গল্পের ম্যাজিক:: ডাঃ ফুলুরি - ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়

ডাঃ ফুলুরি
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়

মা, ও মা, বলো না, মামার বাড়ির রাস্তার ধার ঘেঁষে সেই তেঁতুলগাছটা কোথায় গেল!” রিন্টু মাকে শুধালো
রিন্টুর ভাই বুল্টু সাথেসাথেই বলে বসল, “ওমা, জানিস না? সেই তেঁতুলগাছটা তো কবেই মনের দুঃখে দেশছাড়া হয়েছেদেশ-গাঁ এখন শহর হচ্ছেগাছ কেটে রাস্তা চওড়া হচ্ছে
কমলা বলে, “তোরা হাঁট দেখি তাড়াতাড়ি! সেই বাস থেকে নেমে হাঁটছি তো হাঁটছিআর বকবক ভাল্লাগছে না
মামার বাড়ি চলেছে বুল্টু আর রিন্টু, মায়ের সাথেবুল্টুর মাধ্যমিক পরীক্ষা যেই শেষ ওমনি মন উচাটন দেশ-গাঁয়ের জন্যে  শহুরে জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত ছেলেমেয়ে দু’টোর জন্যে কমলার খুব মায়া হয়একে তো অভাবের সংসার, তায় আবার গ্রামে থাকলে নিজের জমির কলাটা-মূলোটা, কালো গরুর দুধটা, সবুজসব তাজা সবজি আর পুকুরের মাছটা তো এমনিই পায় তারাদেশে কমলার মায়ের চারটে হাঁস আর গোটা দশেক মুরগি আছে দিশি মুরগির ডিমটাও তো বুল্টু-রিন্টুর ফাটাফাটি লাগেশহরের পোলট্রির ডিমের কোনও স্বাদ নেই যেনদিশি মুরগির ডিমের কুসুমটা অস্ত যাওয়া সূর্যের মতো কেমন টকটকে লালচে কমলা আর স্বাদটাও ব্যাপককমলার মা ডিমের ব্যবসা করে আর তাছাড়াও পাশের ঘরের চালভাজা কিম্বা গোল গোল মিষ্টি মুড়ি... আহা! কী স্বাদ তার! পাশেই দু’টো শীতের মটরশুঁটি তুলে এনে খেয়ে নাও কিম্বা আরেকটু দূর গেলেই বাজারের মোড়টায় সেই সনুপদাদার তেলেভাজার দোকানএকটা ফুলুরি দু’টাকা মাত্রশহরে তিনটাকা, গ্রামে দু’টাকা
বুল্টু মাকে বলেছিল একদিন, “আচ্ছা মা, এখানে সবকিছু এত সস্তা কেন?
কমলা বলেছিল, “গাঁয়ের লোকের অত পয়সা কোথায়, বল দিকি? শহরের লোকে যা দাম চাইবে তাই দেবেগাঁয়ে না আছে চাকরিবাকরি, না আছে লোকের কেনার ক্ষমতা
রোজ এককিলো বেসনের ফুলুরি ভেজেই রাত দশটা অবধি বসে থাকে সনুপকখন সবক’টা বিক্রি হবে এই আশায়অবিশ্যি ফুলুরির সাথে কিছু আলুর চপ আর বেগুনিও থাকেকিন্তু শহরের তেলেভাজার দোকান রাত ন’টার মধ্যেই শুনশানতা নিজের চোখে দেখেছে বুল্টু
বুল্টু বলে, “কেন গাঁয়ে চাকরির এত অভাব মা? আমি কি তবে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক কলেজ পাশ করে গাঁয়ে গিয়ে চাকরি করতে পারব না?
কমলা হেসে জবাব দেয়, “দূর পাগল! আজ গাঁয়ে চাকরিবাকরি থাকলে কি আর আমি লোকের বাড়ি আয়াগিরি করি রে? তবে তুই যদি জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারি পড়তে পারিস তবে তোর গাঁয়ে এসে একটা হিল্লে হবেইডাক্তারবাবুদের চাকরির অভাব নেই কোথাও
বুল্টু হেসে বলে, “মা, আমি তবে ডাক্তার হব
কমলা ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবে, ডাক্তার হব বললেই কি আর ডাক্তার হওয়া যায়? বলে, “বাবুদের বাড়ি গিয়ে দেখে এসেছি নিজের চোখে, কত মোটা মোটা , কত্ত টিউশান, কত্ত পয়সা খরচ করেন বাবুরা ছেলেকে ডাক্তার-এঞ্জিনিয়র বানানোর জন্যেতবুও কেউ পারে, কেউ পারে না ডাক্তার হতে
কমলার বুল্টুর তো সাধ হতেই পারে ডাক্তারি পড়ারকারণ, বুল্টু বরাবর স্কুলে এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকে

বুল্টুর বাবা মারা গেছিল গাঁয়েতেইসুন্দরবনে মধু আনতে গিয়ে বাঘের পেটে গেছিল মানুষটাকমলা সেবার ইপ করে বারণ করেছিল তাকেতখন বুল্টুটা মোটে দেড়বছরের আর রিন্টুটা মাত্র বছর তিনেকেরসেই থেকে বুল্টু আর রিন্টুকে দু’হাত দিয়ে আগলে রেখেছে কমলাবাপ মরা ছেলেমেয়েদু’টোর দিকে তাকাতে পারত না সেঅবশেষে একজন কলকাতায় একটা কাজের খোঁজ দিয়েছিলদু’টো বাচ্চাকে বুকে করে নিয়ে এসেছিল বাবুর বাড়িতেতারা থাকতে দিয়েছিল গ্যারেজ ঘরে তিনটে প্রাণীকেশুধু শর্ত ছিল সেই বাড়ির বাবুর মায়ের দেখাশুনো করারবাবুর মায়ের ক্যানসার হয়েছিলসবসময়ের জন্য লোক চাই তাঁর

দেশপ্রিয় পার্কের কাছে এক সমিতির ক্রেশ আছেদুস্থ মায়েরা, স্বামীহীন, সংসারচ্যুত মায়েরা সেখানে বাচ্ছাদের রেখে সারাদিন কাজ করেমাসে খুব সামান্য টাকায় বাচ্চাদের দুপুরে খাওয়া, বিকেলের টিফিন দেওয়া হয় আর একটু একটু করে পড়াশুনো শেখানো হয়  কমলার কাজের বাড়ির বৌদিটাই সব ব্যবস্থা করে দিল বুল্টু আর রিন্টুকে ক্রেশে রাখারদু’টো বাচ্চার মাসের খরচটাও দিলকমলা মনের আনন্দে সেই বাড়ির মাসিমার দেখাশুনোর ভার নিলসকাল আটটার মধ্যে বাচ্চাদের চান-পটি করিয়ে নিয়ে, একটু খাইয়ে-দাইয়ে সেই খোঁয়াড়ে পৌঁছে তার নিশ্চিন্তিআবার সন্ধে আটটার সময় সেখান থেকে বাচ্চাদের নিয়ে  ফিরে আসাফেরার পথে একরত্তি বুল্টুর বায়না, মা, আজ লজেন্স কিনে দাও তো কাল ক্রিম বিস্কুটরিন্টুর চাই নতুন মাথার ক্লিপ কিম্বা দু’টো প্লাসটিকের চুড়িসেই মিটিয়ে আবার গ্যারেজ ঘরের সংসারে ফেরাএই টানা পোড়েন করতে করতে পার হল দশ-বারোটা বছররিন্টু তখন বারো আর বুল্টুর সাড়ে দশতখন আর খোঁয়াড়ে থাকত নাইস্কুলে পড়তনিজেরাই খেয়েদেয়ে স্কুলে চলে যেত আর বিকেলে গ্যারেজে ফিরে শুরু হত রিন্টুর রান্নাবাটির জোগাড়মা রাতে ঘরে এসে রাঁধবে এটা সেটা তাদের জন্যেআজ চাউমিন, কাল এগরোল অথবা শুধুই মাছের ঝোল-ভাত  সকালে শুধু ডালসেদ্ধ আলুসেদ্ধ ভাত খেয়ে স্কুলে যেত ওরাতাই রাতের বেলায় মাঝেমধ্যে একটু মুখ পাল্টানো
বুল্টুটার কোনও হেলদোল নেইতার লক্ষ্য বড়ো হতে হবেগাঁয়ে গিয়ে ডাক্তারি করতে হবে, গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে বুল্টুর সিঁড়িভাঙা, ঐকিক নিয়ম পেরিয়ে জ্যামিতির সম্পাদ্য, উপপাদ্যে হোঁচট খেতে খেতে মাধ্যমিক এগিয়ে এলরিন্টু পাশ করে গেছে তার আগেইমোটামুটি ভালোই রেজাল্ট করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে সেএবার বুল্টুর পালাকমলার কোনও খামতি নেই পয়সা খরচে এর মধ্যে কমলার সেই গ্যারেজবাড়ির মাসিমা মারা গেছেনকমলা এখন সেই বাড়ির মেজানাইনের একটা ঘরে থাকে ছেলেমেয়েকে নিয়েআর বাড়িতেই রান্নাবান্নার কাজ করেযা মাইনে পায় তাতে হেসেখেলে চলে যায় ওদের তিনজনের
