ছড়া-কবিতা:: রথযাত্রা, ঈদে - অমিতাভ প্রামাণিক

          

রথযাত্রা, ঈদে
অমিতাভ প্রামাণিক

রথযাত্রা, ঈদে
আমার একটু বেশিই জাগে খিদে
নেমন্তন্ন করতে পারো। শোনো,
বলব না কক্ষনো
দু-দশ টাকা দক্ষিণা দাও, দাও একখান কাপড়
ঈদের হালিম, রথযাত্রার পাঁপড়
পেলেই আমি খুশিতে হই সারা
হ্যাঁ, বাছা, সঙ্গে দিও আসা-যাওয়ার ভাড়া
বাসমতী চাল, নারকেলি ডাল, পিলিস্
মাছটা রেঁধো ইলিশ
বয়স হচ্ছে, আর কি খেতে পারি
পাঁচমিশেলি বিভিন্ন তরকারি?
চিকেন-মটন দুটোই চলে। হাঁস মুরগির ডিমও
আইসক্রিমে আমি তো এস্কিমো!
ল্যাংড়া হিমসাগরে
আপত্তি নেই। বেরোব সেই ভোরে
পারলে একটু বেরেকফাস্টও সঙ্গে যদি রাখো!
দু-চারটে পদ কমিয়ে দিও, ছ্যাঁচড়া কিম্বা শাকও
দরকার নেই। বরং
বলেই ফেলি না করে আর ভড়ং -
গিন্নি আছেন, তার জন্যে ছাঁদা
বাঁধতে হবে। উনি আবার দইটা খাবেন সাদা
মিষ্টি খাবেন কয়েক ডজন, তার সাথে সন্দেশও
গিন্নি আমার কেশো
কাশির সিরাপ সঙ্গে দিও। আর দিও হজমোলা
লেড়কি এবং পোলা,
ওদের জন্যে যা দেবে তাই দিব্যি নেবে খেয়ে
আমারই মুখ চেয়ে
পরিমাণটা বেশি হলেই ভালো
ল্যাংচা দিও শক্তিগড়ের। গোলাপজাম না, কালো
মেয়ে যদি এঁচোড় না পায়, ছেলে না পায় মোচা,
আমিই খাব খোঁচা
এইটুকুই তো চাওয়া!
তবে, বাপু, দিচ্ছ কিন্তু দাওয়াত
ঈদ মুবারক। ওখান থেকেই বেরিয়ে যাব পথে
দু-চার বাড়ি খ্যাঁটন সেরে ফিরব উলটোরথে
_____

1 comment:

  1. বরাবরের মতই উপাদেয়! উপভোগ্য।

    ReplyDelete