আলোচনাঃ নুরজামান শাহ
বইঃ সূর্য
মন্দিরের শেষ প্রহরী, লেখকঃ
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
সোনাঝরা ইনকা সভ্যতা নিয়ে
সাহিত্যিক হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্তের লেখা ‘সূর্য মন্দিরের শেষ প্রহরী’ অ্যাডভেঞ্চার
উপন্যাসটি সদ্য পড়ে শেষ করলাম। দুর্দান্ত এই উপন্যাসটিতে ইনকা সভ্যতা নিয়ে অনেক
অজানা ইতিহাস যেমন জানা যায় তেমনি কাহিনির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অ্যাডভেঞ্চারের
আমেজ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন লেখক। বিপজ্জনক
দুর্গম পথ পেরিয়ে সূর্য মন্দির অভিযান, প্রাচীন রীতি-নীতি, উপন্যাসের
রোমাঞ্চকর পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করে তাকে সুপাঠ্য করে তুলেছে।
এই
উপন্যাসের শুরুতে প্রফেসর মার্কেজ, তার নাতি সুসান ও ফটোগ্রাফার বিলের
সঙ্গে কলকাতার ছেলে সুজয়ের পেরুর এক হোটেলে আলাপ হয়। তারা মাচুপিচু বেড়াতে গেলে
সেখানে আলাপ হয় স্পেনের ধনকুবের পিনচিওর ও সূর্য মন্দিরের পুরোহিত ইল্লাপার সঙ্গে।
এদের কাছেই মার্কেজ জানতে পারে প্রাচীন ইনকা সাম্রাজ্যের এক অজানা নগরের কথা যা
আজও সভ্য মানুষের দৃষ্টির অগোচরে থেকে গেছে। এই নগর এবং
এই নগরীর অধিবাসীদের শরীরে বইছে খাঁটি ইনকা রক্ত। আজও এখানে নরবলি প্রথা চালু আছে। এই
নগরীর উদ্দেশে শুরু হয় মার্কেজ-সুজয়দের অভিযান। এই অভিযানে বার বার তাদের মুখোমুখি
হতে হয় আমাজনের সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত হিংস্র কালো বাঘ, পিরানহা মাছ, অ্যানাকোণ্ডা
ছাড়াও হিংস্র জনগোষ্ঠীর। দুর্গম সেই পথ
পেরিয়ে ইনকার সেই নগরীতে পৌঁছোলে এরপরে শুরু হয় একের পর এক ভয়ংকর এবং বীভৎস ঘটনা যা
উপন্যাসটিকে শেষ পর্যন্ত পড়তে বাধ্য করে।
--------
No comments:
Post a Comment