খুন্তি পিসির রান্না
সুজাতা চ্যাটার্জী
ওই ও পাড়ার খুন্তি পিসি, রান্না করে
খাসা,
হাঁড়ি, কড়াই, থালা, বাটি, রান্নাঘরে
ঠাসা।
নতুন কিছু রান্না পিসি, যেই না কোথাও
শেখে,
চটর-পটর ডায়েরি এনে, তড়বড়িয়ে লেখে।
এই তো সেদিন শিখল পিসি, ডায়েরি হাতে
বসে,
কেমন করে রাঁধতে হবে, মাটনখানা কষে।
যেই শিখেছে রান্নাখানা, রাঁধতে হবে
সেই,
সামগ্রী যা আছে, আছে, যা নেই তা
নেই।
মাটন পিসি খায়না মোটে, বন্ধ মাটন
খাওয়া,
তার বদলে গাছ পাঁঠা এক, দিব্যি গেছে পাওয়া।
‘ম্যারিনেশান’ করতে নাকি লাগবে কাঁচা
পেঁপে,
তাকে আবার কুরতে হবে, গায়ের জোরে
চেপে।
তাই তো পিসি আনল কিনে, পাকা পেঁপেই আজ,
হাতে করে চটকে দিলেই, সহজ হবে কাজ।
পেঁয়াজ কাটা শক্ত বড়ো, চক্ষে আসে জল,
এমন করে কষ্ট পাওয়ার নেই তো কোন ফল।
তাই তো পিসির রান্নাঘরে আদা রসুন ঠাসা,
পেঁয়াজিটাও রাঁধেন পিসি, পেঁয়াজ ছাড়া
খাসা।
সময় লাগে মশলা বাটায়, তাড়াতাড়ি হয় না,
‘মিক্সি’ বড়
‘মডার্ন’ জিনিস, পিসির ধাতে সয় না।
তাই তো পিসি
বুদ্ধি করে, ওসব দিল বাদ,
একটু হলে এদিক-ওদিক,
বদলায় না স্বাদ।
দুই ঘণ্টা কষার পরে, রান্না হল শেষ।
মনটা পিসির বড্ড ভালো, সবাই প্রিয়জন,
সব্বাইকে খাইয়ে তবে, ভরবে পিসির মন।
সেদিন রাতে
তাই তো আমি খেলাম রুটির সাথে,
‘মাটন কষা’
রান্না করা, পিসির আপন হাতে।
কেমন খেতে?
সেটাও বুঝি শুনবে আমার মুখে?
তোমরা খালি থাকবে বসে, ঘরের মাঝে সুখে?
অনেক কথা হয়েছে বলা, আজকে কথা আর না -
আপনি এসো,
চাখতে হলে, খুন্তি
পিসির রান্না।।
_____
অলংকরণঃ সুমিত রায়
যেমন রান্না, তেমন ছড়া! খুব ভাল। পিসির ছবিটা ছড়ার সাথে মানানসই। ♥
ReplyDeleteDarun
ReplyDelete