প্রবন্ধ:: কবির একুশ বসন্ত - সুদীপ ঘোষাল


কবির একুশ বসন্ত
সুদীপ ঘোষাল

কলকাতার কালীঘাট অঞ্চলের ৪৩নং মহিম হালদার স্ট্রিট। জনবহুল এলাকা। সবাই ব্যস্ত। সুনীতি দেবী এসেছেন বাপের বাড়ি। তিনি সন্তানসম্ভবা। দ্বিতীয় সন্তান হবে। তখনকার দিনে ধাত্রীমাতা আসতেন বাড়িতে। তিনি এসে বললেন, আর দেরি নেই, রাতের মধ্যেই বাচ্চা প্রসব হবে। তখন ফোন এত ছিল না। অফিসে আদালতে ফোন থাকত।
এদিকে সুনীতির স্বামী চিন্তায় মগ্ন। ফরিদপুরে উনশিয়া গ্রামে থাকেন। কলকাতা থেকে অনেক দূর। বড়ো ছেলেকে নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন। তারপর মাসখানেক পরে খবর পেলেন আবার পুত্রসন্তান প্রসব করেছেন তার স্ত্রী। নিবারণ ভট্টাচার্য গ্রামের সকলকে মিষ্টিমুখ করালেন।
তার রানিদি ভাইয়ের নাম দিলেন সুকান্ত।

তখন ১৯২৬ সাল। পরাধীন ভারতবর্ষে ব্রিটিশ রাজ চলছে। অত্যাচার আর অবিচারে বিপ্লবীদের ফাঁসি দিচ্ছে সরকার একের পর এক।
সুনীতি দেবীর মোট সন্তান ছিল ছয় জন। তিনি স্বামীকে বললেন, আর নয়। এবার ছেলেদের মানুষের মতো মানুষ করতে হবে।
তারপর ফরিদপুরে স্কুলে ভরতি হলেন সুকান্ত। তাঁর ছয় ভাইয়ের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর ভাইদের নাম যথাক্রমে - মনমোহন, সুশীল, প্রশান্ত, বিভাষ, অশোক এবং অমিয় ছিল। তিনি তাঁর বড়ো দাদা মনমোহন এবং বৌদি সরজু দেবীর বড়ো আদরের ছিলেন।
তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ ছিলেন রানিদি। সেই সময়ের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক মণীন্দ্রলাল বসুর ‘সুকান্ত’ গল্পটি পড়ে, তিনি তাঁর নাম রেখেছিলেন সুকান্ত।
জানা যায়, তাঁর প্রিয় রানিদির জন্যই নাকি তিনি সাহিত্যকর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। রানিদি বললেন, “তোর খাতায় লেখা কবিতা আমি দেখেছি। তুই কবিতা লেখ। একদিন তুই অনেক বড়ো হবি। তোর নাম ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়বে।”
সুকান্ত বললেন, “তুমি কী করে জানলে আমি বড়ো কবি হব? ও কথা বোলো না। আমার লজ্জা লাগে দিদি।”
রানিদি বললেন, “আমার কথা ফেলিস না ভাই।”
সুকান্ত বলেছিল, “চেষ্টা করব তোমার কথা মেনে চলার।”
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাঁর রানিদি তাঁর কোনো সাহিত্যকর্মই দেখে যেতে পারেননি, কারণ তিনি খুব তাড়াতাড়ি মারা যান। দিদি মারা যাওয়ার কিছুদিন পরেই তাঁর মা সুনীতি দেবীও পরলোক গমন করেন।
পর পর চোখের সামনে দুটো মৃত্যু, সুকান্তকে ভীষণ শোকাহত এবং মর্মাহত করে তোলে, যার ফলে তাঁর মানসিক অবস্থা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায় বেশ কিছুদিন। এই চরম শোকের মুহূর্তেই তিনি রচনা করেন অনেক কবিতা। নিঃসঙ্গতার সময় সেই সব কবিতাই ছিল তাঁর একমাত্র সঙ্গী।

