একটা ঘোড়ার গল্প
সুজন দাশগুপ্ত
নিউ জার্সিতে বাঙালি
বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে একমাত্র দেবজ্যোতিরই ঘোড়া ছিল। যখন ছিল, মানে
নব্বই দশকের গোড়ায় - দেবজ্যোতিকে তখন আমি চিনতাম না। ওর কথা অবশ্য শুনেছিলাম অনেক।
নামিদামি ব্রিটিশ কোম্পানির বড়ো এক্সিকিউটিভ - নিউইয়র্ক-লন্ডন করে বেড়ায়, বাঙালিদের
সঙ্গে মেশে-টেশে না, নাক-উঁচু সায়েব-টাইপ, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
বছর পনেরো আগে দেবজ্যোতির
সঙ্গে যখন আমার পরিচয় হল, তখন ও অবসর নিয়েছে। নিউ জার্সিতে
একটি নন-প্রফিট সংস্থার জন্য নানান কাজ করছে, মানে ঘরের
খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছে। দু-একদিন কথা বলেই বুঝলাম, ওর সম্পর্কে
যা-যা শুনেছি সব ভুল। উন্নাসিক তো নয়ই, বাস্তবিকই একজন ভদ্রলোক। খুবই
ফ্রেন্ডলি। কোনো বাদ-বিচার না করে লোকের বিপদে-আপদে এগিয়ে আসে, কাউকে
ছোটো করে না,
মন দিয়ে সবার কথা শোনে, আর দারুণ অর্গানাইজার। শেষেরটা তো হবেই
- অত বড়ো এক্সিকিউটিভ তো এমনি এমনি ছিল না! চট করে দেবজ্যোতির স্ত্রী শিখার কথাও
একটু বলে দিই। এমনিতে শিখা কথা-বার্তা কম বলে, কিন্তু যখন
বলে বুঝতে অসুবিধা হয় না - সব কিছু ওর নখ-দর্পণে!
এইবার ঘোড়ার কথায় আসি।
দেবজ্যোতির কন্যা ছোটোবেলা থেকেই ঘোড়ায় চড়তে ভালোবাসত। পিছনে কার অনুপ্রেরণা ছিল
কে জানে,
নিশ্চয় স্কুলের কোনো বন্ধুর। দেবজ্যোতি ব্যাপারটা জানতও না, অফিসের
মিটিং নিয়েই এত ব্যস্ত থাকত! বাড়িটা পুরো সামলাত শিখা। শিখা ভালো করেই জানত মেয়ের
এই শখের কথা। শুধু তাই নয়, মেয়েকে নিয়ে নিয়মিত হর্স ফার্মে গিয়ে
গিয়ে শিখারও মনে হয় কিঞ্চিত ঘোড়া-প্রীতি গড়ে উঠছিল। নিউ জার্সিতে তখন বেশ কয়েকটা
হর্স-ফার্মে ঘোড়ায় চড়া যেত। এখনও তাদের কয়েকটা আছে। আমাদের ছোট্ট শহর মন্টভিলেও এক
সময়ে দু-দুটো হর্স-ফার্ম ছিল। সেখানে টাকা দিয়ে ঘোড়ায় চড়া যেত কিনা কোনোদিন খোঁজ
নিইনি। ভাগ্যিস আমার মেয়ের সেই শখ ছিল না!
আসল গল্পের শুরু দেবজ্যোতির
মেয়ে যেদিন ঘোষণা করল, এবার জন্মদিনে তার একটা ঘোড়া চাই! মেয়ের দশ বছরের জন্মদিন
মাত্র কয়েকদিন বাদে। দেবজ্যোতি তো আকাশ থেকে পড়ল! ঘোড়া কেন? এর
আগে মেয়ের ইচ্ছেয় একটা পাখি নিয়ে বিস্তর ভুগেছে। কোথাও বেড়াতে গেলে সেই হতচ্ছাড়া
পাখিকে খাঁচায় নিয়ে ঘুরতে হত। কেন হত? বাড়িতে তাকে খাওয়াবে কে? সেই
বজ্জাত পাখি আবার হোটেল-ঘরে নতুন জায়গায় ঘুমোতে চাইত না, কিচিরমিচির
করে সবার ঘুম নষ্ট করত! এখন কি ঘোড়াকে নিয়েও ঘুরতে হবে?
