ছড়া-কবিতা:: সান্টাদাদুর বল্গা হরিণ - রূপসা ব্যানার্জী


সান্টাদাদুর বল্গা হরিণ
রূপসা ব্যানার্জী

এক যে ছিল বল্গা হরিণ, থাকত মেরুর দেশে;
মনের সুখে বেড়াত সে নেচে, গেয়ে, হেসে।
মাথায় কেমন শিং-এর বাহার, দুচোখ কাজল কালো,
মনটা ছিল বড্ড নরম, চাইত সবার ভালো।
আরও ক’জন বল্গা হরিণ, স্বভাবে হিংসুটে -
নিন্দা করে বেড়াত তার; দলের মাঝে জুটে।
তাদের কথায় সবাই মিলে মিষ্টি হরিণটাকে
‘বিশ্রী’ বলে তাড়িয়ে দিল দূরে দলের থেকে।
চোখের জলে বরফ গলে মিষ্টি হরিণ কাঁদে;
এমন সময় একটা বুড়ো মস্ত ঝুলি কাঁধে
সামনে এসে দাঁড়িয়ে তার, বলেন, “আরে এ কী!
কাঁদছ কেন? কী হয়েছে? আমায় বলো দেখি।”
হরিণ বলে, “নাকটা আমার লালচে বড়ো বেশি!
তাই তো সবাই বিশ্রী বলে করছে হাসাহাসি।
রাতের বেলা এ নাক থেকে ছড়িয়ে পড়ে আলো -
আমি বড়োই অন্যরকম, কেউ বাসে না ভালো।”
লাল-জোব্বা, সাদা দাড়ির বৃদ্ধ বলেন হেসে -
“আমার সঙ্গে যাবে তুমি? থাকবে আমার পাশে?”
সেদিন থেকে হরিণ টানে বুড়োর স্লেজ গাড়ি -
বড়োদিনের আগের রাতে দূর দেশে দেয় পাড়ি।
সান্টাদাদুর বল্গা হরিণ, রুডলফ নাম তার -
বছর বছর বয়ে আনে অঢেল উপহার।
রাস্তা দেখায় হেডলাইটের মতন নাকের আলো -
ছোট্ট রুডলফ বিখ্যাত আজ; সবাই বাসে ভালো।
_____
(বিখ্যাত ক্রিস্টমাস রাইম ‘রুডলফ দ্য রেড-নোজ রেইন ডিয়ার’-এর অনুবাদ)
ছবিঃ নচিকেতা মাহাত

No comments:

Post a Comment