পাশে আরও দু’টোবাড়ির রান্নার কাজ নিয়েছে বুল্টুর পড়াশোনার খরচ চালাবে বলেছেলে বলেছে ডাক্তারি পড়বেরিন্টু ঘরে থাকলেই শাড়িতে ফলস লাগায়পাড়ার দর্জির কাছে থেকে আনা মেয়েদের ব্লাউজে বোতাম, হুক লাগায়হাতখরচার দু’টো পয়সা তো আসেসেই সাথে নিজের পড়াশোনোতার মাথাটা অবিশ্যি বুল্টুর মতো অত ভালো নয়আর সারাক্ষণ ভাইয়ের মতো পড়াশোনা তার নাপসন্দটিভি দেখতে দেখতে সেলাই করতে তার বেশ লাগেকিন্তু ভাইটার পড়াটাও তো দরকার

কমলা মনে মনে ভাবে, এত কষ্ট করেও তার বুল্টুটা যদি নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে! কাজের বাড়ির বৌদি তো বলছিল সেদিন, মাধ্যমিক পড়িয়ে কী হবে? অনেকদূর অবধি পড়েও আমাদের ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না এ দেশে! কমলা চুপ করে থাকেমনে মনে ভাবে, মাধ্যমিক অবধি কেন, সেও তার বুল্টুকে যতদূর পারবে পড়াবেমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার পর কমলার মনে একটু বল হয়েছেনিজের ছেলেটা যে নিজে নিজেই এতটা লেখাপড়ার বিষয়ে আগ্রহী সেটা এদ্দিনে বুঝেছে সে
হেডমাস্টারমশাই নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে কমলাকে বলেছেন উচ্চমাধ্যমিকের বায়োলজি তিনি নিজে বিনা পারিশ্রমিকে বুল্টুকে পড়িয়ে দেবেনকমলা মনে মনে ঈশ্বরকে প্রণাম জানিয়েছেমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোতে দেখা গেল বুল্টু মাধ্যমিকে স্টার, লেটার সব উতরেছেএমনকি রাজ্যের মধ্যে প্রথম একশোজনের মধ্যে আছে তার বুল্টুহেডমাস্টারমশাইয়ের কাছে বায়োলজি পড়াটা শুরু করেও দিয়েছে এর মধ্যেবিশেষ কোচিং তাঁরমেডিকেল এন্ট্রান্সে সাকসেস রেট শতকরা আশিভাগকমলার ছেলে বুল্টুকে রোজ আধঘন্টা বায়োলজি পড়িয়ে দেন তিনি আর কমলা ক্লাস শুরুর আগে তাঁর পড়ার ঘরটা শুধু ঝেড়ে দিয়ে আসে - এই শর্তে
বুল্টু মাধ্যমিকে অত ভালো রেজাল্ট করেছে দেখে পাড়ার বস্তির চারটে ছেলে বুল্টুর কাছে প্রতি রবিবার অঙ্ক করতে আসেবুল্টুর খাতা পেন কেনার হাতখরচ উঠে আসে তাতেউচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতির সাথে সাথে জয়েন্ট পরীক্ষার মেডিকেলে বসছে বুল্টুরাত জেগে হেডমাস্টার মশাইয়ের হোমওয়ার্ক করেকমলা পাশে বসে ঢুলতে থাকেরিন্টু তখন জেগে জেগে সেলাই করে

