ছড়ার লড়াইঃ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য বনাম অমিতাভ প্রামাণিক
সমাধানকর্তা - অরুণাচল দত্ত চৌধুরী
সুখী মেয়ের গল্প
একটা খালি ফ্রুটির প্যাকেট কুড়িয়ে নিয়ে
যত্ন করে জল ভরেছি চামচে দিয়ে
মাকে ওরা রোজ রাতে দেয় সাতটা রুটি
যত্ন করে ঠোঙায় ভরে তারই দুটি
সঙ্গে দিয়ে আদর করে বলল, মা রে,
মাইনে পেলে ডিম খাওয়াব শুক্রবারে
আমি তো রোজ ইশকুলে যাই, নামতা জানি
রুটির সাথে ফ্রুটির চুমুক একটুখানি
টিফিনবেলা; খানিক দেব জয়দাদাকে
কাউকে খেতে দেখলে কেমন তাকিয়ে থাকে।
স্কুলের শেষে একটি ছুটে পৌঁছে বাড়ি
ভাত চড়াব (বেজায় ভালো রাঁধতে পারি)
সন্ধেবেলা মা বাড়িতে ফিরলে পরে
দুজন মিলে খাবার খাব আরাম করে
জানলা ভাসা পথের নিয়ন আলোর ধারে
বসিয়ে আমায় মা ঘুমোবে অন্ধকারে
খুলব খাতা পড়বে তাতে কালির আঁচড়
স্কুলের খাতায় লিখছি 'এসে' 'বিদ্যাসাগর'।
অসুখী মেয়ের যন্ত্রণা
এই রে! হঠাৎ পেটটা ওঠে গুড়গুড়িয়ে।
‘এসে’-র আগেই এনার্জি সব যায় ফুরিয়ে।
এমন কেন? খেলাম যে কী, এমন হবে?
রোজই রুটি খাই, তা থেকে? অসম্ভব এ।
খাইনি ডিমও, হয়ত পাবো শুক্রবারে,
কিন্তু এমন হচ্ছে কেন, শুধাই কারে?
ইস্কুলে রোজ বলছে আগে সাবান দিয়ে
হাত ধুলে কেউ বসবে না সব রোগ বাধিয়ে।
তাও ধুয়েছি খাবার আগে, তাও এ রকম
তোলপাড় এই পেটের ভিতর, ফুরাচ্ছে দম!
ব্যথার কারণ না হয় যদি শুকনো রুটি,
তবে কি সেই কুড়িয়ে পাওয়া সবজে ফ্রুটি?
তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা একটু তরল
ব্যাকটেরিয়ার আস্তানা, তাই এমনি গরল?
ঘুমাচ্ছে মা, ডাকবো? নাকি এমন সাঁঝে
বেরিয়ে গিয়ে চাইবো ওষুধ? পেটব্যথা যে!
জিদ্দি মেয়ের গল্প
থাকগে না! যাক! পেট ব্যথা তো এমনি কত
হচ্ছে রোজই রাত্রিবেলা মায়ের মত
মা তো কোথায় মুখটি ফুটে সে’সব কথা
কয়না, তবু বুঝতে পারি হচ্ছে ব্যথা
মুখ বেঁকে যায়, তবুও তাতে ফুটিয়ে হাসি
বলবে মাণিক, তোকেই শুধু ভালোবাসি
যেদিনকে তুই বিরাট হবি, মস্ত মেয়ে
যেদিন সবাই উঁচিয়ে মাথা দেখবে চেয়ে
নিজের জোরে খাবার দিবি হাজার মুখে
সেদিন আমার বুকটা কেমন ভরবে সুখে
থাকগে না যাক, পেট ব্যথা তো অমনি কত
থাক হতে থাক দিক না ব্যথা ইচ্ছে যত
বইটা খুলে ডুব দিয়েছি, রাত্রি হল
মাগো আমি বিরাট হব, তাইনা? বলো?
######
ওরে অমিতাভ অ্যান্টনি, ভোলা ময়রার উক্তি মনে পড়ছে রে--
ওরে বাজা বাজা ধাত্তেরেকেটে ধাকেটে তাকেটে
কতাগদিঘেনে ধা---
ওরে ও ময়রা ভোলা
কেন তোর বুদ্ধি ঘোলা?
পেটব্যথা যার, সে বুঝি সয়েই যাবে?
যেহেতু মায়েও ব্যথা
সয়ে নেয় আঁকড়ে ক্যাঁথা,
মেয়েও করবে তা, আর গাল ভিজাবে?
ওরে ও বিদ্যাসাগর,
ব্যথা বুঝিস না তুই ওর,
এভাবেই চলবে বুঝি তোর এই শো, ঠিক?
আমি নই ঠিক অ্যান্টনি
মাছ কিন্তু জ্যান্ত নি,
যাই দিয়ে আসি ওরে অ্যান্টি-বটিক।
পারিস তো রোখ আমাকে!
কলজে তো ফট তামাকে।
কেটে পড়, আসবো জেনে – ধাঁ!
যেতে যেতে নেশার ঝোঁকে
বলবি যা শেখাই তোকে
– ধাত্তেরেকেটে ধাকেটে তাকেটে কতা গদিঘেনে ধা –
হার মানলাম। বিজয়ী হও, আনন্দ হোক মেডেল নিয়ে
আমি এখন ব্যস্ত আছি কন্যেটিকে দেখতে গিয়ে
ঝুপড়ি ঘরের অন্ধকারের সকল বাধা ছাপিয়ে গিয়ে
এই বছরে মাধ্যমিকে পাশ করেছে মেডেল নিয়ে
অর্থনীতির, যুক্তিবাদের সকল হিসেব তুচ্ছ করে
দুঃখী মায়ের লক্ষ্মী মেয়ে দেখবি এবার কেমন লড়ে
পেটের ব্যথায় রৌদ্রে জলে বুকের আগুণ ঠিকই জ্বলে
ঠোঁটদুটোকে শক্ত করে পাঁচ আখরের মন্ত্র বলে
“জিতব আমি।” তারই জোরে সকল বাধা তুচ্ছ করে
মাটির বুকে পা রেখে সে বিশাল আকাশ শাসণ করে
দুঃখী মায়ের সোনার মেয়ে দু চোখ ভরে দেখব তাকে
মেডেলটা তোর দান করে দিস ছোট্টো আমার লক্ষ্মী মা’কে।
সবে তো এখন কলির সন্ধ্যে এখনই বৎস পালাস কোথা?
মেয়ের মেডেল, এই আনন্দে বুদ্ধি তোর কি হচ্ছে ভোঁতা?
বাচ্চা মেয়েটা কেমন ট্রিকসে কী করে হঠাৎই হলো রে ডাগর?
পাশ করে গেল মাধ্যমিক সে লিখতে লিখতে ‘বিদ্যাসাগর’!
বয়েই গিয়েছে এভাবে জিততে! যুদ্ধ না হলে ফেরত পদক।
আছি, কবে নেই! এই অনিত্যে মেডেল ফেডেল শুধুই তোর হোক।
তবু বলি, শুধু সুড়সুড়ি দিয়ে লেলিয়ে দিবি না মেয়েকে অমন।
বমি-পেটব্যথা বসলে বাধিয়ে ওষুধটা দিবি কমাতে বমন।
তোর মা আমারও মাতৃসমা সে কেন সে কুড়াবে প্যাকেট, ফ্রুটির?
বেড়ে ওঠ্, বাছা, সন্ধি-সমাসে, আলো করে থাক পর্ণকুটির।
এমন মা'বাপ আছেন অনেক পড়োনি খবর কাগজে?
পেটে ভাত নেই, শিরে ছাত নেই, শুধু ঘিলু আছে মগজে
সেই ছেলেমেয়ে জয়েন্টে ফার্স্ট দুঃখী মায়ের ছেলে
সত্যি বলছি ধন্য হতাম অমন ছাত্র পেলে।
দেখি আর ভাবি সাফল্যচাবি লুকিয়ে থাকেনা ব্যাংকে
বুকের ভেতর থাকলে আগুন জিতবে জীবন অংকে
শুধু একটাই ভয় থাকে প্রাণে শেকড়কে সে কি ভুলবে?
উঁচু থেকে আরো উঁচু হতে হতে আকাশেই মাথা তুলবে
পায়ের মাটিটা ভুলে যায় যদি লাভ কী তেমন ছাত্রে
সে হবে কেবল জল ঢেলে যাওয়া ভাঙা বাসনের পাত্রে
সেই মেয়েটার মায়ের স্বপ্ন সবার দুঃখে কাঁদবে
মেয়েখানা তার, ভালোবাসবার বাঁধনে দুনিয়া বাঁধবে
তেমন মেয়ের তেমন ছেলের দেখো সন্ধান করে
ছোটো থেকে যারা বড়ো হয়ে গিয়ে ছোটোদের বড়ো করে
এতই যদি জানিস বাছা,
পুচ্ছটি তোর উচ্চে নাচা।
লুটিয়ে কেন পড়ছে কাছা ভুঁয়ে?
রাখিস লিখে কাগজ-পাতায়
লক্ষ টাকা ঢুকলে মাথায়,
স্বপ্ন দেখিস ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে।
ছাত্র কি আর অমনি মেলে?
কিম্বা বিকোয় চৈত্র সেলে?
বাজার-হাটে, স্টার হোটেলে থাকে?
পায় সে খেতে যা তার খাবার?
পয়সা আছে তার মা-বাবার?
এ প্রশ্নটা করবো আবার কাকে?
বুদ্ধি কিছু থাকলে ঘটে
দেখতি সকল শিশুই বটে
সৃষ্টিমুখর, ও সঙ্কটে হিরো।
সে ঠিক জানে কোথায় কখন
করলে অ্যাটাক খেল সমাপন।
শত্রুকে বধ করবে এমন বীর ও।
তুই যদিও পেলি না থৈ
কোথায় দুধ আর ভ দই,
জানি তুই তো ওদের মতই ছানা।
তোরও হউক বুদ্ধি অঢেল,
মাধ্যমিকে করিস না ফেল!
যত্ন করে রাখিস মেডেল খানা।
“পায় সে খেতে যা তার খাবার?”
জানতে চাইছ কোথায় আবার?
জবাবখানা বলতে বলবি কাকে?
জালপথের এই খেলার ঘরে
লাভ নেই সেই প্রশ্ন করে
করতে হবে সেই মেয়েটার মা’কে।
অফিস, বাড়ি, চিকেন কারি
নতুন শাড়ি গয়না গাড়ি
তোর বা আমার, সবার জীবন জোড়া
ওরই মাঝে সময় করে
আসিস নেমে পথের পরে
তাকিয়ে দেখিস কেমন আছে ওরা।
দেখবি যখন রুক্ষু চুলে
তেল পড়েনি, উঠছে দুলে
পিঠের পরে মলিন স্কুলের থলে
দাঁড়িয়ে পাশে আদর করে
জিগেস করিস সোহাগভরে
“খেয়েছিস মা? বল দেখি মন খুলে?”
এই তো পথে এলি ত্যাজিয়া জলকেলি এই তো বুঝে গেলি আসল পথ।
তবুও বলি তোরে সোহাগে, করজোড়ে, শুধু জিগেস করে চলে কি রথ?
চলে না যার, তাকে যদি পথের বাঁকে শুধাস, “তোর নাকে গন্ধ পাস?”
হ্যাঁ, না, সে যাই বলে, ভাষার গ্যাঁড়াকলে জেনে নে তার তলে কী উচ্ছ্বাস।
ওদের কোলে তুলে পুস্প দিলে চুলে থাকে কদিন ভুলে, ফের তো সেই
ট্রাফিক সিগনালে দেখেছি শীতকালে বিড়ি ফোঁকে আড়ালে প্রত্যেকেই।
ওদের হাতে খাতা বই শেলেট ছাতা ওদের গায়ে কাঁথা জুটছে কই?
এত যে কোলাহল হচ্ছে, কেন বল, দাদা-দিদির দল উড়ায় খই?
যাক, এসব ছেড়ে চল না খুঁটি গেড়ে জুটিয়ে কিছু ধেড়ে খোকা রঙিন,
বসি ওদের মাঝে রোজ সকাল সাঁঝে। কিছু তো ভালো কাজে কাটাই দিন।
মাথায় দিয়ে পিলো কে যেন বলেছিল, না দিতে একতিলও ভিক্ষা, ঠিক?
চ’ ঢালি পাতে তার ডাল ও সম্বার হিঁদুস্তানি আর কর্ণাটিক।
বেজায় ভালো ভাই আমিও তাই চাই চলো না মাঝে মাঝে বসুক ক্যাম্প
স্বপ্ন ফিরি করি, চলোনা খুঁজে ফিরি আঁধারে ঢেকে থাকা লিটল চ্যাম্প
বিদ্যা, টাকা, রুটি সবাই দিলে দুটি মুছবে কিছু মুখে দুখের স্ট্যাম্প
তাদের ভালোবেসে দাঁড়িয়ে পাশে এসে উঠবে জ্বলে কীগো ম্যাজিক ল্যাম্প?
আহা, বেশ বেশ বেশ।
বাহা বেশ তো!
বাহা বেশ তো ছেলে লম্পো জ্বেলে করবে দেশোদ্ধার
ক্যাম্প বসিয়ে চ্যাম্প নাচিয়ে হল্লা হাজারবার
যেমন সবাই করে
যেমন সবাই করে বিপুল জ্বরে রাতদিন হাঁসফাঁস
তুইও ছোঁড়া বদের গোড়া ছিঁড়তে এলি ঘাস
বলি হচ্ছেটা কী?
বলি হচ্ছেটা কী, ছাগল নাকি? দিলেই কাঁঠালপাতা
খাটাল ফেলে ব্যাটাচ্ছেলে ছুটবে নিয়ে খাতা?
অত সস্তা হলে
অত সস্তা হলে ভূমন্ডলে থাকতো শুধু সাধু
বমন করে কমন্ডলুর জল ছেটাতো দাদু
তা তো হচ্ছে না রে
তা তো হচ্ছে না রে তিস্তাপারে ঝুলেই আছে ধোঁয়া
ভুলেই থাকি, শুলেই দেখি ঢেকুর ওঠে চোঁয়া
বুঝি বদহজমে
বুঝি বদহজমে আসছে কমে আয়ু ইহকালের
বাঁধবে কে ভাই বলতো গলায় ঘন্টাটা বেড়ালের?
আছি তুই আর আমি
আছি তুই আর আমি, এ পাগলামি চল ছেড়ে যাই সেথা
এ সব বড়াই কবির লড়াই শুধুই আদিখ্যেতা
ছাড়্ তো হারা এবং জেতা
এর তো নেই ক্রেতা-বিক্রেতা।
রিভিউ ও সমাধান – অরুণাচল দত্ত চৌধুরী
# সুখী মেয়ের গল্প
"ফ্রুটির প্যাকেট কুড়িয়ে" শুরুর গল্পটাতে
ঝাপসা কিছু অশ্রুকণা আসন পাতে
একটা মেয়ের বাড়তে থাকার গল্পকথা
সেই মেয়েটার অবাক লড়াই অভিজ্ঞতা
সত্যি এ'টাও, হয়নি সে খুন ভ্রণবেলাতে
তার মা তাকে বিশ্বমেলায় চায় মেলাতে।
মা'ও খাটে খুব। এ'গল্পে নেই নাটক টিভি।
মা আর মেয়ে, খুব ভীতুদের সাহস দিবি?
চাইছি সবাই তুই মেয়েটি বাড়বি ডাগর
রচনা নয়, নিজেই হবি বিদ্যাসাগর।
# অসুখী মেয়ের যন্ত্রণা
"অসুখী এক মেয়ের" গল্প একটু জোলো
রাগ কোরো না,আমার সে'টাই মনে হল।
প্রায় অযথা লড়াই করার উৎসাহতে
একটু বোধহয় গড়িয়ে গেল অন্য স্রোতে।
তা'সত্ত্বেও এ"গল্পটা তেমন কিছু ফেলনা নয়।
স্বাস্থ্য কথাও সত্যি বললে জানতে হয়।
চাই সে মেয়ে হোক এ'কবির বাধ্য গো
আমরাও সব খাবার আগে হাত ধোবো।
# জিদ্দি মেয়ের গল্প
হার না মানা "জিদ্দি মেয়ের গল্প" বুকে
এ'বার মেয়ে সাজছে জেদের তির ধনুকে।
মায়ের ইচ্ছেডানায় এখন ভর দিয়ে সে
যাবেই উড়ে অবাক কোনও স্বপ্নদেশে।
দেখছে পাখির চোখ সে শুধুই, নয় অন্যথা।
তুচ্ছ অভাব, হার মেনে যায় তুচ্ছ ব্যথা।
বাধ্য হয়ে ভাবব সবাই তুই যা ভাবাস।
আমরা মেয়ের সাহস দেখে দিচ্ছি সাবাস!
