রূপকথার জাদুকর শৈলেন ঘোষ- শ্রদ্ধাঞ্জলি
সমুদ্র বসু
চিরসবুজ বিশেষণটি শৈলেন ঘোষের সম্পর্কে একশো ভাগ বলা যায়। বাংলা সাহিত্যে সত্যি এ এক বিস্ময়। খাঁটি শিশু-সাহিত্যিক কথাটা তাঁর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে প্রযোজ্য। একজন মানুষ যিনি জীবনের আটটা দশক শুধু ছোটদের কথা ভেবে, ছোটদের জন্য কলম ধরে ও ছোটদের জন্য নাটকের আয়োজন করেই কাটিয়ে দিলেন। এই পৃথিবীতেও মনে হয় এমন মানুষ বিরল। ‘শিশু-সাহিত্যিক’ কথাটা অনেকের ক্ষেত্রেই ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়। যে সমস্ত লেখকই ছোটদের জন্য লেখেন তাঁরা কিন্তু সবাই শিশু-সাহিত্যিক নন। শৈলেন ঘোষ ছিলেন একজন খাঁটি শিশু-সাহিত্যিক যার অর্থ হল তিনি সারাজীবন ধরে ছোটদের জন্যই কলম ধরে গেছেন। কোনোদিন বড়োদের জন্য লেখার কথা ভাবেননি। বলা যেতে পারে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, যোগীন্দ্রনাথ সরকার, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার, সুকুমার রায় যে ধারার লেখক উনি তাঁদের একজন যথাযোগ্য
উত্তরসূরি ছিলেন।
শৈলেন ঘোষ এ কালের একমাত্র সফল শিশু-সাহিত্যিক যিনি বাংলা রূপকথার আবহমান ধারাটিকে প্রায় একক প্রচেষ্টায় বহন করে গেছেন। তাঁর চরিত্ররা কেউই তেমন অচেনা নয়। কিন্তু তাদের নিয়ে যে ভঙ্গিতে গল্প বলেন শৈলেন ঘোষ, সেই ভঙ্গিতে মিশে থাকে রূপকথার এক অপরূপ মেজাজ। ঠিক এই মেজাজে এখনকার কোনও সাহিত্যিক ছোটদের জন্য লেখেন বলে মনে হয় না। মানুষ, বাঘ, বাঁদরছানা, ডাইনিবুড়ি, কুমির, পাখি, মাছ, নদী
- এরা সব তার গল্পে অবাক করা চরিত্র। তবে চরিত্র যাই হোক না কেন, তাদের নিয়ে শোনানো গল্পের শেষে কিন্তু একটা মিল থাকেই। সে মিল হল, একটা সুন্দর প্রেরণা যোগানোর মিল। ছোটরা যাতে জীবনের সবরকম বাধা-বিপত্তিকে জয় করতে শেখে, শৈলেন ঘোষের প্রতিটি কাহিনিতেই খুব সূক্ষ্ম ও প্রচ্ছন্নভাবে মিশে থাকে এমন একটা প্রেরণা। দক্ষিণারঞ্জন বা অবন ঠাকুরের ঐতিহ্যের সার্থক উত্তরসূরি হয়েও শৈলেন ঘোষ নিজের
বৈশিষ্ট্যে সবসময় সমুজ্জ্বল থাকবেন।
শৈলেন ঘোষ আধুনিক রূপকথার রূপকার। রূপকথার রং, কথকতার ঢং এবং সেই সাথে রয়েছে গদ্যের সাথে ছড়ার ব্যবহার। তিনি তাঁর উপন্যাসে শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতন। প্রায়শই ব্যবহার করেছেন শব্দের
আটপৌরে রূপ। তাঁর ব্যবহৃত ‘চাট্টিখানি’ বা ‘সমুদ্দুর’ সহজেই পাঠক হৃদয় স্পর্শ করে। রূপকথার গল্পকেও যে আধুনিকতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে মনোগ্রাহী করা যায় এমন চিন্তাভাবনা এর আগে আর কোনও লেখকের কলম থেকে আসেনি।
