাইড জুটিয়ে নিয়ে আমরা চললাম দ্বীপের ভেতরের উঁচু এলাকার
দিকে। এখানে চার্লস দ্বীপ থেকে আসা দলটার কয়েকজন মিলে তখন কচ্ছপ শিকারে ব্যস্ত।
প্রায় মাইল ছয়েক খাড়াই জমি পেরোবার পর হাজার দুয়েক ফিট উচ্চতায় পৌঁছে প্রথম সবুজের
আভাস চোখে পড়ল। এইখানটায় দুটো কুঁড়ে বানিয়ে লোকগুলো ঘাঁটি গেড়েছে। এর নিচের এলাকাটা
একেবারেই চ্যাথাম দ্বীপের মতো। বিলকুল শুকনো। গাছগুলোর গায়ে কোনো পাতা নেই। লক্ষ
করে দেখলাম একই জাতের গাছ হলেও এই দ্বীপে সেগুলো বেশ বড়ো আকৃতি নিয়েছে, প্রায়
বৃক্ষ পর্যায়ে ফেলা যায় তাদের। তবে হ্যাঁ, খুব বেশি উঁচু নয়।
ডালগুলো নিচু, কুঁকড়ে যাওয়া চেহারা তাদের। এখান থেকে আরও দু’মাইল
এগোলে হাজার তিনেক ফিট উচ্চতায় কয়েকটা ছোটো ছোটো কুণ্ডি আছে। জল তাদের সামান্য,
কিন্তু ভারি ঠাণ্ডা আর মিষ্টি। দ্বীপের ভেতরের এলাকায় এগুলো ছাড়া
জলের আর কোনো উৎস নেই। দিনের বেশির ভাগ সময় ধরে দ্বীপের উঁচু এলাকাটার মাথায় মেঘ
জমে থাকে। তার বাষ্প জমে জমে গাছপালার ডাল বেয়ে বৃষ্টির মতো ফোঁটা ফোঁটা জল নামে।
ফলে এই এলাকাটায় কাদাটে মাটি আর ভেজা উজ্জ্বল সবুজ অরণ্যের রাজত্ব। খানিক নিচের
চোখে জ্বালা ধরানো শুকনো এলাকা ছাড়িয়ে উঠে আসতেই এই ভেজা, সবুজ
প্রকৃতি খানিক অবিশ্বাস্য ঠেকে। চার্লস দ্বীপেও সেই একই ব্যাপার দেখেছি। উচ্চতার
সামান্য হেরফেরে একই দ্বীপের প্রকৃতিতে এত বিশাল বদল বেশ চমকদার।
অক্টোবর ১১
কচ্ছপ মারতে আসা দলটার একজন নৌকো করে আমাদের উপকূল ধরে ধরে মাইল ছয়েক
দক্ষিণে একটা নোনতা জলের ঝিলে নিয়ে গিয়েছিল। পথে একটা জমাট লাভাস্রোত পড়ল।
স্রোতটার বয়েস তুলনায় কম। এখনও একেবারে ন্যাড়া। একটা প্রাচীন জ্বালামুখকে ঘিরে বয়ে
গিয়েছে। আমাদের ঝিলটা ছিল এই জ্বালামুখটার ভেতরে। তিন থেকে চার ইঞ্চি জল তাতে।
আকারে গোল। জলের নিচে জমাট নুনের স্ফটিকের অসামান্য সব প্রাকৃতিক ভাস্কর্য। ঝিলের
চারপাশে উজ্জ্বল সবুজ রঙের রসালো গাছগাছড়ার ভিড়। জ্বালামুখটার ধারগুলো খাড়াই। তাতে
ঘন জঙ্গল।
সব মিলিয়ে ভারী সুন্দর একটা শান্ত পরিবেশ। তবে ঝোপের ভেতর পড়ে থাকা
একটা মানুষের খুলি খানিক অন্য খবরও দিচ্ছিল। জানা গেল বছর কয়েক আগে এক জাহাজের
মাল্লারা তাদের ক্যাপ্টেনকে এইখানে এনে খুন করে। খুলিটা সেই হতভাগ্য ক্যাপ্টেনের।
এইখানটায় অনেক অদ্ভুত দর্শন ক্যাকটাসের ভিড়। তাদের গোল গোল রসালো পাতা বড়ো বড়ো ডান্ডার মতো ডাল দিয়ে চোঙ
