অপরূপকথা
ঈশানী রায়চৌধুরী
(এক)
আজকে আকাশের মন ভালো ছিল। ইষ্টিকুটুমরা এসেছিল যে! সাদা, গোলাপি ফুরফুরে লেস বসানো গাউন পরা মেমসাহেব মেঘেরা, সঙ্গে ছাইরং কোট-প্যান্ট পরে দুটো হোঁতকামতো সাহেব মেঘ। আজ অবশ্য চিড়িক চিড়িক ওই ক্যাটক্যাটে হলুদরঙের বিদ্যুৎ ব্র্যান্ডের টাই পরেনি, কী ভাগ্যিস! খুদে খুদে ফুটফুটে সাদা কয়েকটা কচি মেঘও গুটগুট করে এসেছিল বেড়াতে! আরে, আমি তো প্রথমে বুঝতেই পারিনি। হঠাৎ শুনি ওদিকের সোনাঝুরিগাছে কিচিরমিচির। প্রথমে ভাবলাম পাশের বাড়ির বজ্জাত হুলোটা নির্ঘাত গাছ থেকে টুপ করে খসে পড়া কাঠবিড়ালি বা পাখির বাচ্চার গায়ে থাবা মেরেছে। দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি, ওমা, গাছের
চিকন সবুজপাতার ফাঁকে ফাঁকে মিঠে রোদ্দুরের সোনালি রুপোলি টুনি বাতি, পাখিদের দেখা যাচ্ছে না। ওরা স্টেজ রিহার্সাল দিচ্ছে। সন্ধেবেলা নাকি আকাশের মেয়ের পাকা দেখা। কী যে মিষ্টি মেয়ে হয়েছে না বৃষ্টিটা! শুধু একটু বাপসোহাগী বেশি। যখন তখন চোখে জল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “পাত্রটি কে? দেখো বাপু, ও পাড়ার গঙ্গারাম নয় তো?” যা শুনলাম, মনটাই খুশি হয়ে গেল। পাত্রটি সুন্দর, ছিপছিপে, এমনিতে লাজুক, কিন্তু বাইরে বেরোলে দিব্যি স্মার্ট! নামটিও খাসা। রামধনু। যাক বাবা, ওকে খুব যত্নে, ভালোবাসায় রাখবে। দরকারমতো চোখে চোখে, যাতে বিপদ-আপদ না হয়। সব্বাই খুব খুশি। আমি তো বটেই! বৃষ্টিও কেমন চোখের পাতায় রঙিন আলো মেখে হাসছে! ওই আলোই তো রামধনু!
পাকা দেখা আর বিয়ের মধ্যে মাত্রই তো ক’টা দিন। আকাশের বাড়িতে খুব হইচই। মেয়ের বিয়ে বলে কথা। এমনিতেই বলে, লাখ কথার কমে বিয়ে হয় না। নতুন শপিং মল হয়েছে, কী ভাগ্যিস! স্পেশাল অর্ডার দিয়ে বিয়ের বেনারসী, সারা জমিতে ছোট্ট ছোট্ট তারাদের ভিড়। আর কী সুন্দর মাঝরাতের মতো ঘন নীল জমি! বৃষ্টিকে খুব মানাবে। বরের জোড় কেনা হয়েছে দারুণ! হালকা নীলচে ধূসর মেঘরঙের রেশমি জমিতে রুপোলি আলোর পাড় বসানো। গোধূলিমাসি কী সুন্দর একটা হালকা ফিনফিনে গোলাপি ওড়না দিয়েছে! ভোরের সুয্যিমামা বলেছে লাল টুকটুকে টিপটি পরাবে সে নিজে! আর্ট কলেজের পাশ করা ছোঁড়া। চালাকি নয়! সোনার গয়নাই কী কম? সব দেবে রোদ্দুর স্যাকরা। নিজের হাতে তৈরি করেছে - যেমনি ঝিলিক, তেমনি পালিশ! বৃষ্টির পায়ে রুপোলি নূপুর। ওই যেখানে দিগন্তে আকাশের বাড়ি আর সাগরের উঠোন পাশাপাশি, ওইখানে গিয়েছিল বৃষ্টি আইবুড়ো ভাত খেতে। সাগরগিন্নি নিজের হাতে বৃষ্টির পায়ে ঢেউয়ের নূপুর পরিয়ে দিয়েছে আহ্লাদ করে।
