দুখু
শিবশঙ্কর
ভট্টাচার্য
আমি যেখানে
থাকি সে জায়গাটা ভারী ভালো। পাহাড়ের
ওপর চারদিকে পাথরের স্তূপ, ঝোপঝাড় আর মস্ত বড়ো বড়ো কত রকমের গাছে ভর্তি।
সেখানে কত যে পাখি, কাঠবেড়ালি আর বাঁদর বাসা বেঁধে আছে বলবার নয়।
অনেক উঁচু থেকে ঝুরঝুর করে ফুল, পাপড়ি ঝরে পড়ে তলাকার পাথর, ঝোপ আর তার ফাঁকে
ফাঁকে লাল রক্তরঙা মাটি ঢাকা পড়ে যায়। গন্ধে
মাতাল হয়ে থাকে বাতাস। ভনভন শব্দে মৌমাছিরা
উড়ে বেড়ায়।
এখানে আমার
আপনার লোক কেউ না থাকলেও মোটেই একা নই আমি। আশেপাশে কত
চেনাজানা লোকেরা থাকে। আমি ছোটো বলে সবাই ভালোবাসে।
তাই একটুও একা লাগে না আমার।
ছোট্ট মেয়ে
করুণাকে বোন বলে ডাকি। ও আমার চেয়ে দু’মাসের ছোটো। থাকে
এই পাহাড়টার চুড়োর ওপর মন্দিরে। ওখানে রোজই
যাই আমি। সবচাইতে উঁচু পাথরটার চূড়ায় বসে কত গল্প করি
দু’জনে। ও-ও আসে এখানে।
আমাকে দেখলে নাকি ওর নিজের দাদার কথা মনে পড়ে, তাই আসে। ওরও
এখানে আপনজন কেউ নেই। নেই তো নেই, কী করা যাবে? সবার
সবকিছু থাকতে হবে নাকি! তাছাড়া এইটুকু বয়েসে আবার অত মন খারাপ কীসের! মুখে ওকে
এসব বলি বটে, কিন্তু আমারও তো মায়ের মুখটা মনে পড়ে মাঝে মাঝেই। চুপ করে থাকি।
কাউকে জানতে দিই না। মনে হয় যেন কতদূর থেকে মা চেয়ে আছে
আমার দিকে!
করুণা আমাকে
দাদা বলে ডাকে। বাকিরা বলে ছটু। আসলে তো আমার নাম দুখীরাম, মা
বলত দুখু। করুণা ছাড়া কেউ জানে না, ও বলে দুখুদাদা।
আজ সকালে
আলো ফুটে ওঠার পর করুণা এসে ঝরনার ধারে যাবার আবদার করল বলে এসে বসেছি ঝরনার পাশে
পাথরটার ওপর। টুকরো টুকরো রোদ এসে পড়েছে, গায়ে জলের ছিটে লাগলে কী আরাম! দূরে ভাঙা
মন্দিরটার ভেতর গণেশ ঠাকুরের পুজো হচ্ছে। এখান থেকে
পুরুত মশাইয়ের মন্ত্র আর ঘণ্টার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। ধূপের
গন্ধ নাকে আসছে। চুপচাপ বসে আছি, হঠাৎ হলদে মতো গোল কী একটা
জিনিস গড়াতে গড়াতে পাথরটার তলায় ঢুকে যেতে দেখলাম।
তারপর দুটো ছেলে ঝোপঝাড় ডিঙিয়ে এসে হাজির। আমাদের দেখতে পেয়ে কাছে এসে দাঁড়াল। ছেলে
দুটোর আমার মতোই বয়েস। মিষ্টি গলার আওয়াজ।
- একটা
বল এখানে এসে পড়েছে দেখেছিস?
- হলদে
রঙের গোলাটা তো?
- গোলা
আবার কী? হলদে রঙের বল তো।
- দেখলাম। ঐখানে
বড়ো পাথরটার তলায় ঢুকেছে।
ছেলেদুটো
খুঁজে না পেয়ে আবার ফিরে এল।
- পাচ্ছি
না, তুই একটু খুঁজে দিবি?
