গল্পের ম্যাজিক:: সেই চোখ - সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়

সেই চোখ
সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়

গ্রামটা ছিল প্রায় বিহারের সীমানা লাগোয়া। দেশের স্বাধীনতা আসতে তখন আরও বেশ কয়েক বছর বাকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গোলযোগে সবাই অস্থির। গাঁয়ের ভুবন কবিরাজের ছেলে গুপী অর্থাৎ গোপীমোহন সেবার তার দ্বিতীয় ম্যাট্রিক প্রচেষ্টাতেও আগের বারের ফলই ধরে রাখতে পেরেছিলতাতে অবশ্য ছোঁড়ার নানাবিধ উৎসাহের কোন ঘাটতি পড়েনি বাগাড়ম্বরে সে এমনিতেই ছিল সিদ্ধহস্ত। একটা নমুনা দিই, গাঁয়ের হেমনলিনী স্মৃতি পাঠাগারের পুজোর ম্যাগাজিনে একবার ওর লেখা একটা গল্প ছেপে বেরোয়গপ্পোটা ছিল কানাই নামে এক গরীব ছেলেকে নিয়ে যে গুপ্তধন পেয়ে বড়লোক হয়ে যায়। খুবই সাধারণ প্লট। প্রধান সম্পাদক মাখনবাবু আবার শ্রীজীব বিদ্যানিধি উচ্চ বিদ্যালয় মানে গুপীর ইস্কুলেরই বাংলার শিক্ষক তা লেখাটা পড়ে তিনি এর স্থান দেবার জন্য একটা জায়গাই বেছেছিলেন, ডাস্টবিনপরে নাকি অনেককে বলে কয়ে লেখাটা অবশেষে ছেপে বেরোয়কিন্তু তারপর ছোঁড়ার সে কি হাবভাব!! একদিন ক্লাবের ছোট ছোট বাচ্চাদের সামনে সে গম্ভীরভাবে বক্তৃতা পেশ করল। “ধর গিয়ে চার্লস ডিকেন্স, শরৎবাবু বা আমি এই যারা গরীবদের জীবন নিয়ে লিখেছি ... ” ইত্যাদি ইত্যাদি এহেন গুপী, যার কথার মধ্যে অত্যুক্তি অলঙ্কারের অভাব নিয়ে শত্রুও কোনও অভিযোগ করতে পারবে না, সেবার এক কাণ্ড ঘটাল।      
 সময়টা তখন বেশ টালমাটালনানা আভাসে সবাই টের পাচ্ছিল বড়ো কিছু একটা ঘটতে চলেছেএমনিতে কলকাতা বা দেশের অন্যান্য জায়গার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের খবর অল্পই ভেসে আসত গুপীদের গ্রামে। তবে ওই সময় বেশ একটা গুঞ্জন ছড়াতে লাগল চারিদিকেওর বাবা ভুবন হালদার পাশাপাশি দু-দশটা গ্রামেও ছিলেন ভালই জনপ্রিয় লোকে বেশ মান্যিগন্যি করত। আর কবিরাজ হিসেবে হাতযশও ছিল বেশ, তাই পসারও হত সমান তালে। ভদ্রলোক ছিলেন একনিষ্ঠ গান্ধীপন্থী। গুপীদের পুজোর ঘরের আসনে কুলদেবতা রঘুনাথজীউর বিগ্রহের পাশে মহাত্মাজীরও একটা বাঁধানো ফটোগ্রাফ রাখা থাকত তবে ফি বছর গুপীর এই রেজাল্ট দেখে ভুবনবাবু তার গান্ধীগিরি অর্থাৎ সম্পূর্ণ অহিংসার পথে অবিচল থাকতে পেরেছিলেন কিনা, তা জানা যায় না। সে যাই হোক না কেন ভদ্রলোকের প্রভাবে গ্রামে একটা সেবাদল তৈরি হয়েছিল। দেখাদেখি কিছু লোক আবার খদ্দর, চরকা এসবেরও চলন শুরু করছিলমিত্তিরবাড়ির ছোট ছেলে সোমনাথ তখন কলকাতায় থেকে ডাক্তারি পড়ত, গাঁয়ের রত্ন