সাজগোজ সারা। গায়ে হলুদ হয়ে গেছে। সোহাগজল মাপছে বৃষ্টি। টুলটুলে মুখটি নিচু। বৃষ্টির তো সেই কোন ছোটোবেলা থেকেই মা নেই। চাঁদের বুড়ি মানুষ করেছে ওকে। বুড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে মুখ শুকনো করে। বৃষ্টির এক দাদা আছে অবশ্য। বিদ্যুৎ। ফ্যাশন ডিজাইনার। উল্কা নিতকনে, ওদিকে ধুমকেতু নিতবর। বরকর্তা কালপুরুষ নিজে। ব্যাটা ঝড় কেমন বরযাত্রী হয়ে হামবড়াই ভাব দেখাচ্ছে দ্যাখো! যত্তসব! শুকতারা আর সন্ধ্যাতারা বৃষ্টির দুই মাসি। তারা তো নিঃশ্বাস ফেলার ফুরসত পাচ্ছে না! বৃহস্পতি নিজে বিয়ে দেবেন। আকাশের সকাল থেকে মুখ ভার! মেয়ে তো ফাঁক পেলেই ঝিরঝিরিয়ে কান্নাকাটি!
যাক, ভালোয় ভালোয় চার হাত এক হয়ে গেল! সবাই খুশি। তেমন কোনও বিঘ্ন হয়নি। শুধু মাঝে বরের বাড়ির নাপিত,
বাজ আর ওর ওই টুকটাক চাপানউতোর। তা অমন একটু
আধটু কাজের বাড়িতে হয়েই থাকে।
বৃষ্টি যাবে শ্বশুরবাড়ি। আজ। সকলের মুখ ভার, চোখ ছলছল। বৃষ্টি তো এক্কেবারে হাপুসনয়নে চালিয়ে যাচ্ছে। রামধনুর মুখে মিটমিটে হাসি।
বৃষ্টির বৌভাত। খুব সেজেছে আজ। ওমা, গোধূলির কাণ্ড দ্যাখো! কনের ঘরের মাসি যে আজ বরের ঘরের পিসি গো! বৃষ্টিকে পরিপাটি করে সাজিয়ে পরিয়েছে খুব হালকা সোনালি গোলাপি মেশানো চান্দেরী শাড়ি। হালকা সোনার গয়না। রোদ্দুর যা সুন্দর ফিলিগ্রির গয়না বানিয়ে দিয়েছে! বৃষ্টির সারা শরীর ঝিলমিল করছে। আজ আর বৃষ্টির চোখে জল নেই তো! জল শুকিয়ে কেমন চিকচিকে চোখ! রামধনু এসে হাসিমুখে হাতদু’টি ধরল বৃষ্টির। বৃষ্টি চোখ নামাল, মুখ লুকোলো বিকেল ফুরিয়ে আসা আলোর ঘোমটার আড়ালে।
(দুই)
অনেকদিন আগে সেই যে গল্প করছিলাম, আকাশের মেয়ের বিয়ের, মনে আছে? বৃষ্টি তো বিয়ের ক’দিন পরেই ওর বর রামধনুর হাত ধরে হাসিমুখে চলে গেল বেড়াতে। শুনেছিলাম নাকি আকাশের আর রামধনুর বাড়ি থেকে ঝেঁটিয়ে লোকজন গিয়েছিল ওদের রওনা করে দিতে। তা এতদিন বাদে সেদিন আচমকা জানালার শার্সিতে টুকটুক টোকা শুনে পর্দা সরিয়ে দেখি, বৃষ্টি এসেছে। উফ, কতদিন পর! আমি আহ্লাদে আটখানা হয়ে জানালা দরজা সব হাট করে খুলে দিয়ে দু’হাত বাড়িয়ে বললাম, “আয় আয়। কেমন আছিস তুই?”
