না মানুষী রূপকথা
সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী
কালকে রাতে স্বপ্নে দেখি হাড়ের পাহাড়
আয়েশ করে দিচ্ছি কামড় যথেচ্ছ তায়
কেলো ভুলু সবাই মিলে সারছি আহার
মারছে না কেউ লাঠির বাড়ি অবাধ্যতায়।
সারমেয় সংঘ জাগায় ‘কুকুরতা’,
রাতদুপুরে একসাথে গাই তিলক কামোদ,
আনন্দেতে নাড়তে যে ল্যাজ হচ্ছে ব্যথা
সমস্বরে ঘেউ ঘেউতেই জানাই আমোদ।
এই যে দেখ আমার প্যারাশ্যুট,
কচুপাতার ডাঁটি চেপে ধরে,
খাঁটি আকাশযানের মজা লুট,
হাওয়া দিলেই সুড়ুৎ করে ওড়ে।
বলতে কি আর পারবে কুয়োর ব্যাঙ গো?
সাতসাগরের দেশে দেব পাড়ি,
ভুলেও কেউ আর করবে না কো ব্যঙ্গ!
ছাড়ব এবার পচা ডোবার বাড়ি।
চল হ্যাট হ্যাট সামনে বাড়ো ভাইয়ো
এই চেপেছি আমার বাহনটায়
ঘোড়া কেনার পয়সা তো আর নাইও
ছাগল দিয়েও কাম চালানো দায়।
সামনে এলে লম্বা গাছের ডাল
লাফিয়ে পেড়ে খাওয়াব পেট ভরে
কিন্তু যদি দেখাস রে বেচাল
মুচড়িয়ে ল্যাজ করবই দূর তোরে।
দানাপানি
খাইয়েছ একগাদা
এখন আমায়
করবে তবে রোস্ট?
আচ্ছা গেরোয়
ফাঁসিয়ে দিলে দাদা
ভয়েতে আজ
মরেছি অলমোস্ট।
স্বর্ণডিম্ব
পাড়লে পরে রোজ
এক পা তুলে
দিতাম শুধু তা
আয়েশ করে
জমতো ভুরিভোজ,
বাঁচতো রে
হায় মুর্গি জীবনটা।
_____
অলঙ্করণঃ
সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী
ভীষণ মিষ্টি লেখা ...
ReplyDeleteHahaha
ReplyDelete