গল্পের ম্যাজিক:: কুরূপকথা - চুমকি চট্টোপাধ্যায়


কুরূপকথা

চুমকি চট্টোপাধ্যায়

রাজা কেওন্দর রানি সুইনাতি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন আজ। দামতাকু রাজ্যে আজ আনন্দের বন্যা বয়ে যাবার কথা। কিন্তু কেমন থমথম করছে পুরো রাজ্যটা। কেন? কেন? মেয়ে হয়েছে বলে?
মোটেও না। বরং মেয়েদের আদরই তো বেশি দামতাকু রাজ্যে। তাহলে?
আসলে রাজকুমারী সুইন্দ্রি দেখতে কুৎসিত হয়েছে। এমনটাই খবর পেয়েছে রাজ্যবাসী। সকলের খুব মন খারাপ। কী পুরুষালি চেহারা রাজা কেওন্দরের! ঘন নীলের ওপর হলুদ ডোরা। পিঠের দৃঢ় পাখনা বুঝিয়ে দেয় কতটা শক্তি রাখেন মহারাজ। আর রানি সুইনাতি তো রূপের সাগর! হাল্কা হলুদের ওপর লাল সবুজ আর নীলের ছোপ অপরূপ করে তুলেছে রানিকে। সবথেকে আকর্ষণীয় রানির চোখদুটো। মাছেদের দুনিয়ায় অমন চোখ দেখাই যায় না। যেন মায়া গলে গলে পড়ছে। আর সত্যিই তো ভারী মায়া-দয়া রানিমার। আর রাজকুমারী কিনা ফ্যাটফেটে সাদা! কোনও রংই নেই আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত! ইস্, যে রাজ্যের সর্বত্র রঙ, সেখানে এমন নেই- রং কী ভীষণ বিশ্রী দেখায়। কী করে যে এমন হল!
দামতাকু রাজ্যের সব প্রজা মাছেদের যে কোনও বিপদ, অসুবিধা মন ঢেলে সমাধানের চেষ্টা করেন মহারাজ আর রানিমা। এই তো সেদিন হিংসুটে আটুপা চার চারটে বাচ্চামাছকে সুস্বাদু প্ল্যাঙ্কটন সুপ খাওয়াবার লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল নিজের এলাকায়। তারপর আস্তে আস্তে ওদের শুষে শুষে ছিবড়ে করে ফেলে দিত। এই এক আটপেয়ে উৎপাত।
ভাগ্যিস দ্রাগুম দেখতে পেয়েছিল। ছেলেটা আর কিছু করুক না করুক দিনরাত চরকিপাক মারে এদিক ওদিক। ওই তো দেখতে পেয়ে সুনামির গতিতে সাঁতরে ওদের বাড়িতে গিয়ে খবর দিয়েছিল। কান্নাকাটি পড়ে গিয়েছিল বাচ্চাগুলোর বাড়িতে। তখন দ্রাগুমই বুদ্ধি দিল রাজদরবারে গিয়ে জানাতে।
নালিশ পেয়েই মহারাজ তার তলোয়ার মাছবাহিনীকে খবর দেন। তারা এসে বেরিয়ে পড়ে উদ্ধার কাজে। কোন দিকে গেছে তার খবর দেয় ওল্ডবুট ক্র্যাব। সেই কোন কালে জাহাজডুবির ফলে পড়ে থাকা গামবুটের মধ্যে বাসা বেঁধেছিল এই কাঁকড়াদের কোনও এক পূর্বপুরুষ। ব্যস, সেই থেকে এদের নামই হয়ে গেছে ওল্ডবুট ক্র্যাব। খাঁজে-খোঁজে লুকিয়ে থাকলে কী হবে, পুরো গোয়েন্দা যাকে বলে! শেষ অবধি উদ্ধার হয়েছিল বাচ্চা চারটে।

গভীর সমুদ্রের যত নিচ অবধি মানুষ যেতে পারে তারও প্রায় দ্বিগুণ গভীরে এই দামতাকু রাজ্য। এক অদ্ভুত সুন্দর মাছেদের রাজ্য। কত কত প্রজাতির রঙিন মাছেরা মিলে অপরূপ এক রূপকথার রাজ্য তৈরি করেছে। রুকুর ভারী ভালো লাগে ওদের সঙ্গ। সময় পেলেই তাই পৌঁছে যায় দামতাকু রাজ্যে। ওখানে ওর সবথেকে প্রিয় বন্ধু লিয়া আর অবিগেল।
যেই রুকু ওর ট্যাব খুলে ‘ফিশ কিংডম’ খোলে, অমনি হাজির হয়ে যায় দামতাকুতে। কালই দেখেছিল রাজকন্যে সুইন্দ্রির জন্যে সবারই খুব চিন্তা, মনখারাপ। কিন্তু অনেক হোমওয়ার্ক থাকার জন্যে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি ওদের সঙ্গে। বন্ধ করে দিতে হয়েছিল ট্যাব। এখন আবার খুলতেই দেখল লিয়া চোখ গোল গোল করে ভাসছে ওর সামনে। এত ভালো লাগে কমলা সাদায় চকরাবকরা লিয়াকে। এরা ক্লাউনফিশ গোষ্ঠীর মাছ। খুব মিশুকে।
“কী ব্যাপার লিয়া? কিছু বলবে?