বুল্টু উচ্চমাধ্যমিকেও ভালো রেজাল্ট করলমেডিকেলেও বেশ ভালো করেছেকলকাতায় না হয় অন্য জেলার মেডিকেল কলেজে  হয়ে যাবেই তারবুল্টু স্বপ্ন দেখে ডাক্তারি পাশ দিয়েই অজ পাড়াগাঁয়ে যাবে সেনিজেদের গ্রামমামাবাড়ির পাড়া, তার জন্মস্থানহয়তো অদূর ভবিষ্যতে তাদের সেই দক্ষিণবাংলার প্রত্যন্ত গ্রামেই তাকে চিকিৎসা করতে যেতে হবেগ্রামের রোগীদের দেখতে হবেসেখানে গিয়ে রোজ সন্ধেবেলায় কানে যন্ত্র দিয়ে চেম্বারে মৌজ করে বসে সে রোগী দেখার ফাঁকে মিষ্টিমুড়ি আর সনুপদাদার দোকানের ফুলুরি খাবেসনুপদাদার বাড়িতে যদি কেউ অসুস্থ থাকে তার চিকিত্সার সময় বুল্টু একটি টাকাও নেবে না তার কাছ থেকেঠিক যেমন তার স্কুলের হেডমাস্টারমশাই তাকে দু’টি বছর মেডিকেল পড়িয়েছিলেন বিনা পারিশ্রমিকে
ছোটোবেলায় পরিবেশবিদ্যার ইতে বুল্টু পড়েছে সমাজবন্ধুদের কথাশিক্ষক, ডাক্তার এরা সকলেই সমাজবন্ধুহেডমাস্টারমশাই সত্যিকারের সমাজবন্ধুতাঁর ঋণ শোধ হবার নয়বুড়ো শিক্ষকেরও রোগব্যাধি হলে বুল্টুকেই দেখতে হবেডাক্তার হবার পর নাকি শপথ নিতে হয়বুল্টুকেও নিতে হবেইদানিং সে শুনছে ডাক্তারবাবুরা রোগীদের কাছ থেকে অহেতুক টাকাপয়সা নিয়ে নেয়সেই ছোটোবেলায় শুনেছিল সে তার মায়ের কাজের বাড়ির অসুস্থ মাসিমার নাকি ক্যানসার হয়নিতবুও ডাক্তারবাবুরা কেমো দিয়ে মানুষটাকে মেরে ফেলেছিল তাড়াতাড়িসে এতসব জানত কারণ, দিনরাত মাসিমার সেবা করতে করতে তার মা সেই বাড়ির একজন হয়ে উঠেছিলবুল্টু তখন খুব ছোটো ছিলবুঝত না অতশতমাকে বলেছিল, “ডাক্তার তো ভালোডাক্তারি তো কত মহত কাজ, ইতে লেখা আছেতবুও কেন ওনারা রোগীকে মেরে ফেলে?
কমলা বলেছিল, “সব রোগের কি ওষুধ হয় বাবা? ডাক্তারবাবুদের কিছু করার থাকে নাওঁরা তো চেষ্টা করেন অনেক রোগীকে সারিয়ে তোলার জন্য
“তবে কেন তুমি বলছিলে, ডাক্তারবাবুটা নাকি একদম ভালো লোক নয়? তোমার কাজের বাড়ির মাসিমার নাকি ভুল চিকিত্সা করেছিলওনাকে মেরে ফেলল কেন তাড়াতাড়ি?
বুল্টুর মা যা কানাঘুষো শুনে আসত তাই বলত ছেলের কাছেকেমো দিলে নাকি রোগীর শরীরের ক্যানসার যেমন ভালো হয় তেমনি ভেতর ভেতর মানুষটি কমজোরি হয়ে যায়, ইত্যাদি ইত্যাদি
“তাহলে কেন কেমো দেয় মা? বুল্টু বলেছিল
“দাদা-বৌদির কাছে শোনা কথা, ঐ ডাক্তারবাবু নাকি আজকাল সব রোগীদের অমন করছেনসুস্থ মানুষকেও কেমো দিয়ে দিচ্ছেনকারণ, প্রতিটা কেমোর খরচার অর্ধেক ডাক্তারবাবুর পকেটে যায়তাই তো মাসিমা মারা যাবার পর দাদাবাবু কীসব কেস ঠুকে দিয়েছে ডাক্তারের নামেতার মায়ের মারা যাবার বয়স হয়নি মোটেও,” কমলা বলেছিল

