
অশরীরী মুণ্ডু
এক্সচেঞ্জ স্টোর
অর্ণব ভট্টাচার্য
বিক্রেতা:
আসুন আসুন নমস্কার, বসুন চেয়ারখানায়,
এই স্টোরেতে ঠিক আপনার মতন ভূতই মানায়।
অন্য যত দোকানেতে গিয়েই সবাই ঠকে,
খাঁটি সরেস মুণ্ডু
কেবল আমার আছে স্টকে।
ক্রেতা:
এই মাথাটা বেশ কিছুদিন থেকেই গেছে বিগড়ে,
মাঝে মাঝে সবুজ রঙের রশ্মি বেরোয় ঠিকরে।
তাই এসেছি আপনাদের এই দোকানটিতে ছুটে,
সঠিক দামের মুণ্ডু
দেখান, নিয়েন না ভাই লুটে।
বিক্রেতা:
কী যে বলেন! এই মাথাটা দেখুন দেখি পরে,
এক্কেবারে নতুন জিনিস, আজ এসেছে ভোরে।
আপনার ওই মুণ্ডুখানা
দিন রেখে এই বস্তায়,
তাহলেতে পাবেন আরও
ডিসকাউন্ট ও সস্তায়।
ক্রেতা:
বাঃ দেখি বেশ হালকা
মাথা, ঠিক হয়েছে ফিটিং,
এবার আমায় যেতে হবে, একটা আছে মিটিং।
জলদি আনুন কাগজপত্র, করতে হবে সই তো,
সামলে দাদা আপনার ঠিক পিছনে এক দৈত্য।
বিক্রেতা: (পিছনে তাকিয়ে তারপর সামনে ফিরে)
কই দৈত্য, কেউ নেই তো। থামুন থামুন এ কী!
ক্রেতা সেজে, মুণ্ডু নিয়ে চোর পালাল দেখি।
কী কুক্ষণেই দিলাম যে ছাই ওই মাথাটা পরতে!
কেউ জানি হায় ছুটে ওকে পারবে না আর ধরতে!
ওই মুণ্ডুর আগের
মালিক, বলছি শোনো কানে
সোনার মেডেল জিতেছিলেন একশো মিটার রানে।
----------
ছবি - আন্তর্জাল
No comments:
Post a Comment