“হ্যাঁ রুকু। অনেককিছু বলব তোমাকে। আমাদের খুব মনখারাপ। তোমাকে একটু হেল্প করতে হবে।”
“মনখারাপ কেন? হেল্প? আমি? কীভাবে করব? আমি তো তোমাদের রাজ্যে থাকি না। আমি তো ডাঙার জীব।”
“সে তো আমি জানি। তার ব্যবস্থাও হয়ে যাবে। শুধু তোমাকে রাজি হতে হবে। তোমাদের হাত দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে তোমরা কত কত চমকে দেওয়া যন্ত্রপাতি বানাও আর আমাদের রাজকুমারীকে রঙিন করে দিতে পারবে না, তা হয় নাকি?
কেমন একটা ভয় ভয় লাগে রুকুর। কী ব্যবস্থা করবে ওরা? আর ওই বা কীভাবে সাহায্য করবে? জলের তলায় তো রংও ধরবে না রাজকুমারীর শরীরে। ধরলেও থাকবে না বেশিদিন। তাহলে?
আচ্ছা, মায়ের ফেব্রিক কালার দিয়ে রং করে দিলে হয় না? মা তো কাপড়ে কতরকম আঁকাআঁকি করে। কাচেও। কিন্তু রং নষ্ট হয় না। কিন্তু মাছেদের গা কেমন পিছল, তেলতেলে। রং মনে হয় ধরবেই না।
চিন্তায় ঘামতে শুরু করে রুকু। ইতিমধ্যে অবিগেল এসে হাজির। খুব চঞ্চল মাছ অবিগেল। স্থির থাকতেই পারে না।
“লিয়া, তুই এখানে? চল তাড়াতাড়ি!”
“এই তো যাচ্ছি রুকুকে নিয়ে। আমার পাখনাটা ধর রুকু,” কানকোর নিচের পাখনাটা বাড়িয়ে দেয় লিয়া। একরাশ কিন্তু নিয়েও পাখনা ধরে ফেলে রুকু। ঢুকে পড়ে অতল জলের রাজ্যে।
সাঁতার জানে না রুকু। তাও কেমন সুন্দর তরতর করে এগিয়ে চলেছে। সামনে লিয়া, পাশে অবিগেল। নিজেকে মার-ম্যান মনে হচ্ছে রুকুর। আরও অনেক রংবাহারি ছোটবড়ো মাছেরা চলেছে, যেদিকে ওরা যাচ্ছে সেদিকে। ওদিকেই তো রাজবাড়ি।
কী সুন্দর সাজানো রাজ্য! কত্ত রকমের গাছ। একরকমের গাছ দেখতে ঠিক সূর্যমুখীফুলের মতো। জিগ্যেস করতে অবিগেল চটপট বলল, “আরে, ওগুলো হচ্ছে হেলিয়ান্থাস। মাঝে যে হলদেটে অংশটা দেখছ, রাতে ওখানে আলো জ্বলে।”
আরও কত নাম বলে গেল নিমেষেএটা ক্রিপ্টোকরিন, ওটা লুডউইজিয়া, সেটা একিনোডোরাস। রুকুর দারুণ লাগল এন্টাকমিয়া কোরাল। চার রকমের রঙ ঠিকরে বেরচ্ছে ওটার গা থেকে। আর কতরকমের সুন্দর সুন্দর জিনিস দিয়ে সাজানো। দু’চোখ ভরে দেখতে দেখতে চলেছে রুকু। তিন-চারহাত দূরে দূরে স্টোন-ল্যান্টার্ন বসানো। মৃদু আলো জ্বলছে সেগুলোতে। জলের তলায় আলো? ফসফরাস জাতীয় কিছু হবে হয়তো। মনে মনে ভাবে রুকু। হঠাৎই চোখে পড়ে একটা সিন্দুকের ওপর বসে আছে মৎস্যকন্যা!