আকৃতির মূল কাণ্ডের সঙ্গে জোড়া। (সঙ্গে ডারউইনের নোটবইয়ের মার্জিনে তাঁর নিজের আঁকা সেই ক্যাকটাসের ছবি রইল - অনুবাদক।)
এছাড়া রয়েছে লজ্জাবতীর গাছ। (মাইমোসা পুদিকা। মধ্য ও দক্ষিণ
আমেরিকা। বেশ খানিক উঁচু গাছ হয়। - অনুবাদক) খাড়া রোদের ভেতর
সে গাছের ছায়ায় বসে ভারী আরাম পাচ্ছিলাম আমরা।
অক্টোবর ১২ থেকে অক্টোবর ১৬
বারো তারিখে ফের একবার আমাদের ক্যাম্প ছেড়ে কুঁড়েগুলোয় ফিরে এলাম। এ যাত্রা
সঙ্গে একটা কম্বলের স্লিপিং ব্যাগ নিয়ে এসেছি। দিন দুয়েক সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বেশ
কিছু নমুনা জোগাড় করা গেল। অনেক গাছগাছড়া আছে এখানে। বিশেষ করে নানাজাতের ফার্ন।
তবে গাছের গায়ে গজানো ফার্ন এখানে নেই। গাছপালাগুলোর গায়ে ছেয়ে থাকা যৌগিক ফুলের
বাহার তাদের ক্রান্তীয় চরিত্রের প্রমাণ দিচ্ছিল। ফুলগুলো হল ল্যাটিন ভাষায় যাকে
বলে সিনগাইনেশিয়াস, মানে একটাই গর্ভকোষের মাথায় অনেকগুলো করে পুংকেশর
জুড়ে থাকে (উদাহরণঃ সূর্যমুখী ফুল- অনুবাদক।
সঙ্গে একটা ছবি দেওয়া হল তার)।
স্থলবাসী কচ্ছপদের একটা বৈশিষ্ট্য হল, সুযোগ পেলে এরা একসঙ্গে
অনেকটা করে জল খেয়ে নেয় পেট পুরে। ফলে উঁচু এলাকার এই ঝরনাগুলোর চারপাশে তাদের ভিড়
জমে। গড়ে প্রায় গজখানেক করে লম্বা এখানকার কচ্ছপরা। কয়েকটার খোলার পরিধি তো ছয়
থেকে আট ফিট করে দেখা গেল। গায়ে এত জোর যে পিঠে বসলে দিব্যি বয়ে নিয়ে হেঁটে চলে
যায়। একজনের পক্ষে তাদের মাটি থেকে টেনে তোলা অসম্ভব। চলার পথে তাদের অনেকেরই
দর্শন মেলে সবসময়। একদল জল খেতে চলেছে তো অন্যদল পেট পুরে জল-টল খেয়ে ফেরার পথ
ধরেছে। দৃশ্যটা খুব মজার হয়। ছোটোখাটো পাহাড়ের মতো কতগুলো প্রাণী, গম্ভীরবদনে লম্বা গলা বের করে অতি সাবধানে পা ফেলে ফেলে চলেছে। গতি ঘন্টায়
৩৬০ গজ মতো হবে। অর্থাৎ দিনে চার মাইল। জলের ধারে এসে একবার পৌঁছোলেই অবশ্য আর
তাদের কোনো সাবধানতা থাকে না। বেহুঁশ হয়ে চোখ অবধি মুণ্ডু কাদাজলের ভেতর গুঁজে
দিয়ে চলে জল খাবার পালা। আশপাশে তখন কে এল কে গেল সেদিকে তাদের আর কোনো হুঁশ নেই।
যেখানেই জলের কুণ্ডি তার চারপাশ দিয়ে বেশ চওড়া রাস্তা চলে গেছে
মাইলের পর মাইল। সব এই কচ্ছপদের যাওয়া আসার ফল। ওই রাস্তার নিশানা দেখেই মেছুড়েরা
এ দ্বীপের জলের কুণ্ডিগুলোর খোঁজ বের করেছে।