বটে। বড়দিনের ছুটিতে বাড়িতে ফিরে সে খবর আনল সুভাষ বসুকে নাকি আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দৈনিক পত্রিকা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব তখন শুধু ওই গ্রাম নয় এমনকি আশপাশের গ্রামগুলোতেও ছিল নাতাই খবর, বিশেষত কলকাতার খবর, আসত অনেক দেরীতে। সোমনাথের কাছ থেকেই জানা গেল, কয়েকদিন আগেই নাকি হলওয়েল মনুমেন্ট সরানোর দাবীতে সুভাষবাবু তীব্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। কলকাতার যুব-সমাজ উত্তাল সেই ডাকে। এরপর কদিন স্থানীয় চণ্ডীমণ্ডপে উত্তাল বাদানুবাদ চলল এ নিয়েযদিও গাঁয়ের বয়স্ক, মাতব্বরদের মতে এ সবই নাকি লোক দেখানো, মহাত্মা গান্ধীর প্রভাব খাটো করার চেষ্টামাত্র গতবছরই আবছা আবছা খবর এসেছিল যে কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশনে নাকি মহাত্মাজীর মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুভাষবাবু দাঁড়িয়েছেন সভাপতির পদে মনোনয়নের জন্য। শেষে যখন পট্টভি সিতারামাইয়ার বিরুদ্ধে তিনি জয়লাভ করলেন তখন এ নিয়ে লোকের সে কী কৌতূহল। গাঁয়ের এই প্রায় নিস্তরঙ্গ জীবনে বেশ দোলা লেগেছিল। সে সময় প্রায় দুটো দলে গ্রামের লোকজন ভাগ হয়ে গেছে। বয়স্ক আর মাঝবয়েসীরা ভুবনবাবুর প্রভাবে বাপুজীর অন্ধ ভক্ত আর তরুণদের মধ্যে বাড়ছিল সুভাষচন্দ্রের প্রভাব। শেষে যখন কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে তিনি নিজেই পদত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গড়লেন তখন যেন সবকিছু আবার ঝিমিয়ে পড়ললোকজনের মধ্যে চাপা একটা দ্বিধা রয়েই গেছিল অবশ্য। এই এক বছর পর আবার সোমনাথ, রায় বাবুর শ্যালক হরেন, তিনকড়ি বাঁড়ুজ্জে এদের কাছ থেকে নতুন করে অনেক কথা জানা গেল। হরেন কলকাতার এক নামজাদা কাগজের আপিসে কাজ করার সুবাদে নানারকম খবর জানত। বগলদাবা করে বাংলা ও ইংরেজি নানা পত্রিকার অনেকগুলো সংখ্যা নিয়ে এসেছিল সে সেসব থেকে জানতে পারা গেল যে জেলের মধ্যে অনশন শুরু করায় ইংরেজ বাহাদুর বাধ্য হয়ে গৃহবন্দী করে রেখেছে সুভাষকেগ্রামে চাপা উত্তেজনা। চন্ডীমণ্ডপে বেশ বড়ো একটা সভা বসে গেল এ নিয়ে হরেনের ওপর ভার পড়ল পুরোন কাগজের সংখ্যা থেকে বেছে বেছে এ সংক্রান্ত খবর পাঠ করা। সে এক দৃশ্য বটে!! মিহি অথচ দৃঢ় গলায় হরেন পড়ছে আর হ্যাজাকের আলোয় দেখা যাচ্ছে গাঁয়ের প্রায় আশি ভাগ লোক তন্ময় হয়ে শুনছে প্রায় এক বছর আগেকার খবর। ইংরেজি পত্রিকাগুলো পড়ে মানে বোঝানোর দায়িত্ব ছিল সোমনাথের। শুনতে শুনতে সবাই প্রায় বাহ্যজ্ঞানশূন্যএমনকি আমাদের গুপীচাঁদ, তারও