মেটকাফ সাহেবের ভূত
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়
যেদিন সরকারি চাকরি নিয়ে
দিল্লি এলাম, সেদিন স্বপ্নেও ভাবিনি এমন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আমার জন্য অপেক্ষা করে
আছে। ইতিহাস নিয়ে পড়লেও ভূতে বিশ্বাস কোনোদিন ছিল না। যুক্তিবাদী মন বলত, আত্মা
থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু ভূত হয়ে তারা কখনোই মানুষকে ভয় দেখানোর মতো তুচ্ছ কাজ
করে না। দিল্লিতে চাকরি নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে আমার ভুল একেবারে ভেঙে চুরমার হয়ে
গেল।
চাকরির প্রথম দিন খুঁজেপেতে
পৌঁছে গেলাম ঐতিহাসিক মেটকাফ হাউসে। ইতিহাসে এই প্রাচীন বাড়িটা সম্পর্কে আগে
কোনোদিন পড়িনি। প্রথমবার বাড়িটার সামনে এলে একবারের জন্য থমকে দাঁড়াতে হবে, সে যেই
হোক না কেন। গথিক স্টাইলের বাড়িটার ঐতিহ্যময়
রূপের সামনে সমীহ জাগে বই-কি? আমি জুনিয়ার সেক্রেটারিয়াল এসিস্টান্ট হয়ে যোগ দেব
নায়ার সাহেবের কাছে। পুরো নাম – ডক্টর কে ভি এস নায়ার, সায়েন্টিফিক এডভাইসার। রক্ষা
গবেষণায় জড়িত কয়েকজন হোমরাচোমরা অফিসার মেটকাফ হাউসে বসেন, সেটা হেডকোয়ার্টার থেকে
আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদেরই একজন আমার বস হবেন, তেমনটা জানাও ছিল।
মেটকাফ হাউসে ঢুকতেই একটা পুরোনো
স্যাঁতসেঁতে গন্ধ পেলাম। লাল ইটের তৈরি বাড়িটার ভিতরে এখনও
পুরোনো দিনের বড়ো বড়ো ওয়াল পেন্টিং টাঙানো। নেমপ্লেট পড়ে বসের নাম খুঁজে দরজায়
টোকা দিলেম। টোকা পড়তেই ঘর থেকে ভারী গলায় প্রত্যুত্তর এল, “ইয়েস, কাম ইন!”
ভিতরে ঢুকতেই পুরো দুনিয়াটাই
যেন উলটো দেখাল। একেবারে অত্যাধুনিক অফিস। বিশাল টেবিলে কম্পিউটারের পর্দায় চোখ
রেখে, প্রায় সমাধিস্থ একজন প্রৌঢ় সুট-টাই পরা সাহেব। টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের
পরিচয় দিতেই বিশুদ্ধ বাংলায় সাহেব বললেন, “বসো, বসো, ওই চেয়ারটা টেনে নিয়ে বসে পড়।”
সংশয়ের মধ্যে আছি দেখে
কম্পিউটার থেকে চোখ না সরিয়ে অল্প হেসে বললেন, “কী ভাবছ? নায়ার হয়ে বাংলা বলছি কী করে?
তাও দেশের রাজধানীতে বসে? আরে বাবা, আমি খোদ কলকাতায় মানুষ, আদি বাড়ি যদিও
ত্রিচিতে... সে যাক গে! বাইরে আমার প্রাইভেট সেক্রেটারির কাছে রিপোর্ট কর। আর
হ্যাঁ, প্রথম দিনে এই বাড়িটা একটু ঘুরে-টুরে দেখ। তারপর এসো, গল্প করা যাবে’খন।”
আমি তো অবাক! অজানা অচেনা
রহস্যে ভরা এই শহরে এসে এমন বস পেয়ে যাব, ভাবিইনি। বস বলতেই যে বিভীষিকা মাথায় উদয়
হয়, তার লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া গেল না নায়ার সাহেবের মধ্যে। নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ
দিতে দিতে বাইরে এসে আর একটা ঘরে ঢুকে নায়ার সাহেবের প্রাইভেট সেক্রেটারিকে
রিপোর্ট করলাম। নেমপ্লেটে লেখা – আই জে মাথুর। মাথুর সাহেব, নায়ার সাহেবের একেবারে
উলটো প্রকৃতির। বেশ কড়া মেজাজের লোক মনে হল। তাচ্ছিল্যের সুরে বললেন, “আই সি, তুম
বঙ্গালি হো! তো অফিস মে ব্যাঠকে কবিতাঁয়ে লিখো।”
রবীন্দ্রনাথের দেশের লোক হলেই
কবিতা লিখতে হবে, এমন ধারণা একেবারেই নিরর্থক। কিন্তু অপমানটা নীরবে গায়ে মেখে
বললাম, “স্যার আমি কবিতা লিখি না...।”
মাথুর সাহেব ফাইলের উপর চাপড়
মেরে বললেন, “কিন্তু নায়ার সাহেবকে রিপোর্ট করবে তো! উনি আবার বাঙালিদের বেজায়
ভক্ত। যাও কাজে লেগে পড়। আমার আর কী প্রয়োজন?”
