ছড়া-কবিতা:: তিনমূর্তির কাকাহিগড় অভিযান - গোবিন্দ মোদক


তিনমূর্তির কাকাহিগড় অভিযান
গোবিন্দ মোদক

যদু, জাবেদ আর জনসন তিনজনেতে মিলে
সন্ধ্যার আগেই পৌঁছে গেল উঁকিমারির বিলে।
বিলের ধারেই কাকাহিগড়, বহু পুরোনো কেল্লা
কালের প্রবাহে সে কেল্লার হারিয়েছে সব জেল্লা।
এখন এটা হানাবাড়ি সুনাম দুর্নাম রটে,
গুপ্তধনও আছে এখানে রাজার কেল্লা বটে।
সন্ধ্যার অন্ধকারে ওরা ভাঙা প্রাচীর দিয়ে
ধীরে ধীরে পৌঁছে গেল নকশাখানা নিয়ে।
চারিদিকে গোলকধাঁধা, মাঝখানে গম্বুজ
ম্যাপে আঁকা লাল ফুটকি, সবুজ চতুর্ভুজ।
অনেক হিসেব কষে তারা দরবারে আসে
ধুলোয় ভরা মাকড়সা আর চামচিকির বাসে।
দরবারের পূর্ব দিকেই সাবেক বৈঠকখানা
গা ছমছম রাতের বেলা যেতে আছে মানা!
সাহস করে তিন বন্ধু বৈঠকখানায় গিয়ে
টর্চ জ্বালিয়ে বসল তারা নকশাখানা নিয়ে।
হঠাৎ করেই ভূতুড়ে রব, দরজা ভেঙে পড়া
ঘরের মধ্যে কত কঙ্কাল আদ্যিকালের মড়া।
ভয় না পেয়ে নকশা মতো ওরা খোঁজে থাম
থামের কাছে গেলেই ওদের পূরবে মনস্কাম।
কিন্তু হায় থামটি পেয়েও হতাশ হল ওরা
দেখল থামে আছে আঁকা গাছের মূল, ঘোড়া।
রহস্য তার বুঝল নাকো যদু জাবেদ জনসন
অভিযানটা ব্যর্থ হল বিষণ্ণ সব মন।
ফিরে আসবে ঠিক করল সেটাই বরং শ্রেয়
কিন্তু খালি হাতে ফিরলে সবাই করবে হেয়।
হঠাৎ করেই জাবেদ গিয়ে আবার দেখে ঘোড়া
ঘোড়ার পায়ের কাছে আঁকা ছোট্ট ফুলের তোড়া।
তাই না দেখে যদু বলে ঘোড়ার জিনের কাছে
বেশ একটা লম্বামতো ছিদ্র করা আছে।
ঘোড়ার নালটা খুলে তখন দেখে জনসন
সংগোপনে রাখা আছে একটা চাবির মতন।
সেই চাবিটা খুলে নিয়ে চেষ্টা করতেই
থামটা হঠাৎ ঘুরে গেল নিচের সুড়ঙ্গেই।
পাতালঘরে নেমে তারা পেল গুপ্তধন
সোনা রুপো হিরে মানিক হাজার মণ মণ।
সার্থক হল তিনমূর্তির কাকাহিগড় অভিযান
গুপ্তধন পেল তারা রক্ষা হল মান॥
----------
ছবি - আন্তর্জাল

No comments:

Post a Comment