ভারত-প্রীতি
রূপসা ব্যানার্জী
১৮ জুন, ২০৮৫
আজ এই বাড়িতে প্রীতি-আন্টির
শেষদিন। কাল খুব ভোরবেলা এখান থেকে অনেক দূরে চলে যাবে সে। এমন করেই কোলে বসিয়ে
খাওয়াবে, গল্প বলে ঘুম পাড়াবে - কিন্তু অন্য একটা বাচ্চাকে। আচ্ছা, সেই বাচ্চাটা
যদি খুব দুষ্টু হয়? আন্টিকে যদি খুব জ্বালায় তখন? আন্টি নিশ্চয়ই জয়ের কথা ভেবে
ভেবে মন খারাপ করবে। আর জয়? তার দিনগুলো প্রীতি-আন্টিকে ছাড়া কাটবে কী করে?
জয় বিছানায় শুয়ে চুপিচুপি
বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদছিল। কিছুক্ষণ আগে তাকে খাইয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে গেছে
প্রীতি-আন্টি। বারবার ওড়নায় চোখ মুছতে মুছতে বলছিল, “তোমার মতো
লক্ষ্মীছেলে কি আর পাব জয়সোনা? তোমার কথা খুব মনে পড়বে। আর তুমি কিন্তু কাল থেকে
রোবট-আন্টির সবকথা শুনবে। কেমন?”
জয় মাথা নেড়ে ‘হ্যাঁ’
বলেছিল। তবে মনে মনে ভাবছিল, ‘কালকে আসুক না ওই রোবটটা। এমন হাল করব, পালাতে পথ পাবে না। তোমায় আমি আবার ফিরিয়ে
আনব আন্টি, দেখো তুমি।’
আন্টি গুন গুন করে একটা
গান গাইতে গাইতে জয়ের মাথায় হাত বোলাল কিছুক্ষণ। তারপর চোখ মুছে ঘর থেকে
বেরিয়ে গেল। জয় ঘুমের ভান করে সব দেখল। তারপর কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে গেল, ও
নিজেই জানে না।
পরদিন জয়ের ঘুম ভাঙল খুব
সরু রিনরিনে গলার আওয়াজে।
“গুড মর্নিং, জয়! ওয়েক-আপ
ডিয়ার।”
সে তাকিয়ে দেখে একটা
লম্বা রোগামতন রোবট মেয়ে, কীরকম ফ্যাটফ্যাটে ফরসা রঙ, ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।
সে কিছু বলার আগেই রোবটটা ঝট করে তার হাতে টুথব্রাশ ধরিয়ে দিল। তারপর অন্য হাতটা
ধরে বিছানা থেকে উঠিয়ে বাথরুমের দিকে ঠেলে দিল। জয় চুপচাপ ফ্রেশ হতে চলে গেল।
কালকে পর্যন্ত প্রীতি-আন্টির গলা ধরে সে বায়না করেছিল, “আর একটু শুই না!”
আন্টি তার পায়ের তলায়
সুড়সুড়ি দিয়ে তাকে উঠিয়েছিল। কিন্তু আজ থেকে আর এসব বায়না করে
লাভ নেই, সে বুঝে গেছে।
ব্রেকফাস্ট করতে এসে জয়
দেখল আজ বাবা, মা কেউ এখনও অফিস যাননি। বাবা হেসে হেসে বললেন, “গুড মর্নিং, বেটা!
এই তো কী সুন্দর ভাব হয়ে গেছে রোবট-আন্টির সাথে। আমরা তাহলে এবার বেরোই। আন্টি তোমায় স্কুলে
পৌঁছে দেবে।” তারপর একটা সরু চেন জয়ের গলায় পরিয়ে দিয়ে বললেন, “ওর সাথে কথা বলতে
গেলে এই হারের লকেটটা মুখের কাছে নিয়ে বলবি, না হলে কিন্তু ও শুনতে পাবে না। বাই
বেটা, সি ইউ...”
মা বেরোবার আগে জয়কে
জড়িয়ে ধরে একটু আদর করলেন। বললেন, “পেট ভরে খাস, কেমন? এই রোবট কিন্তু প্রীতির মতো
সাধাসাধি করবে না সোনা। তুই একবার ‘খাব না’ বললেই প্লেট সরিয়ে নেবে। আমি আসি এবার?
বাই!”
