হিমালয় অভিযান
লক্ষ্মণ
সিং রানা
রবীন্দ্রনাথ
হালদার
উত্তরকাশী
থেকে গঙ্গোত্রীর পথে সুখীটপ অতিক্রম করেই রাস্তা নেমে গেছে ডানদিকে।
গাড়িতে ঐ নামার পথে প্রথমেই দোকানপাটসহ যে মোড়, তার নাম যসপুর
বেন্ড। ঐ মোড় থেকে একটু পূর্বদিকে ঢুকলেই যসপুর ভিলেজ। ঐ
গ্রামেই জন্ম হয় লক্ষ্মণ সিং রানার। পর্বতারোহণ
জগতে গাইড হিসেবে তার যথেষ্ট নাম-ডাক। গঙ্গোত্রী ও
উত্তরকাশীতে সবাই তাকে এক ডাকেই চেনে। ভালো
চেহারার অধিকারী সরল-সোজা একজন মানুষ। মানুষটি
স্বল্পভাষী এবং সিংহহৃদয়। যসপুর থেকে
গঙ্গোত্রী গাড়িতে মাত্র ঘন্টা খানেকের পথ। তিন ভাই লক্ষ্মণ,
অবতার ও তজন্দর। গ্রামের ঠিক মাঝামাঝি ওদের বাড়ি।
তিন ভাইই পাহাড়ের সঙ্গে যুক্ত। বাড়ির
দক্ষিণ দিকটা উন্মুক্ত অঞ্চল, সামনের কৃষিখেতের ঢালটা নেমে গেছে
শেষ প্রান্তে নদী বক্ষে। তলা দিয়েই বয়ে চলেছে গঙ্গা।
বাড়ির বারান্দায় বসে চোখটা সামনের দিকে যেখানে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয় সেটা একটা পর্বতশ্রেণি।
দূরে নামী-অনামী অনেক পর্বতচূড়া শির উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ছোটো থেকে সেই পাহাড়ের হাতছানি পেতে পেতেই নিজের অজান্তে পাহাড়ে চড়ার দক্ষ গাইড
হয়ে উঠল লক্ষ্মণ সিং রানা। সে এমনই
একজন গাইড তৈরি হল যে গঙ্গোত্রীর কোলে জন্মে সেখানেই আটকে রইল না। গাড়োয়াল,
কুমায়ুন, হিমাচল ও কাশ্মীর সব জায়গাতেই তার বিচরণ।
প্রত্যেক অঞ্চলেই অনেক নামী-অনামী শৃঙ্গ আরোহন করেছে সে। দেশি এবং বিদেশি উভয়
দলের কাছেই লক্ষ্মণ খুবই সমাদৃত। পাহাড়ে
চড়ার সময় একজন দক্ষ গাইডের যে যে গুণ থাকা উচিত, সব গুণই লক্ষ্মণের মধ্যে লক্ষণীয়।
১৯৮৭ সালে
যখন প্রথম উত্তরকাশীতে যাই থেলু ও কোটেশ্বর অভিযানে, তখনই আলাপ হয় লক্ষ্মণ ও
কেন্দ্রের সঙ্গে। দুঃখের বিষয়, ঐ বছর দু’জনের একজনকেও আমাদের অভিযানের দলে রাখতে
পারিনি। কারণ অবশ্যই ছিল অর্থ। যাই হোক, পরবর্তীকালে একসঙ্গে অভিযান করার একাধিক
সুযোগ ঘটে। সেই সূত্রে মানুষটাকে খুব কাছ থেকে দেখারও সুযোগ হয়। অভিযান চলাকালীন
যেটা নজরে আসে সেটা বলি।
অভিযানের
মূল লক্ষ্য থাকে কোনও শৃঙ্গের চূড়ায় ওঠা। মহাভারতের অর্জুনের মতো সেটাকেই পাখির
চোখ করে লক্ষ্মণ এগোতে থাকে। শীর্ষারোহণ করতে গিয়ে প্রচুর বাধাবিপত্তির সম্মুখীন
হতে হয়। সেই বাধাবিপত্তিকে অতি ঠাণ্ডা মাথায় এবং অতি সন্তর্পণে পিছনে ফেলে
নির্ভীকভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। যার ফলে সফলতাই ওর কাছে ধরা দেয় বেশি করে।
যে কোনও অভিযানে, দলের বাকি সদস্য যারা ওর সঙ্গে থাকে, প্রত্যেককে সাহস জুগিয়ে
তাদের পাশে থেকে লড়াইটা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যায় সে। এই সব কারণের জন্য অভিযানের
সদস্যদের কাছে লক্ষ্মণের গ্রহণযোগ্যতা অন্যদের চেয়ে অনেক অনেকগুণ বেশি। বেশ কিছু
অভিযানে এমনই হয়েছে যে পিক সামিট করতে দেরি হওয়ার ফলে সামিট ক্যাম্পে ফিরতে অধিক
রাত হয়ে গেছে। আবার এও হয়েছে, পিক সামিট করতেই রাত
হয়ে গেছে, ফলে রাতভর রাস্তায়ই থাকতে হয়েছে সদস্যদের ঠিকমতো ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনার
জন্য।
অভিযানে
বেরোলে নানা মানসিকতার মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ডিফেন্স বা সিভিল
ডিফেন্সের মানুষদের সঙ্গে কাজ করা একটু কঠিন। এরা সবসময় নিজেদের সব কাজেই বাহাদুর
ভাবে। জওয়ানদের প্রথম থেকেই ভাবতে শেখানো হয়, তোমরা অপরাজেয়। এরা সবসময় শারীরিক
প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকে, তাই এদের মানসিকতাই হয়ে ওঠে, সব কাজই এরা সহজেই করে
ফেলবে। এই কারণেই এরা সাধারণত সিভিলিয়ানদের কর্তৃত্ব মানতে চায় না। লক্ষ্মণ এইরকম
অনেক অভিজ্ঞতার মধ্যে আসাম রাইফেলসের সঙ্গে অভিযান করার অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেনি।
নব্বইয়ের দশকে আসাম রাইফেলস সিদ্ধান্ত নেয় তারা গাড়োয়াল হিমালয়ে কোনও এক অভিযানে
আসবে। আই এম এফ (ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশন)–এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাগীরথী পর্বতশ্রেণির দু'নম্বর শৃঙ্গ অর্থাৎ ভাগীরথী
টু–এর বুকিং পায়। সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে আসাম রাইফেলসের সাত জওয়ান চলে আসে গাড়োয়াল
হিমালয়ে। আসার আগে ওরা যোগাযোগ করে উত্তরকাশীর মাউন্ট সাপোর্ট ট্র্যাভেল এজেন্সির
সঙ্গে। ঐ সংস্থার মালিক ডি এস রানা খুব দক্ষ মাউন্টেনিয়ার এবং একজন সুদক্ষ গাইডও
বটে, কিন্তু এখন আর অভিযানে যান না বয়সের কারণে, যে কোনও অভিযানে পোর্টার ও গাইডের
ব্যবস্থা করে দেন। ঐ রানাজিরই আপন ভাগনে হলেন লক্ষ্মণ সিং রানা। আসাম রাইফেলস
অভিযানের সব পোর্টার ও গাইডের দায়িত্ব নিলেন রানাজি। আসাম দল ঠিক সময়ে তাদের সাত
সদস্য নিয়ে উত্তরকাশীতে পৌঁছায়। রানাজি তাদের গাইড হিসাবে লক্ষ্মণকে দায়িত্ব দিয়ে
পাঠালেন ভাগীরথী টু-তে।
উত্তরকাশী
থেকে লক্ষ্মণ আসাম দলের সাত জওয়ানকে নিয়ে রওনা দেয় গঙ্গোত্রীর পথে। এরপর পথে
চিরবাস ভূজবাস গোমুখ হয়ে নন্দনবন বেস ক্যাম্পে পৌঁছয়। সেখানে দু’দিন দলকে বিশ্রাম
দেওয়া হয়। ঐ বিশ্রামের কারণ পাহাড়ে উচ্চতাজনিত নানা শারীরিক সমস্যার মোকাবিলা ও
আবহাওয়াকে প্রত্যেকের শরীরের সঙ্গে সইয়ে নেওয়া। নতুবা যে কোনও সময়েই সদস্যরা
অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এর ফলে যে কোনও সদস্যর জীবনাবসানও হতে পারে। দ্বিতীয়ত
সদস্যদের অসুস্থতার কারণে অভিযান মাঝপথে পরিত্যক্তও হতে পারে। সেইজন্য যখনই
ক্রমানুসারে উপরের দিকে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়, তখন দলকে ঐ ভাবে বিশ্রাম দিয়ে উপর
দিকে নিয়ে গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। এই নিয়মের মধ্যে চললে সাফল্য অনেক
বেশি পাওয়া যায়। ঐ বিশ্রামের সময় লক্ষ্মণ পোর্টার দিয়ে উপরের ক্যাম্প স্থাপনা ও
রেশন ফেরি করে নেয়। এইভাবে বেস ক্যাম্প নন্দনবন থেকে ধীরে ধীরে একের পর এক ক্যাম্প
স্থাপন করে একসময় আরোহণের শেষ ক্যাম্প, সামিট ক্যাম্প স্থাপন করে। আসাম দলের সাত
জওয়ানই তখন পর্যন্ত সুস্থ। রাত্রের মিটিংয়ে ঠিক হয় সাত জওয়ানই একসঙ্গে পরের দিন
সামিটের উদ্দেশে রওনা হবে।
রাত বারোটা
গড়িয়ে যখন ভোর চারটে বাজে, লক্ষ্মণ দল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ভাগীরথী টু শৃঙ্গের
উদ্দেশে। বরফের উপরেই টেন্ট লাগানো হয়েছিল। রাত্রে তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের
অনেক নিচে। স্লিপিং ব্যাগ থেকে বেরিয়ে তৈরি হতে হতেই সকলের হাত-পা ঠান্ডায় অসাড়
হয়ে আসার জোগাড়। ক্যাম্প থেকে কিছুদূর এগিয়েই বরফের দেওয়াল। চলতে চলতেই শরীর আবার
গরম হতে লাগল সবার। লক্ষ্মণ আগে আগে, সাত জওয়ান পিছন পিছন। লক্ষ্মণ বরফের দেওয়ালের
কাছে এসে দাঁড়িয়ে সাত জওয়ানকেই বলে দিল, ‘আমি আগে আগে যাচ্ছি রোপ ফিক্স করতে করতে।
তোমরা কেউ তাড়াহুড়ো করবে না। সবার কাছেই জুমার আছে। জুমারগুলোকে রোপে লাগিয়ে টেনে
দেখে নাও সবাই। সমান দূরত্ব বজায় রেখে ধীরে ধীরে আমার পেছন পেছন উঠে এসো।’ লক্ষ্মণ
এগোতে লাগল, সবাই জুমারের সাহায্যে আরোহণ করতে লাগল। যতই সদস্যরা উপরদিকে এগোচ্ছিল
ততই তাদের শারীরিক প্রতিকূলতা বাড়তে থাকে। উপরের দিকে বাতাসে অক্সিজেন কম থাকায়
শরীর ক্রমান্বয়ে তার শক্তি হারাচ্ছিল। শুধু তাই নয়, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সঙ্গে
প্রত্যেকের শরীর ভিতর থেকেও যথেষ্ট কমজোরি হয়ে আসছিল। কারণ শারীরিক কসরতের ফলে
শরীর থেকে ঘাম নির্গত হচ্ছিল, তার সঙ্গে রক্ত থেকে অক্সিজেনও কমে যাওয়ায় শরীর
শক্তি হারায় এবং এগোবার গতি অনেক কমে যায়। জওয়ানরা তখন মানসিকভাবে অনেকটা পিছিয়ে
পড়ে। লক্ষ্মণ হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। সে তার দুর্বার মানসিকতা দিয়ে সকলকেই
উৎসাহিত করতে থাকে আর একই কথা সবার কানে ঢোকাতে থাকে, ‘ব্যস, নজদিগ পৌঁছ গয়া। অউর
থোড়া সা কৌসিস করো, হো যায়গা।’ লক্ষ্মণ ঐ সাত জওয়ানকে নিয়ে অবশেষে শীর্ষে পৌঁছেই
যায়। তখন সূর্য অনেকটাই পশ্চিম দিকে ঢলতে শুরু করেছে। ঘড়ির কাঁটায় বিকেল সাড়ে
চারটে।
ভাগীরথীর
শীর্ষে আধঘন্টা কেটে যায় ছবি তুলতে ও পুজো দিতে। বিকেল পাঁচটায় সকলে নামতে শুরু
করে। নামার আগে লক্ষ্মণ দলকে একজায়গায় জড়ো করে ধীর মস্তিস্কে বোঝায়, ‘এবার আমরা
যখন নামব, মনে রেখো কেউ যেন তাড়াহুড়ো না করে। আরোহণের সময় আমরা যে অক্লান্ত
পরিশ্রম করেছি, সেই কারণে প্রত্যেকেরই শরীরে শক্তি এখন যথেষ্ট কম এবং তোমরা সকলেই
ক্লান্ত। তাই সকলকে খুব সতর্ক হয়ে নামতে হবে এবং প্রতিটা পদক্ষেপ ফেলতে হবে খুব
সাবধানে। শরীর যেন কখনওই পাথরের উপর পড়ে না যায়।’
মাঝের ঐ
অঞ্চলটা ভাঙাচোরা আলগা পাথরে ভর্তি এবং তার ঢালটা পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রির আশেপাশে। অতি
সন্তর্পণে প্রতিটা পদক্ষেপ ফেলতে হবে, নাহলে যখন তখন পা হড়কাতে পারে এবং দুর্ঘটনা
ঘটাটাই স্বাভাবিক। একবার পা হড়কালেই সমস্যা বেড়ে যাবে। তখন যদি তলার দিকে পাথর
গড়াতে থাকে, নিচের সদস্যরা দুর্ঘটনার কবলে পড়বে।
সামিট
ক্যাম্প থেকে শীর্ষারোহণে সময় লেগেছিল সাড়ে বারো ঘন্টা। নামার রাস্তা ছিল অনেকটাই