লাজুক চোখে ঝমরঝমর করে গয়না পরে শরীর জুড়ে হিল্লোল ছড়িয়ে ঘরে ঢুকে এল বৃষ্টি। আমি জড়িয়ে ধরলাম ওকে। আমার সমস্ত শরীর মন জুড়েও অবিরল ধারাস্নান।
“তোদের বেড়ানোর গল্প বল।”
“বলব বলেই তো এলাম। ফিরেছি ক’দিন আগেই। কিন্তু এত কাজ এতদিকে বাকি! সবাই ডাকছে নেমন্তন্ন খেতে। সব জায়গায় হাজিরা দিতে দিতে এদিকপানে আসাই হয়নি।”
এবার বৃষ্টির বেড়ানোর গল্প, বৃষ্টির
জবানিতে...
“আমরা কোথায় গিয়েছিলাম জান? সে এক অদ্ভুত সুন্দর, নিঝঝুম, নির্জন জায়গা। জোছনাগড়। আমরা তো নামই শুনিনি। আমার আয়ী-মা, চাঁদের বুড়ি, ও সুলুকসন্ধান দিয়েছিল। সে অনেকটা দূরের পথ। মেঘ বলল, আমাদের যাবার ব্যবস্থা করে দেবে। ওর একটা বড়ো দুধসাদা রথ আছে, তাতে। রাস্তাটা অবশ্য মন্দ না। ছায়া ছায়া, ছায়াপথ। কী যে সুন্দর, তোমায় কেমন করে বোঝাই! আমরা ভাসতে ভাসতে সাদারঙের ভেলায় চেপে পৌঁছে গেলাম জোছনাগড়ে। ওখানে একটা খরগোশ আছে। কী বলব তোমায়, আমি এমন হাসি হাসি মুখের তিড়িংবিড়িং দরওয়ান জন্মে দেখিনি। ও-ই ঘরদোর খুলে দিল। খাসা সাজানো গোছানো। বাংলো টাইপ। লাল টুকটুকে টালির ছাদ, কাঠের দেওয়াল, কাঠের মেঝে
- ঠিক ওই পাহাড়ি জায়গার ছবির মতো বাড়িগুলো যেমন। চারদিকে ফুলের বাগান, ঝর্না, ঝুপসি গাছ। রাত বাড়লেই অন্ধকারের রং তাই কেমন সবুজ হয়ে যায়! শুধু টিমটিমিয়ে ধোঁয়া ধোঁয়া আলো জ্বলে বাংলো বাড়িতে।
“আমি তো এমন জায়গায় আসিইনি কক্ষনও। আমরা যে ক’দিন ছিলাম, খুব ঘুরে বেরিয়েছি। দিনের বেলাটা কেমন অদ্ভুত। বাইরে বেরোলে অন্যরকম। অত আলো আমার ভালো লাগে না। বাবা এমন আগলে রেখেছিল আমাকে, এমন গার্জেনি ওই মেঘদাদাদের, জানই তো, একা একা একটু বেরোবার হুকুম ছিল না কোথাও। সবসময়েই পাহারা দিয়ে নিয়ে যেত তো সব জায়গায়। তাই একা চলার অভ্যেসটি তো কবেই ফুরুত! তবে রামধনু অনেক ভালো। আমার ওপর অত খবরদারি করে না। আমায় বলে, ‘যাও, তুমি একাই যাও, নিজের মনে ঘুরে বেড়াও, সবার সঙ্গে ভাব কর। চিন্তা কোরো না, আমি আছি তো! তোমার পিছু পিছু। তুমি ফিরে না তাকালেও জানবে, আমি তোমার সঙ্গেই আছি।’
“খুব মজা করেছি, জান! একা একা, অথচ জানি একা নই। অনেক অনেক ছবিও তুলেছি দুজনে। আমার একার ছবি, ওর একার ছবি। আমাদের দুজনের ছবিও তুলে দিয়েছে
খরগোশটা।
“আশেপাশে বেড়ানোর জায়গা যে কত! সব আলাদা আলাদা মজার মজার বাড়ি। কেউ সাদা, কেউ নীল, কেউ ছাইরং। ওই বাড়িগুলো কাদের জান? আমার মেঘদাদাদের। আমি তো জানতাম না, ওরা ওখানেই ছুটি কাটাতে আসে। এবার এসে খুব ঝগড়া করেছি। কেন আমায় বলেনি? আমি ঠিক করেছি, এখন তো আমার বিয়ে হয়ে গেছে, আমি সাবালিকা, আমার ইচ্ছে হলেই ওদের বাড়ি বেড়াতে চলে যাব!”
