পোকা
সুদীপ চ্যাটার্জী
ব্যাবসাসংক্রান্ত
কাজে আমাকে মাঝে মাঝেই পাহাড়ে যেতে হয়। হিমাচল প্রদেশের তীর্থন উপত্যকায় একটা
ছোট্ট রিসর্ট খুলেছি বছর কয়েক আগে, সেই সূত্রে যাওয়া
আসা লেগেই থাকে। শহরের ব্যস্তবহুল জীবন পছন্দ হয় না আমার। বেশিদিন দিল্লি অথবা কলকাতায় থাকলেই আমি
হাঁফিয়ে উঠি প্রকৃতির কোলে যাওয়ার জন্যে।
প্রতিবারের মতন
এইবারেও রাত ন’টায় দিল্লির কাশ্মীরি গেট অঞ্চলে এসে হিমাচল প্রদেশ পরিবহনের বাসে
উঠেছি। দীর্ঘ পথ। তীর্থন উপত্যকায় যেতে হলে কুল্লুর কাছে ওট বলে একটা জায়গা থেকে
বাস বদলাতে হয়। এই বাসটা যাবে ওট পর্যন্তই। সেখান থেকে অন্য বাস ধরে তীর্থন
উপত্যকার ঘিয়াগী পৌঁছতে আমার কাল বিকেল হয়ে যাবে।
সাধারণত এই
বাসগুলো দেরি করে না। কিন্তু আজ হয়তো কিছু গণ্ডগোল হয়েছে। বাস ছাড়তে প্রায় এক
ঘণ্টা দেরি হল। বাস ছাড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে হুড়মুড় করে এসে একটা লোক আমার পাশের
সিটে বসে পড়ল। নিশ্চয়ই দেরি করেছে আসতে! শহরের ট্র্যাফিকের যা অবস্থা, ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনোই মুশকিল।
লোকটার উচ্চতা
মাঝারি, মাথায় লম্বা চুল। কিন্তু মুখ বোঝার উপায় নেই।
মাফলার দিয়ে তার চেহারার চোদ্দ আনা ঢাকা। তার ওপর একটা জম্পেশ ভারী জ্যাকেট
চাপিয়েছে গায়ে। রাতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে বাস চললে শীত লাগতে
পারে, হয়তো সেই ভেবেই সাবধান হয়েছে! অথবা শীতকাতুরে
হওয়াও অসম্ভব নয়!
ভদ্রতা করে
বোতলের জলটা এগিয়ে দিয়ে বললাম, “জল খাবেন? হাঁফিয়ে গিয়েছেন নিশ্চয়ই!”
লোকটা একটু চমকে
উঠল যেন। তারপর হাত থেকে বোতলটা নিয়ে গলায় উপুড় করে দিল। দেখলাম বোতলের জল প্রায়
শেষ! একটু রাগই হল। সহযাত্রীর পুরো জলটা শেষ করে দেওয়া কোন ধরণের ভদ্রতা? লোকটার অবশ্য সে হুঁশ আছে বলে মনে হল না। বোতল ফেরত দিয়ে শুকনো গলায় বলল, “ধন্যবাদ!”
আমি জিজ্ঞেস
করলাম, “কোথায় যাচ্ছেন? মানালি?”
“না।”
“তাহলে? কুল্লু?”
“না।”
ভেবেছিলাম লোকটা
নিজে থেকেই জানাবে কোথায় যাচ্ছে, কিন্তু সে কোনো
কথা না বলে গোমড়ামুখে বসে রইল। এমন অভদ্র লোকের পাশে বসে যেতে হবে ভেবেই মেজাজ
চটকে গেল আমার। কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমানোর কথা ভাবছি, এমন সময় আতঙ্কিত স্বরে লোকটা প্রায় চেঁচিয়ে উঠে বলল, “জানলা বন্ধ করুন! এক্ষুনি।”
যদিও শীতকাল, কিন্তু আমার আবার সব দরজা জানলা বন্ধ করে দিলে দমবন্ধ লাগে। অন্য সকলেই জানলা
বন্ধ করে ঘুম দিয়েছে, আমি পাশের জানলাটা
খানিকটা খুলে রেখেছি। কিছু বলার আগেই লোকটা প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়ে সেইটুকু বন্ধ করে
দিল। ততক্ষণে আমার রাগ মাথায় চড়ে গেছে।
ক্ষুব্ধ গলায়
বললাম, “জানলা না খুললে আমার চলবে না। বন্ধ জায়গায়
আমার শরীর খারাপ করে।”
ভেবেছিলাম লোকটা
প্রতিবাদ করবে, তার জায়গায় সে তার ব্যাগটা খুলে একটা বড়ি বের
করে দিয়ে বলল, “এইটা খেয়ে নিন। কোনো অসুবিধে হবে না।”
“এটা কী? ওষুধ?”