আমি দিব্যি
দেখতে পাচ্ছি গোলাটাকে। চার-পাঁচ হাত গভীর পাথরের খাঁজে আটকে আছে।
ওদের আড়াল করে তুলে দিলাম গোলাটাকে। আমি যে জাদু জানি ওদের জানাতে চাইনি বলে
আড়াল করতে হল। দেখতে পেলে চমকে ভয় পেয়ে পালাত। পালালে
ভালো লাগত না। আমার বেশ ভালো লেগে গেছে ওদের। করুণাও
খুব খুশি ওদের দেখে।
ওরা চলে যাবার
পর মনে মনে বলতে লাগলাম, আমাদের ডাক তোরা তোদের সঙ্গে খেলতে।
খেলতে ডাক, খেলতে ডাক! কী অদ্ভুত জাদু আমাদের, যা চাই তাই হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই নিজেরাই। ছেলেদুটো
আবার ফিরে এসে দাঁড়িয়েছে।
- খেলতে
যাবি আমাদের সঙ্গে?
মাথা নেড়ে
চললাম দু’জনেই। পাথরের ঢালু সিঁড়িটা দিয়ে খানিকটা নেমে যেতেই
দেখি ছোটো মাঠটাতে বসে আছে ওরা। ছোটো-বড়ো
মিলিয়ে দশ-বারোজন। ছ-সাত বছরের ছেলেদুটোর মতো আরও দুটো মেয়ে, একটা
আরও ছোটো ছেলে। বাকিরা বড়ো। কী ভালো যে লাগল দেখে! বোধ হয়
বনভোজন করতে এসেছে। আরও অনেকটা নিচে পাহাড়ের গোড়ায় একটা গাড়িও
দেখলাম, বোধহয় ওদেরই গাড়ি।
আমি তো ধুতি
পরি, করুণা শাড়ি। ওরা কেমন অবাক চোখে দেখল আমাদের,
তারপর হাত নেড়ে কাছে ডাকল। আমার
মায়ের বয়সি একজন কাছে গিয়ে দাঁড়াবার পর হাসলেন।
- কোথায়
থাকিস রে তোরা?
আঙুল
বাড়িয়ে পাহাড়ের ওপরটা দেখালাম।
- শীত
করে না? খালি গায়ে, আবার ধুতি পরেছে দেখো!
করুণাকে
কাছে টেনে নিয়ে একগাল হাসি।
- তোকে
শাড়ি পরিয়ে দিল কে রে, মিষ্টি মেয়ে? নাম কী তোর?
কতদিন কেউ
আদর করেনি ওকে। করুণা মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
আমিই জবাব দিলাম।
- ওর
নাম করুণা আর আমার নাম দুখীরাম। ও পাহাড়ের
চূড়ার কাছে থাকে।
শুনে একটু
মিষ্টি হেসে গাল টিপে দিলেন আমার। করুণাকে
কোলে বসিয়ে কী আদর!
- যাবার
সময় খেয়ে যাবি আমাদের সঙ্গে। খেল গে যা
এখন।
খুব খেলা হল।
একটা লম্বা কাঠের টুকরোকে ওরা বলছিল ব্যাট। আর সেই
হলদে গোলাকে বলে বল। এই দিয়ে খেলা।
ব্যাট দিয়ে গোলাটাকে দূরে পাঠিয়ে ছুট। ভারি মজা! আমার হাতে গোলাটা দিয়ে ছুড়তে
বলায় হল এক কাণ্ড! গোলা এত জোরে ছুড়েছি ওরা দেখতেই পায়নি! তারপর থেকে আস্তে
আস্তে ছুড়তে লাগলাম, খেলা জমে গেল। আমার পালা
এলে ব্যাট নিয়ে দাঁড়ালাম। গোলা
ছুড়তেই দুম করে মেরেছি আর বল চলে গেছে পাহাড় পেরিয়ে।
মনে মনে বলটাকে ডাকতেই আবার ফিরে এসেছে ওদের হাতে। এত
অবাক বোধহয় ওরা আগে হয়নি! তারপর অবশ্য ভুলেও গেল অবাক হওয়াটা। ছোটোদের আবার অত
মনে থাকে নাকি!
