ভূত বিচিত্রা
নুরজামান শাহ
ভূত থাকে বাঁশবনে পোড়ো সব বাড়িতে,
ভূত থাকে ভাঙাচোরা লড়ঝড় গাড়িতে।
মেছো ভূত গেছো ভুত ফর্সা বা কালো,
কিছু কিছু ভূত আছে তারা বড় ভালো।
কোনো কোনো ভূত নাচে গাছে মগডালে,
কেউ নাকি পিছলেও পড়ে যায় আলে।
দেশি নয় বিদেশিও আছে কত ভূত,
কেউ হলো খুব রাগী কেউ বা নিঁখুত।
খুব ভালো বন্ধুও হতে পারে তারা
মন থেকে ডাকলেই দিয়ে যাবে সাড়া
খোনা ভাবে ডাকে সব নাকি নাকি সুরে,
যদি চাও দেখে যাও হন্টেড পুরে।
______
ছবিঃ দ্বৈতা
হাজরা
amar ekta chara comment ei post kare dilam
ReplyDeleteamar ekta lekha comment ei post kare dilam
ভূত পেত্নী দত্যি দানব , থাকে অন্য দুনিয়ায়
তা নয়কো তা নয়কো, আশে পাশেই রয়
নানান রকম ভুতের আছে নানান রকম আচার
নানান রকম বেশভূষা আর নানান রকম বিচার
কত রকম ভূত যে আছে জান কিনা জানি না
ব্রহ্মদত্যি ,মামদো ভূত, দেখেছ কিনা জানি না
শাকচুন্নি শাকচুন্নি তেতুল গাছে থাকে
ভুতের বউ না বউ ভূত, সন্দেহ হয় তাতে
আমার ও তো শোনা কথা, গায়ে কাঁটা দিতে থাকে
বলছি শোন একটা গল্প শুনলাম কাল রাতে
পাড়ার জামাই কেষ্টবাবু অনেকদিন বাদে
এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি জানিনা কোন সুবাদে
বাড়িটা তো অনেক বড়,কেউ থাকে না তাতে
দেখে আসছি কবে থেকে চাবি লাগানোই থাকে
দেখা হলো বাজারে তে কেষ্ট বাবুর সাথে
উনি বললেন শ্বাশুড়ি তাঁর ওই বাড়িতেই আছে
তাই না শুনে আমাদের সব চক্ষু চড়ক গাছ
গত মাসেই শ্রাদ্ধ হলো সারলাম সব কাজ
হাসির চলে উড়িয়ে দিলেন সে সব কথা আজ
ভাবেন বুঝি এ গ্রামের সব বড়ই ঠাট্টা বাজ
ব্যাগ ভর্তি বাজার করে বাড়ি গেলেন তিনি
আমরা সবাই ভাবছি বসে কি হয় কি জানি
গ্রামের বাড়ি, শীতের রাত্রি নিশ্চুপ নিঃঝুম
হঠাত শুনি দরজায় কে মার্চে ধুম ধুম
দরজা খুলে দেখি আমি কেষ্ট বাবু দাঁড়িয়ে
দার দরিয়ে ঘামছেন আর কাঁপছেন থরথরিয়ে
আমি গিন্নি দুজন মিলেঘরে এসে বসালাম
জল খাওয়ালাম, ধীরে ধীরে ঘটনাটা শুনলাম
কখন বুঝলেন কেষ্ট বাবু, শাশুড়ি তাঁর মানুষ না?
রেঁধে ছিলেম খাসা কিন্তু মাছের ঝোল আর ডালনা
খেতে বসে তিনি যখন চাইলেন লেবু একটি
বসে বসেই শাশুড়ি তার বাড়ালেন হাতটি
ঠাং ঠাং এ সে হাত খানা তার জানালা দিয়ে বাড়িয়ে দিলেন
লম্বা করে,বাগান থেকে লেবু পেড়ে নিয়ে এলেন
তাই না দেখে জামাই বাবুর গুড়ুম হলো আত্মা
পন্ট্লা পুঁটলি লটবহর নিয়ে হলেন বেপাত্তা
bhoot bichitra o bhalo legeche
ReplyDeleteবেশ ভালো
ReplyDeletedarun
ReplyDelete