হেলিফোন
প্রকল্প ভট্টাচার্য
প্রকল্প ভট্টাচার্য
এই বছরের গ্রীষ্মাবকাশ পড়েছে মে-জুনে।
রমেশবাবু বললেন তাঁর ছেলেকে সব শুনে,
“আমারও তো ক’দিন ছুটি।
নাইবা গেলাম কোডাই-উটি,
চল না এবার বেড়িয়ে আসি প্লুটো বা নেপচুনে!”
রমেশবাবু বললেন তাঁর ছেলেকে সব শুনে,
“আমারও তো ক’দিন ছুটি।
নাইবা গেলাম কোডাই-উটি,
চল না এবার বেড়িয়ে আসি প্লুটো বা নেপচুনে!”
ছেলের শুনে বেজায় খুশি,
ভিনগ্রহেতে যাবে।
ভাবছে কবে স্যুটকেশে তার ড্রেসগুলো গোছাবে।
মা বলে, “ধুর, পোশাক কীসের!
ভাবছে কবে স্যুটকেশে তার ড্রেসগুলো গোছাবে।
মা বলে, “ধুর, পোশাক কীসের!
স্পেস-স্যুটটা
নিচ্ছি পিসের,
তাতেই হবে। রকেটে আর পোশাক কি পাল্টাবে?
তাতেই হবে। রকেটে আর পোশাক কি পাল্টাবে?
দিনটা যতই এগিয়ে আসে ছেলের বাড়ে ফুর্তি,
এমনিতে যে ডানপিটে, তার অন্যরকম মূর্তি।
শেষ করে সব ছুটির পড়া
কাজ হল নেট ব্রাউজ করা।
পারলে জিগায় পাখিকে, “ভাই, তুই কী করে উড়তি?”
পারলে জিগায় পাখিকে, “ভাই, তুই কী করে উড়তি?”
রমেশবাবু সেদিন এলেন, সঙ্গে ছোট পার্সেল।
“কিনেছি দ্যাখ এই হেলিফোন! আজ দোকানে তার সেল!
তারদুটো দে কানেক্ট করে,
হেডফোন আর চশমা পরে
চল বেড়াবি যেখানে চাস, নেপচুনে বা মার্সে!”
“কিনেছি দ্যাখ এই হেলিফোন! আজ দোকানে তার সেল!
তারদুটো দে কানেক্ট করে,
হেডফোন আর চশমা পরে
চল বেড়াবি যেখানে চাস, নেপচুনে বা মার্সে!”
এবার থেকে রোজই তাঁরা যান বেড়াতে
সন্ধ্যেয়।
আকাশ গঙ্গা এপার ওপার করেন নিজের ছন্দে!
কায়দাটা তার রাখেন গোপন,
বলেন শুধু, “জয় হেলিফোন!”
খুব বেড়াবি তোরাও নাহয়, এখন পড়ায় মন দে!
আকাশ গঙ্গা এপার ওপার করেন নিজের ছন্দে!
কায়দাটা তার রাখেন গোপন,
বলেন শুধু, “জয় হেলিফোন!”
খুব বেড়াবি তোরাও নাহয়, এখন পড়ায় মন দে!
_____
অলঙ্করণঃ দ্বৈতা গোস্বামী
No comments:
Post a Comment