সুস্মিতা কুণ্ডু
রাজামশাই
শেষমেশ আর কোনও উপায় না পেয়ে, সারা দেশের আনাচে কানাচে লোক পাঠিয়ে, ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে
ঘোষণা করলেন, রাজকন্যে চঞ্চলাকে যে উদ্ধার করতে পারবে, তাকে অর্দ্ধেক রাজত্ব দান করা
হবে। শুধু তাই নয়, ‘সেরার সেরা বীর’ খেতাব দেওয়া হবে তাকে। দেশ বিদেশ থেকে রাজপুত্র এল রথ হাঁকিয়ে,
মন্ত্রীপুত্র এল হাতিতে চেপে, সেনাপতিপুত্র এল ঘোড়া ছুটিয়ে, আরও না জানি কতশত হোমরাচোমরা
নামিদামি লোক এল। পায়ে
হেঁটে, ছুটে, ঢাল তরোয়াল লাঠি হাতে নিয়ে অচেনা অজানা কত্ত লোক এল। কিন্তু কেউ রাজকন্যে চঞ্চলাকে উদ্ধার
করে আনতে পারল না। পারবে
কী করে? রাজকন্যে তো আর উঠোনে খেলে বেড়াচ্ছেন না, যে যাবে আর টপাৎ করে উদ্ধার করে নিয়ে
চলে আসবে। রাজকন্যে
চঞ্চলাকে বন্দি করে রেখেছে এক বিশাআআল বড়ো ড্রাগন। সে কেমন ড্রাগন শুনবে?
তার,
সবুজ আঁশের বর্ম।
তার,
লৌহকঠিন চর্ম।
তার,
কণ্ঠে অগ্নিশর।
সে
যে ভীষণ ভয়ঙ্কর!
তেরো
সমুদ্দুর সপ্তনদীর পারে এক ভয়ানক গভীর জঙ্গলে আকাশছোঁয়া পাথুরে দুর্গে নাকি বন্দি আছেন
রাজকন্যে। সবাই
এর ওর তার মুখে শুনে শুনে সবটা জেনে গেছে কিন্তু সে ড্রাগন আর ড্রাগনের দুর্গের দেখা
আর কেউই পায় না। কাজেই
রাজকন্যেকেও কেউ উদ্ধার করে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারে না। সবাই জল্পনা করে, কল্পনা করে,
হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা মশা মারেঙ্গা ড্রাগন কাটেঙ্গা, কিন্তু কচুটা! কাজের কাজ
কিছুই হয় না! আরে বাবা তেরো সমুদ্দুর সপ্তনদী পেরোনো কি ছেলের হাতের মোয়া নাকি?
ওই
দ্যাখো ভুল ধরে! হ্যাঁ রে বাবা, ওই সাত সমুদ্দুর তেরো নদীই না হয় হ’ল! এক দু’টো নদী
সমুদ্দুর কম বেশি হলেও ফলাফল সেই একই হবে!