অনেক বোঝানোর চেষ্টা করল
মেয়েকে, মেয়ে
অনড়। দেবজ্যোতি খেয়াল করল বউ শিখাও ওকে সাপোর্ট করছে না। মনে হচ্ছে সেও কেমন জানি
মেয়ের দলে! আচ্ছা বিপদ!
শেষে হাল ছেড়ে মেয়েকে জিজ্ঞেস
করল, “কী
রকম ঘোড়া চাস?
টাট্টু ঘোড়া?”
ওই একটা ঘোড়ার কথাই দেবজ্যোতি
দেশে জানত,
চেহারায় ছোটোখাটো, এদেশে বোধহয় পোনি বলে। কিনতে হলে ছোটোখাটো সাইজের কিছু
কিনতে হবে,
সামলানো যাবে।
মেয়ে জন্মেছে এদেশে, তার
কোনো ধারনাই নেই বাবা কী বলছে!
“না, না, আমি
চাই কোয়ার্টার হর্স।”
“কোয়ার্টার
হর্স! সেটা আবার কী? ঘোড়া কি হাফ, কোয়ার্টার এভাবে বিক্রি হয়, মানে
টাইম শেয়ার?”
আইডিয়াটা মন্দ নয় – উৎফুল্ল
হল দেবজ্যোতি। নিশ্চয় ওটার অর্থ শেয়ারে ঘোড়া কেনা। চারজন মিলে একটা ঘোড়া কিনবে। গত
বছরই একটা রিসর্ট এরিয়াতে দেবজ্যোতি আর শিখা একটা টাইম-শেয়ার অ্যাপার্টমেন্ট
কিনেছে। বছরে কয়েক সপ্তাহের জন্যে অ্যাপার্টমেন্টটা ওদের দখলে থাকবে। অন্য সময়ে
অন্য মালিকদের। এটাও নিশ্চয় ওরকম একটা ডিল!
“আঃ, বাবা!
কোয়ার্টার হর্স কি জানো না? যে-ঘোড়া দারুণ কোয়ার্টার মাইল
দৌড়োয়।”
“কোয়ার্টার
মাইল দৌড়োয় মানে? কোয়ার্টার মাইল দৌড়ে যদি হাঁপিয়ে যায়, তাহলে
সেখান থেকে ফিরবে কী করে?”
শিখা এবার বুঝিয়ে দিল।
অ্যামেরিকান কোয়ার্টার হর্স হল ঘোড়ার এক ধরনের জাত, যেগুলো
এসেছে ব্রিটিশ থরোব্রেড আর নেটিভ অ্যামেরিকান চিক্-আ-স ঘোড়া থেকে। শিখা শেষ করল
একটা প্রশ্ন দিয়ে, “তুমি এটা জানতে না?”
“না, জানতাম
না। আর এখনও বুঝতে পারছি না, ‘কোয়ার্টার’ কথাটা আসছে কেন?”
“ওই যে মেয়ে
বলল, এই
জাতের ঘোড়াগুলো কোয়ার্টার মাইল রেসে জেতে।”
এটা দেবজ্যোতির কাছে একটা
নতুন তথ্য।
“এখন বুঝলাম।
আসলে ঘোড়াদের জাত-ঠিকুজি জানার জন্য তো আমি আমি পড়াশুনো করিনি।”
বাবার অজ্ঞতা দেখে মেয়ে
কিন্তু অবাক! “কী বলছ বাবা, তুমি সত্যিই ঘোড়াদের কথা জানো না? থরোব্রেড, মাস্টাং, পিন্টো
- এগুলো শোনোনি?”