আমি হাঁ করে ওর গল্প শুনছিলাম। বৃষ্টি ছটফটিয়ে উঠে বলল, “দ্যাখো কান্ড, কতক্ষণ এসেছি! খেয়ালই ছিল না। এবারে যাই, বুঝলে? আবার আসব। আর এবারে আসব যখন, তোমার কাছে, আমরা জোড়ে আসব। নেমন্তন্ন করবে না?”
আমি চোখে জল, মুখে হাসি আর বুকভরা অনেক আদর নিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম, “আমার এখানে তো তোদের রোজই নেমন্তন্ন রে! যেদিন খুশি, যেভাবে খুশি, যখন খুশি, যেমন খুশি!”
(তিন)
আবার বৃষ্টি ডুব মেরেছে! কতদিন হয়ে গেল মেয়েটা সেভাবে ছটফটিয়ে এসে হানা দেয় না আমার ঘরে! সত্যি! এত করে বলেছিলাম, “মাঝে মাঝে আয়, নইলে আমার বড্ড মন কেমন করে।” তা কে শোনে কার কথা! আকাশের মুখটাও দেখছি ক’দিন ধরে একটু ভার ভার। আমার ওকে একটু ভয় ভয়ই করে বাপু। কখন যে বিগড়ে যায়! চাঁদের বুড়িটাকেও বড়ো একটা দেখছি না। দেখি, যদি গোধূলির কাছে কোনও খবর পাই!
কাল সন্ধেবেলা হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। অল্প অল্প চাঁদের আলো ছিল। আমি চটি খুলে মখমল ঘাসে যেই না পা ডুবিয়েছি, অমনি শুনি ‘টুকি’। দেখি বৃষ্টি এসে পড়েছে গায়ের ওপর। বৃষ্টি তো সেই ছোট্টটি থেকেই এমনটি। কখনও পা টিপে টিপে আসে, কখনও বা দৌড়ে, হরিণ
পায়ে। এই ছোটো ছেলেপুলের সঙ্গে হইহই করছে, আবার পরমুহূর্তেই হঠাৎ করে গিয়ে ছাদে শুকোতে দেওয়া কাপড়, বড়ি, আমসত্ত্ব
ঝুপঝুপিয়ে জল ঢেলে সৃষ্টিনাশ করে দিল। বকাবকির উপায় নেই। রাগ করে ঠোঁট ফুলিয়ে হয়তো ক’মাস গোঁসাঘরে খিল! সে এক উল্টো বিপত্তি! আমি তাই কিচ্ছুটি বলি না বাবা। ও অভিমানে দূরে সরে থাকলে আমিই কি আর ভালো থাকি ছাই?
“ও মা, হঠাৎ করে তুই যে? বুঝতে পারিনি তো! এমন করে চমকে দিতে আছে?”