জয় জানে যে মায়ের একটুও
ইচ্ছে ছিল না প্রীতি-আন্টিকে সরিয়ে তার বদলে এই রোবটকে নিয়ে আসার। কিন্তু বাবার
জেদের সঙ্গে পেরে উঠলেন না। এখন হাই সোসাইটিতে বাচ্চাদের দেখভাল করার জন্য সবাই
রোবট-আয়া রাখছে। হসপিটাল, স্কুল এবং বেশ কিছু ক্রেশে রোবট-আয়াদের কাজে লাগানো
হয়েছে প্রায় বছর দশেক আগে থেকেই। জয়দের স্কুলেও অনেকগুলো রোবট-আয়া আছে। এমনকি,
ওদের স্কুলের মেন গেটের দু’জন সিকিউরিটি গার্ডও রোবট। ফাইনাল বেল বাজলেই গেট বন্ধ
করে দেয়। ওদেরকে কোনওরকম রিকোয়েস্ট করা বৃথা। শুনবেও না, বুঝবেও না।
স্কুলের প্রিন্সিপাল বা কোনও টিচারের সঙ্গে দেখা করতে যদি গার্জেনরা স্কুলে যান,
তো তাঁদের ইলেকট্রনিক এসকর্ট কার্ড গেটে পাঞ্চ করিয়ে তবেই ঢুকতে দেওয়া হয়।
বাবা কিছুদিন ধরেই
বলছিলেন, তাঁর কলিগরা অনেকেই বাচ্চার দেখাশুনার জন্য বাড়িতে রোবট-আয়া রেখেছেন। খুব
ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যাচ্ছে। এরা মোটেই মানুষের মতো ফাঁকিবাজ নয়। একদম টাইমমতো
বাচ্চাকে খাওয়াবে, রেডি করবে, স্কুলে দেওয়া-নেওয়া করবে, এক মিনিটও দেরি হবে না।
শুধু কি তাই? বাচ্চাদের আদর দিয়ে মাথায় তোলার ব্যাপারটা এদের প্রোগ্রামে একেবারেই
নেই। তাছাড়া, একটা রোবট-আয়া না থাকলে সোসাইটিতে মান থাকে না। কেমন মিডল ক্লাস মনে হয়
নিজেদেরকে। এসব শুনে মা মুখে ‘হ্যাঁ হ্যাঁ’ বললেও মনে মনে প্রীতি-আন্টিকেই
সাপোর্ট করতেন। কারণ, তিনি জানতেন রোবট-আয়া যতই তাঁর ছেলেকে যত্ন করুক না কেন, ভালোবাসা
দিতে পারবে না।
কিন্তু একদিন এমন একটা
ব্যাপার ঘটল, যে মায়েরও কিছু করার রইল না। দুপুর থেকেই সেদিন ঝমঝম বৃষ্টি। দীর্ঘদিন গরমে সেদ্ধ
হওয়ার পর আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছিল। জানলার ধারে শুয়ে প্রীতি-আন্টির কাছে ভূতের
গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছিল জয়। বিকেলে টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। প্রথম বৃষ্টির
আনন্দে দু’জনেই ভুলে গেছিল সেই কথা। এমনি কপাল, বাবা হঠাৎ ওইসময় কী একটা ফাইল
নেবার জন্য বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। তারপর টিউশন কামাই করে দু’জনকে ঘুমোতে দেখে আর
দেরি করেননি। নোটিস দিয়ে দিলেন প্রীতি-আন্টিকে, এক মাসের মধ্যে অন্য কাজ
খুঁজে নেওয়ার জন্য। মা আর জয় অনেক করে বলেছিল, বাবা শোনেননি।
রোবট-আয়া আসার পর প্রায়
একমাস কেটে গেছে। জয়ের বাবা খুব খুশি। এই ক’দিনেই ছেলে বেশ ডিসিপ্লিনড হয়ে
উঠেছে। কিন্তু মা এখন রাতে অফিস থেকে ফিরে বেশ অনেকক্ষণ গল্প করেন ছেলের সঙ্গে।
যতটা পারেন, ভালোবাসার অভাব মেটানোর চেষ্টা করেন। সারাদিন কেমন কাটল জয়ের জিজ্ঞেস
করেন মা। জয় মায়ের বুকে মাথা গুঁজে বলল, “এই রোবট-আন্টিটাকে তাড়িয়ে দাও, মা। ও
একদম ভালো না। আজ স্কুল-ক্রিকেট ম্যাচে আমি খুব ভালো খেলেছি। তো সেই গল্পটা ঘরে এসে রোবট-আন্টিকে
শোনালাম। সব শুনে গোমড়া মুখে বলল, আমাকে কী করতে হবে, জয়? প্রীতি-আন্টি যখন ছিল,
আমার সাথে কত্ত গল্প করত। এই আন্টি দরকার ছাড়া একটা কথাও বলে না, একটা কথাও শোনে
না।”
মা শুনে চুপ করে থাকেন।
তারপর জোর করে মুখে হাসি এনে বলেন, “ক্রিকেট ম্যাচের গল্পটা আমায় বলবি না, সোনা?”