খাওয়ার
সময় হঠাৎ আমার চোখ গেল পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মস্ত বড়ো বটগাছটার দিকে।
তার একদম মগডালে পা ঝুলিয়ে বসে ওদের দিকে বড়ো বড়ো চোখ করে চেয়ে আছে বনের মধ্যে
বাস করা ছায়া ছায়া ক’জন। ওরা মোটেই ভালো নয়। মানুষকে
ভয় দেখানো আর ক্ষতি করাই কাজ ওদের। আমরা দু’জন
ছাড়া আর কেউ বোধহয় দেখতেই পাবে না ওদের। আমাকে আর
করুণাকে এদের মধ্যে বসে থাকতে দেখে কী দাঁত বার করে হাসি! খুব রাগ হয়ে গেল আমার।
ওরা বেঁচে থাকতেও ভালো মানুষ ছিল না, এখন আর ভালো হবে কী করে? দীনুদাদার নজরে
পড়লে বেশ হয়। মজা করা বার করে দেবে! দীনুদাদা বুড়ো হলেও গায়ের জোরে ওর ধারেকাছে
আর কেউ নেই। ও থাকে পাহাড়ের সবচাইতে বুড়ো বেলগাছটার মাথায়। আমাদের
খুব ভালোবাসে। ও এখন গেছে ওপরের বড়ো মন্দিরের মায়ের কাছে।
মায়ের সন্ধিপুজো হয়ে যাবার পর এখানে আসবে আমাদের গল্প শোনাতে।
এরা এবার
চলে যাবে মনে হচ্ছে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাসন সতরঞ্চি
গোটানো চলছে। এতক্ষণ এরা এই পাহাড় মন্দির এসব নিয়ে কত কথা
বলছিল। এখানে কোন তান্ত্রিক নাকি সিদ্ধযোগী। তাঁর
কাছে মায়ের নামে পুজো দিতে আসবে কাল। কান পেতে ছিলাম, তান্ত্রিকের নাম শুনে চমকে
উঠলাম। মনটা খারাপ হয়ে গেল। রাঘব
তন্ত্রাচার্য মোটেই ভালো লোক নয়। ডাকাতের
মতো মস্ত চেহারা। সিদ্ধযোগী না ছাই, ও একটা জন্তু! কত মানুষকে
মেরে ফেলেছে ও! এখন লোক ঠকিয়ে বেড়ায়। কপালে তেল সিঁদুরের
ফোঁটা আর মাথায় নকল জটা চাপিয়ে গায়ে ছাই মেখে অং বং চং কত লোকদেখানো ভড়ং। অথচ
মা ওকে দেখতে পারে না! বটগাছের ওপরে থাকা নোংরা ভূতগুলো ওর সঙ্গে সঙ্গে থাকে সব
সময়। মা তো সবার।
তার পুজো মনে মনে করলেই হয়। আবার
তান্ত্রিকের কাছে যাবার দরকার কী?
