বইঃ
জম্ভলা দেবতার পুরোহিত
লেখকঃ
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
প্রকাশকঃ
পশ্চিমবঙ্গ শিশু কিশোর একাডেমি
আলোচনাঃ
সুচরিতা দত্ত
ছোট্ট বন্ধুরা, ধরো কোথাও
ঘুরতে গেছ। আর ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ করে যদি জড়িয়ে যাও কোনও অভিযানে, যার মধ্যে
আবার দিব্যি মিশে আছে রহস্যের ঝাঁঝ , কেমন হবে? রাহুলের
অভিজ্ঞতা কিছুটা তেমনই। বেচারা অফিসের কাজে এসেছিল কালিম্পং-এ। ওর শখ বুদ্ধমূর্তি
সংগ্রহের। আর সেজন্যই 'মলমল
এন্ড কোং'-এ
আলাপ হল পদ্ম শ্রীবাস্তবের সাথে। অদ্ভুত লোক এই পদ্ম শ্রীবাস্তব। সরকারী
গবেষণাগারের জন্য সাপ ধরা তার পেশা। এই ভদ্রলোকের টানেই রাহুলের এডভেঞ্চারপ্রিয় মন
শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হয় পদ্ম শ্রীবাস্তবের। দুজনে যাত্রা করে জম্ভলা দেবতার গ্রামে।
পথে তাদের সাথে আলাপ হয় ডং-পো নামে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এক বাচ্চা ছেলের সাথে।
তিব্বতী
অর্থসম্পদের দেবতা হলেন জম্ভলা, যিনি একই সাথে ধনসম্পদেরও দেবতা আবার অপদেবতাদেরও দেবতা।
পাহাড়ের কোলে অদ্ভুত এই গ্রামের কথা ট্যুরিস্টরা সাধারণত জানে না, তাই
বহির্জগতের থেকে এই গ্রাম অনেকাংশে বিছিন্ন। জম্ভলা দেবতাকে কেন্দ্র করে এই
গ্রামের জনজীবন চালিত হয়। গ্রামের প্রধান হলেন জম্ভলা দেবতার প্রধান পুরোহিত।
প্রতি বছর এই গ্রামে একদিন জম্ভলা দেবতা দর্শন দেন। ঘটনাচক্রে রাহুলরা যেদিন
গ্রামে পৌঁছয় সেদিনই ছিল দেবতার দর্শন দেওয়ার দিন।
এরপর?
এরপর কী হয়
রাহুল আর পদ্ম শ্রীবাস্তবের সাথে তা জানতে হলে পড়তে হবে দুর্ধর্ষ এই উপন্যাসটি।
রহস্যে মোড়া টান টান এই উপন্যাসটি শুধুই যে জমাট এডভেঞ্চার তাই নয়, বরং
হিমাদ্রিকিশোরের অন্যান্য লেখার মতই অনেক তথ্যে ভরপুর। তিব্বতীয় দেবদেবী, পাহাড়ি
অঞ্চলের মানুষের অদ্ভুত জীবনযাত্রা, সর্বোপরি বর্ষায় পাহাড়ের অসাধারণ
নৈসর্গিক রূপ অনেক কিছুরই ধারণা পাবে এই উপন্যাসে। তাহলে আর দেরি কিসের? থ্রিলার
পাঠের ভক্ত যারা তারা পড়ে ফেল এই উপন্যাস। না পড়লে কিন্তু মিস করবে অনেককিছু। শুধু
থ্রিলার প্রেমীরাই বা কেন,
ছোট বড় সবাই যে এ উপন্যাস চোখের নিমেষে পড়ে শেষ করবেন তার গ্যারান্টি দিতে
পারি।
______
বইটা আলাদা পাওয়া যায় না, এটাই দুঃখের।
ReplyDeleteঠিক বলেছেন। বইটিতে মোট ৩টি কাহিনী আছে।
Deleteগত বছর চির-সবুজ লেখাতে এই জমজমাট কাহিনীটি প্রকাশিত হয়েছিল।
ভালো লিখেছ সুচরিতা !!!
Deleteধন্যবাদ দাদা। :)
Deleteধন্যবাদ দাদা। :)
Delete