বাক্যস্ফূর্তি হচ্ছিল নাকাগজের রিপোর্ট বলছে গত বছর নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল সুভাষবাবুকে। এমনকি ১০৪ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে তাঁর স্ট্রেচারে করে আসাকে বাপুজীর ভক্তরা ‘রাজনৈতিক জ্বর’ বলতেও ছাড়েননি। সুভাষচন্দ্রের লিখিত বিবৃতিও পড়া হল। সবাই আশ্চর্য হয় এটা ভেবে যে এই ঘোর দুঃসময়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি ওঁর শ্রদ্ধার এতটুকু কমতি হয়নি। শেষে যখন গান্ধীজীর নিজের বিবৃতি থেকে জানা গেল যে সুভাষের এই জয়কে তিনি নিজের পরাজয় বলেই দেখছেন তখন চন্ডীমণ্ডপ নিশ্চুপ যেন একটা বিরাট বড়ো ঝড় আসতে চলেছে ঈশান কোণে। মাত্র কদিন আগেও এনিয়ে কতনা ঝগড়া বিতণ্ডা লেগে গেছিল লোকজনের মধ্যে। আজ সবাই যেন দিশাহারা। ভুবনবাবুও হতবাক। তার বিশ্বাসের গভীরে কোথাও যেন একটা বিরাট আঘাত লেগেছে। সেদিনের মতো চণ্ডীমণ্ডপের সভা ভাঙল। আস্তে আস্তে সবাই ফিরল ঘরেকোনও কথা নেই কারো মুখে। কিছুদিনের মধ্যেই আবার ইংরেজি নতুন বছর এল। তবে এবার তা যেন বড়ো ম্যাড়ম্যাড়ে। রায়বাহাদুর বিশ্বম্ভর রায় এই গোটা পরগনার জমিদার আর ইংরেজ বাহাদুরের বড়োই পেয়ারের। সাহেবদের খুশি করতে নানা ইংরেজি পরবের চল করেছিলেন তিনি। সেসব অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটত “গড সেভ দ্য কিং” দিয়ে। জমিদার বাবু নিজেই নাকি প্রায় মন্ত্রপাঠের মতো গদগদ ভাবে গাইতেন। তার আগের বছরও জমিদার বাড়ীর নববর্ষ মানে ইংরেজি নতুন বছরের অনুষ্ঠানে এই গ্রামের অনেক লোক গিয়েছিল, তবে সেবারটা প্রায় জনশূন্য এই ঘটনায় জমিদার বাবু একটা কিছু আন্দাজ করলেন বোধহয়। তারপর থেকে বেশ ক’দিন গ্রামে মাঝে মাঝেই পুলিশের গাড়ি টহল দিতে শুরু করল, যদিও মোটামুটি শান্ত বলেই এ পরগণার খ্যাতি। ওইসব স্বদেশী করিয়ে ছেলেরা এদিকে প্রায় ঘেঁষত না বললেই চলে।
জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সে বছরটা বড়ই ঠাণ্ডা পড়েছে। খুড়তুতো ভাই পল্টুর সাথে গুপীকে পাঠানো হল মামাবাড়ি গোমোতে। ক’দিনের জন্য হাওয়া বদল তা মামাবাড়ি বড়োই আনন্দের জায়গা অধিকাংশের কাছেগুপীও হাতে চাঁদ পেল। বাবার ওই অগ্নিশর্মা মুখটা কদিন আর দেখতে হবে না সেই বা কম কি!! যদিও কদিন ধরে বাবার আচরণে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছে গুপী। মাঝেমাঝে নিজের মনে কি যেন বলে যান। বিশেষ করে চণ্ডীমণ্ডপের ঐ মিটিংটার পর থেকেই যেন এই ভাবটা বেড়েছে। একবার কান খাড়া করে ও শুনেছিল ভুবনবাবুর কথাগুলো। “দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হতে