ম্যাজিক
ল্যাম্পের
প্রিয় বন্ধুরা,
পৃথিবীতে আগে যত রকমের ভূত ছিল তাদের মধ্যে বহু প্রজাতিই এখন বিলুপ্তপ্রায়। আমরা বন জঙ্গল কেটে, নদী-নালা বুজিয়ে, পুরোনো বাড়ি ভেঙে তার জায়গায় শপিং কমপ্লেক্স, ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি করছি। বেচারা না-মানুষেরা যাবেই বা কোথায়।
আর এখন এই ইন্টারনেট, আইফোনের যুগে ভূতেদের যে কী কষ্ট কী বলবো তোমাদের। আমাদের দপ্তরেও এসে পৌঁছেছে প্রচুর না-মানুষদের চিঠি। পেঁচো এসে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সামনে হাত পা নাড়লেও তারা ভিডিও গেম থেকে মুখটি পর্যন্ত তুলছে না।
তবে ভূতেদের জনসংখ্যা কমলেও পপুলারিটি কিন্তু মোটেই কমেনি।
তাই তো ম্যাজিক ল্যাম্প তোমাদের জন্যে নিয়ে এসেছে ভূত-রহস্য সংখ্যা।
ভূতের গল্প যেমন আছে তেমন আছে রহস্য গল্পও। রহস্য গল্পে ভূত থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে। ভূতের গল্পে কিন্তু রহস্য থাকবেই।
“হরর ফাইলস” বিভাগটিতে থাকছে সত্যি ভূত দেখার অভিজ্ঞতা। বানিয়ে বলা গাঁজাখুরি গপ্পো তোমরা ভাবতেই পারো, আমিও খুব অবিশ্বাসী ছিলাম। তবে একবার আমাদের গ্রামে ভাইবোনদের নিয়ে বিকেলবেলা আমি আম বাগানের ধার দিয়ে আসছি। ওদের বলছিলাম ভূত-টুত ওসব অন্ধবিশ্বাস। বাজে গল্প দেয় লোকে। অমনি হঠাৎ পেছন থেকে দেখি এক তালঢ্যাঙ্গা ভদ্রলোক এগিয়ে এসে বলছেন - “হে হে ভূত কিন্তু সত্যিই আছে। এই আমবাগানে আছে।”
লোকটার চেহারাটা ফ্যাকাশে রক্তশূন্য। আর চোখ গুলো যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে। আমি লোকটাকে পাত্তা না দিয়ে কিছুটা তাড়াতাড়ি এগিয়ে গেলাম। তারপর পিছন ফিরে দেখি সে আর নেই। যেন হাওয়া থেকে এসেছিল হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।
আমরা সবাই তখন ভয়ে দৌড়ে পালিয়েছি।
তবে তোমরা কিন্তু পালিয়ে যেও না। ভূতের অনেক রকম আছে। বন্ধু ভূতও আছে। এই সংখ্যাতে সবরকম ভূতকেই পাবে তার গ্যারান্টি দিচ্ছি। লিখছেন এই সময়ের জনপ্রিয়, বিশিষ্ট শিশু-কিশোর সাহিত্যিকরা। আর আমাদের আঁকিবুকি বিভাগের সদস্যরা এঁকেছে চমৎকার সব ছবি। ম্যাজিক
পেন্সিল নামে নতুন একটি আঁকিবুঁকির বিভাগ হয়েছে ছোটদের জন্যে। এবারের থিম ছিল “ভূতের
বাড়ি”। তাপস মৌলিক অসাধারণ ভাবে সাজিয়ে তুলেছেন এই ওয়েবজিনের পসরা।
ম্যাজিক ল্যাম্প কেমন লাগছে আমাদের জানিও।
ভালো থেকো। ভালোবাসা নিও।
ইতি,
জিনি
Bhalo laglo pore
ReplyDelete