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের বাল্যশিক্ষা শুরু হয় কলকাতার কমলা বিদ্যামন্দির থেকে। এখানেই তাঁর লেখা প্রথম ছোটোগল্প প্রকাশিত হয় স্কুলেরই নিজস্ব পত্রিকা ‘সঞ্চয়’-এ। সেই স্কুলে তিনি বেশ কিছু বছর পড়াশোনা করেন এবং তারপর ভর্তি হন বেলেঘাটা দেশবন্ধু হাইস্কুলে। এরপর ১৯৪৫ সালে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষা দেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই পরীক্ষায় ফেল করেন।
বাড়িতে তার বাবা বললেন, “ফেল করেছিস তো কী হয়েছে? মনে রাখবি এটা সাফল্যের এক একটা স্তম্ভ।”
সুকান্ত বললেন, “আমার স্কুলে যেতে লজ্জা করছে।”
তাঁর বাবা বললেন, “স্কুলে তুমি যাও। এবার দেখ তুমি পাশ করবে।”

স্কুলে পড়ার সময় থেকেই কবি সুকান্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই সময় ছাত্র আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য তাঁর পড়াশোনার পরিসমাপ্তি ঘটে।
ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অনৈতিক ব্রিটিশ শাসন প্রভৃতির বিরুদ্ধে তিনি ও তাঁর দল ভীষণভাবে সোচ্চার হন। তিনি তাঁর সীমিত জীবনকালে যা কিছু সাহিত্যসৃষ্টি করে গেছেন তা সত্যিই এক কথায় অনবদ্য। তিনি মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, মন্বন্তর, ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রভৃতির বিরুদ্ধে সেইসময় কলম ধরেছিলেন। তাঁর সমস্ত সাহিত্যকর্ম আজও প্রত্যেক বাঙালী পাঠকদের সমানভাবে মাতিয়ে রাখে।
১৯৪৪ সালে তিনি এরপর ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। সেই বছরই ‘আকাল’ নামক একটি সংকলনগ্রন্থ তিনি সম্পাদনাও করেন এবং সেখানেই শোষিত মানুষের কর্ম, জীবন, ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য সংগ্রাম, সমাজের দুর্দশাজনিত বেদনা এবং শোষণমুক্ত স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কবিতা লিখতে থাকেন। তাঁর সেই কবিতা সংকলন মানুষকে ভীষণভাবে সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগায় রাজনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য।
১৯৪১ সালে সুকান্ত ভট্টাচার্য কলকাতা রেডিও আয়োজিত ‘গল্পদাদুর আসর’ নামক এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেখানে তিনি প্রথমে রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করতেন। যখন রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়, তখন সেই আসরেই তিনি নিজের লেখা কবিতা পাঠ করে তাঁকে শ্রদ্ধাও জানান।

এক প্রাবন্ধিক তাঁর বক্তব্যে  বলেছিলেন, তুমি যদি এটা ভেবে থাকো যে সুকান্ত ভট্টাচার্য শুধু একজন কবি ছাড়া আর কিছুই ছিলেন না, তাহলে তোমার সেই ভাবনা একেবারে ভুল। কারণ তিনি কবিতা লেখার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন গান, গল্প, নাটক এবং প্রবন্ধও রচনা করেছিলেন। মাত্র এগারো বছর বয়সে তিনি ‘রাখাল ছেলে’ নামে একটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন, যেটি পরে ‘হরতাল’ নামক বইতে সংকলিত হয়েছিল। তাঁর সমস্ত রচনাবলীর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল - ছাড়পত্র (১৯৪৭), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২) প্রভৃতি। পরবর্তীকালে উভয় বাংলা থেকেই ‘সুকান্ত সমগ্র’ নামে তাঁর রচনাবলি প্রকাশিত হয়।