অবিগেল বুঝতে পেরেছে রুকু অবাক হচ্ছে ক্রমাগত। বলে উঠল, “ওহো, রোডি-মারমেডকে দেখে অবাক হচ্ছ? আমাদের পথ নির্দেশ করে। কাছে গেলেই বলে দেবে তুমি যেখানে যেতে চাও তার রাস্তা।”
বাহ! কী দারুণ ব্যবস্থা! কিন্তু এত চমৎকার দৃশ্যও মাঝেমধ্যেই রুকুর গায়ে কাঁটা তুলে দিচ্ছে, যেই ওর মনে পড়ছে কেন যাচ্ছে রাজদরবারে। দাদাই, বাঁচিও আমাকে। দাদাই এখন আর পৃথিবীতে নেই। কিন্তু রুকু জানে ওর সঙ্গে দাদাইয়ের আশীর্বাদ সবসময় আছে। দাদাইকে মনে করতে করতেই ওরা পৌঁছে গেল রাজদরবারে।
হঠাৎ রুকুর মনে হল মায়ের বিন্দির পাতাটা নিয়ে এলে হত। রাজকন্যা সুইন্দ্রির গায়ে একটা করে বিন্দি লাগিয়ে দিলে বেশ লাগত। এহে, ভুল হয়ে গেল! কিন্তু যদি ওই বিন্দির আঠায় রাজকন্যার কচি চামড়ায় ঘা হয়ে যায়? থাক বাবা। ওসবে কাজ নেই। অন্যকিছু ভাবতে হবে।
কী অপূর্ব পাথর, কোরাল আর বালি দিয়ে তৈরি প্রাসাদ। প্রধান ফটকে দু’পাশে বর্শা হাতে দাঁড়িয়ে বেশ ভয়ংকর দেখতে দুই বুড়ো। অবিগেল জানালো, ওরা নেপচুন ভাই। যমজ। রুকুকে দেখে বড় বড় চোখ করে দেখতে লাগল। লিয়া গিয়ে রুকুর আসার কারণ বলাতে অনুমতি দিল ভেতরে যাবার।
ওয়াও! এই শব্দটাই মুখ দিয়ে বেরোল রুকুর রাজদরবারে পৌঁছে। রাজা কেওন্দর ভাসছে একটা জেড পাথরের তৈরি অ্যাম্ফিথিয়েটারের আদলের একটা পাত্রে। মহারাজের মাথার কাছে অদ্ভুত দুটো পাখনা। অন্য মাছেদের ওটা নেই। মাছ হলে কী হবে, কী ডিগনিটি! এই শব্দের বাংলাটা জানা নেই রুকুর। পড়ে তো কনভেন্ট স্কুলে। বাড়িতে বাবা মার চাপে বাংলা বই পড়তেই হয় একটু আধটু। কিন্তু সবে তো সিক্স। আর একটু উঁচুতে উঠলে হয়তো আরও বেশি বাংলা শব্দ মনে থাকবে। ব্রেনটাও তো বাড়বে! ওহো! কীসব ভাবছি এখন। আগে এদের মন কী করে খুশি করা যায় দেখি।
রানি সুইনাতি তো অপূর্ব দেখতে। এত সুন্দর মাছ রুকু খুব কমই দেখেছে। রানি ভাসছে একটা কাঠের ইউ শেপের পাত্রে। রানির পিঠজুড়ে ছোট ছোট অজস্র ফিনফিনে পাখনা। সেগুলোতে ঢেউ খেলছে অনবরত। আর রাজা-রানির মাঝখানে?
মাঝখানে রাখা ক্রিস্টালের ছোট্ট গোল বল। স্বচ্ছ ক্রিস্টালের মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছে ধবধবে সাদা রাজকন্যা সুইন্দ্রিকে। কী দারুণ সাদা! আর চোখদুটো ঘন সবুজ। রুকুর চোখ জুড়িয়ে গেল সুইন্দ্রির রূপ দেখে। একে ওরা কুৎসিত বলছে! কী কান্ড! মগজের স্নায়ুকোষগুলো হঠাৎই অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে রুকুর। সমাধানের একটা পথ খুঁজে পায় ও। দেখা যাক প্ল্যানটা খাটে কিনা।
লিয়ার পাখনা এতক্ষণ ধরেছিল রুকু। রাজা কেওন্দরের সামনে এসে দু’বার ডিগবাজি খায় লিয়া। এভাবেই মহারাজাকে সম্মান জানায় মাছ-প্রজারা। তার আগে অবশ্য হাত ছেড়ে দিয়েছিল রুকু। কারণ, এখন দাঁড়িয়ে পড়েছে। রুকু দু’হাত জড়ো করে নমস্কার জানায় মহারাজকে।
মহারাজ এগিয়ে আসে। রুকুর একেবারে কাছে এসে বলে, “আপনি আমার কন্যার রংয়ের কিছু করুন নাহলে ওর ভবিষ্যৎ অন্ধকার।”
লিয়া আর অবিগেল বলল, “আপনিই পারবেন সমাধান করতে।”
ইতিমধ্যে রানি সুইনাতিও এসে গেছে সামনে। ওর মায়াচোখে জল।
“আমাকে আপনি বলবেন না প্লিজ। আমি চেষ্টা করে দেখি কিছু করতে পারি কি না। আমার কিছু রঙের দরকার। পাব তো?