চলে যাবার
আগে আমাদের কাছে ডেকে মায়ের মতো মহিলাটি আবার আদর করে কালকে আবার আসতে বলে গেলেন।
আমরা মাথা নেড়ে বললাম আসব। মনে মনে
বললাম, আসতেই হবে। নইলে ঠকে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারব না তোমাদের।
তান্ত্রিকটাকে তাড়াতেও হবে তো। দীনুদাদা
ঠিক কিছু একটা করবে, আমরা তো আছিই।
পাহাড়
চূড়ার মন্দিরের পাশে খাদের ওপর ঝুলে থাকা মস্ত অশ্বত্থ গাছটার গোড়ায় বসে আছি।
করুণা আছে মন্দিরে। সন্ধের আরতির সময় ওকে ওখানে বসে থাকতে হয়।
যারা পুজো করে তারা ওকে দেখতে পায় না বলে বুঝতেই পারে না আরতি করছে ওরা করুণাকেই।
ভারি মজা! অনেক নিচের শহরটা অন্ধকারে বিন্দু বিন্দু আলোয় সাজানো।
মাথার ওপর আকাশটাও কালো অন্ধকারের ওপর বিন্দু বিন্দু তারার আলো আর গ্রহ নিয়ে
চমৎকার দেখাচ্ছে। নদীর উপর দু-একটা নৌকোতেও টিমটিম করে বাতি
জ্বলছে। অনেক দূরে নদীর মাঝে দ্বীপের ওপর ভৈরব মন্দিরে
আরতি হচ্ছে। ঘণ্টা বাজছে শুনতে পাচ্ছি ঢং ঢং। দীনুদাদা কালো
আকাশে আবছা আলোর রেখা টেনে মায়ের মন্দিরে যাবার সময় হাত নেড়ে বসতে বলে গেল।
কিছুক্ষণ বাদে করুণা এসে বসল পাশে। মন্দিরে
আরতি সেরে পুরুত মশাই চলে গেছেন বাড়ি। ধারে কাছে
আর কেউ নেই।
বসে আছি
চুপচাপ। হু হু হাওয়া দিচ্ছে, অশ্বত্থ গাছের পাতা কাঁপছে
ঝিরঝির করে। এই সময়ে আমার মনটা বড়ো খারাপ হয়ে যায়।
আগামীকাল অমাবস্যা। আবার মনে পড়ছে কতকাল আগে ফেলে আসা মায়ের কথা।
অমাবস্যায় আরও বেশি করে মনে পড়ে খড়ের চালে ঢাকা মাটির বাড়ি, ভালোমানুষ বাবা আর
আমার মায়ের কথা। করুণাও ওর ছোট্ট হাতের তালু দিয়ে চোখ মুছছে। ও
মুখে কিছু না বললেও ওরও মনে সেই ওর নিজের মায়ের কথা।
হাজার বছর আগে আমার মতো ওকেও তো কেড়ে এনেছিল কাপালিকের লোকজন ওর মায়ের কোল থেকে।
তারপর কী ভীষণ যন্ত্রণা! এতদিন পরেও ভুলতে পারিনি। হাঁড়িকাঠে
বাঁধার আগে অবধি বুঝতেই পারিনি ওরা আমাকে নিয়ে কী করতে চায়। হাঁড়িকাঠে
বেঁধে যখন শান দেওয়া খড়্গটা হাতে নিল তখন বুঝলাম! সেদিনটাও তো ছিল অমাবস্যা! সেই
থেকে তান্ত্রিক কাপালিকদের ওপর রাগ আমাদের!
ধুপ করে
শব্দ হল। মায়ের মন্দিরের চুড়ো থেকে উড়ে এসে পাশে বসেছে
দীনুদাদা।
পরদিন যা হল
বলি এবার। দীনুদাদা যেমন যেমন ঠিক করেছে সবাই
সেভাবে তৈরি হয়ে আছে। আমি আর করুণা ছোটো বলে শুধু রাঘব
বাবাজির আখড়ার পাশে বসে মজা দেখব। অদৃশ্য
হয়ে থাকব বলে কেউ দেখতে পাবে না আমাদের। সকাল থেকেই
তাই বসেছিলাম ওখানে। পাঁচটা মুণ্ডু ফুল দিয়ে সাজানো
হয়েছে। ওকে বলে পঞ্চমুণ্ডির আসন।