আমি উঠে পড়লাম মেটকাফ হাউসের
চারিদিক ঘুরে দেখার জন্য। লম্বা করিডোর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হল, সত্যিই এক
বিচিত্র পরিবেশে ভাগ্য আমাকে নিয়ে এসেছে। সার সার পুরোনো ধাঁচের বড়ো বড়ো ঘর। জানালাগুলো
সব বন্ধ। করিডোর শেষ হতেই চলে এলাম যত্ন করে কাটা ঘাসে ঢাকা এক প্রাঙ্গণে। মাঠের
একেবারে শেষভাগে কতগুলো গায়ে গায়ে লাগা নিচু ছাদের ঘর। কাছে
গিয়ে দেখলাম, সব ক’টি ঘরে তালা লাগানো। দূর থেকে, মাঠের অপর প্রান্তে মেটকাফ
হাউসের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে একেবারে ব্রিটিশ আমলের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। বেশিক্ষণ
ঘোরাঘুরি করা কপালে ছিল না। দূর থেকে একজন হাতের ইশারায় ডাকতে দৌড় লাগালাম
সেইদিকে।
নায়ার সাহেবের পিয়ন খুবচাঁদ।
বলল, “সাহাব নে বুলাবা ভেজা।”
নায়ার সাহেবের ঘরের দিকে পা
বাড়ালাম। ঢুকতেই তিনি বললেন, “এসো অচিন্ত্য, এসো। দেখা
হল মেটকাফ হাউস?” দেখি নায়ার সাহেব সোফায় আধশোয়া হয়ে একটা সায়েন্টিফিক জার্নালে
চোখ বোলাচ্ছেন। নায়ার সাহেব হঠাৎ খুব রহস্যের গলায় বললেন, “তুমি ভূতে ভয় পাও না
তো? মেটকাফ হাউসে কিন্তু ভূত আছে”, বলেই কেমন সন্ত্রস্ত চাহনিতে তার বন্ধ জানালার
দিকে তাকালেন।
“ভূত বলে কিছু আছে বলে মনে
করি না স্যার...”
আমার কথা শেষ হতে না হতে
নায়ার সাহেব বলে উঠলেন, “কেন কেন? ভূত নেই এই কথাটা তোমাকে কে জানাল? দেখ, আমি
যদিও ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছি, তবু মনে করি না ভূত নেই। আর কোথাও থাকুক বা না
থাকুক, এখানে যে আছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর সেইজন্যই বোধহয় এত সুন্দর
বাড়িটাতে কেউ বেশিদিন থাকতে চায় না। আচ্ছা, সে সব কথা বাদ দাও, আগে বল মেটকাফ হাউস
নিয়ে কিছু জানা আছে? যদি না থাকে, আমি বলব একটু ইন্টারনেট ঘেঁটে নিও। খুব
ইন্টারেস্টিং। না জানলে ওনারা অসন্তুষ্ট হবেন।”
ওনারা বলতে নায়ার সাহেব যে ভূতেদের
কথা বলছেন সেটা বুঝতে পারলাম। তবে সেদিন আমার অস্থায়ী আস্তানায় ফিরে ইন্টারনেটে
একটা দুর্দান্ত বই পড়ে জানতে পারলাম, স্যার থমাস মেটকাফ ছিলেন ব্রিটিশ
গভর্নমেন্টের নিযুক্ত মোগল রাজবংশের রেসিডেন্ট কমিশনার। মোগল সাম্রাজ্য তখন
অস্তাচলে। বাহাদুর শাহ জাফরের শাসনকাল। সম্রাটের কাছ থেকে জলের দরে এক টুকরো জমি
কিনে সেখানে নিজের বাসগৃহ তৈরি করলেন স্যার মেটকাফ। বাড়ির ধাঁচটা তৈরি হল কিছুটা
শাহি-লালকেল্লা আর কিছুটা ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যের মিশ্রণে।
নায়ার সাহেব অত্যন্ত ব্যস্ত
লোক। নানারকম মিটিং, কনফারেন্স লেগেই থাকত। প্রায় মাসখানেক কেটে গেছে। আমিও দিল্লি
আর মেটকাফ হাউসের পরিবেশে বেশ অভ্যস্ত হয়ে গেছি। সাহেব না থাকলেও আমার কাজের বেশ
চাপ থাকত। সবসময়ে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নির্দেশ মতো কাজ করতে হত। একদিন দুপুর
নাগাদ নায়ার সাহেব লাঞ্চের সময় বেরিয়ে গেলেন পার্লামেন্ট হাউসে। সংসদে তখন অধিবেশন
চলছে। কোনো এক সাংসদের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে বলে নায়ার সাহেব গেলেন রক্ষা
মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। যাবার সময় আমাকে বলে গেলেন, “আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত
বাড়ি যেও না অচিন্ত্য। আজ হয়তো একটু বেশি কাজ থাকতে পারে। মন্ত্রীদের ব্যাপার-স্যাপার
তো!”