অতএব
রাজকন্যে চঞ্চলার খোঁজ চলতেই থাকে... চলতেই থাকে।
এদিকে
রাজা-গজারা সব ততক্ষণ রাজকন্যেকে খুঁজতে থাক, আমরা বরং ওদিকে একটু হাবুলের সঙ্গে আলাপটা
সেরে নিই। হাবুলের
জগৎ সংসারে কেউ নেই। রাজ্যের শেষ প্রান্তে একটা কুঁড়েঘরে একা থাকে, একা রাঁধে বাড়ে,
একাই খায়দায়, একাই খেলাধুলো করে। হাবুলের কুঁড়েটা টপকালেই শুরু হয় গা-ছমছম
বন। গা-ছমছম
বনে সচরাচর কেউ যায় না। যাবেই বা কেন? শোনা যায় নাকি ওই বনে নানারকমের সব ভয়াল ভয়ংকর
জীবজন্তু থাকে। তবে
আমাদের হাবুল হল গিয়ে বোকাসোকা ছেলে, আর কে না জানে বোকাসোকা ছেলেদের ভয়ডর কম। তাই রান্নার জন্য জ্বালানী কাঠ জোগাড়
করতে হাবুল ওই গা-ছমছম বনেই ঢুঁ মারে। বেশি গভীরে যায় না, সামনাসামনিই পড়ে
থাকা শুকনো ছালবাকল ডালপালা কুড়িয়ে নিয়ে আসে।
কিন্তু
সেদিন এদিক-সেদিক ঘুরতে ঘুরতে জঙ্গলের একটু ভেতরপানে চলে গেল হাবুল। যখন খেয়াল হল তখন দেখল কুঁড়েতে ফেরার
চেনা পথটা ঘন জঙ্গল, ঝোপঝাড় আর লম্বা লম্বা গাছের আড়ালে হারিয়ে গেছে। হাঁকপাঁক করে পথ খুঁজতে গিয়ে আরও গভীর
জঙ্গলের ভেতর দিশেহারা হয়ে গেল হাবুল। না জানি কতক্ষণ! ক্ষিধে তেষ্টায় ক্লান্ত
হয়ে হঠাৎই এসে পড়ল একটা বেগুনি রঙের প্রাসাদের সামনে। প্রাসাদ ঠিক নয় বরং দুর্গ বলাই ভালো। খুব উঁচু একটা পাথুরে মিনার। চারপাশে পাথরের পাঁচিল। সব বেগুনি রঙ করা। হাবুল সেই দুর্গে যাবে কি যাবে না
চিন্তায় পড়ল। দুর্গে
যদি কোনও রাক্ষস-খোক্কস থাকে? যদি হাবুলকে গপ করে খেয়ে ফেলে? অবশ্য জঙ্গলে এইভাবে পথ
হারিয়ে ঘুরে বেড়ালেও যে হাবুল বিশেষ সুরক্ষিত থাকবে তা নয়। তাছাড়া যারা বেগুনি রঙের দুর্গ বানায়
তারা কি খুব খারাপ লোক হবে? হলেই বা রাক্ষস!
পাঁচিলের
একটা ফোকর দিয়ে গলে ভেতরে ঢুকে পড়ল হাবুল। ঢুকেই তো হাবুল থ! কী সুন্দর ভেতরটা। কতরকমের ফুলের গাছ, সবুজ ঘাস। গাছে গাছে রসালো ফল। গাছগুলো লম্বা নয় বেশি, খাটো খাটো
সব। সেইজন্যই
পাঁচিলের ওই পার থেকে দেখতে পাওয়া যায় না। হাবুল তো খিদের চোটে অস্থির। একটু দূরেই একটা ঝাঁকড়া মতো গাছ। তাই থেকে ঝুলছে হলুদ গায়ে সিঁদুরে
ছোপওয়ালা টুসটুসে আম। গাছটা হাবুলের মাথা ছাড়িয়ে আর বড়ো জোর হাত দুই লম্বা হবে। দু’হাতের মুঠোয় দু’খান আম পেড়ে তাইতে
সোওওজা দাঁত বসাল হাবুল। যেই না সবে মধুর মতো মিষ্টি সোয়াদটা মুখের ভেতর চারিয়ে গেছে,
ওমনি একটা খিল খিল হাসির শব্দ কানে বাজল হাবুলের। তড়িঘড়ি ওই গাছটার পেছনেই গা-ঢাকা দিল। হাসির শব্দটা লক্ষ্য করে চেয়ে দেখে,