বাবার কাছে জয় শুনেছে এই
রোবট আন্টির নাম, আই.ডি.এইচ-৫৩৪২। আই.ডি.এইচ মানে হল, ‘ইন্ডিয়ান
ডোমেস্টিক হিউম্যানয়েড’ আর ৫৩৪২ হল তার আইডি নাম্বার। যেমন হাঁড়িমুখো চেহারা,
তেমনি খটোমটো নাম! এর চেয়ে প্রীতি নামটা কত মিষ্টি ছিল! কত গল্প জানত প্রীতি-আন্টি। অনেক পুরনো দিনের সব
রূপকথার গল্প। একদিন বাবার সামনে বলে ফেলেছিল, “আমিও ময়ূরপঙ্খী চড়ে রাজকন্যা-বউ
খুঁজতে যাব বাবা, কুঁচবরণ কন্যা মেঘবরণ চুল...”
বাবা বিদ্রূপের হাসি হেসে
বলেছিলেন, “হ্যাঁ বাবা, লোয়ার ক্লাস লোকজনের সঙ্গে সারাদিন কাটালে তো এর চেয়ে বেশি
কিছু করতে পারবে না তুমি।”
রোবট-আন্টিকে একদিন জয়
জিজ্ঞেস করল, “তুমি গল্প জান? ফেয়ারি টেলস? ভূতের গল্প? বলবে আমাকে?”
রোবট-আন্টি টেবিল থেকে
একটা রূপকথার বই তুলে নিয়ে সেই রিনরিনে বোরিং সুরে পড়তে শুরু করে দিল। কী বাজে, কী বাজে! এ তো
শুধু রিডিং পড়া! কেউ গল্প বলে নাকি এমন করে?
বাবা বলেছিলেন, “প্রীতির
সঙ্গে কীসব ফালতু গেম খেলতে জয়। চোখ বেঁধে কানামাছি ভোঁ ভোঁ না
কী যেন। যত সব মিডল ক্লাস গেম। এবার একটু বুদ্ধির খেলা খেলতে
শেখ। রোবট-আন্টি তোমার সাথে অনেক ভিডিও গেম, পাজল গেম খেলবে। তোমার খুব ভালো লাগবে।”
মোটেই ভালো লাগে না জয়ের।
এর চেয়ে কানামাছি, লুকোচুরি, ছোঁয়াছুঁয়ি এসব অনেক ভালো খেলা ছিল। কী সুন্দর খেলত প্রীতি-আন্টি!
জয় ক্লান্ত হয়ে পড়লে নিজেই ইচ্ছে করে ধরা দিত।
একদিন স্কুল থেকে ধুম
জ্বর নিয়ে ফিরল জয়। ধপাস করে বিছানায় শুয়ে বলল, “আন্টি, আমার মাথাব্যথা করছে, কষ্ট
হচ্ছে।”
রোবট-আন্টি এসব দেখেও
ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইল। একবারও দৌড়ে এল না, তাকে দেখল না।
জয়ের তখন খেয়াল হল, ওই রিমোট কন্ট্রোল, মানে তার গলার লকেটটা মুখের কাছে না ধরে সে
আন্টিকে ডাকছিল, তাই সাড়া পায়নি। এবার লকেটটা মুখের কাছে ধরে ডাকতেই এগিয়ে এল
আন্টি। একেবারে ভাবলেশহীন মুখ। কোনও কথা না বলে থার্মোমিটার
লাগিয়ে জ্বর দেখল। তারপর সেই বোরিং সুরেই বলল, “লাঞ্চ নিয়ে আসি? খাওয়া হলে জ্বরের
ট্যাবলেট খেতে হবে। ডক্টরের
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখছি।”
জয় লাঞ্চে প্রায় কিছুই
খেল না। ওষুধটা কোনওমতে গিলে চাদরমুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল। প্রীতি-আন্টিকে বড্ড মনে
পড়ছে। তুমি কোথায় আন্টি? আমার খুব জ্বর হয়েছে। তুমি এইসময় কাছে থাকলে
আমার মাথা টিপে দিতে, কপালে হাত বুলিয়ে দিতে, আমি না খেতে চাইলে গল্প বলে বলে
খাওয়াতে। এই রোবট-আন্টিটা একবারও আমায় আদর করল না। এত জ্বর দেখেও জিজ্ঞেস
করল না আমার কতটা কষ্ট হচ্ছে। তুমি ফিরে এস, প্রীতি-আন্টি। ফিরে এস, ফিরে এস।
চাদরের তলায় ফুঁপিয়ে
ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে জয়।
২৫ অক্টোবর, ২১৪৫
“এক্সকিউজ মি স্যার,
আমরা অডিটোরিয়ামে পৌঁছে গেছি,” সেক্রেটারির ডাকে চমকে জেগে উঠলেন ডক্টর জে এম
সেনগুপ্ত। কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন তিনি। দেখলেন প্রচুর লোক
হাসিমুখে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের অনেকের হাতে ফুলের মালা। তিনি গাড়ি থেকে নামলেই
