একটু
ভাবি
তপশ্রী
চক্রবর্ত্তী ভৌমিক
আজকে আবার শরৎ আকাশ,
মেঘের লুটোপুটি —
আজকে আবার ভালো খাবার,
নিত্য কাজের ছুটি —
আজকে আবার পুজোর গন্ধ,
নতুন জামার মজা —
আসবে ওরা, ডাকবে কাছে,
আমরা সবাই রাজা।।
গত বছর এমনদিনে
কেমন মজাই
হল —
সুজন তারা, স্বজন হয়ে
কাছে টেনে
নিল —
রঙীন জামা, ছবির বই,
সুস্বাদু সব
খাবার,
পায়ের চটি, খেলনা চুড়ি —
আসবে বলল
আবার।।
তাইতো আজকে আসছে ফিরে
দুগগা মায়ের
সাথে —
হরেক রকম উপহার যে
ধরিয়ে দেবে
হাতে —
রুগ্ন–শুষ্ক–ক্ষুদ্র হাত
ভরবে উপহারে
—
ভরবে কোমল–কচি হৃদয়
ভালোবাসার
ভারে।
দুঃখ–মাখা
চোখগুলিতে
ফুটবে সজল
আলো —
আঁধার ঘেরা জীবন থেকে
ঘুচবে খানিক
কালো।
আমাদের এই চারিপাশে
এমন অনেক
ছবি
দেখতে পেতাম, সময় নিয়ে
যদি ‘একটু ভাবি’—
ভালো রাখার অঙ্গীকার,
একটু
প্রতিশ্রুতি,
ঘুচিয়ে দেবে Boundaries
অনটনের ইতি।
“Crossing Boundaries” এক অনবদ্য
উদ্যোগ — অনাহারে-অনটনে
দিন কাটাতে থাকা, অনাদরে-
অবহেলায় বেড়ে উঠতে থাকা শৈশব-কৈশোরের পাশে থেকে, তাদের জীবন-পথকে একটু মসৃণ, একটু সুন্দর
করে তোলার এক আন্তরিক প্রয়াস। খুব অল্পসংখ্যক মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব নিয়ে
দু-এক বছর আগে কলকাতার উল্টোডাঙা অঞ্চলে শুরু হয়েছিল পথ-চলা। আজ চারশোটি
শিশু-কিশোর-কিশোরীর মুখে হাসি ফোটাতে পারার যে অনাবিল সুখ, দেবীপক্ষের
শুভলগ্নে এও এক সফল সাধনাই বটে।
বছরভর তাদের পাশে থাকার
প্রতিশ্রুতি, তাদের
প্রয়োজন মেটানোর, সমস্যা
সমাধানের অঙ্গীকার আমাদেরকে একটু ভেবে দেখতে বাধ্য করে — এইভাবেই
আমরা অনেকে মিলে চেষ্টা করলে, পারিনা কি আমাদের নিশ্চয়তাপূর্ণ – স্বচ্ছল
জীবনের বেড়াজাল অতিক্রম করে, পারিপার্শ্বিক অভাব–অনটন, দুঃখ–দারিদ্র্যে পরিপূর্ণ জগতের কিছুটা
আঁধার ঘুচিয়ে, তাকে
খানিকটা আলোকোজ্জ্বল করে তুলতে?
No comments:
Post a Comment