একটা ছোট্ট মতো মেয়ে, হাবুলের বয়সীই হবে, ছুটে ছুটে খেলছে। আর মেয়েটার পায়ে পায়ে ঘুরছে সবুজ রঙের
একটা কুকুরছানা, না ছাগলছানা, না না খরগোশছানাই হবে বুঝি। হাবুল ঠিক ঠাহর করতে পারে না।
হাবুলের
কৌতূহল বাড়ে। কে
এই মেয়েটা? আর সবুজ রঙের এটা আবার কী জন্তু রে বাবা! একটু উঁকিঝুঁকি মেরে নজর করার
চেষ্টা করে। মেয়েটার
গায়েও বেগনে জামা, মাথা ভর্তি কালো কোঁকড়ানো চুল। সবুজ ছোট্ট প্রাণীটাকে একটা রঙিন গোল্লা
ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিচ্ছে মেয়েটা, ও সেটা কুড়িয়ে কুড়িয়ে আনছে। ওমা! সবুজ জন্তুটা আবার ডানা মেলে
আকাশে উড়ে গিয়ে গোল্লাটা ধরছে যে। কী কাণ্ড! হাঁ করে আকাশের দিকে চেয়ে
দেখতে থাকে হাবুল। হঠাৎ
একটা রিনরিনে গলা ওর কানের কাছে বেজে ওঠে, “এইয়ো! কে বটে তুমি? আমাদের বেগনে পুরীতে
কী করে ঢুকলে শুনি? এই ডুগ্গু... ডুগ্গুউউউ! শিগগির এসে এই চোরটাকে ধর তো!”
হাবুল
খেয়াল করেনি কখন ওই সবজে উড়ুক্কু জন্তুটাকে দেখতে দেখতে গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসেছে। বেগনে জামা পরা মেয়েটা ওকে দেখতে পেয়ে
সামনে এসে কোমরে হাত দিয়ে আঙুল নেড়ে নেড়ে বকছে। সরু গলা হ’লে কী হবে, এমন সানাইয়ের
মতো প্যাঁ পোঁ করে বাজছে হাবুলের কানে তালা লাগার জোগাড়। তার ওপর আবার সাহস মন্দ নয়,
হাবুলকে চোর বলছে! হাবুলের মতো একটা সৎ ছেলে একটা খুঁজে দেখাক তো! হাবুলও রেগেমেগে
বলল, “এইয়ো! আমাকে চোর বলবে না বলে দিচ্ছি! আমি হাবুল।”
মেয়েটা
হেসে উঠে বলল, “হাবুল আবার কেমন বিচ্ছিরি নাম!”
“আর
তোমার নাম কী শুনি?”
“আমার
নাম রাজকুমারী চঞ্চলা! আর ও হ’ল আমার বন্ধু ড্রাগনছানা ডুগ্গু।”
হাবুল
চোখ বড়ো বড়ো করে চেয়ে দেখে, সত্যিই তো! মেয়েটার মাথায় লাল-নীল পাথর বসানো সোনালি রঙের
একটা ছোট্ট মুকুট। আর
ওই উড়ুক্কু জন্তুটারও পিঠে দু’টো ডানা আছে, একটা লম্বা লেজ আছে আর আর... ওই তো!
মেয়েটার পেছনে লুকিয়ে হাবুলকে দেখছে আর গর গর করছে, মুখ দিয়ে ধোঁয়া আর অল্প আগুন বেরোচ্ছে। তার মানে এটা সত্যি সত্যিই ড্রাগন!
হাবুলের
হঠাৎ মনে পড়ে, তাই তো! রাজকন্যে চনচলা না মনচলা কাকে যেন নাকি ভয়ানক ড্রাগন ধরে নিয়ে
গেছে! রাজার লোক ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে বলছিল বটে বেশ ক’দিন আগে। মা গো মা! এই তবে সেই হারানো রাজকন্যে
আর ভয়ানক ড্রাগন! হাবুল হি হি করে হাসতে শুরু করে। চঞ্চলা হাবুলের হাসি দেখে আরও রেগে
যায়। পা
ঠুকে বলে, “এইয়ো হাবুলচন্দ্র! খবর্দার হাসবে না বলছি। ডুগ্গু তাহলে মজা দেখাবে তোমায়!”