“অবশ্যই পাবে। বল, তোমার কী কী রঙ দরকার।”
“আমার দরকার পঞ্চাশ ফোঁটা করে বেগুনি, ঘন নীল, হাল্কা নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল। আর চাই একটা পাত্র।”
“তোমরা সকলে শুনলে তো আমার সম্মানীয় অতিথির কী কী রঙ লাগবে? জলদি ব্যবস্থা কর
হুলস্থুল পড়ে যায় মাছেদের মধ্যে।
সুন্দর কাচের একটা ডিম্বাকৃতি পাত্র এসে গেল। কোথা থেকে মাকড়সাকৃতি একধরনের ফুল এসে নিজেকে নিংড়ে দিয়ে গেল পঞ্চাশ ফোঁটা বেগুনি রঙ। এভাবেই পরপর এল ঘন নীল তারামাছ, হাল্কা নীল কোরাল; ওয়াইল্ড লিলি আর হার্টফিনগাছ থেকে কমলা আর হলুদ রঙ নিয়ে আসে একদল মাছ। বাকোপাগাছ থেকে পাওয়া যায় লাল রঙ। আর সবুজ রঙ দেবার জন্যে তো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অজস্র গাছ দিতে চায় সবুজ রঙ। শেষে মহারাজ বেছে নেয় জাভা মসকে। সব রঙ পঞ্চাশ ফোঁটা করে জমা পড়ে সেই পাত্রে।
“মাননীয় মহারাজ, আপনার সামনেই সাতটা রঙ জমা পড়েছে এই পাত্রে। এবার এসে দেখুন তো কী রং দাঁড়াল এই রংগুলো মিশে!
রাজা কেওন্দর আস্তে আস্তে এগিয়ে এসে দেখেন এবং বিস্মিত হয়ে জিগ্যেস করেন, “এটা কী হল!”
এরপর রানিমা এবং সব মাছেরা লাইন দিয়ে এসে দেখতে থাকল এবং বিস্ময় প্রকাশ করল। কারণ, পাত্রে তখন খেলা করছে সাদা রঙ। সকলেরই প্রশ্ন, “কী করে হল এমনটা?
“আমি বলছি আসলে সাদা রঙ হচ্ছে সাত রঙের মিশ্রণ। সাতটা রঙ মিশেই তৈরি হয় সাদা। তাই রাজকুমারি সুইন্দ্রি সাত রঙ মেশানো রঙ নিয়ে জন্মেছে। ওর রঙ অমূল্য। বদলাবার কোনই প্রয়োজন নেই। বরং এই রঙ নিয়ে যারা জন্মাবে তাদের বিশেষ সম্মান দেওয়া হোক।”
চোখের সামনে সবাই দেখেছে সাদা রঙের জন্মবৃত্তান্ত। তাই ধন্য ধন্য করল সবাই।
রাজা কেওন্দর রানি সুইনাতি রুকুকে কী বলে ধন্যবাদ জানাবে ভেবে পেল না। রুকুর হাতে দিল একটা আট আনা সাইজের মুক্তো মুক্তো মাত্র দুটোই আছে জলরাজ্যে। তার একটা পেল রুকু। অন্য সকলেও যে কত কত ভালোবাসা জানাল রুকুকে, তার ইয়ত্তা নেই।
সবাইকে বিদায় জানিয়ে রুকু লিয়াকে বলল, “এবার যেতে হবে।”
লিয়া আর অবিগেল দু’বার ডিগবাজি খেল রুকুর সামনে।

“কী রে, ট্যাবটা বুকের ওপর নিয়ে ঘুমোচ্ছিস কেন? উফ্, এত খেলার নেশা!”
মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙে রুকুর। উঠে বসে ভাবতে থাকে কি স্বপ্ন দেখছিল? কিন্তু কী সুন্দর গোছানো স্বপ্ন! ট্যাবটা বন্ধ করতে গিয়ে দেখল ছোট্ট সুইন্দ্রি ভাসছে জলে। রুকুকে দেখতে পেয়েই ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলে চলে গেল। ট্যাব বন্ধ করে খাট থেকে নামতেই কী যেন পড়ল মাটিতে! নীচু হয়ে কুড়িয়ে নিল রুকু। একটা আট আনা সাইজের মুক্তো
_____
অলঙ্করণঃ স্যমন্তক চট্টোপাধ্যায়

6 comments: