হারানো গুপ্তধন
সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী
শিমূলপুরের জঙ্গলে যাও যদি
শিমূলপুরের জঙ্গলে যাও যদি
দেখবে মাঝে বইছে একটা নদী
নদীর স্রোতে ভাসিয়ে ছোট্ট ডিঙ্গি
ধরতে পার মাগুর কিংবা শিঙ্গি
দক্ষিণেতে মিনিট দশেক গেলে,
গাছের গোড়ায় নৌকো বেঁধে ফেলে
দেখবে জমি একফালি সাফ-সুতরো
খাটিয়ে মাথা মিলবে না ঠিক সূত্র,
গহিন বনের মধ্যে একটা মাঠ
মাঝখানে তার স্তূপাকৃতি কাঠ
কাঠ নয়তো দেখবে ঠাহর করে
কিম্ভূত এক বাংলো আছে পড়ে
ঝোপ ও ঝাড়ে সদর দুয়ার ঠাসা
সাপ-খোপ আর মাকড়শাদের বাসা
তবুও যদি
কৌতূহলের বশে
জানার প্রবল
রোখটা চেপে বসে
এগিয়ে যেও
পা ফেলে সাবধানে
মধ্যে বাড়ির
কী আছে কে জানে!
শব্দে বিকট
দরজা খুলে গেলে
হারিও না
প্রাণ সব দেখে হার্ট ফেলে!
ঘরের ভেতর
অবাক পাতালঘর
নামছে সিঁড়ি
একটা একের পর
নামবে তুমি
সাহসী ঠিক জানি
কিন্তু হাতে
রেখ প্রদীপখানি
আঁধারপুরী
থমথমে নিশ্চুপ
তোমার মুখেও
এঁটেইছ কুলুপ
তলায় নেমে
চক্ষু চড়কগাছ
ঘরের ভেতর
জলের ভেতর মাছ
তারই মাঝে ডজন
খানেক ঘড়া
মধ্যে তাদের
মুক্তো মানিক ভরা
যেমনি তাদের
বগলদাবা করে
ভাবছ যাবে
ছুট্টে পগারপারে
অমনি ‘দড়াম’
আচম্বিতে জোরসে
মাথার উপর
ছাদ পড়েছে খসে
সিঁড়ির মুখে
বন্ধ কাঠে চাপা
বিপদ তোমার
যাচ্ছে না আর মাপা!
অমনি পায়ের
পাতায় ছোঁয়া জল
বুকে তোমার
আনবে নতুন বল
দেখবে খুঁজে
কোথা থেকে এসে
ঘরের ভেতর
যাচ্ছে এমন ভেসে
পকেট দুটো
গুপ্তধনে ভরে
সাঁতরিয়ে জল
যাও চলে উত্তরে
পাতাল ঘরের
গুপ্ত সে সুড়ঙ্গে
মিশছে নদী
খামখেয়ালি রঙ্গে,
অনেকটা পথ
পেরিয়ে কাহিল হয়ে
শ্রান্ত
তুমি পড়বে পারে শুয়ে
দেখবে আছ
জঙ্গলেরই প্রান্তে,
চাইবে সবাই
ব্যাগ্র হয়ে জানতে,
শিমূলপুরের বনের
সে সম্পত্তি
তোমার মতো
ছোট্ট এ একরত্তি
কেমন করে করল
আবিষ্কার!
মুঠোয় তোমার
তারই পুরস্কার।
হীরেমানিক
ছড়ায় আলোকদ্যুতি
জ্যোৎস্নারাতের
তৃপ্ত অনুভূতি।
তোমার কথা
শুনবে দলে দলে
অ্যাডভেঞ্চার
হয়তো একেই বলে।
_____
অলঙ্করণঃ সপ্তর্ষি
চ্যাটার্জী
Bah besh bhalo :)
ReplyDeleteAnanya di, tomar valo legeche amar porom souvagyo :)
Deleteভাল হয়েছে।
ReplyDelete