“ওষুধ নয়, লজেন্স। বিদেশে তৈরি। শরীর আনচান করবে না
খোলা হাওয়া না পেলেও,” লোকটা এতক্ষণে একটা সম্পূর্ণ বাক্য বলল।
লজেন্সটা মুখে
নিয়ে ভালোই লাগল। একটু হেসে বললাম, “আপনি লজেন্স
তৈরি করেন বুঝি?”
“না। আমি একজন বায়োসায়েন্টিস্ট। প্রধানত গবেষণা করি।”
এতটা আমি আশা
করিনি। ভাবছি কী বলব, এমন সময়ে একটা অদ্ভুত কাণ্ড হল। কোথা থেকে একটা ছোট্ট পোকা এসে আমাদের চোখের সামনে উড়ে বেড়াতে শুরু করল। তার ডানায় ঝাপটানিতে বোঁ-বোঁ শব্দ হচ্ছে। পোকাটাকে দেখামাত্র ভদ্রলোক এক ঝাঁপে সামনের সিটের তলায় গিয়ে পড়লেন। উত্তেজিত চাপা স্বরে বললেন, “কম্বলটা দিন। এক্ষুনি।”
আমি এমন অবাক হয়ে
গিয়েছিলাম যে কয়েক মুহূর্ত কোনো কথাই বলতে পারলাম না। ভদ্রলোক নিজেই আমার কোলের ওপর রাখা কম্বলটা টেনে নিয়ে মাথার ওপর চাপিয়ে দিলেন। বাসের ভিতর আবছা নীল আলোয় তাকে আর দেখা যাচ্ছে না।
ততক্ষণে আরও একটা
পোকা উড়ে এসেছে। নিতান্তই সাদামাঠা পোকা, অনেকটা মাছির মতো। দুটো পোকা কিছুক্ষণ বোঁ-বোঁ করে আমার মাথার চারদিকে ঘুরতে থাকল। এই পোকা যে কারও মনে এমন ভয়ের সঞ্চার করতে পারে, সেই সম্পর্কে আমার কোনো
ধারণা ছিল না। শুনেছি অনেক বৈজ্ঞানিকরা নাকি গবেষণায় সাফল্য
না পেলে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন! নানা মানসিক বিকার দেখা যায় তাদের মধ্যে। ইনিও নিশ্চয়ই সেইরকম! বাসের জানলাটা খুলে দিয়ে হাত নাড়তেই পোকা দুটো উড়ে
জানলা দিয়ে বাইরে চলে গেল। আবার বন্ধ করে দিলাম
জানলা।
মাথা নিচু করে
সেই কথা জানাতেই ভদ্রলোক সন্তর্পণে বেরিয়ে এলেন সিটের তলা থেকে। সংকুচিত ভাবে বসে পড়ে বললেন, “আপনার হয়তো মনে হচ্ছে আমি উন্মাদ! কিন্তু
ওইগুলো সাধারণ পোকা নয়।”
আমি মজা পেলেও
গম্ভীর গলায় বললাম, “বিষাক্ত পোকা?”
“না,” তিনি বললেন।
“তাহলে?” জিজ্ঞেস
করলাম।
ভদ্রলোক কিছুক্ষণ
চুপ করে থেকে বললেন, “ওইগুলো পোকা নয়। যন্ত্র।”
আমি ভড়কে
গিয়েছিলাম। ভদ্রলোকের মাথাটা একেবারে গিয়েছে। কিন্তু তাও জিজ্ঞেস করলাম, “যন্ত্র? দেখতে তো অবিকল পোকার মতো।”
ভদ্রলোক একটা
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “পোকাই। কিন্তু যন্ত্রও।”
আমি অতিষ্ঠ হয়ে
বললাম, “পোকার রোবট বলতে চাইছেন? যদি সেও হয়, আপনার অত আতঙ্কের কারণ কী?”
ভদ্রলোক কিছুক্ষণ
চুপ করে থেকে বললেন, “আমার ভয়ের কারণ আছে। কারণ আমিই তৈরি করেছি তাদের।”
ভদ্রলোক সত্যিই
উন্মাদ। কিন্তু তার কথা শুনলে কিছুটা সময় তো কাটবেই!
একঘেয়ে বাসের যাত্রায় সেটা খুব খারাপ হবে বলে মনে হয় না। বললাম, “খুলে বলবেন ব্যাপারটা?”
মাফলারটা আরও
ভালো করে জড়িয়ে ভদ্রলোক বললেন, “ন্যানোটেকনোলোজি সম্পর্কে ধারণা আছে আপনার?”
