![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhyQe48bPY_wo5yQl22lpRzox6R0rL0yKV0etP185x_kNAexkLMO3ePABd5wJmIDKRVW4NgT9jN26Pj-6PCG_7pJwtDgV7QwUYKaf7SxE6s2TFZ-1QVNwsMUcRw-Iq6GgUXAXogMhV0d-g7/s400/Amitava+Pramanik+Sutirtha+Das.jpg)
অমিতাভ প্রামাণিক
হাসিরাশি দাসী ছিল মোর সেজমাসি।
মামা তার ডাক্তার, বাবা তার
চাষি।
দাদু যেন কী করতে গিয়েছিল কাশী,
সাধু-টাধু দেখে হয়ে গেল সন্ন্যাসী।
মাসি তো তখনও টেন করেনিকো পাশই।
মনের দুঃখে একা বাজাত সে বাঁশি।
চুপচাপ বসে থাকে, সদাই উদাসী।
শুধু ডাল ভাত খায়, ছেড়ে দিল
খাসি।
খবর এল একদিন বাতাসেতে ভাসি
দাদুকে গিয়েছে দেখা, ছুটল সে
ঝাঁসি।
রাস্তায় নাজেহাল, কী সর্দিকাশি!
কেশে কেশে হয়রান, থেমে যায়
শ্বাসই!
তার ওপর এক বুড়ি, কী সর্বনাশী,
বলে কিনা ওদিকটা পুরো বানভাসি।
ক’দিন লাগবে যেতে? অন্তত আশি।
অতদিন হাঁটলে তো পৌঁছাবে লাশই।
এদিকে প্যারিসে গিয়ে দাদু তো ফরাসি
বনে গিয়ে ভেক ছেড়ে হয়েছে বিলাসী।
ফিরে এসে বলল যে গেরুয়া-আকাশী
ও দেশে পরলে নাকি গিলোটিন-ফাঁসি!
ওদিকে মাসির মুখে উঠছে না গ্রাসই।
সাথে যা খাবার ছিল, হয়ে গেছে
বাসি।
হঠাৎ বাবার ফোন, “ফিরে
আয়, হাসি।”
অমনি ছুটল বাড়ি। “বাবা, তুমি? আসি।”
_____
ছবিঃ সুতীর্থ দাশ
ছবিঃ সুতীর্থ দাশ
এটা বড্ড ভালো😄
ReplyDeleteমজার ছড়া! ধন্যবাদ মিস্টার প্রামাণিক। ছন্দে এবং অন্ত্যমিলে নিঁখুত ! আমার তরফে আপনাকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteSukumar Roy shunte parle khusi hoten :)
ReplyDelete