জল থাকবার দরুন দ্বীপের উঁচু এলাকাটা হল কচ্ছপদের রাজত্ব। দ্বীপের
শুকনো নিচু এলাকাটায় ক্বচিৎ তাদের দেখা মিলবে। ও এলাকাটা হল গিয়ে হলদে রঙের বড়ো
বড়ো নিরামিশাষী গিরগিটিদের রাজত্ব (ইউরোম্যাসটিকস – অনুবাদক)। গোটা জমি জুড়ে তাদের গর্তের এত
প্রাদুর্ভাব যে তাঁবু ফেলবার জায়গা ঠিক করা নিয়ে আমাদের বেশ সমস্যাই হয়েছিল। গাছের
পাতা এদের প্রিয় খাবার। বিশেষ করে লজ্জাবতীর পাতা। সে জিনিস খাবার
জন্য এরা দিব্যি গাছ বেয়ে তার টঙ-এ চড়ে বসে। এছাড়া, কখনও জল খায় না বলে ক্যাকটাসের রসালো ডাল খেতেও এরা ভালোবাসে খুব। একজন
যদি বেশ পুরুষ্টু একটুকরো ক্যাকটাসের টুকরো নিয়ে খেতে বসে তো আর দশটা এসে তার ওপর
ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুরের মতো মারপিট জুড়ে দেবে সেই খাবারের ভাগ নিয়ে।
এদেরই জাতভাই যে ইম্প্স অব ডার্কনেস নামের গিরগিটি তারাও একইভাবে
সমুদ্রের আগাছা খেয়ে জীবন কাটায়। (মেরিন ইগুয়ানা। সঙ্গে তাদের
সমুদ্রের নিচে ঘাস খেয়ে বেড়াবার ছবি রইল - অনুবাদক)
এখানকার দ্বীপগুলো দেখে আমার কেবল ফার্নান্দো নোরোন্হা দ্বীপমালার
কথা মনে হচ্ছিল। (আটলান্টিকের বুকে একুশ দ্বীপের সমষ্টি। ব্রাজিল উপকূল
থেকে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার দূরে - অনুবাদক) জমির চরিত্র, গাছপালা, সবই
একরকম দু’জায়গাতে, শুধু এখানে যেটা নেই সেটা হল নোরোনহার সৌন্দর্য।
বড়ো রুক্ষ এই দ্বীপগুলো।
যে দু’দিন কুঁড়েগুলোতে ছিলাম সে সময়টা কচ্ছপের তেল দিয়ে ভাজা কচ্ছপের
মাংস খেয়েই কাটানো গেল। এছাড়া, কাছিমের বুকের দিকের শক্ত চাকতিটাকে মাংস
শুদ্ধ রোস্ট করা হত গচোদের ‘কার্নে কন কুয়েরো’ স্টাইলে। আর রান্না হত কচি কচ্ছপের স্যুপ। এই স্যুপ অতি উপাদেয় খাবার।
বাকিগুলো মোটামুটি চলনসই।
এই পাঁচ দিন ধরে আমাদের ব্যস্ততার শেষ ছিল না। সারা দিন নানান নমুনা
খুঁজে বেড়ানোয় ব্যস্ত থাকতে হত। ইতিমধ্যে আবার আর এক উৎপাত এসে জুটেছিল। আগেই
বলেছি, আমাদের ক্যাম্প ছিল সমুদ্রের কাছাকাছি। একদিন একটা উত্তুরে ঝড় আসতে সমুদ্র
উঠে এসে ক্যাম্পটাকে ভাসিয়ে দিয়ে গেল একেবারে। ফলে সেখানে যে মিষ্টি জলের খুদে
উৎসটা ছিল সেটা গেল নষ্ট হয়ে। খুবই অসুবিধেয় পড়তাম হয়তো আমরা, কিন্তু ঠিক তখন, দেবদূতের মতো একটা আমেরিকান তিমি-শিকারি
জাহাজ এসে উপস্থিত। আমাদের দশা দেখে তারা দয়াপরবশ হয়ে তিন পিপে মিষ্টি জল দিয়ে গেল