বাবাজি তার পাশে বাঘের চামড়ার আসনে বসেছে টানটান করে কপালে তেলসিঁদুরের লম্বা ফোঁটা
কেটে। গাঁজার ধোঁয়ায় ঘর অন্ধকার।
বাবাজির সঙ্গে আরও দু’জন লোক বসে আছে। তাদেরও
গুন্ডার মতো দেখতে। মাথায় নকল জটা, দাড়ি গোঁফ, কপালে লাল সিঁদুরের
টিপ। দেখলে ভয় হয়।
সারাদিন পরে
বিকেলের দিকে কালকের বনভোজনের দলটা সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসতে দেখা গেল। মেয়েরা
কেউ নেই সঙ্গে, ছোটোরাও আসেনি। ভালোই হল,
ওরা ভয় পেয়ে যেত। মায়ের মতো দেখতে মানুষটিও আসেননি।
ধুনি জ্বেলে
যজ্ঞের কাঠ সাজাতে সাজাতে সন্ধে হয়ে গেল। অমাবস্যার
অন্ধকারে থম থম করছে বন। কোথাও কোনো শব্দ নেই।
সবকিছু যেন কোনো কিছুর জন্য চুপচাপ অপেক্ষায় আছে।
কাঠগুলো ধরে উঠেছে। খড়ের আগুন ঘিরে বসেছে সবাই।
হাতায় করে আগুনে ঘি ঢালতে ঢালতে গম্ভীর গলায় মন্ত্র পড়া চলছে। অন্ধকারে
একটা তক্ষকের ডাক শোনা গেল। ঐ
ডাক শুনলে বুক কেঁপে ওঠে।
লকলকে
আগুনের আলো কাঁপছে বাইরের বড়ো গাছগুলোর গায়ে।
এমন সময় হঠাৎ একটা জোরালো বাতাস এসে আখড়ার মাথার চালাটা উড়িয়ে নিয়ে গেল।
তান্ত্রিক মশাইয়ের মাথা থেকে নকল জটাটাও খসে পড়ল যজ্ঞের আগুনে। যজ্ঞের
আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠে আকাশ ছুঁতে চাইছে। কারা
যেন ভয়ঙ্করভাবে পাহাড় কাঁপিয়ে হেসে উঠল। আগুনটা আরও
বেড়ে গেছে। আগুন তো নয়, যেন অজস্র আগুনরঙা হাত লকলক করে
তান্ত্রিককে ছুঁতে চাইছে। চার দেয়ালের ওপর দিয়ে কতগুলো
ভয়ঙ্কর মুখ উঁকি দিয়ে চেয়ে আছে ওর দিকে। তাদের বড়ো
বড়ো দাঁত আর রাগি চোখ দেখলে ভয় হয়। পচা মাংসের
গন্ধে বাতাস ভার হয়ে এল। এবার মস্ত বড়ো শরীর নিয়ে এসে
দাঁড়িয়েছে দীনুদাদা।
ভয় পেয়ে
রাঘবের সঙ্গী দু’জন কখন পালিয়েছে কে জানে! যাঁরা পুজো দিতে এসেছিলেন তাঁরাও দুদ্দাড়
করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে পালিয়েছেন। তান্ত্রিক
এখন একা। এবার পঞ্চমুণ্ডির আসনের মাথাগুলো লাফিয়ে উঠতেই ভীষণ
ভয় পেয়ে লোকটা আসন ছেড়ে লাফিয়ে উঠে ঝোপঝাড় ভেঙে ছুট লাগাল।
পাঁচটা কঙ্কাল ছুটেছে ওকে তাড়া করে। ওদের
চিৎকার কাঁপিয়ে দিচ্ছে পাহাড়-জঙ্গল - আর আসবি এখানে? আর যেন না দেখি তোকে!
এবারকার মতো করুণামায়ের দয়ায় বেঁচে গেলি!
আবার বন পাহাড়
অমাবস্যার আঁধারে চুপচাপ হয়ে গেছে। কুঁড়েঘর,
পঞ্চমুণ্ডির আসনের কোনো চিহ্ন নেই! আগুন নিভে গেছে কখন।
এতক্ষণে শান্তি। আমরা ফিরে চললাম যে যার জায়গায়।
খারাপ লোকটাকে আর কখনও বোধহয় এখানে আসতে দেখা যাবে না!
----------
ছবি - লেখক
ম্যাজিক ল্যাম্প
No comments:
Post a Comment