আসল ট্রেজার
অর্ণব ভট্টাচার্য
এইদিকে আয়, একটা কথা ফিসফিসিয়ে বলি,
আমার দাদু কাল পেয়েছে গুপ্তধনের
থলি।
কোথায় পেল? বলছি
সেটা, সন্ধে নামার পরে –
প্রাচীনকালের ধুলোয় ঢাকা চিলেকোঠার
ঘরে।
কী বললি?
মিথ্যে কথা? দিচ্ছি দারুণ গুল।
না রে বাবা! তিন সত্যি, একটুও নেই
ভুল।
চুপ করে শোন, ওই
থলিতে কীসব ছিল রাখা –
টেনিস র্যাকেট, টিনের গাড়ি, ঝুরঝুরে
হাতপাখা।
বাঘের মুখোশ, অচল ভেঁপু, তিনটে
ছেঁড়া ঘুড়ি,
ক্যাপ বন্দুক এবং মাটির থুড়থুড়ে এক
বুড়ি।
আধভাঙা সব রং পেনসিল, হলদে হওয়া খাতা,
কাচভাঙা এক রোদ চশমা, ছড়ার বইয়ের পাতা।
আর ছিল এক সবুজ জুতো, আর ছিল এক
জামা,
পড়ত নাকি সেসব দাদু, যখন দিত হামা।
এসব দেখে কাঁদল দাদু, ভিজল দু-চোখ জলে,
“কাঁদছ কেন?” প্রশ্ন করি, তখন আমায় বলে
–
ওসব স্মৃতি দাদুর কাছে পান্না, সোনা,
হিরে,
জড়িয়ে ছিল সেসব যে তার ছোট্টবেলা ঘিরে।
এখন বাপু মানলি তো ঠিক, মুখটা হল
বেজার,
বলেইছিলাম দাদুর আছে সত্যিকারের
ট্রেজার।
----------
ছবি - আন্তর্জাল
No comments:
Post a Comment