“নিশ্চয়
শুনেছি,”
প্রতিবাদ করল দেবজ্যোতি। “শোন, ফোর্ড মোটর কোম্পানি যখন মাস্টাং, আর
পিন্টো গাড়ি বাজারে ছাড়ল, তখন গাড়ির সামনে একটা ঘোড়ার সিম্বল
থাকত। ডিকশনারি খুলে দেখেছিলাম, মাস্টাং হচ্ছে বুনো ঘোড়া, কাউবয়রা
ওদের পোষ মানাত। আর পিন্টোর গায়ে সাদা রঙের ছোপ থাকে। কোয়ার্টার হর্স কি পিন্টো?”
“তা কেন হবে? কোয়ার্টার
হর্স, কোয়ার্টার
হর্স।”
পিন্টোর ওই বহুরূপী রঙ
দেবজ্যোতির পছন্দ নয়, সুতরাং কোয়ার্টার হর্স নিশ্চয় তার থেকে ভালো।
“ঠিক আছে, ঠিক
আছে, কেনা
না হয় যাবে। কিন্তু কোত্থেকে?”
মা আর মেয়ে সেটা খোঁজ করে
রেখেছিল। দেবজ্যোতির কাজ হল সেটাকে গিয়ে চাক্ষুষ দেখা এবং দরদাম করা। দরদাম বিশেষ
করা গেল না,
তবে ঘোড়ার সাইজ দেখে দেবজ্যোতির চিন্তা হল, বাড়িতে
রাখবে কোথায়?
গ্যারাজে তো রাখা যাবে না। অনেক রকম নিয়ম-কানুন আছে এদেশে। যার কাছ থেকে কিনছে, সে
অনেকগুলো আস্তাবলের হদিশ দিল। তাদের একটা দেবজ্যোতিদের বাড়ি থেকে মাইল তিনেক দূরে -
ইন্টারস্টেট হাইওয়ে টু-এইটি সেভেন-এর গা ঘেঁষে।
আস্তাবলটা একবার দেখা দরকার।
দেখল বেশ বড়ো জায়গা। ঘোড়াদের রাখার জন্য পাশাপাশি অনেকগুলো ঘর বা খুপরি। পাশে ওদের
এক্সারসাইজ করার একটু বন্দোবস্ত। খুবই ইমপ্রেসিভ। ভাড়া মাসে সাড়ে পাঁচশো! ওই সময়ে
এই টাকার অঙ্ক মোটেই কম নয়। কিন্তু কী আর করা! টাকাটা খুব একটা সমস্যা নয়। মাইনে
আর বোনাস-ফোনাস নিয়ে দেবজ্যোতির ভালোই রোজগার, আর মেয়ের
ঘোড়া বলে কথা! তার থাকার জন্য জায়গা তো একটা নিতেই হবে। কিন্তু ঘোড়ার খাওয়াদাওয়া? জিজ্ঞেস
করল আস্তাবলের ম্যানেজারকে।
“সেটা ভাড়ার
মধ্যে পড়ে না,” ম্যানেজার জানাল, “স্টল পরিষ্কার করা, খাওয়ানো, ঘোরানো, ইত্যাদি
হচ্ছে এক্সট্রা।”
“কবে থেকে
ভাড়া পাওয়া যাবে?”