সেদিন অফিস ছুটির সময় হয়ে
যেতে যে যার মতো বাড়ি চলে গেল। মাথুর সাহেব বাড়ি যাবার সময় ব্যঙ্গ করে বলে গেলেন,
“তুমহারা আনে সে হম্ বচ্ গয়ে। অব ব্যায়ঠে রহো।”
আমি ব্যাগ থেকে একটা গল্পের
বই নিয়ে মেতে গেলাম। একা থাকি, তাই বাড়ি ফেরার তাড়া নেই। সময়টা ছিল শীতকাল।
দিল্লিতে এই সময়ে পাঁচটা থেকে দিনের আলো কমতে থেকে হঠাৎই ঝুপ করে অন্ধকার নেমে
আসে। বই পড়তে পড়তে জানালার কাচে নজর পড়তে দেখি দূরে রাস্তার আলোগুলো জ্বলে গেছে।
আবার বইয়ের ভিতর ডুব দিয়েছি। কতক্ষণ
কেটে গেছে জানি না, মেটকাফ হাউসের মাঠের দিক থেকে হঠাৎ একটা চিৎকার ভেসে এল। কান খাড়া
করে কিছু বুঝতে পারলাম না। তারপর চিৎকারটা আবার ভেসে এল। যে চেঁচাচ্ছে, সে
ইংরেজিতে – “ওহ গড, সেভ মি” – বলে আর্তনাদ করে চলেছে
ক্রমাগত। আমি দরজা খুলে বাইরে এসে লম্বা করিডোরটা পার হলাম। অন্ধকার মাঠে এসে
প্রথমেই চোখে পড়ল, দূরে সার সার তালাবন্ধ ঘরগুলোর একটার ভিতর আগুন জ্বলছে। আমি মাঠ
পেরোতে লাগলাম। গত এক মাসে ওই বন্ধ ঘরগুলোতে কাউকে পা রাখতে দেখিনি। আজ হঠাৎ কেমন
করে সেখানে একটা লোক ঢুকল! আবার আগুনও জ্বালাল!
