![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSj9dQYGNPTK9vdmyVJ8Lpzst1Jx2gIsyxclm_VL80l7owo25SrAA4Sb8pUa8_e8IBg6InF14kWYFDktMvWOClD8ZSjGgYuy7LAxCeAGQXAuz0TqFW2rQpx51gPJv42lkZu_CE1JCYXk8/s400/meera+chakrabortyr+chhorar+chhobi.jpg)
মা দুর্গার রাস্তা ক্রস করা
মীরা চক্রবর্তী
বললেন দূর্গা
“হ্যাঁ গো, শুনছ?
যাবার সময় হল এবারে,
ট্রাঙ্ক-বিছানা বেঁধে নাও ওগো ছেলেপুলেরা
যেতে হবে কলকাতা শহরে।”
“নন্দী-ভৃঙ্গী যাক না তোমার সঙ্গে
বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে,”
বললেন বাবা মহাদেব বেশ চিন্তিত হয়ে।
“তুমি আবার এস না যেন আমাদের পিছু পিছু
শুনতে মায়ে-ঝিয়ের কথা,
আরও কত কিছু।”
মহাদেব যেন শোনেননি
এমনটি তার ভাব,
ভেবে দেখবেন হয়তো তাঁর
কী আছে করবার!
চললেন মা পরিবারসহ
কৈলাসগৃহ হতে,
ঘেমে নেয়ে একাকার
অর্ধেক পথ যেতে।
অমন ঠান্ডা কৈলাস ছেড়ে
কলকাতা কেউ যায়?
তবুও মন কেমন করে
এ পুজোর ছুটিটায়।
আলো করে আসবেন মা
এই ষষ্ঠীর দিনে,
রাস্তাটা ক্রস করলেই হল
ভাবলেন মনে মনে।
সকাল-সাঁঝে মানুষ যে ধায়
তাদের নানা কাজে,
কেজো অকেজো যানবাহন
কত্ত আজেবাজে।
এতসব নোংরা ছুঁয়ে
মরি যে আমি লাজে,
এমন সুন্দর পৃথিবীটায়
এসব কি সাজে?
ছেলেমেয়েদের হাত ধরে
বলেন ব্যাকুল স্বরে,
“কেমন করে যাই বলতো
রাস্তার ওই পারে?”
গণেশবাবু, কার্তিকবাবু ভেবে ভেবেই সার,
দেশ-দেশান্তর ঘুরেও এমন দেখেননি তো আর।
সিংহমশাই বলেন, “এবার আমিই ভার নিলুম।”
দাঁড়িয়ে পড়ে পথের মাঝে ডাক দিলেন ‘হালুম’।
যাত্রীরা সব ভ্যাবাচ্যাকা দেখে সিংহবাহন,
ভেবেই মরে দেখেছে কবে এমন সাতকাহন।
মা করলেন রাস্তা পার শান্তিতে এইবারে,
মন্ডপেতে পৌঁছে গেলেন তিনি সপরিবারে।
মায়ের না হয় সিংহ ছিল ভারি চমৎকার,
কিন্তু আমরা কী করে বলো রাস্তা করি পার?
এমন সিংহ কোথায় পাই ভেবে দেখো একবার।
_____
অলঙ্করণঃ নচিকেতা মাহাত
So cute it is. Loved it.
ReplyDelete