# এ' লড়াই কচ্ছ খোলা
কে এলেন? ময়রা ভোলা
সেই পুরনো কবিগানের সচিৎকার ফ্লেভার
তা'তেও পজিটিভই
কবিকে সাবাস দিবি
স্বাস্থ্যকথা ফের উঠেছে… অ্যান্টি-তামাক এ'বার।
নাই হলাম মন্ত্রমুগ্ধ
তামাক ফেলে খাচ্ছি দুগ্ধ
ছন্দের এই যে লড়াই কিঞ্চিৎ নিম্নগামী
যে'টুকু লড়াই বাকি
এমনই চলবে নাকি
এ'ভাবেই চললে লড়াই, মানে মানে কাটব আমি
# আবার আকাশে চোখ তুলে চায় একটি সরল বৃক্ষ
হত দরিদ্র শাখা প্রশাখায় যে ছোঁবে অন্তরীক্ষ
যেহেতু গাছটি চেনে দুঃখকে, সে চাইছে তাকে দেখে
সূর্যশিকারি হোক দুঃখীরা, যত আছে প্রত্যেকে।
আমরা সত্যি হয়েছি অবাক তার এই সঙ্কল্পে
কবিকে বলেছি সাহস যোগাও, মন ভরছে না অল্পে।
# জানতে চাই না বেশি
কে ঘিলু, কেই বা পেশী
হোক এই রেষারেষির যতি
মেঘ থাক কিম্বা রোদই
বন্ধু সবাই যদি
দাঁড় বাই… পেরোই নদী। ক্ষতি?
# খাবার? সে তো অঢেল ঢালা
দুঃখীজনের অবোধ থালা
পায় না তাকে, এ'টা ক'জন বোঝে
বুঝল যারা সেই ক'জনই
গুপ্ত ভালোবাসার খনি
মলিন মেয়ে তাই তো তাদের খোঁজে
কাবলিওলা যেমন হেসে
শুধিয়েছিল করুণ হেসে
"খোঁকি, কী চাই, আঙুর নাকি মেওয়া?
খোঁজ পেলে সেই ভালোবাসার
অবাক ঝুলি হবেই উজাড়
"বাবা" "মেয়ে"র নীরব দেওয়া নেওয়া
# করবে বিদ্রুপ, থাকবে নিশ্চুপ। সমাজ এইরূপ সবখানে।
হয়ো না দেবদূত প্রাণের বিদ্যুৎ ছড়াও অছ্যুত সব প্রাণে।
আলোর পথরেখা বানাও একা একা পথেই হবে দেখা। তাই রীতি।
ভাষণ বিস্ফোট থামাও একজোট চুলোয় যাক ভোট রাজনীতি।
# ফল ঘোষণা
এইবারে সমাধান। বলব রেজাল্টখান কেউ যেন করিস না রাগ গো
এই ফল ঠিকঠাক করে নিস পরিপাক মেনে নিস যার যার ভাগ্য
ছন্দে প্রসাদগুণে দিব্য লেগেছে শুনে দু'জনেরই আছে বহু রেস্ত।
দেবজ্যোতি এক চুল এগিয়ে, তা' নয় ভুল। অমিতাভ? সে লড়েছে বেশ তো।
ছবিঃ তন্ময় বিশ্বাস
ত্র্যম্বকের ত্রিনয়ন ত্রিকাল ত্রিগুণ
ReplyDeleteশক্তিভেদে ব্যক্তিভেদ দ্বিগুণ বিগুণ ।
............ ত্রয়ী শক্তি ত্রিস্বরূপে প্রপজ্ঞে প্রকট —
সংক্ষেপে বলিতে গেলে , হিং টিং ছট্ । '
এপাড় থেকে মারলাম তির
Deleteলাগলো কলাগাছে
হাঁটু বেয়ে রক্ত পড়ে
চোখগেল রে বাবা
Sottyi upovoggyo.
ReplyDeletedarun darun, emon ekta bibhag kholar jonno Sompadoker dhonyobad praopyo :) ...ar kobi der kotha bolbo ki ...emon aro asuk
ReplyDeleteএ তো সাংঘাতিক কান্ড !! লড়ুয়ে রেফারি সব্বাই যাকে বলে "বাইরে দাঁড়িয়ে আছে" ( outstanding)... সেলাম নিবেন কত্তাত্রয়...
ReplyDeleteKhub bhalo laglo
ReplyDeleteKhub bhalo laglo
ReplyDeleteদুঃখী মেয়ের জীবন লড়াই,
ReplyDeleteতাই নিয়ে এই কবির লড়াই,
অ্যান্টনী না ময়রা ভোলা
জিতল কে, তা থাকুক তোলা
আমরা পাঠক পড়েই বেজায়
খুশি এমন ছড়া-তরজায়
কবিরা সব থাকুন ভাল
পূজোও সবার কাটুক ভাল।