বৃষ্টির পিছুপিছু চাঁদের বুড়ি, খুনখুনে, লাঠি হাতে। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, “ওই কথা মেয়েকে বলে কে! কতবার
বলেছি ভর সন্ধেবেলায় একা একা হুট করে আসবি না। তা একটা কথায় কান দেয় আমার? চুল এলো করে, মল বাজিয়ে ঘুরে বেড়ানো!”
তা বটে! কী সুন্দরী যে হয়েছে ও! আমার বুকের মধ্যেও বৃষ্টি পড়ছিল। অঝোরে।
“এখন থাকবি ক’দিন?”
আমার মুখের কথা খসতে না খসতে বুড়ি হাত পা নেড়ে বলে উঠল, “ওমা, কথা শোনো, ক’দিন কী গো ভালোমানুষের মেয়ে? ও এখন লম্বা ছুটিতে এসেছে! আর একাও আসেনি। সঙ্গে এইটুকুনি চাঁদপানা খুকিও এসেছে।”
বৃষ্টির গালদু’টি গোলাপি, চোখে আঁচল।
আমি ওর চিবুক ছুঁয়ে চোখ নাচালাম, “কী রে?”
চাঁদের বুড়ি ফোকলা মুখে হেসে বলে কিনা, “ঘর যে ভরে উঠেছে গো! দাদুর তো চোখে ঘুমটি নেই আর। সারাক্ষণ হাঁকডাক। বাব্বা, যেন রাজকন্যে এসেছে! খোকাখুকু যেন আর কারও হয় না!”
আমি বললাম, “আর রামধনু? সে আসেনি?”
বুড়ি বলল, “সে হতভাগা তো বেপাত্তা। বৌটাকে কচি বাচ্চা সমেত দিব্যি এখানে পাঠিয়ে দিয়ে কোন মুল্লুকে কাজে গেছে! আর বৃষ্টির বাপ তো চারিদিকে পেয়াদা সেপাই লোক লস্কর... এমন হুজ্জুতি
বাধিয়ে দিয়েছে... উফ, যাতে পান থেকে চুনটিও না খসে! দেখছ না, চতুর্দিকে মেঘব্যাটাদের
কী হম্বিতম্বি!”
বৃষ্টি এতক্ষণে লজ্জা কাটিয়ে উঠেছে। চোখ ঘুরিয়ে কপট শাসনে বুড়িকে বলল, “আহ্, হাজারবার বলেছি না, রাজপুত্তুর রাজকন্যে এসব বলবে না! তোমার যত ভীমরতি! অত সুন্দর নাম দিয়েছি একটা, তা নয়!”
আমি আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেলাম, “ও মা, নাম দিয়েছিস খুকির? কী নাম, শুনি একটিবার?”
বৃষ্টির মুখে প্রতিমার মতো মাখামাখি বাৎসল্য আর চাপা গর্বের ঘামতেল। অস্ফুটে বলল, “রূপকথা।”
_____
অলঙ্করণঃ মঞ্জিমা মল্লিক
ঈশানীর লেখার স্টাইলের মধ্যে একটা শিশুসুলভ সারল্য জড়িয়ে থাকে, বেশ একটা লীলা মজুমদার- সুখলতা রাও ভাব। পাণ্ডিত্য ফলানোর ব্যাপারটা না থাকাতে আমার মত শিশুরও গল্পটা বেশ ভাল লেগেছে, আশা করি সব বয়সের শিশুরা এটা উপভোগ করবে।
ReplyDeleteঅপরুপকথা পড়লাম। তোমার গদ্যশৈলী আমাকে মুগ্ধ করে। আমি বাংলার মাস্টারমশাই হলে তোমার বই অবশ্যপাঠ্য করতাম। যেমন আমার ইংরাজি ক্লাসেJim Corbett অবশ্যপাঠ্য।
ReplyDelete