“এখন থেকেই।
ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকলে ঘোড়াকে আজই নিয়ে আসতে পারেন।”
“ফিটনেস
সার্টিফিকেট!” আরেকটা নতুন জিনিস শুনল দেবজ্যোতি।
“ব্যাপারটা
কিছুই নয়। একজন ভেট, মানে ঘোড়ার
ডাক্তারকে দিয়ে ব্লাড টেস্ট, এক্স-রে ইত্যাদি করিয়ে ঘোড়া যে সুস্থ, তার
একটা সার্টিফিকেট দিতে হবে। এটা আমাদের আস্তাবলের সুরক্ষার জন্য। নতুন ঘোড়া থেকে
অন্যান্য ঘোড়াদের যেন কোনো রোগ না হয়।”
ঘোড়াটি যে আস্তাবলে ছিল
সেখানকারই এক ভেট ঘোড়াটার নানান পরীক্ষা করলেন। একদিন বাদে ফিটনেস সার্টিফিকেট
মিলল। এক্স-রে,
ব্লাড টেস্ট, চিকিৎসকের ফি সব মিলে বিল হল সাড়ে পাঁচশো ডলার। আবার সেই
সাড়ে পাঁচশো! কিন্তু ঘোড়া তার নতুন বাড়িতে যাবে কী করে? হাইওয়ে দিয়ে
তো নিয়ে যাওয়া যায় না। বেশ কিছু টাকা খরচা করে একটা স্পেশাল গাড়ি ভাড়া করতে হল।
এইসব নানান ঝামেলা চুকিয়ে ঘোড়াকে তার বাড়িতে ঢুকিয়ে দেবজ্যোতিকে আবার ছুটতে হল
লন্ডনে – কোম্পানি বোর্ডের এমার্জেন্সি মিটিং।
মিটিং-এ কতগুলো খুব জরুরি
ব্যাপারে অনেক ডিসিশন নিতে হবে। অনেক টাকাকড়ি জড়িত, পরিষ্কার
মাথায় সিদ্ধান্তগুলো বোর্ড মেম্বারদের নিতে হবে। বোর্ড-রুমের মিটিং সব সময়ে ক্লোজড
ডোর – হুট-হাট করে কেউ ঢুকতে পারে না। উত্তপ্ত আলোচনা চলছে, হঠাৎ
বোর্ড-রুমের দরজা বাইরে থেকে কেউ খুলল - দেবজ্যোতির সেক্রেটারি! দারুণ উত্তেজিত, দেবজ্যোতির
কাছে এসে কানে কানে বলল, “প্লিজ একটু বাইরে এসো।”
হতচকিত দেবজ্যোতি বাইরে এসে
জিজ্ঞেস করল,
“কী ব্যাপার?”
“তোমার
স্ত্রীকে এখুনি ফোন করো, এমার্জেন্সি!”
কী সর্বনাশ! শিখার কি কিছু হল? মেয়ের? আশি
দশকের কথা,
তখনও মোবাইল ফোন সে-ভাবে আসেনি, দেবজ্যোতি সেক্রেটারির অফিস থেকেই
বাড়িতে ফোন করল।
“কী হয়েছে
শিখা?”
“ঘোড়া
পালিয়েছে!”
“পালিয়েছে
মানে? কী
করে পালাল?”
শিখাও খুব বিপর্যস্ত।
“আস্তাবল থেকে ফোন এসেছে, ওকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওরা জানে না, কোথায়
গেছে। এটুকুই আমাকে বলেছে।”
“ননসেন্স!
তার মানে কী?
ওটা তো ওদের রেসপন্সিবিলিটি?”
“ওরা বলছে, ওরা
টাউনের সব রেগুলেশন মেনে বেড়া দিয়েছে। সেটা টপকালে তো ওদের কিছু করার নেই। আর এরকম
আগে কখনও ঘটেনি।”
“পুলিশে খবর
দিয়েছে?”
“বলছে কাল
সকালে চব্বিশ ঘণ্টা পার হলে দেবে।”
এরপর মিটিং চলল, কিন্তু
দেবজ্যোতি তাতে মনঃসংযোগ করতে পারল না। পরের দিন খুব সকালে লন্ডন থেকে প্লেন ধরে
ফিরে আসবে নিউ জার্সিতে। রাতেই মাথায় এল আইডিয়াটা। হোটেল থেকে রাত ন-টায় ফোন করল
শিখাকে। নিউ জার্সিতে তখন বিকেল চারটে।
“একটা কাজ
করো তো, ও
হয়তো হাইওয়েতেই কোথাও আছে, তুমি আমাদের হুড-খোলা গাড়িটা নিয়ে
আস্তাবলের আশেপাশে মাইল চারেক রেডিয়াসে চক্কর দিতে থাকো, কাছাকাছি
পেয়ে যেতে পারো মনে হয়।”
“কী বলছ
যা-তা, মাথা
ঠিক আছে তোমার?