মাঝ মাঠ বরাবর আসতে না আসতেই
আমার পায়ের নিচের জমিটা হঠাৎ দুলে উঠল। বুঝি ভূমিকম্প! কী করে যে মাটিতে পড়ে গেলাম,
বুঝতেই পারলাম না। সন্ধের শিশিরে ভেজা ঘাসের গন্ধ নাকে এল। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা
করেও পারলাম না। তারপর যে দৃশ্য দেখলাম, ভাবলেই আজও আমার গায়ের প্রতিটি লোম সোজা
হয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
কালো ঘোড়ার পিঠে সওয়ার এক
ব্রিটিশ পোশাকের মানুষ। এক হাতে তার চাবুক, আর এক হাতে ঘোড়ার লাগাম। হাতের ইশারায়
কাউকে কিছু নির্দেশ দিচ্ছে। অন্য কাউকে দেখা যাচ্ছে না। একটু পরেই আর এক ব্রিটিশ
পুঙ্গব। তার সারা শরীরে আগুন ধরে দাউ দাউ করে জ্বলছে। ঘোড়সওয়ারের কাছে সে নিজের
প্রাণভিক্ষা করছে। সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাব, সে উপায়ও নেই। চোখের সামনে এমন মৃত্যুর
দৃশ্য দেখে সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে লোক ডাকতে চাইলাম, গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোল
না। শুধু আমার ডান হাতটা একটু উঠল মাটি ছেড়ে। ঘোড়সওয়ার তখনই আমাকে দেখতে পেয়ে ঘোড়া
ছুটিয়ে আমার দিকে ধেয়ে এল। ঘোড়ার খুরের আঘাত থেকে বেঁচে গেলেও, ঘোড়সওয়ারের চাবুক
আমার মুখে ঝাপটে পড়ল। চোখের সামনে সব অন্ধকার হয়ে যাবার ঠিক আগে দেখলাম ঘোড়সওয়ারের
পাংশু, লাল মুখ। দু’জোড়া ক্রুদ্ধ চোখ যেন আমাকে বিদ্ধ করে দিল। তারপর আর কিছু মনে
নেই।
সেদিন কীভাবে যে জ্ঞান
হারিয়েছিলাম, আজও ভেবে কূল পাই না। হুঁশ ফিরে নিজেকে আবিষ্কার করেছিলাম নায়ার সাহেবের
সোফায়। নায়ার সাহেব মুখের সামনে ঝুঁকে পড়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “এখন কেমন বোধ করছ
অচিন্ত্য! বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলে। তোমাকে দেখতে না পেয়ে দরজা খোলা দেখে খুব ভয়
পেয়েছিলাম। ভাগ্যিস আমার ড্রাইভার মোহিত তোমাকে মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেছিল?
ঠিক কী কী হয়েছিল খুলে বল।”
সবটা শুনে নায়ার সাহেবের মুখ
পাণ্ডুর হয়ে উঠল। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “তুমি তো বিশ্বাস করনি! আমি কিন্তু
শুনেছিলাম মেটকাফ সাহেবকে তার এই বিশাল বাংলোর কোথাও কোথাও দেখতে পাওয়া যায়। চলো
তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেব। ইতিহাসটা গাড়িতে যেতে যেতে তোমাকে শোনাচ্ছি।”
গাড়িতে বসে সেদিন নায়ার
সাহেবের কাছে শুনেছিলাম, মেটকাফ সাহেব ছিলেন এক পণ্ডিত মানুষ। বাহাদুর শাহ্
জাফরের সঙ্গে তার বিশেষ বন্ধুত্বও ছিল। দু’জনেই লেখাপড়া নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসতেন।
তখন সিপাহি বিদ্রোহের আবহ তৈরি হচ্ছে। ব্রিটেন
থেকে দলে দলে তরুণ সিভিল সারভেন্ট ভারতে কাজ নিয়ে এ দেশে আসছে। মেটকাফ সাহেব এই
দেশ, দেশের মানুষ, আর মোগল সম্রাটের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি
লিখছিলেন বাহাদুর শাহ্ জাফরের শাসনকালের দিনলিপি। কোনো কারণে ব্যাপারটা পাঁচকান
হয়ে যায়। ব্রিটিশ সরকার এক তরুণ অফিসারকে লাগায় সেই দলিল চুরি করার জন্য। মেটকাফ
সাহেবের লেখা ডায়েরিতে এমন অনেক তথ্য ছিল, যা সম্রাট বাহাদুর শাহ্কে বিপদে ফেলার
পক্ষে প্রামাণিক হতে পারত। চুরি করার সময় ধরা পড়ে যেতে সেই তরুণকে গায়ে আগুন
লাগিয়ে মেরে ফেলেন মেটকাফ সাহেব। তারপর বেমালুম হত্যাকাণ্ডের সব প্রমাণ লোপাট করে
দেন। এরপর নাকি খোদ মেটকাফ সাহেবকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করে ব্রিটিশ চরেরা।
ভূতে অবিশ্বাস চিরকালের মতো
বর্জন করি এই ঘটনার পর থেকে। তবে ক’দিনের মধ্যেই মেটকাফ হাউস থেকে আমাকেও বিদায়
নিতে হয়। নায়ার সাহেবের পদোন্নতি হয়। আমাকেও তার সঙ্গে অন্য অফিসে চলে যেতে হয়।
কিন্তু যতবার কোনো কাজে মেটকাফ হাউস গেছি, তালাবন্ধ সেই ঘরগুলো একনজর না দেখে ফিরে
আসতে পারিনি। আমার গালে খুব ভালো করে লক্ষ করলে মেটকাফ সাহেবের চাবুকের দাগ এখনও দেখা
যায়।
----------
ছবি - অতনু দেব
No comments:
Post a Comment