(সঙ্গে এক ঝুড়ি পেঁয়াজ)। গোটা
যাত্রাটাতেই দেখেছি, যখনই দেখা হয়েছে আমেরিকানরা কিন্তু বেশ ভালো
ব্যবহার করেছে আমাদের সঙ্গে। অন্তত আমাদের দেশোয়ালি ভাইরা দেখাসাক্ষাত হলে যা
ব্যবহার দেখিয়েছে একাধিকবার, তার চাইতে অনেক ভালো। ইংরেজদের
আমেরিকান সম্বন্ধে যা মনোভাব, তাদেরও যদি ইংরেজদের ব্যাপারে তেমনটা হয়েও থাকে, তবু,
অন্তত মুখোমুখি হলে তারা সেটা কখনোই আমাদের দেখায়নি।
অক্টোবর ১৬
বেজায় গরম পড়েছে। আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটা অবধি নেই। রোদের তেজ গায়ে
জ্বালা ধরায়। মাঝেমধ্যে বাণিজ্যবায়ুর স্রোত ঘন্টাখানেকের জন্যে বন্ধ হলেও তেতেপুড়ে
একশা হতে হচ্ছে। গত দু’দিন ধরে তাঁবুর ভেতর থার্মোমিটার ঘন্টার পর ঘন্টা তিরানব্বই
ডিগ্রি ফারেনহাইটে দাঁড়িয়ে। বাইরে খোলা আকাশের নিচে সেটা দাঁড়াচ্ছে ৮৫ ডিগ্রিতে।
বালি একেবারে আগুনের মতো গরম। হলদে বালিতে থার্মোমিটার গুঁজে দিতে সঙ্গে সঙ্গে
পারা চড়ে বসল ১৩৭ ডিগ্রিতে। ওর ওপরে আর দাগ নেই, নইলে আরও কতদূর উঠত কে
জানে। আর কালো বালিগুলো তো ওর চাইতেও বেশি গরম। এমনকি পুরু বুট পরেও ওর ওপর পা দিলে
পুড়ে যাবার দাখিল।
অক্টোবর ১৭
বিকেলে বিগ্ল্ থেকে নৌকা এল আমাদের নিয়ে যাবার জন্য।
অক্টোবর ১৮
আলবের্মাল-এর জরিপের কাজ শেষ হল অবশেষে। এর পুবের দিকটা নতুন
বেরিয়ে আসা লাভার দরুণ একেবারে ঘোর কালো। দ্বীপের প্রধান পাহাড়গুলোর ওপরে
নিঃসন্দেহে বড়ো বড়ো কড়াইয়ের মতো জ্বালামুখ থাকবে। পাহাড়গুলো একেকটা চার হাজার
ফিটের চাইতেও বেশি উঁচু। কিন্তু চেহারায় বেশ মোটাসোটা গোলগাল হবার ফলে উচ্চতাটা
ঠিক বোঝা যায় না।
অক্টোবর ১৯
রাতে জাহাজ চালিয়ে অ্যাবিংডন দ্বীপে (বর্তমান নাম আইলা
পিন্টা) গিয়ে সকাল সকাল মিস্টার শ্যাফার্সকে তুলে নেয়া হল
সেখান থেকে। তারপর রওনা হলাম উত্তরমুখো প্রায় শ’খানেক মাইল দূরে দাঁড়ানো দুটো ছোটো
ছোটো দ্বীপের উদ্দেশে (কালপেপার আর ওয়েইনম্যান দ্বীপ)।
অক্টোবর ২০
খুদে দ্বীপদুটোর সমীক্ষা শেষ করে এখানকার কাজ মোটামুটি শেষ হল।
জাহাজের মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া হল ওটেহাইট-এর দিকে (তাহিতি দ্বীপের পুরোনো নাম)। শুরু হল ৩২০০ মাইলের আরেকটা দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা।
এবার লক্ষ্য তাহিতি।
(এরপর আগামী সংখ্যায়)
_____
No comments:
Post a Comment