এবার দেখে নেওয়া যাক ঔপন্যাসিক শৈলেন ঘোষের উপন্যাসগুলোর আবির্ভাব এবং বিবর্তনের ছবি। উনি যখন ক্লাস নাইনে পড়েন ‘মা’ নামে দাঙ্গার ওপর একটা গল্প লেখেন তিনি। সে সময় আনন্দবাজার পত্রিকায় সোমবার শেষের পাতায় ছাপা হত ‘আনন্দমেলা’ বিভাগটি। ওখানে তিনি গল্পটা পাঠিয়ে দিলেন। সাতদিনের মধ্যেই ছাপা হল সেই গল্প। লেখকের পারিশ্রমিক হিসেবে পাঁচটা টাকাও পেলেন তিনি। ‘আনন্দমেলা’ বিভাগটি তখন দেখতেন যশস্বী শিশু-সাহিত্যিক মৌমাছি, যাঁর আসল নাম বিমল ঘোষ। একদিন চিঠি দিয়ে শৈলেন ঘোষকে ডেকে পাঠালেন মৌমাছি। শৈলেন ঘোষকে দেখে উনি খুবই বিস্মিত হলেন। কারণ, উনি এত ছোটো সেটা ভাবেননি। সেই সঙ্গে আরও বললেন, “আমি যা বলব তা যদি মেনে চল, আমি তোমাকে লেখার কয়েকটা জিনিস শেখাব। আপত্তি আছে?”
শৈলেন ঘোষ রাজি হয়ে গেলেন। পরের বারের লেখা নিয়ে সটান ওনার কাছে চলে গেলেন। ওনাকে বসিয়ে মৌমাছি গল্পটা পড়ে শোনালেন আর কোথায় কী ভুলভ্রান্তি বা শব্দের ব্যবহার পরিবর্তন দরকার, ছোটদের উপযোগী ভাষা কোথায় দরকার সে সব শেখালেন। খুবই উৎসাহ পেলেন শৈলেন ঘোষ। মৌমাছির সূত্রেই ‘মণিমালা’ সংগঠনে শৈলেন ঘোষের প্রবেশ হয়।
এই মৌমাছির উৎসাহেই ষাটের দশকের গোড়ায় আনন্দবাজার পত্রিকার ‘আনন্দমেলা’ বিভাগে শৈলেন ঘোষ তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘টইটুই’ লিখলেন। এরপর ষাটের দশকের মাঝামাঝি যখন কলেজে পড়েন তখন দু’টি নাটক লেখার আদেশ পান। লিখে ফেলেন ‘দানবের মুখোশ’ এবং ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’। এই অরুণ বরুণ কিরণমালার মঞ্চায়ন দেখতে এলেন সংগীত-নাট্য আকাডেমির কর্তা মামা ওয়াদেকর আর নরেন্দ্র দেব। ক’দিন পর তিনি চিঠি পেলেন যে তাঁকে আকাডেমি পুরস্কার দেওয়া হবে। তখন তাঁর বয়স মাত্র বাইশ। রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের হাত থেকে পুরস্কার নিলেন শৈলেন ঘোষ। ১৯৬৪-তে আনন্দ পাবলিশার্স থেকে গ্রন্থাগারে বইটি প্রকাশিত হয়। এটা কিন্তু ওনার উপন্যাস নয়, নাটক। এরপর ষাটের দশকের শেষদিকে আবার আনন্দমেলার পাতায় তিনি লিখে ফেললেন তাঁর কালজয়ী দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মিতুল নামে পুতুলটি’। এই যে যাত্রা শুরু হল, তারপর আর তাঁকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক দুর্দান্ত উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক লিখে গেছেন ছোটদের জন্য।