জীবনের প্রতিটি অংশেই সুকান্ত যেন অনিয়মকেই তাঁর জীবনের অঙ্গ করে তুলেছিলেন। কবি সুকান্ত তাঁর বন্ধুদের বলতেন, আমার যেমন পার্টির কাজ, তেমনই অন্যদিকে সাহিত্যকর্ম, অভাব ও অনটন। এই সব কিছুর ধকল আমার শীর্ণ শরীর আর মানতে পারছে না।
বন্ধুরা তাঁকে সাহায্য করতেন অর্থ দিয়ে। তারা বলতেন, ‘শরীরের যত্ন নে। তা নাহলে তোর বিপদ হবে।’
তবুও কবি লিখে যেতেন কষ্ট করে। অত্যধিক পরিশ্রমের ফলে নিজের শরীরের উপর যে অত্যাচারটুকু তিনি করেন তাতে তাঁর শরীরে প্রথমে ম্যালেরিয়া ও পরে দুরারোগ্য যক্ষ্মারোগ হানা দেয়।
বন্ধুরা তাঁকে দেখতে আসতেন আর সাবধানবাণী শোনাতেন। কবি মুচকি হেসে বলতেন, ‘দেখবি একদিন পালিয়ে যাব ফাঁকি দিয়ে। এই ম্যালেরিয়া আর যক্ষ্মার আদরে আমি জর্জরিত।