পারে... কিন্তু উদ্দেশ্য... সে আর কারুর থেকেই কম দেশ প্রেমিক নয়”বাবাকে এমন উদভ্রান্ত কখনও দেখেনি গুপী। যাক গে, আপাতত এ নিয়ে কোন ভাবনা নয়। শুধু নিজের আনন্দে ঘুরে বেড়ানই স্থির করল গুপী। তার ওপর মামা বাড়িতে ভাই বোনদের মধ্যে সে বড়ই জনপ্রিয়। শুধু সেই একবার, বছর কয়েক আগে একটা কাণ্ড ঘটেছিল। মাসতুতো বোন সীতার টিউটর রমেন বাবুর সামনে গুপী দাবি করে যে খোদ বড়লাট লিনলিথগো সাহেবকে সে কোলরিজের “রাইম অফ অ্যানসিয়েন্ট মেরিনার” থেকে আবৃত্তি করে শুনিয়েছে এবং পরম প্রীত হয়ে সাহেব নিজে তাকে একটি মেডেল পরিয়ে দিয়েছেন বোঝো কাণ্ড!! ছোটলাট মানে বাংলাদেশের গভর্ণরও নয় স্বয়ং বড়লাট বাহাদুর!! একেই বলে লুটি তো ভাণ্ডার!! সে ভাবের ঘরে  হলেও বা। সবাই তৎক্ষণাৎ মেডেল দেখতে চাওয়ায় গুপী আমতা আমতা জবাব দেয় সে নাকি নিয়েই আসছিল দেখাতে। মাঝরাস্তায় সেটা ট্রেন থেকে চুরি হয়ে গেছে। ছোটরা কিছুটা হতাশ শুধু রমেনবাবু গম্ভীরভাবে সীতার বাবা মানে গুপীর মামাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন গুপীর মানসিক চিকিৎসার জন্য। এতে অবশ্য ভাইবোনের কাছে ওর জনপ্রিয়তায় কিছুমাত্র ঘাটতি পড়েনি
সেবার ধানবাদে মেলার মাঠে বিরাট সার্কাস এসেছে। শনিবার মানে ১৮ই জানুয়ারি গুপীর দায়িত্বে তার ভাই বোনদের পাঠান হল সেখানে। রিং এর মধ্যে সে এক অন্য ভুবন। ওদের সবচেয়ে ভাল লাগল বাঘের খেলাগুলো। তা সার্কাস শেষ হতে হতে প্রায় বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। ট্রেন ধরে আবার গোমো ফিরতে হবে। বেশ দায়িত্বশীল অভিভাবকের মত গুপী তার ভাই-বোনদের সাবধানে নিয়ে এল গোমো স্টেশন অবধি। কনকনে হাওয়া বইছে তখন। মামা নিশ্চয়ই মিশ্রজীকে পাঠিয়েছেন ঘোড়ার গাড়ি সমেত। এব্যাপারে গুপী নিশ্চিত। স্টেশন চত্বর বেশ ফাঁকা হয়ে গেছেরাত ন’টার কাছাকাছি সময়। লোকজন ঠান্ডায় আর বেরোয়নি। স্টেশন থেকে নেমে গুপী খোঁজ করতে লাগল টাঙ্গার। মিশ্রজী তখনও বেপাত্তা। ল্যাম্প-পোস্টের হালকা আলোয় ও দেখল স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে একটা বেশ বড়ো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। সেসময় কুয়াশার একটা চাদর প্রায় ঢাকতে বসেছে গোমো শহরটাকে। ভাল করে ঠাহর হয় না সবকিছু। তা এদিক ওদিক তাকিয়েও যখন মিশ্রজী বা তার বিখ্যাত নীল পাগড়ির দেখা পাওয়া গেল না তখন বাধ্য হয়েই ওই গাড়ির দিকে গুটি গুটি এগোল গুপী। দেখা যাক এদের জিজ্ঞাসা করে কোন টাঙ্গাওলাকে দেখেছে কি না। কাছাকাছি আসতে মনে হল সওয়ারি ভদ্রলোক একজন পাঠান, অন্তত পোশাকে আর হাবেভাবে