শৈলেন ঘোষ জানতেন, কিশোর-মনের চাবিকাঠি কোথায় লুকোনো থাকে। ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী কিংবা স্নো হোয়াইটের পরেও খুদে পাঠকের মনে কীসের তৃষ্ণা। শৈলেন ঘোষের জগৎ অন্য এক রূপকথার জগৎ। সেখানে শুধুমাত্র রাজা-রানিরা সোনার পালঙ্কে নিদ্রা যায় না। সে রূপকথায় মন্ত্রীপুত্র, কোটালপুত্রর পরও যে দাসীপুত্রের কণ্ঠস্বর কেউ কখনও শোনেনি, তার কথাই থাকে বেশি করে। জাগতিক বৈভবে নয়, হৃদয়ের ঐশ্বর্যে ঝলমল করে ও জীবনের সমস্ত যন্ত্রণাকে অতিক্রম করে যাওয়ার শক্তির খোঁজ ছিল শৈলেন ঘোষের লেখায়। সেই লেখা এক মুহূর্তের জন্যও নীতিকথা বা উপদেশ মনে হয়নি।
বাংলা শিশু-সাহিত্যের অন্যতম
কাণ্ডারি ছিলেন তিনি। প্রহরীর মতো শিশুদের মনের অলিগলির খোঁজ রাখতেই তিনি সদা ব্যস্ত থাকতেন। আপাদমস্তক শিশু-পাগল মানুষটি আবেগহীন সমাজকে এক নতুন জাগরণের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছেন আজীবন। শিশুদের ইঁদুরদৌড় প্রতিযোগিতায় সামিলের বদলে তাদের আত্মিক বিকাশকেই তিনি জোর দিতে চেয়েছেন। আর এই তাগিদেই তাদের মনকে প্রসারিত করতে, কল্পনাশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করতে, তাদের চরিত্রে এক স্থায়ী প্রভাবকে মুদ্রিত করতে এক গুরুদায়িত্ব বহন করে আজীবন ছোটদের জন্য লিখে গেলেন শৈলেন ঘোষ। তাঁর কাহিনিগুলোর মাধ্যমে তিনি ছোটদের মনে পুঁতে দিতে চাইতেন ‘ভালোত্বের বীজ’। কিন্তু কখনোই সেটা গুরুগম্ভীর হত না। বড়ো ভালোবাসার মায়ায় আচ্ছন্ন তাঁর গল্পগুলো। তাঁর গল্পে বারবার দেখা গেছে অনাথ বাচ্ছাদের গল্প, যারা ভালোবাসার কাঙাল। দেখা গেছে জীবজন্তুদের সাথে শিশুদের বন্ধুত্বের গল্প, আবার দেখা গেছে অদ্ভুত মজাদার ভূতের চরিত্রদের।
সাহিত্যিক শ্রী বুদ্ধদেব গুহ শিশু-সাহিত্যিক শ্যামাপ্রসাদ ঘোষকে একটি চিঠিতে একবার বলেছিলেন – ‘শৈলেনবাবুর মতো লেখকেরা আরও প্রচার পেলে, বহুল প্রচারিত কাগজে আরও লেখার সুযোগ পেলে সাহিত্য এবং সাহিত্য-পাঠকের উপকার হত, সাহিত্যিকেরও হয়তো হত। বাংলায় শিশু-সাহিত্যিকরা সত্যি মনে হয় প্রাপ্য মর্যাদাটা
পান না। প্রাপ্তবয়স্ক উপাদানে ভরপুর বেশ রসালো উপন্যাস না লিখলে আমজনতার ‘আহা আহা, কী বড়ো লেখক’ আদায় করা সত্যি
দুষ্কর।’ আর তাই শৈলেন ঘোষের পুরস্কারের ঝুলিতে একাডেমি পুরস্কার ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কার থাকা সত্ত্বেও যেন মনে হয় আমজনতার দ্বারা কোথায় যেন তিনি অবহেলিত। তবে এই ভেবে আশ্বস্ত হই যে আমার আপনার মতো মানুষ যাঁরা আজও শৈলেন ঘোষকে মনে রেখে তাঁর ওপর লেখা রাখছেন সংখ্যাতে, তাঁকে নিয়ে গোটা একটা সংখ্যা করছেন, তাঁকে নিয়ে স্মরণসভা করছেন বা নিদেনপক্ষে এই ধরণের লেখাগুলো যাঁরা লিখছেন বা পড়ছেন তাদের একবুক ভালোবাসাই বা কম কী?
