রুডইয়ার্ড
কিপলিং
অনুবাদঃ
দেবাঞ্জন
মিত্র
শোনো
হে
আগামী, যদি তুমি, নিজের
মাথা
ঠাণ্ডা
রাখতে
পারো —
জীবনের
অতি
কঠিন
মুহূর্তে
যখন
বাকিরা
তোমার
অপযশ
কামনা
করবে, এবং
নিজেদেরকে
ব্যস্ত
রাখবে
তোমায়
দোষী
বানাতে —
যদি
তুমি, নিঃস্বার্থরূপে
নিজেকে
বিচার
করতে
পারো
শুনে
অন্য
সাথীদের
মত
ও
বিশ্লেষণ
এবং
যদি, নিজের
প্রতি
সব
পরিস্থিতিতে
করতে
পারো
বিশ্বস্ত
নির্মোহ
আত্মবিশ্লেষণ…
যদি, জীবনের
কানাগলিগুলোর
আঁকে-বাঁকে
প্রতি
পদে
মিথ্যে
শুনেও
নিজে
সত্যিটা
বলতে
পারো
যদি
ক্লান্ত
না
হয়ে
জীবনের
হরেক
প্রলোভনের
পরেও
সঠিক
সময়ের
অপেক্ষা
করতে
পারো —
যদি, জীবনের
অবারিত
ঠোক্কর
খেয়ে
খেয়েও, ঘৃণিত
হয়েও, তুমি
জীবনের
প্রতিটি
পল-কে
ভালোবাসতে
পারো
কেবল
আমিই
সবচেয়ে
সুন্দর, আমিই
সেরা, গুণী
— এই আমিত্ব থেকে
যদি
বের
হতে
পারো —
জেনো
তবেই
তুমি
জিততে
পারবে
অহমিকার
চোরাবালি…
শোনো
হে
সন্ততি, যদি তুমি, জীবনের
হাজার
আঘাত
সয়েও
সোনালি
সকালের
স্বপ্ন
দেখতে
পারো
যদি
তুমি
গড্ডালিকা-স্রোতে
না
বয়ে, বেখেয়ালে
না
মজে,
খোলা
মনে
ভাবতে, চিন্তাশীল
হতে
পারো —
যদি
তুমি
অবিচল
হতে
পারো
সুখের
ক্ষণে, স্থির
হতে
পারো
বিপদের
দিনে
শুধু
তাহলেই
এ
দুই
সদা
প্রতিযোগী
পালোয়ান
ভাইকে
পুরে
রাখতে
পারবে
তুমি
নিজের
মনের
গহীন
আস্তিনে…
যখন
অন্য
সকলে
দ্বিধা
করতে
ও
একে-অপরকে
বোকা
বানাতেই
ব্যাস্ত —
জেনো
তুমি
হিমালয়ের
মতো
নিবিড়
আশ্রয়
হতে
পারবে,
যদি
অন্যদের
থেকে
বাধা
পেয়েও আপন
মত
রাখতে
পারো
নির্ভীক
দৃঢ়চিত্তে
যদি
জীবনের
হাজার
হাজার
ক্ষত
সয়েও
একটা
উদার
শিল্পী-মন
পেতে
পারো
জানবে
প্রতিটি
ভাঙ্গাচোরা
রক্তঝরানো
আগুন-রঙা
ইট
থেকেই
তিলে
তিলে
গড়ে
ওঠে
মানুষের
স্বপ্নের
ইমারত।
শোনো
হে
অঙ্কুর, যদি তুমি
আপন জীবনের
প্রত্যেক
জমানো
ভালো
মুহূর্তগুলোকে
এক
তুড়িতে
ঝুঁকি
নিয়ে
জীবনের
জুয়াখেলার
ঠেকে
নির্ভয়ে
বন্ধক
রাখতে
পারো —
কী
পেয়েছি
আর
কী
পাইনি
সে
সব
স্মৃতির
বোঝাদেরকে
এক
নিমেষে
ভুলে
যেতে
পারো
তবে
জানবে
জীবনের
শত
ঠোকা
খেয়েও
যে কোনো
মুহূর্তেই
তুমি
শুন্য
থেকে
আবার
ফিরে
ঘুরে
দাঁড়াতে পারবে…
যদি
জীবন-শিকারীর
পাতা
ফাঁদে
পড়েও
নিজের
স্নায়ুগুলোকে
শক্ত
রাখতে
পারো
জানবে
তোমার
সবুজ
মন
সঙ্গী
হবে
তোমার, তোমার
অবসন্ন
শরীর
শিথিল
হয়ে
এলেও —
যদি
জীবনযুদ্ধে
তুমি
যুঝতে
যুঝতে
শ্রান্ত
হয়ে
পড়ো, জানবে
মনে
থাকলে
ইচ্ছাশক্তির
মুক্ত
বাতাস
তুমিও
একদিন
পায়ের
তলায়
পাবেই
জমিন,
মাথার ‘পরে
ছাতা
ধরবে
বটগাছের
মতোই
স্নেহময়
নীল
আকাশ…
শোনো
হে
সন্তান, যদি
তুমি
মাথা
উঁচু
করে
বাঁচতে
পারো,
হাজার
নামহীনের
ভিড়ে
মিলে
থেকেও
স্বতন্ত্র
হতে
পারো
মানুষকে
ভুলো
না,
জেনো, সবচেয়ে
ক্ষমতাশালী
মানুষটিও
একদিন
এই
বিপুল
জনতা
থেকেই
উঠে
এসেছিল —
যদি
তুমি
বন্ধু
আর
শত্রু
সকলের
সাথেই
সমদর্শী
আর
একাত্ম
হতে
পারো —
যদি
বিশ্বাসে
অন্ধ
না
হয়ে
প্রত্যেক
মানুষকেই
বিশ্বাস
করতে
পারো,
যদি
প্রতি
মুহূর্তে
পরিপূর্ণভাবে
জীবনটাকে
নিজের
আপন
ছন্দে
বাঁচতে
পারো
ক্ষমা
করতে
পারো
দুঃখ
আর
অবসাদে
ভরা
এই
ধরাকে, হুট
করে
একদিন
আবিষ্কার
করবে —
তোমারই
তরে
তো
আছে
এই
জীবনদায়িনী
সুজলা সুফলা
শস্যশ্যামলা
ধনধান্য
ভরা
ভবিষ্যতের
পৃথিবী
শোনো
হে
প্রিয়
উত্তরাধিকারী
মোর —
এই
বিপুলা
পৃথিবীরই
স্নেহছায়ায়
তুমিও
একদিন
ভবিষ্যতে —
মানুষ
হয়ে
উঠবে।
--------
মূল
কবিতাঃ
রুডইয়ার্ড
কিপলিং
রচিত ‘ইফ—’ (১৮৯৫)
ছবিঃ আন্তর্জাল
সুন্দর শব্দচয়ন। ভালো লাগলো খুব!
ReplyDelete- মৌসুমী