আমি কি এই বিকেল চারটেতে হাতে ল্যাসো নিয়ে মার্সিডিজ চড়ে ঘুরব? তুমি
আগে এসো,
তারপর দেখ কী করা যায়!”
রাতে আর ঘুম হল না
দেবজ্যোতির। দুঃস্বপ্ন আর দুঃস্বপ্ন! সকালে নিউ জার্সি পৌঁছে, এয়ারপোর্ট
থেকে ফোন করল আস্তাবলে। না, কোনো খবর পাওয়া যায়নি ঘোড়ার। তবে
ম্যানেজারের বক্তব্য, ঘোড়ারা খুব বুদ্ধিমান, রাস্তা চিনে
ফিরে আসতে পারে। আর পালিয়েছে যখন, তখন ও যথেষ্ট করিৎকর্মা। পুরোনো
আস্তাবলে যখন যায়নি, তখন এখানেই ফিরে আসবে – অবশ্য রাস্তায় গাড়িটাড়ির ধাক্কা না
খেলে। পুলিশে ডায়রি করা হয়েছে। কোথাও কেউ ঘোড়া দেখতে পেলেই ওরা জানতে পারবে।
দেবজ্যোতি বুঝল, এগুলো
সব কথার কথা। দামি ঘোড়া - ওকে কি আর ফেরত পাওয়া যাবে!
* * *
একদিন, দু-দিন
তিনদিন চলে গেল কোনো খবর নেই, চতুর্থ দিন আস্তাবলের ম্যানেজার ফোন
করে বলল,
সাত মাইল দূরে একটা আপেল বাগানে ওকে পাওয়া গেছে। সেখানে একটা মেয়ার বা ঘোটকী
থাকে, তার
সঙ্গে দিব্যি মেজাজে সময় কাটাচ্ছে! নিশ্চয় আগে ওই ঘোটকীকে ও চিনত, ম্যানেজার
যোগ করল। “এই খবরটা আগে জানা থাকলে এতটা চিন্তিত হতাম না।”
এটা সুখবর, কিন্তু
ঘোটকীর কাছে যেতে দীর্ঘপথ কাঁটা তারের বেড়া ইত্যাদি পার হতে গিয়ে ওর চার পায়ের
নানান জায়গা কেটে-ছড়ে ক্ষতবিক্ষত! ডাক্তারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নতুন ফিটনেস
সার্টিফিকেট নিতে হবে। সেটা পাবার পর আস্তাবলে আবার ঢোকানো যাবে।
কত টাকা লাগবে তার জন্য? সাড়ে
পাঁচশো ডলার। তার পরেও ভোগান্তি, কারণ পায়ের ক্ষতগুলো দিনে কয়েকবার
পরিষ্কার করে লোশন লাগাতে হবে। ঘোড়া শুধু শিখাকেই পছন্দ করে, কাজটা
তাকেই করতে হবে। অচেনা কেউ করতে গেলে লাথি খাবার সম্ভাবনা! ডাক্তারের আরও একটা
বিধান। ঘোড়াকে বিশ্রাম নিতে হবে তিন মাস – মা বা মেয়ে কেউই ঘোড়ায় চাপতে পারবে না।
গল্প শেষ হবার পর দেবজ্যোতিকে
জিজ্ঞেস করলাম, “কতদিন
এই সাদা হাতি,
মানে ঘোড়া পুষলে?”
“দু-বছর। ওই
দু-বছর কিন্তু মা ও মেয়ে মনের আনন্দে ঘোড়ায় চেপে ঘুরেছিল।”
“শুধু দু-বছর
কেন?”
“তারপর আমি লন্ডনে
বদলি হয়ে যাই। ঘোড়াটাকে বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।”
“তা তো
বটেই!”
----------
বিশেষ দ্রষ্টব্য - গল্পটা আমার পুরোপুরি মনে নেই, তাই
এদিক ওদিক বেশ কিছু গোঁজামিল দিয়েছি, তবে কাহিনি পালটাইনি, গ্যারান্টি।
----------
ছবি - স্যমন্তক চট্টোপাধ্যায়
No comments:
Post a Comment