২০১৬-এর অগস্টে পরলোকের পথে যাত্রা করলেন বাংলা রূপকথার এই জাদুকর। তাঁর চলে যাওয়া শিশু-সাহিত্য ও রূপকথা-সাহিত্যে যে শূন্যস্থান করে দিয়ে গেল তা অপূরণীয়।
শৈলেন ঘোষ গ্রন্থপঞ্জী
একটি সম্পূর্ণ গবেষণামূলক তথ্যপঞ্জী যা ভবিষ্যতের শিশু-সাহিত্যপ্রেমী ও শিশু-সাহিত্য গবেষকদের কথা ভেবে ও শ্রী শৈলেন ঘোষের কালজয়ী সবক’টি বইয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য একত্রিত করার প্রয়াস।
ক্রমিক সংখ্যা
|
গ্রন্থের নাম
|
গ্রন্থ প্রকাশক
|
প্রকাশ কাল
|
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ শিল্পী
|
১
|
টুই টুই
|
সাহিত্য বিতান
|
১৯৬২
|
বিমল দাস
|
২
|
মিতুল নামে পুতুলটি
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৬৪
|
বিমল দাস
|
৩
|
বাজনা
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৭০
|
বিমল দাস
|
৪
|
হুপ্পোকে নিয়ে গপ্পো
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৭৪
|
সুধীর মৈত্র
|
৫
|
আমার নাম টায়রা
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৭৫
|
সুবোধ দাশগুপ্ত
|
৬
|
আজব বাঘের আজগুবি
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৭৯
|
বিমল দাস
|
৭
|
জাদুর দেশে জগন্নাথ
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮১
|
বিমল দাস
|
৮
|
টোরা আর বাদশা
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮২
|
সুনীল শীল
|
৯
|
বাগডুম সিং
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯০
|
বিমল দাস
|
১০
|
স্বপ্নের জাদুকরী
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮১
|
শেখর রায়
|
১১
|
পিরামিডের দেশে
|
দেজ পাবলিশিং
|
১৯৮৮
|
গৌতম রায়
|
১২
|
আবু ও দস্যু সর্দার
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮৩
|
অরুন ঘোষ
|
১৩
|
খুদে যাযাবর ইসতাসি
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮৩
|
সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়
|
১৪
|
ইতিমিচিসাহেব
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮৪
|
শেখর রায়
|
১৫
|
দুঃসাহসী দুই বুড়ো
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮৫
|
সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়
|
১৬
|
মানুষ বলির জঙ্গলে
|
গ্রন্থমিত্র
|
২০১৩
|
পার্থপ্রতিম বিশ্বাস
|
১৭
|
কালা জুজু
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮৫
|
দেবাশীষ দেব
|
১৮
|
ভূতের নাম আক্কুশ
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮৬
|
প্রবীর সেন
|
১৯
|
হো বুড়োর খুদে বন্ধু
|
দেজ পাবলিশিং
|
১৯৮৮
|
গৌতম রায়
|
২০
|
বন সবুজের দ্বীপে
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮৭
|
বিমল দাস
|
২১
|
সোনালির দিন
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮৯
|
বিমল দাস
|
২২
|
গল্পের মিনারে পাখি
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৮৯
|
বিমল দাস
|
২৩
|
রাজা বাপ্পাহুহুর দাড়ি
|
দেজ পাবলিশিং
|
১৯৯০
|
গৌতম রায়
|
২৪
|
গল্পের ঝিলমিল
|
দেজ পাবলিশিং
|
১৯৯০
|
গৌতম রায়
|
২৫
|
নতুন দিনের নায়ক
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯০
|
বিমল দাস
|
২৬
|
সোনাঝরা গল্পের ইনকা
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯১
|
বিমল দাস
|
২৭
|
মা এক নির্ভীক সৈনিক
