ভুলো মানুষের ছড়া
দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী
ভুলো মানুষ পথ হারিয়ে, আপন মনে সব ছাড়িয়ে
ভাবছ বুঝি নিখোঁজ হল?
মোটেই না!
ভুলেশ্বরী নদীর কাছে, ভুলভুলিয়াস পাহাড় আছে
এসব তোমার গুগল ম্যাপে
ফোটেই না।
ফুটলে কাঁটা ভোলা মাছের, গন্ধ পেলে খেয়াল গাছের
মন থাকে না নিজের কাছে
করবে কী?
ভুলতে ভুলতে চলল ভুলি, হাতের মুঠোয় কমলাপুলি
ভুল এক্সপ্রেস দিয়েছে ডাক
চড়বে কি?
ভুলভুলিয়া শহর জুড়ে, ভুলো মানুষ বেড়ায় ঘুরে
এক পায়ে তার নাগরা, আরেক
পায়ে বুট
হারিয়ে যাওয়া ছাতা, টুপি, ভেসে বেড়ায় চুপি চুপি
উলটো দিকে সূয্যি ওঠে
কী অদ্ভুত!
ফরসা দিনে, বর্ষা দিনে হারিয়ে যাওয়া সেফটিপিনে
আটকে রাখে মেঘের জামা
তাদের গায়
চশমা রাখে জুতোর খাপে
জুড়িয়ে যাওয়া চায়ের কাপে ভুলো মানুষ হাতঘড়িটা
ডুবিয়ে খায়।
কেউ তো কারও নাম জানে না, কেউ তো কারও ধাম জানে না
কীসের কত দাম জানে না
সেই দেশে
তাই তাকে আর ডাক দিও না, তার কাজে আর নাক দিও না
নিজের মনে, নিজের মতো
থাকগে সে।
থাকগে সে।
_____
ছবিঃ শুভম ভট্টাচার্য
খুব সুন্দর লেখা। শুধু আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হল 'আরেক পায়ে বুট' এই জায়গাটায় ছন্দটা অল্প কাটছে। 'পায়েতে' শব্দটায় হয়তো ছন্দটা থাকতো। আর শেষ স্তবকে ছটি লাইনের ছক পাঁচ লাইন হয়ে গেছে। আমার মনে হয় 'থাকগে সে' আলাদা লাইনে যেত।
ReplyDeleteএক পায়ে তার নাগরা এখানে একটা "কমা" হবে তাহলে যখন পড়বেন ছন্দ ঠিক মনে হবে। "থাকগে সে" শেষ লাইনেই হবে হয়তো জায়গার অভাবে,
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ মতামতের জন্য