ছড়া-কবিতা:: ভূতের ব্যারাম - অমিতাভ প্রামাণিক

ভূতের ব্যারাম
অমিতাভ প্রামাণিক

ভূতের জামাই অসুস্থ খুব, ধড়ফড়াচ্ছে শরীর।
তিনটে হাকিম চারটে বদ্যি
ছানার জলে ডুবিয়ে রদ্দি
জলপটি দেয়, তার সাথে দেয় ওষুধ দু’তিন ভরির।

ভাবছ সোনার? মোটেই তা নয়। ভূতের অসুখ বিসুখ
হলেই যদি প্রেশাস মেটাল
লাগত তবে খেতোই সে টাল
দাম শুনে, আর চাইত না কেউ তাদের সঙ্গে মিশুক।

এসব ওষুধ তৈরী করা স্পেশ্যাল আঁচের আলোয়।
কাদায় গুলে কয়েক চামচ
খেলেই সারে প্রেশার বা মোচ।
সারছে না জ্বর, উঠছে ফুলে ভূতের মেয়ের গাল ওই।

ভূতের শ্বশুর খানদানি লোক, বেলগাছে তার প্রাসাদ।
বেল পাকলে কাকের কী, তাই
রোজ সকালে গৌর নিতাই
নেত্য করে ঝাল-কেঁচো খান, সবাই বলে, যা স্বাদ!

ব্যাপার দেখে ঘাবড়ে গিয়ে পেরিয়ে বাড়ির চাতাল
হাঁকেন পাড়ার কোবরেজে – তার
ধুকধুকি নেই, গলায় সেতার –
সে কয়, এরে অ্যাডমিট কর এক্ষুণি হাসপাতাল।

হাসপাতালে ভর্তি হ’ল ভূতের বাড়ির জামাই।
দশ কালোয়াত, বিশ স্পেশালিস্ট
চাপিয়ে পিঠে মস্ত বালিশ
কান চেপে সব ভূতগীতি গায়, অফিস করে কামাই।

মাস পেরোলো, বছর গেলো, কমলো না তার ফিভার।
যেই মুখে দেয় থার্মোমিটার
ঝনঝনিয়ে বাজছে গিটার।
ওষুধ দিলেই পেট গুড়গুড়, মাথার মধ্যে কী ভার!

হাসপাতালের পিদিমখানা ভুল করে কে ছুঁতেই
জিন এলো এক, ধুমসো আদুর;
এসেই বলে, সারবে না, ধুর,
ডাক্তার নয়, ঝাড়ফুঁক কর, ধরছে এরে ভূতেই।
________
ছবিঃ চিরঞ্জিত সামন্ত

9 comments:

  1. ছবিটা দুরন্ত হয়েছে।

    ReplyDelete
  2. আসাধারণ......দুটোই ছড়া ও ছবি....

    ReplyDelete
  3. ছড়া ও ছবি দুইই দারুণ !!

    ReplyDelete
  4. Kobita ebong illustration dutoi darun

    ReplyDelete
  5. Kobita ebong illustration dutoi darun

    ReplyDelete
  6. লেখাটা দারুন লেগেছে।
    তবে একটা জিনিষ মনে হলো, যেহেতু ম্যাগাজিনটা ছোটদের জন্যে, আর একটু সহজ সরল ছন্দে হলে মনে হয় তাদের পক্ষে সহজপাচ্য হত।

    ReplyDelete
  7. খুব ভালো লাগল ছড়াটা। হাসপাতাল পর্যন্ত গেল... ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ পর্যন্ত গেলে আরও ভালো হত। :D ছবিটা কিন্তু ব্যাপক।

    ReplyDelete