মিনির জগৎ
সুজাতা চ্যাটার্জী
দুই পাশে সাদা মেঘ, উজ্জ্বল আলো,
হাওয়া দেয় ফুরফুরে, বেশ লাগে ভালো।
বাঁকা নদী কুল কুল, নিচ দিয়ে চলে,
কানে কানে প্রজাপতি, কত কী যে বলে।
মানা নেই, বাধা নেই, নেই কোনও ভয়,
হাসি দিয়ে সবকিছু করে নিতে জয়।
ছোটো মিনি উড়ে যায় আকাশের মাঝে,
ডানা মেলে, হাসি মুখে, পরিদের সাজে।
“এখনও হল না
পড়া, আরও আছে বাকি?
জানি বই খুলে
রেখে খালি দিস ফাঁকি।
তিনখানা গুণ
আর চারখানা ভাগে,
কারও বুঝি
কোনওদিন এত কাল লাগে?”
মা’র গলা ঝপ
করে কেটে ফেলে ডানা,
হাতে ওঠে
পেনসিল, সাথে বইখানা।
হিসেব
মেলাতে চায় হাতে গুনে গুনে,
কিছুতেই
নামতাটা পড়ছে না মনে!
আবার সামনে ভাসে পাহাড়ের সারি,
মাথায় বরফটুপি পরা ভারী ভারী।
চোখ ভরে দেখে মিনি বুঝে যায় বেশ,
পাহাড়ের পেছনেই পরিদের দেশ।
সেখানে নেই তো কোনও অঙ্কের বই,
সারাদিন হাসি খেলা, শুধু হইচই।
সারাদিন নাচে তারা, সারাদিন হাসে,
ওই দেশে যেতে মিনি বড়ো ভালবাসে।
উপায় নেই তো কোনও, সব পথ বাঁধা,
হিসেব গুলিয়ে যায়, সব লাগে ধাঁধা।
পাতা জোড়া গুণ-ভাগ, বলে এস কাছে,
তার সাথে ইতিহাস, বাংলাও আছে।
রোজ ভাবে মনে মনে, পড়া হলে শেষ,
উড়ে ঠিক চলে যাবে পরিদের দেশ।
কিন্তু পায় না ছুটি বইয়ের ফাঁকে,
_____
অলঙ্করণঃ সুমিত রায়
Besh valo....
ReplyDeleteThank u :)
ReplyDeleteBah! Besh bhalo laglo :)
ReplyDelete