তাইকিছুটা দূরে টিকিট কাউন্টারের পাশে তখন অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে আছে পল্টু, সীতা আর সবার ছোট বিনু মানে বিনয়। ওরা দেখল যে গুপী ওই গাড়ির ড্রাইভারের সাথে কি যেন কথা বলে আবার ফিরে আসছেকাছাকাছি আসতে সবাই দেখে গুপীর চোখমুখ কেমন যেন পালটে গেছেনিজের মনেই সে কি সব বলে যাচ্ছে ঠিক তখনই মিশ্রজীর টাঙ্গার আওয়াজ পাওয়ায় অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা সামলানো গেল। মামাবাড়িতে ফিরে আর এ নিয়ে কোন কথা হয়নি। যাহোক ক’দিনের ছুটির তোফা আনন্দের পর আবার ঘরে ফেরার পালা।
এর মাস খানেক পরে কলকাতা থেকে আশা একটা চাঞ্চল্যকর খবরে গাঁয়ে খুব সোরগোল দেখা দিল। বড়োরা বিব্রত, ছোটরাও খেলা ভুলে ওই খবরে মেতে থাকল বেশ কদিন। সুভাষচন্দ্র নাকি বাড়ি থেকে অন্তর্ধান করেছেন। খবরটা সবাইকে হতভম্ব করে দিল। কবে এই কাণ্ড ঘটল কে জানে। এমনকি কলকাতা থেকে প্রকাশিত কাগজগুলো পড়েও আসল কথা জানা গেল না আরও অনেক বছর পরে সবাই জেনেছিল যে গত জানুয়ারি মাসেরই ঘটনা এটা। কোথায় গেলেন তিনি? গাঁয়ের সবাই নানারকম তত্ত্ব খাড়া করেছে এ নিয়ে। শুধু গুপীচাঁদ চুপ। তার কোন কথা লোকে শোনেনি এর মধ্যে। গল্পটা এখানেই শেষ ... আমাদের নায়ক শ্রীযুক্ত বাবু গোপীমোহন হালদার, বাড়িয়ে কথা বলতে যার জুড়ি নেই, সেই তার মত এভাবে কথা কমিয়ে বলতে বা সত্যি চুপ থাকতে কেউ পারেনি তখন। কাউকে সে দেয়নি দেশনায়কের মহানিষ্ক্রমণের সাক্ষ্য। শুধু সার্কাস থেকে ফিরে আসার পর সেই রাতে পল্টু ঠিক শুনেছিল ঘুমের মধ্যে গুপী বিড়বিড় করে বলে চলেছে  ... “সেই চোখ, ছবিতে যেমন দেখেছি
--------------------
ছবি – পুষ্পেন মণ্ডল


লেখক পরিচিতি - সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় বিশ্বসাহিত্য, মার্গ সংগীত আর সারা পৃথিবীর সিনেমার একনিষ্ঠ ভক্ত। ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন অণুপত্রিকায় লেখা-লেখিতে হাত পাকানো। মূলতঃ গদ্যসাহিত্যেই বেশি স্বচ্ছন্দ। প্রথাগত শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যায় (স্নাতকোত্তর) আর বর্তমানে সেই বিষয়েরই শিক্ষকতায় যুক্ত। লেখক মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীর সংকটে এক কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে সৎ-সাহিত্য।

5 comments:

  1. মন্দ নয়। তবে একটু অগোছালো প্রেসেন্টেশান।

    ReplyDelete
  2. অসাধারন... পড়তে পড়তে কেন জানি না শ্রীমান পৃথ্বীরাজ এর কথা মনে পড়ে গেল।।

    ReplyDelete
  3. আরো কিছু গল্প পড়তে চাই।

    ReplyDelete