সেই নদীটা
বারিদ বরণ ভট্টাচার্য্য
একটা নদী চলছিল বেশ এঁকেবেঁকে
উদাস মনে বইছিল সেই... পাহাড় থেকে।
রূপ যেন তার নীল পরি এক, রূপের রানি
আকাশ পটে ছবি যেন... কী আসমানি!
সাজানো তার দুই পাড়ে দুই বনবীথি -
হঠাৎ সবাই বলল, আমরা তোমার সাথি।
ও নদীটা, চললে কোথায় ছলাৎ ছলাৎ ছল?
কলকলিয়ে বলল যত বুনো পাখির দল!
সেই নদীটা ঢেউ তুলে যায় হেসে হেসে -
বলল, ও... ভাই, যাব আমি দূর সে দেশে।
তাই তো রে ভাই ছুটছি বড়োই তরতরিয়ে -
যেতেই হবে সাতরাঙা সেই সমুদ্দুরে!
পথখানি যে অনেক সে তো, দূর ঠিকানা
কী জানি গো, দূর সে দেশের নাম না জানা।
থাকতে যদি দাও এখানে ভালোবেসে -
কথা দিলাম আর যাব না নিরুদ্দেশে।
নদীর তীরে সবুজ যত সাথি তারা
বৃক্ষ লতা আনন্দে সব আত্মহারা!
এই যদি গো মনের মাঝে ইচ্ছে তোমার
কাজ নেই গো সমুদ্দুরে আর তো যাবার।
বনের যত পাখি তারা বলল শেষে -
এই এখানেই থাকব সবাই ভালোবেসে।
এই কথাটা বলল সেদিন চৈতি মাসে
আর ক’টা দিন গেলেই সবে বর্ষা আসে!
সেই নদীটার রূপ যেন আজ ঢলো ঢলো
কূল ছাপানো জলের রাশি টলোমলো!
দু-পাড় ভেঙে তরতরিয়ে চলল নদী -
বলল আবার দেখা হবে... ফিরি যদি!
যে নদীকে ভালোবেসে কাছে ডেকে
দুই তীরে তার বন্ধু স্বজন, দিল রেখে।
সেই নদীটাই ভাঙল রে কূল, ভাঙল বাসা
ছিন্ন হল সকল প্রাণের সকল আশা...!
----------
ছবি - আন্তর্জাল
No comments:
Post a Comment