একসময়
ইঞ্জিনিয়ারিং করেছি আরও অনেকের মতোই। কিন্তু পেশার সঙ্গে
প্রযুক্তির তেমন যোগাযোগ নেই আজকাল। তবু খানিকটা খোঁজখবর রাখি নিজের ইচ্ছেতেই। উত্তর দিলাম, “ন্যানোটেকনোলোজি তো ভৌতবিজ্ঞানের বিষয়। ক্ষুদ্রতম যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা প্রযুক্তি!”
ভদ্রলোক বললেন,
“হ্যাঁ। আমার নাম অম্লান
চক্রবর্তী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
‘দারপা’ অর্থাৎ উন্নত প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রকল্প সংগঠনে কাজ করতাম। ক্ষুদ্রতম প্রযুক্তি নিয়ে উড়ন্ত রোবট তৈরি করে সেই রোবটের সাহায্যে শত্রুদের
ছবি তুলে আনা, অথবা সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের সময়ে অপরাধীদের চোখ এড়িয়ে সেখানকার খবর
জানানো, এই উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হওয়া একটা প্রকল্পের অংশ ছিলাম আমি!”
“কিন্তু আপনি
বলেছিলেন আপনি বায়োসায়েন্টিস্ট। তাহলে ন্যানোপ্রযুক্তি
আর রোবট তৈরি করতে আপনার দরকার পড়ল কেন?” আমি না জিজ্ঞেস করে পারলাম না।
অম্লানবাবু
বললেন, “কারণ ন্যানোপ্রযুক্তি যতটা জটিল, সেটা কার্যত ব্যবহার করার মতো অবস্থায়
এখনও তারা পৌঁছতে পারেনি। একটা চুলের ব্যাসের
চেয়ে এক লক্ষ গুণ ছোটো কণা দরকার হয় ন্যানোপ্রযুক্তির ব্যবহার করতে, প্রচুর
পরিমাণে সেই কণা তৈরি করা বাস্তবে সম্ভব নয় এখনও। তাই অবশেষে ঠিক করা হয়, রোবটের জায়গায় জীবন্ত প্রাণীদের সাহায্য নেওয়া হবে
উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে।”
“মানে?”
“উড়ন্ত পোকার
রোবট তৈরি করার উদ্দেশ্য কী? এক, রোবটের মধ্যে ক্যামেরা থাকবে। সেই ক্যামেরার সাহায্যে শত্রুদের গতিবিধি দেখতে পারব আমরা। দুই, ক্ষুদ্র পোকাদের মতন দেখতে বলে এই রোবটদের সকলে পোকাই ভাববে, কারও মনে
সন্দেহ হবে না। কিন্তু যদি এমন হয় যে জীবন্ত পোকাদের সাহায্য
নিয়েই এই গুপ্তচরবৃত্তি করা সম্ভব হয়?”
আমি ভেবে বললাম,
“সেটা কী করে হবে?”
অম্লানবাবু
বললেন, “আমাদের মতো বায়োসায়েন্টিস্টদের গবেষণার সাহায্যে! পোকাদের শরীরে
মস্তিষ্কের ভিতর কিছু অত্যাধুনিক যন্ত্র অপারেশন করে ‘ইমপ্লান্ট’ করে দিলেই হবে। কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে সেই যন্ত্রকে নির্দেশ দিতে পারব আমরা, ফলে পোকাগুলো
আমাদের নির্দেশ মতো চলবে। তাদের চোখে যে ছবি ধরা
পড়বে, মস্তিষ্কের ভিতরে বসানো যন্ত্র আমাদের সেই ছবি পাঠিয়ে দেবে। জীবন্ত পোকাগুলো হয়ে উঠবে ন্যানোরোবট।”
আমি উত্তেজিত হয়ে
বললাম, “এ তো সাংঘাতিক ব্যাপার! এই গবেষণা কি সফল হয়েছিল!”
অম্লানবাবু চুপ
করে গেলেন। তারপর অস্ফুট উচ্চারণে বললেন, “যদি সফল না হত
তাহলেই হয়তো ভালো হত। এতগুলো লোককে প্রাণ
হারাতে হত না! এভাবে পালিয়ে পালিয়ে বাঁচতে হত না আমায়!”
“কী বলতে
চাইছেন?” জানতে চাইলাম আমি।
অম্লানবাবু
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, “মোট দশ হাজার পোকার মস্তিস্কে যন্ত্র বসিয়েছিলাম আমরা। তারপর সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কয়েকদিন পোকাগুলো
আমাদের কথা শুনেই আচরণ করছিল। আমরাও আনন্দে আত্মহারা
হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু তারপর যেটা হল...”
“কী হল তারপর?”