হাবুল
হাসি থামিয়ে উত্তর দেয়, “ও রাজকন্যে! তুমি এখানে এই ড্রাগন ছানার সঙ্গে খেলা করছ,
আর ওদিকে তোমার বাবা-মা যে তোমায় খুঁজে খুঁজে সারা! কত লোক তোমায় কতশত সমুদ্দুর নদী
পাহাড় সব টপকে খুঁজতে গেছে, আর তুমি এই গা-ছমছম বনের বেগনে দুর্গে লুকিয়ে আছ? তুমি
বরং বাড়ি ফিরে যাও।”
চঞ্চলার
মুখটা কেমন রাগ আর দুঃখের মিশেলে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।
“আমি
কিছুতেই রাজপ্রাসাদে ফিরব না! দিনরাত খালি অঙ্ক কষো, নামতা পড়ো, পদ্য মুখস্থ করো,
নাচ শেখো, গান শেখো! ভাল্লাগে না, আমার একদম ভাল্লাগে না! সইদের সঙ্গে খেলব কখন?
পঞ্চব্যঞ্জনে সোয়াদ লাগে না। কুলের আচার আমের টক খেতে দেয় না কেউ
আমায়। গলা
খারাপ হলে গাইতে পারব না, পেট ব্যথা হলে পাঠশাল যেতে পারব না বলে। ওটা রাজপ্রাসাদ না কারাগার! আমি এখানেই
ডুগ্গুর সঙ্গে দিব্যি আছি।”
এই
বলে ড্রাগনছানার মাথায় হাত বোলায় চঞ্চলা। সেও চঞ্চলার হাতের তালুতে মাথা ঘষে,
পোষা বেড়ালছানার মতো। কে বলবে এ নাকি ভয়ংকর ড্রাগন!
হাবুল
বোকাসোকা হলেও মূর্খ নয়। মানুষের মনের কষ্ট সে বোঝে। নরম গলায় বলে, “রাজকন্যে আমি তোমার
দুঃখটা বুঝেছি গো। কিন্তু
তুমিও ভেবে দেখ তো, এই যে তুমি বাড়ি ছেড়ে চলে এলে, তোমার মা-বাবা তোমায় কত খুঁজছেন,
কত কান্নাকাটি করছেন। আমার সাত কূলে কেউ নেই, তাই মা-বাবার ভালোবাসা আমার কপালে জোটেনি। কিন্তু তুমি সেই ভালোবাসা হারিয়ে ফেলবে
সামান্য কারণে রাজকন্যে?”
চঞ্চলা
হাবুলের কথাগুলো শুনতে থাকে। হাবুল বলে চলে, “দুনিয়াটা কেমন অদ্ভুত
দেখ। তোমার
পড়াশোনা করতে ইচ্ছে করে না অথচ আমার পড়াশোনা করতে পাঠশালে যেতে ভারি মন চায়। কিন্তু আমার কপালেই নেই পড়াশোনা!
কে পড়াবে এই অনাথ হাবুলকে? শুধু কি তাই? তোমার পঞ্চব্যঞ্জনে অরুচি অথচ আমার মতো গরীব
মানুষরা দু’বেলা একটু ভাত পেলেই হেসে খেলে আনন্দে থাকি। তাই বলছিলুম রাজকন্যে এভাবে রাগ করে
থেকো না!”
মনটা
কেমন কেমন করে চঞ্চলার। মায়ের হাতের রান্না, বাবার আদর সব মনে পড়ে। হাবুল বুঝতে পারে রাজকন্যের মনটা,
“তার ওপর কন্যে ভেবে দেখ! তোমায় খুঁজতে কত লোক কত জায়গায় ছুটছে। তাদের যদি কোনও বিপদ হয়। অথবা তোমায় এখানে খুঁজে পেয়ে কেউ যদি
ভাবে ডুগ্গু তোমার ক্ষতি করেছে আর ডুগ্গুকে ওরা ধরেবেঁধে নিয়ে যায়?”