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯২
|
বিমল দাস
|
২৮
|
আজব ভেড়ার গল্প
|
দেজ পাবলিশিং
|
১৯৯৭
|
গৌতম রায়
|
২৯
|
নাচ রে ঘোড়া নাচ
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯৩
|
বিমল দাস
|
৩০
|
ভালবাসার ছোট্ট হরিণ
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯৪
|
সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়
|
৩১
|
মস্ত গল্পের ছোট্ট রোশন
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯৫
|
সুব্রত চৌধুরী
|
৩২
|
গল্প জুড়ে আলা
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯৬
|
সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়
|
৩৩
|
আলোর আকাশে ঈগল
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯৮
|
বিমল দাস
|
৩৪
|
কল্পলোকের গল্প এ নয়
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯৮
|
ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য্
|
৩৫
|
আয় বৃষ্টি রিমঝিম
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
১৯৯৯
|
নির্মলেন্দু মন্ডল
|
৩৬
|
গল্পের ভেলকি
|
কথা ও কাহিনী
|
১৯৯৯
|
জানা যায়নি
|
৩৭
|
খুদে নায়কের নামটি রুং
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
২০০০
|
অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়
|
৩৮
|
কালো ঘোড়ার সওয়ার
|
আনন্দ পাবলিশার্স
|
২০০১
|
নির্মলেন্দু মন্ডল
|
৩৯
|
ঝলমলে গল্পের চকমকে ছবি
|
সাহিত্য তারুণ্য
|
২০০১
|
সুব্রত চৌধুরী
|
৪০
|
এই গল্প সেই গল্প
|
সৃষ্টি প্রকাশন
|
২০০১
|
জানা যায়নি
|
৪১
|
কাক্কাবোক্কার নয় ছয় কান্ড
|
অভিজাত প্রকাশনী
|
২০০২
|
সিতাংশু ভট্টাচার্য
|
৪২
|
ছোটদের গল্প
|
শিশু সাহিত্য সংসদ
|
২০১০
|
অলয় ঘোষাল
|
পুনশ্চঃ আনন্দ পাবলিশার্স থেকে ২০০৭ সালে বেশ কিছু গল্প নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘গল্পসংগ্রহ’। পারুল প্রকাশনী থেকে ২০১০ থেকে ২০১৫-এর মধ্যে শৈলেন ঘোষের উপন্যাস সমগ্র প্রথম থেকে চতুর্থ খন্ডে মোট ২৪টি উপন্যাস গ্রন্থিত হয়েছে। বাকি ২০টি উপন্যাস এখনও সমগ্রভুক্ত হয়নি।
শৈলেন ঘোষের পুরস্কার তালিকা
১) সংগীত নাটক একাডেমি (১৯৬৩)
২) জাতীয় পুরস্কার (১৯৬৮)
৩) মৌমাছি পুরস্কার (১৯৮৬)
৪) মৌচাক পুরস্কার (১৯৮৮)
৫) নেহেরু ফেলোশিপ (১৯৮৯)
৬) বিদ্যাসাগর পুরস্কার (১৯৯৫)
৭) ভুবনেশ্বরী পদক (২০০১)
৮) অভিজ্ঞান পুরস্কার - পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি (২০০১)
৯) নিখিল ভারত বঙ্গসাহিত্য সম্মেলন (২০০১)
১০) পদ্মবিনানি পুরস্কার (২০১০)
১১) পারুল পুরস্কার (২০১৩)
এছাড়াও জীবনকৃতি সম্মাননা, সত্যেন্দ্র পুরস্কার, শৈবা পুরস্কার, তিতলি পত্রিকা প্রদত্ত দ্বিজেন্দ্রলাল পুরস্কার, চোখ সাহিত্য পুরস্কার, সাহিত্য তারুণ্য পুরস্কার ইত্যাদি।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ কথাকৃতি
_____
Darun laglo lekhata, boita kinte hoche! Jeta bolar hoito onyotro nischoi bola hoyeche, seta holo Sishurongon e Sailen Ghosh r bhumika!Seta niye du-ek kotha hole mondo hoto na!
ReplyDelete🙏🙏
DeleteKhub bhalo lekha. Lista khub bhalo hoyechhe.aro lekhar ashay roilam.
ReplyDeleteSir anar jonmo o bondo porichoy ta paoya jabe
ReplyDeleteসুন্দর লেখা
ReplyDeleteবেশ ভালো লাগলো।
ReplyDelete