দুর্গম ও লম্বা এবং বেশিরভাগটাই ছিল পাথুরে। প্রায় আড়াই ঘন্টা নামার পর ভাগীরথীর
বুকে নেমে এল অন্ধকার। লক্ষ্মণ সবাইকে জড়ো করে বলতে লাগল, ‘রাস্তা এখনও অনেক বাকি।
এই অবস্থায় যদি আমরা নামতে থাকি তাহলে আর কখনওই কেউই হয়তো নির্দিষ্ট স্থানে
পৌঁছোতে পারব না। এই অন্ধকারে আর আমরা কেউই এগোব না। রাতটা এখানেই কাটাব।’
লক্ষ্মণের এই কথা শুনে জওয়ানরা কেউই কোনও মন্তব্য করে না। সকলেই থেমে যায় মাঝপথে।
কারও কারও কাছে শুকনো খাবার একটু আছে বটে, কিন্তু খাবার জল একটুও নেই। খিদে ও
তেষ্টায় সকলেই তখন কাতর। রাতটা কাটবে কী করে? জওয়ানরা সকলেই তখন দিশেহারা অবস্থায়।
লক্ষ্মণ সকল জওয়ানকে সাহস জুগিয়ে চলে, ‘এখানে কেউই একা নই, আমরা সকলেই একত্রে
রয়েছি।’
অন্ধকার
নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্মণের এই থেমে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা খুবই সময় উপযোগী ও
প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত। কারণ, শীর্ষারোহণই যদিও মূল লক্ষ্য, তবুও বিপদসংকুল জায়গায়
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্ঘটনা এড়িয়ে জীবন নিয়ে স্ব-আস্তানায় অর্থাৎ
ক্যাম্পে ফিরে আসাটাও প্রয়োজনীয়, যেটা লক্ষ্মণ করতে পেরেছিল। কোথায় থামতে হবে আর
কোথায় এগোতে হবে এটা জানাটাই একজন গাইডকে সঠিক উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে, যে ধারণা
লক্ষ্মণের আছে। ঐ অন্ধকারে জওয়ানদের না থামালে দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী ছিল, কারণ
প্রত্যেক জওয়ানই ছিল অতিরিক্ত ক্লান্ত। তার উপর অঞ্চলটায় ছিল ভঙ্গুর অসংখ্য ছোটো
বড়ো পাথর। ঘন অন্ধকারে না দেখে ঠিক জায়গায় ঐ ঢালে পা রাখা সম্ভব ছিল না। একে অপরের
কোমরের সঙ্গে দড়িতে বাঁধা ছিল। একজনের পা হড়কালেই সেই ঝটকায় বাকি সদস্যরাও নিচের
দিকে গড়িয়ে পড়তে থাকত, তখন উপরের দিকের রাশি রাশি আলগা পাথর জওয়ানদের শরীরে এসে পড়ত
যাতে কারুরই বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না। সেই দুর্ঘটনায় লক্ষ্মণসহ সকলকেই প্রাণ হারাতে
হত। সেখান থেকে দলকে বাঁচাতেই লক্ষ্মণ সবাইকে নিয়ে থেমে যায়।
সারা রাত
খোলা আকাশের তলায় কখনও একটু দাঁড়িয়ে, কখনও একটু বসে, কখনও বা আকাশের তারা গুনে, কখনও
একটু জোকস, কখনও একটু গান গেয়ে সময় পার করতে করতে পূবের আকাশে আবার নতুন দিনের লাল
আভা ধীরে ধীরে দিগন্ত রাঙিয়ে তুলল। অবসাদের একটা চূড়ান্ত জায়গা থেকে শুরু হল
পুনরায় নিচে নামা। সবাই ফিরে পেল জীবনের আরেকটা নতুন ভোর। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর
লক্ষ্মণ সকলকে ফিরিয়ে নিয়ে এল নিরাপদ আশ্রয়ে। সামিট ক্যাম্পে পা রাখতেই ঘড়িতে নজর
পড়ল – সকাল আটটা।
_____
শীর্ষচিত্রঃ ভাগীরথী পর্বতশ্রেণির দুই ও তিন নম্বর শৃঙ্গ, সূত্রঃ আন্তর্জাল
অত্যন্ত সুন্দর এবং সাহসিকতায় ভরা একটি ভ্রমণ কাহিনি উপহার দেবার জন্য রবিন বাবুকে অজস্র ধন্যবাদ। গৌতম সরকার।
ReplyDelete