আসছে যখন দুগ্যিমাতা
সৌমী গুপ্ত
নীল আকাশে পেঁজা তুলো মেঘের রাশি হাসে
ভোরের বেলা নরম বাতাস লাগল সাদা কাশে
ঢ্যাং কুড়কুড় বাদ্যি বাজে দুগ্যি মায়ের ঘরে
শিউলি ফুল মুচকি হাসে কমলা নোলক পরে
গনেশ ঠাকুর শুঁড়টি ঝোলায় পেটটি দোলায় সুখে
লক্ষ্মী মেয়ে চোখ তুলে চায় মিষ্টি হাসি মুখে।
সরস্বতীর স্লেট, পেনসিল, রঙ-তুলি আর বই,
ক’দিন এসব ছুটির ঘরে, সারাদিন হইচই।
ময়ূর নাচে পেখম মেলে, পেঁচা গাছের ফাঁকে
ইঁদুর তখন খিদের চোটে কুচুর কাচুর ডাকে।
সিংহ কিন্তু বেজায় চটে মুখখানা তার হাঁড়ি
সকাল থেকে কচকচানি, লাগছে কানে ভারী।
দুগ্যি আসেন ঝমঝমিয়ে আলতা পায়ে হেঁটে,
বলেন, “ওরে বাক্স-প্যাঁটরা সব দিয়েছিস ঘেঁটে?
কাতু বুঝি সাতসকালেই খেলছে ধনুক নিয়ে?
থাক তোরা সব, বাবার কানে নালিশ ঠুকছি গিয়ে!”
ভীষণ ভয়ে আর সকলে মুখে কুলুপ আঁটে,
এমন সময় প্যাঁকপ্যাঁকিয়ে হাঁসটি এল বাটে।
অভয় দিয়ে দুগ্যি বলেন, “ভয় পাস না ওরে!
মামারবাড়ি যাব এবার ঘোড়ার পিঠে চড়ে!”
----------
সৌমী গুপ্ত
ভোরের বেলা নরম বাতাস লাগল সাদা কাশে
ঢ্যাং কুড়কুড় বাদ্যি বাজে দুগ্যি মায়ের ঘরে
শিউলি ফুল মুচকি হাসে কমলা নোলক পরে
গনেশ ঠাকুর শুঁড়টি ঝোলায় পেটটি দোলায় সুখে
লক্ষ্মী মেয়ে চোখ তুলে চায় মিষ্টি হাসি মুখে।
সরস্বতীর স্লেট, পেনসিল, রঙ-তুলি আর বই,
ময়ূর নাচে পেখম মেলে, পেঁচা গাছের ফাঁকে
ইঁদুর তখন খিদের চোটে কুচুর কাচুর ডাকে।
সিংহ কিন্তু বেজায় চটে মুখখানা তার হাঁড়ি
সকাল থেকে কচকচানি, লাগছে কানে ভারী।
দুগ্যি আসেন ঝমঝমিয়ে আলতা পায়ে হেঁটে,
অভয় দিয়ে দুগ্যি বলেন, “ভয় পাস না ওরে!
ছবি - নচিকেতা মাহাত
No comments:
Post a Comment