তাঁকে পরিয়ে দেবার জন্য অপেক্ষা করছে ওরা। ভিড় সামলানোর জন্য বেশ কয়েকজন রোবট-গার্ডও
রয়েছে।
ডক্টর সেনগুপ্তের জন্য আজ
গোটা ভারত গর্বিত। এতদিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ইউরোপ বা আমেরিকা ভারতের চেয়ে অনেক
এগিয়ে ছিল। কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে আজ ভারত অন্য সব দেশকে
পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। ভারতের বুকে তৈরি হয়েছে পৃথিবীর প্রথম মানবিক গুণসম্পন্ন
রোবট। দীর্ঘ তিরিশ বছরের সাধনার পর এই অসাধ্য সাধন করেছেন ডঃ সেনগুপ্ত।
তাঁর আবিষ্কৃত
হিউম্যানয়েড রোবট শুধুমাত্র কর্তব্য করে না, এর পাশাপাশি ভালোবাসতে জানে। শিশুমনের সঙ্গে সুন্দরভাবে কমিউনিকেট
করে। তাদের
আনন্দে সে খুশি হয়, তাদের দুঃখে দুঃখ পায়। জমিয়ে আড্ডা মারতে পারে তাদের
সঙ্গে। তার মেমোরি চিপে ভরে দেওয়া হয়েছে অনেক গল্প, গান, ছড়া। এমনকি শিশুদের কাছ থেকে
তাদের পছন্দের খেলাও সে শিখে নিতে সক্ষম। স্কুল, ক্রেশ, শিশু-হাসপাতালে বিপুল
জনপ্রিয় হয়েছে এই রোবট। বাড়িতেও অনেকে আয়া হিসাবে রাখতে শুরু করেছেন। বিদেশেও এই
রোবটের চাহিদা দিনদিন বেড়ে চলেছে। এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য
তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হবে বলে জানা গেছে। আজ তাই ভারত সরকারের তরফ থেকে
এক বিরাট সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে তাঁর জন্য।
ডঃ সেনগুপ্ত কিন্তু এই
রোবটের নামের সঙ্গে তাঁর নিজের নাম জড়াননি। নিজের দেশের নামকে সম্মান জানিয়ে এই
আবিষ্কারের নাম দিয়েছেন, ‘ভারত-প্রীতি’।
সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস
করেছিলেন, “ভারত তো আমাদের দেশের নাম। কিন্তু প্রীতি? এই রোবট শিশুদের সাথে
প্রীতির সম্পর্ক তৈরি করবে বলে কি এই নাম দিয়েছেন?”
তিনি হেসে জবাব দিয়েছিলেন,
“সে আপনারাও খুব সুন্দর অর্থ ব্যাখ্যা করেছেন। তবে আমার কাছে ‘প্রীতি’ হল এমন
একজনের নাম যিনি আমায় ছোটোবেলা থেকে মানুষ করেছিলেন। আমার আট বছর বয়সে তাঁকে চলে
যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। আমি এতদিন ধরে আমার আবিষ্কারের মধ্যে তাঁকেই খুঁজে গেছি। যেটুকু পেরেছি, তা তাঁর
কাছে কিছুই নয়, সাগরের থেকে হয়তো কয়েক বালতি জল তুলতে পেরেছি মাত্র।”
সবাই সসম্মানে অভ্যর্থনা
করে অডিটোরিয়ামের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর জে এম সেনগুপ্তকে।
ডঃ সেনগুপ্তের আজ বারবার করে মনে পড়ছে তাঁর অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষের মুখে শোনা গানের
দুটো লাইন,
‘তখন কে বলে গো সেই
প্রভাতে নেই আমি
সকল খেলায় করবে খেলা এই
আমি।’
সবার অলক্ষ্যে চোখদুটো চট
করে মুছে নিলেন ডঃ জয়মাল্য সেনগুপ্ত।
_____
অলঙ্করণঃ সুজাতা চ্যাটার্জী
অলঙ্করণ খুব সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন সুজাতা।
ReplyDeletesundor golpo...chhobi gulo o khub cute :)
ReplyDelete😊😊😊
Deleteখুব সুন্দর গল্পটা।
ReplyDeleteAnek dhanyabad 😊
Deleteভালো হয়েছে। ছোটদের জন্য ভালো গল্প।
ReplyDeleteThanks a lot Abhijnan da.
Deleteখুব ভাল।
ReplyDelete