চঞ্চলার
বুকের ভেতরটা কেঁপে ওঠে। সত্যিই তো! এত কিছু তো তলিয়ে ভাবেনি। ও পালিয়ে এসে কত লোককে কষ্ট দিচ্ছে,
বিপদে ফেলছে নিজের অজান্তেই। দু’হাত চোখে চাপা দিয়ে কেঁদে বলে ওঠে
চঞ্চলা, “না না, আমি আজই বাড়ি যাব। আমি তো বাড়ি থেকে পালিয়ে ঘুরতে ঘুরতে
এই জঙ্গলে এসে পথ হারিয়ে ফেলি। তারপর ডুগ্গুর
দেখা পাই এই বেগুনি দুর্গে। তারপর থেকে আমি এখানেই ছিলাম, মা-বাবার
ওপর রাগ করে। একদিন
ডুগ্গুর পিঠে চেপে বনের বাইরে আকাশে উড়ছিলাম। এক কাঠুরে আমাদের দেখে ফেলে। সেই থেকেই মনে হয় গুজব ছড়ায় যে আমায়
ভয়ংকর ড্রাগন সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর পারে বন্দি করে রেখেছে। কিন্তু ডুগ্গু তো আসলে ছোট্ট ড্রাগনছানা। ও খুব ভালো। তোমার কথা শুনে আমি বুঝলাম আমি খুব
বড়ো অন্যায় করেছি। আমার
অনেক কিছু আছে বলে আমি সেগুলোর গুরুত্বই বুঝিনি। কিন্তু যাদের নেই তাদের কথা শুনে আমি
আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।”
হাবুল
হেসে বলে, “এই তো রাজকন্যের মতো কথা। ফিরে গিয়ে মা-বাবাকে তোমার কষ্ট ইচ্ছে-অনিচ্ছেগুলো
বুঝিয়ে বলো, ওঁরা ঠিক শুনবেন।”
তারপর
কী হল?
কী
আবার হবে?
হাবুলচন্দ্র
রাজকন্যে চঞ্চলাকে পৌঁছে দিয়ে এল রাজপ্রাসাদে। রাজামশাই তাকে ‘সেরার সেরা বীর’
খেতাব আর অর্ধেক রাজত্ব পুরস্কার দিতে গেলেন কিন্তু হাবুল বলল, “রাজত্ব নিয়ে আমি কী
করব, রাজামশাই? আপনি বরং আমার মতো অনাথ বাচ্চাদের থাকাখাওয়া পড়াশোনার ব্যবস্থা করে
দিন, তাহলেই আমি খুশি।”
হাবুলের
এই কথা শুনে তো সবাই ধন্য ধন্য করল আর গল্প এখানেই ফুরোলো!
ওহো
না না... একটুসখানি বাকি আছে। ড্রাগনছানা ডুগ্গু এখন রাজকন্যে চঞ্চলার
কাছেই থাকে। চঞ্চলা
রোজ বিকেলে ডুগ্গুর পিঠে চেপে উড়ে যায় জঙ্গলের ভেতরে সেই বেগনে দুর্গে।
কেন
যায়?
বাহ্
রে! সেখানে যে এখন চঞ্চলার প্রিয় বন্ধু হাবুল থাকে। অত সুন্দর সুন্দর মিঠে আমের মায়া কাটিয়ে
কি আর হাবুলচন্দ্র অন্য কোথাও থাকতে পারে?
চঞ্চলা
আর হাবুলচন্দ্র
হল
প্রাণের বন্ধু,
তাই
না দেখে বেজায় খুশি
ড্রাগনছানা
ডুগ্গু।
_____
ছবিঃ সোমঋতা চ্যাটার্জী
ছবিঃ সোমঋতা চ্যাটার্জী
No comments:
Post a Comment