এক কবিসভায় কোনো এক কবিবন্ধু তাঁকে পালকি করে নিয়ে গেছিলেন। সেই সভায় বন্ধুটি কবির সম্বন্ধে দু-চার কথা লিখেছিলেন। তিনি কবির সামনেই সেই লেখা পাঠ করেছিলেন। তিনি সভায় সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আট-নয় বছর বয়স থেকেই সুকান্ত লিখতে শুরু করেন। তিনি আমার বন্ধুসম। তাঁর কাছেই শোনা কথাগুলি আমি বর্ণনা করছি।’
কবি তো প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি বললেন, ‘আমাকে আগে এই কথা বললে না! আমার সামনে আমারই স্তুতি নিবেদন করবে তুমি? এ যে ভীষণ লজ্জার!’
বন্ধু বলেছিলেন, ‘আগে বললে উনি তো অনুমতি দিতেন না ভাই। তাই বলছি। আমাকে ক্ষমা কোরো।’
সমবেত সকলে হাততালি দিয়ে জয়ধ্বনি করলেন।
তারপর তাঁর বন্ধু বলতে শুরু করলেন, ‘আমি আমার বন্ধুর সাহিত্যকর্ম বিষয়ে কয়েকটি সংবাদ পরিবেশন করব। স্কুলের হাতে লেখা পত্রিকা সঞ্চয়-এ একটি ছোট্ট হাসির গল্প লিখে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন। তার দিনকতক পরে বিজন গঙ্গোপাধ্যায়ের শিখাকাগজে প্রথম ছাপার মুখ দেখে তাঁর লেখা বিবেকান্দের জীবনী। মাত্র এগারো বছর বয়সে রাখাল ছেলেনামে একটি গীতিনাট্য রচনা করেন তিনি। এটি পরে তাঁর হরতালবইতে সংকলিত হয়। বলে রাখা ভালো, পাঠশালাতে পড়বার কালেই ধ্রুবনাটিকার নামভূমিকাতে অভিনয় করেছিলেন সুকান্ত। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাল্যবন্ধু লেখক অরুণাচল বসুর সঙ্গে মিলে আরেকটি হাতে লেখা কাগজ সপ্তমিকাসম্পাদনা করেন। অরুণাচল তার আমৃত্যু বন্ধু ছিলেন। মার্কসবাদী চেতনায় আস্থাশীল কবি হিসেবে সুকান্ত কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান করে নিয়েছেন। সুকান্তকে বলা হয় গণমানুষের কবি। অসহায়-নিপীড়িত সর্বহারা মানুষের সুখ, দুঃখ তার কবিতার প্রধান বিষয়। অবহেলিত মানুষের অধিকার আদায়ের স্বার্থে ধনী মহাজন অত্যাচারী প্রভুদের বিরুদ্ধে নজরুলের মতো সুকান্তও ছিলেন সক্রিয়। যাবতীয় শোষণ-বঞ্চনার বিপক্ষে সুকান্তের ছিল দৃঢ় অবস্থান। তিনি তাঁর কবিতার নিপুণ কর্মে দূর করতে চেয়েছেন শ্রেণী বৈষম্য। মানবতার জয়ের জন্য তিনি লড়াকু ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। অসুস্থতা, অর্থাভাব তাঁকে কখনও দমিয়ে দেয়নি। মানুষের কল্যাণের জন্য সুকান্ত নিরন্তর নিবেদিত থেকেছেন। তিনি মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছেন। তার অগ্নিদীপ্ত সৃষ্টি-প্রণোদনা দিয়ে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে প্রয়াসী হয়েছেন। মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বাংলা কাব্যধারার প্রচলিত প্রেক্ষাপটকে আমূল বদলে দিতে পেরেছিলেন। সুকান্ত কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দৈনিক স্বাধীনতার (১৯৪৫) কিশোর সভাবিভাগ সম্পাদনা করতেন। তাঁর কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ পাঠকদের উদ্বুদ্ধ করে তোলে। গণমানুষের প্রতি গভীর মমতার প্রকাশ ঘটেছে তাঁর কবিতায়। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল: পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি। পরবর্তীকালে উভয় বাংলা থেকে ‘সুকান্ত সমগ্র’ নামে তার রচনাবলি প্রকাশিত হয়। সুকান্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পীসঙ্ঘের পক্ষে ‘আকাল’ (১৯৪৪) নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন। সুকান্তের কবিতা বিষয়বৈচিত্র্যে ও লেখার দক্ষতায় অনন্য। সাধারণ বস্তুকেও সুকান্ত কবিতার বিষয় করেছেন। বাড়ির রেলিং ভাঙা সিঁড়ি উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়। সুকান্তের কবিতা সব ধরনের বাধা-বিপত্তিকে জয় করতে শেখায়। যাপিত জীবনের দুঃখ-যন্ত্রণাকে মোকাবিলা করার সাহস তাঁর কবিতা থেকে পাওয়া যায়। তারুণ্যের শক্তি দিয়ে উন্নত শিরে মানুষের মর্যাদার জন্য মানুষকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান সুকান্তের কবিতায় লক্ষণীয়। তাঁর কবিতা সাহসী করে, উদ্দীপ্ত করে। তাঁর বক্তব্যপ্রধান সাম্যবাদী রচনা মানুষকে জীবনের সন্ধান বলে দেয়। স্বল্প সময়ের জীবনে তিনি বাংলা সাহিত্যকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, জীবনানন্দ দাশ-সহ সে সময়ের বড়ো বড়ো কবির ভিড়ে তিনি হারিয়ে যাননি। নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন নিজ প্রতিভা, মেধা ও মনন দিয়ে। সুকান্ত তাঁর কম বয়সের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করেছেন তাঁর পরিণত ভাবনায়। ভাবনাগত দিকে সুকান্ত তাঁর বয়স থেকে অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন। এখন তিনি ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত। আপনাদের সাহায্য চাই।’
সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় প্রিয় কবিকে রেড এড কিওর হোমে ভরতি করা হয়। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। যার ফলে ১৯৪৭ সালের ১৩ই মে তারিখে কলকাতার ১১৯ নম্বর লাউডন স্ট্রিটের ‘রেড এড কিওর হোমে’ তিনি অবশেষে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র একুশ।
স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেও তিনি স্বাধীন দেশের আনন্দ আস্বাদন করার সুযোগ পাননি।
_____
ছবিঃ আন্তর্জাল

No comments:

Post a Comment