
সতীর্থ
অমিতাভ
প্রামাণিক
যত
ভাবছি সেদিনগুলো, ইস্কুলে
রোজ
ক্লাসে
ঘন্টা পড়ার মত সঙ্গোপনে
কী
যে বাজছে বুকের মাঝে,
করবে কে খোঁজ,
কেন
আজকে তোদের কথা পড়ছে মনে?
ইতিহাস
ক্লাসে, তাই
নারে, সেই
যে ডেকে
কাকে
হিস্ট্রি টিচার যেন,
'ঘুম হ'ল? বল
এত'খন পড়ালাম
যাকে, সেই
গ্যেটে কে?'
সে
গেটের দিকে চোখ মেলে বলল,
'ছাগল!'
সে
কি শম্ভু? বরুণ? নাকি জয়? না কাদের?
মনে
নেই, তবে
ঠিক জানি সেই ইতিহাস
আমাদের
নিজেদের, তাতে
সিংহাসনের
লোভে
ছুঁড়ত না কেউ কারো চারদিকে ফাঁস।
কারা
দল বেঁধে চড়ত রে আমলকি গাছ?
কে
টিফিন চুরি করত, শ্যামল
না রতন?
ক্লাশে
বেঞ্চিতে একপায়ে বিদঘুটে নাচ
নেচে
বলত সে নাচ সিনেমায় আছে কোন!
আলুকাবলি
ও ঘুগনি যে বেচত ঝাঁকায়,
তাকে
পড়ছে এখন মনে? সেই
তো টিফিন
হ'লে বেশ কী
রকম করে শালপাতাটায়
তুলে
রোজ দিত স্বর্গীয় স্বাদমাখা ঋণ!
যারা
ফুটবলে গোল দিত, অঙ্কে
ঊনিশ
পেয়ে
ছিটকে কোথায় গেল, নেই
তা খেয়াল।
ভূগোলের
ক্লাশে হুস করে রাম দিত শিস;
ধরা
পড়ল যেদিন, পিঠে
থাকল না ছাল।
তোরা
আজকে কোথায়? কেন
নেই কাছে আজ?
তোরা
শুনতে কি পাস আমার এই হাহাকার?
আমাদের
সে দিনের নাটকের যত সাজ
কেন
ছিন্ন বাতিল হ'ল, বলবে কে আর?
পেতে
স্বাদ সময়ের - অকরুণ অনুভব -
ডেকে
নিচ্ছি তোদের, এটা
পার্ক জুরাসিক।
আছে
এইখানে সেই সে দিনের স্মৃতি সব।
ওরে
আয় তোরা, দেখবিনে
ল্যাম্পে ম্যাজিক?
_____
এই
ছড়াটা একটা সংস্কৃত ছন্দে লেখা, তার নাম তোটক। তোমরা পড়তে গেলেই অনুভব করবে এর চলন, যেটা অনেকটা
তাতাধিন তাতাধিন তাতাধিন তাতাধিন-এর মতন।
_____
ছবিঃ
নচিকেতা মাহাত
টেরিফিক রকমের ভালো। চালিয়ে যাও।
ReplyDeletekhub sudor hoechhe....bisesato chhandota....
ReplyDeleteঝনঝনিয়ে বুকের ভিতর কে বাজালো
ReplyDeleteছটফটিয়ে নাচল তোটক ইচ্ছে মতন
ল্যাজ গুটিয়ে মন খারাপের রঙ পালালো
পাল ছুটিয়ে রামধনু নাও ছন্দে মাতন।
ঝনঝনিয়ে বুকের ভিতর কে বাজালো
ReplyDeleteছটফটিয়ে নাচল তোটক ইচ্ছে মতন
ল্যাজ গুটিয়ে মন খারাপের রঙ পালালো
পাল ছুটিয়ে রামধনু নাও ছন্দে মাতন।
সেলাম কবি। পেতে হলে স্বাদ এ ছড়ার - পেতে হলে মজা - জানতে হবে অল্প-স্বল্প ম্যাজিক।
ReplyDeleteএকটা অসাধারণ ছড়া! ছন্দে মাতাল!
ReplyDeleteঅপূর্ব।
ReplyDeleteরাখলাম