“কোনো কারণে আমরা
নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করলাম। পোকাগুলোর মাথায় বসানো
যন্ত্র আমাদের নির্দেশ অমান্য করতে শুরু করল। কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের হাতে তৈরি এই জীবন্ত যন্ত্রপোকা উলটে আক্রমণ করতে
শুরু করল আমাদের,” ভয়ার্ত গলায় বললেন অম্লানবাবু।
আমি হতবুদ্ধি হয়ে
জিজ্ঞেস করলাম, “তার মানে? আপনাদের আক্রমণ করবে কেন?”
অম্লানবাবু
বললেন, “কারণ আমরাই তাদের স্বাভাবিক জীবন কেড়ে নিয়ে তাদের যন্ত্রে রূপান্তরিত করতে
চেয়েছিলাম। কোনো অভাবনীয় উপায়ে তাদের মস্তিস্কে স্থাপন
করা যন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেয়ে গেছে পোকাদের নিজস্ব মস্তিস্ক। সেই যন্ত্রের সাহায্যেই তারা আমাদের কম্পিউটার সিস্টেমের সঙ্গে যোগাযোগ করে
জানতে পেরে গেছে এই অপারেশনের পিছনে থাকা মানুষদের পরিচয়। প্রতিশোধ না নিয়ে তারা ছাড়বে না। আজ একত্রিশতম দিন। এই প্রকল্পে থাকা সাতাশিজন বৈজ্ঞানিক প্রাণ হারিয়েছেন এই এক মাসে। বেঁচে আছি শুধু আমি।”
আমি থমকে
গিয়েছিলাম। ভদ্রলোকের মাথা যে সত্যিই বিগড়ে গেছে তাতে
সন্দেহ নেই। খুব সম্ভব এই গবেষণার আংশিক অথবা সম্পূর্ণ
ব্যর্থতার জন্যেই ভদ্রলোকের এই অবস্থা হয়েছে। কোনো মানসিক চিকিত্সকের কাছে গেলে হয়তো লাভ হত, কিন্তু ভদ্রলোক সেই পরামর্শে
আমল দেবেন বলে মনে হয় না। একমাত্র, যদি সময়ের
সঙ্গে তার এই পাগলামি ঠিক হয়!
এর মাঝে বেশ কয়েক
ঘন্টা কেটে গেছে। বাস এসে দাঁড়িয়েছে সিমলায়। এক ঘন্টার স্টপেজ। অনেকক্ষণ থামবে এইখানে বাস। লোকজন ওঠানামা করছে। অম্লানবাবু তাড়াহুড়ো করে বাস থেকে নেমে গেলেন। তার ব্যাগটা পড়ে রইল সিটের কাছে।
মিনিট কুড়ি পরেও
যখন ভদ্রলোক ফিরে এলেন না, আমার চিন্তা হল। তার ব্যাগটা নিয়ে বাস থেকে নেমে পড়লাম। শীতের রাত্রি, লোকজন বিশেষ নেই। খানিকটা এগিয়ে যেতেই
অন্ধকার রাস্তা শুরু হয়েছে, একধারে গভীর খাদ। ঘন কুয়াশায় জায়গাটা ঢেকে আছে। মিনিট পাঁচেক এগোতেই
রাস্তার ধারে একটা ছায়ামূর্তিকে দেখে চমকে উঠলাম। অম্লানবাবু না?
কিন্তু এ তিনি কী
করছেন? দু’হাত সজোরে নেড়ে চলেছেন মাথার চারিধারে! যেন কোনো অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে
লড়াই করছেন! কিছু বোঝার আগেই তিনি টলমল করতে করতে মাটিতে পড়ে গেলেন। একটা আর্ত চিত্কার বেরিয়ে এল তার গলা থেকে। আমি দৌড়ে এগিয়ে গেলাম তার দিকে। তার কাছাকাছি আসতেই আতঙ্কে আমার গায়ের রক্ত জল
হয়ে গেল। ঘোলাটে পরিষ্কার আলো এসে পড়েছে তার নিথর
শরীরের ওপর। মাফলারটা সরে গিয়ে তার মুখটা এখন স্পষ্ট দেখা
যাচ্ছে। সেখান থেকে অনেকটা মাংস
খুবলে নেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে হাড়। তার রক্তশূন্য মুখের ওপর থেকে একটা ঘন কালো ছায়া সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে! কিন্তু
না... ছায়া তো নয়। একটা তীব্র বোঁ-বোঁ শব্দ কানে তালা ধরিয়ে
দিচ্ছে আমার। অম্লানবাবুর মুখের ওপর থেকে
উড়ে চলে যাচ্ছে কতগুলো পোকা।
_____
ছবিঃ সুমিত রায়
Concept good, but need better execution
ReplyDelete