ছড়া-কবিতা:: পুকুর পাড়ের ছবি - তরুণকুমার সরখেল


পুকুর পাড়ের ছবি
তরুণকুমার সরখেল

ছায়া-ঘেরা এই পুকুরের পাড়ে বসে,
দেখছি কীভাবে গাছ থেকে পাতা খসে।
বাঁশপাতা মাছ ডিগবাজি দেয় জলে,
বাতাস কীভাবে চুপিচুপি কথা বলে।

দক্ষিণী-হাওয়া নেচে নেচে এসে পড়ে,
ঝিল্ মিল্ জলে ছোট ছোট ঢেউ গড়ে।
ঢেউগুলো এসে পপাত ধরণিতলে—
বালি মাখে আর ঝুরে ঝুরে যায় গলে।

কাদা মেখে ব্যাঙ জানালো সেও তো আছে,
জল ছুঁই ছুঁই তিনটে ফড়িং-ও নাচে—
ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা চলছে সমান তালে।
এককোণে হারু মাছ ধরে ছেঁড়া জালে।

সুলোচনামাসি হাঁসগুলো নিতে এসে,
এতবড় ছবি খান্ খান্ হল শেষে।
বাঁশপাতা মাছ কোথায় লুকালো দূরে,
তিনটে ফড়িং-ই মিশে গেল রোদ্দুরে !
________
ছবি – সুজাতা চ্যাটার্জী

3 comments:

  1. ভীষণ সুন্দর চিত্র।

    দুটো নালিশ আছে তবুও। এক, "সুলোচনামাসি হাঁসগুলো নিতে এসে এতবড় ছবি খানখান হল শেষে" বাক্যটার অর্থ হচ্ছে না, কেননা বাক্যটিতে সুলোচনামাসি সাবজেক্ট আবার এতবড় ছবিও সাবজেক্ট কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো কনজাংশন নেই। অর্থ হতো যদি ওটা "এসে"-র বদলে "এলে" অথবা "এলো" হতো। কিন্তু তাহলে অন্ত্যমিলে আটকে যাচ্ছে।
    দুই, বসে/খসে আর তলে/গলে সুচারু অন্ত্যমিল নয়, কেননা এখানে যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে এরা, তাতে বসে-এ উচ্চারণ বোসে, তার সঙ্গে খসে মেলেনা। তেমনি গলে-র উচ্চারণ গোলে, তার সঙ্গে তলে মেলেনা।

    তবে এগুলো নিরীহ নালিশ। ছড়াটার মধ্যে যে ছবিটা আছে, তা দুর্ধর্ষ।

    ReplyDelete
  2. ধন্যবাদ। খুব চুলচেরা আলোচনা করেছেন আপনি। আমার লেখাটিকে এতটা গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেছেন এতে আমি অভিভূত। আপনার পরামর্শ আগা্মী দিনে আমার কাজে লাগবে। ভালো থাকবেন। নমস্কার জানাই।

    ReplyDelete
  3. ছড়াটি পড়লাম ভালো লাগল।
    অম্লান বসু। দেশবন্ধু রোড, পুরুলিয়া।

    ReplyDelete