সনুপদাদার দোকানে একদিন সত্যি সত্যি ফুলুরি খেতে খেতে বুল্টুর মনে হচ্ছিল সেসব পুরনো কথাগুলোআজ সে ডাক্তার হয়েছে গাঁয়েরমা আজ তার কাছে থাকেদিদি রিন্টু নার্সিংয়ের কোর্স করেছে কলকাতা থেকেআর যাই হোক, বুল্টু তার মায়ের কাজের বাড়ির সেই ডাক্তারবাবুর মতো অঙ্কোলজিস্ট হয়নিসে হয়েছে চোখের ডাক্তার
খুব সচ্ছল ওদের সংসার এখনকমলার চোখের ছানি কেটেছে বুল্টু নিজের হাতেমায়ের চোখে দামী লেন্স বসিয়েছেপ্রতি রবিবার গাঁয়ে ক্লাবগুলোর আয়োজনে পালা করে করে দুঃস্থ মানুষদের চোখ দেখে বুল্টুফ্রিতে ছানিও কেটে দেয় বুল্টুর খুব নামডাক হয়েছে গ্রামেরোজ সন্ধেবেলায় চোখ দেখার চেম্বারে বসে রোগী দেখা শেষ হলে বুল্টুর চাই সনুপদাদার দোকানের একঠোঙা মুড়ি আর দু’টো করে ফুলুরিসে এখনও কমলার বুল্টু কিন্তু গ্রামে ডাঃ ফুলুরি নামেই পরিচিতগাঁয়ের লোকে বলে ডাঃ ফুলুরির হাত নাকি খুব পাকা
_____
ছবিঃ পুষ্পেন মন্ডল

3 comments:

  1. দিদি কী সুন্দর ইচ্ছে পূরণের গল্প গো ! খুব ভালো লাগল

    ReplyDelete
  2. বেশ ইচ্ছেপূরণের গল্প, কিন্তু কতজনের হয়

    ReplyDelete
  3. সেই, এইরকম যদি হত।এখনত দেখি গ্রামের লোক শহরে যায় আর শহরের ডাক্তার শহরেই থাকে।

    ReplyDelete