রূপসা ব্যানার্জী
ভোরের দিকের স্বপ্ন নাকি শুনেছি হয় সত্যি!
যা দেখেছি, মনে
আছে... ভুলিনি একরত্তি।
বাড়ির পাশে মস্ত মাঠে হচ্ছে হোলি খেলা
–
বালতি হাতে বাঁটুলদাদা, সঙ্গে দু’জন চ্যালা -
রঙের বেলুন ছুঁড়ল জোরে নিখুঁত নিশানায়;
ফটাস করে ফাটল গিয়ে হাতি-স্যারের গায়!
স্যার চটে লাল! বাঁদুরে রঙ নিলেন মেখে হাতে।
নন্টে, ফন্টে
কেল্টু এসে যোগ দিল তাঁর সাথে।
তারপরেতে রঙের লড়াই! বাঁটুল-পাতিরাম!
কাউকে যে আর যায় না চেনা, যায় না জানা নাম!
কান্ড দেখে হ্যাডক সাহেব খুন হয়ে যান
হেসে!
ঠিক তখনি আবির হাতে পেছন থেকে এসে
দাঁতের পাটি রাঙিয়ে দিল ভোঁদা এবং হাঁদা
-
রঙীন দাঁতে চেঁচান হ্যাডক – ‘করলি কী
রে গাধা!’
তাই না দেখে পিচকিরিতে ড্রেনের জল নিয়ে
টিনটিনদা ছুঁড়তে থাকেন হাঁদা-ভোঁদার গায়ে!
এমন সময় হোস পাইপে রঙিন জলের ধারা –
কোত্থেকে হায় প্রবল বেগে করল যেন তাড়া!
অর্ধেক লোক ভিরমি খেল; বাকিরা সব কাবু!
ঠিক তখনি প্রবেশ করেন চাচাজি আর সাবু।
চাচা বলেন – ‘ওটা
আমার সাবুর পিচকিরি!
সবার খুব কষ্ট হল! আই অ্যাম ভেরি সরি!’
কিন্তু সেথায় কেউ নেই আর খেলার অবস্থায়!
নাকে, কানে
রঙ ঢুকে হায় প্রাণ বুঝি যায় যায়!
বলল সবাই – ‘গুড
বাই ভাই! হল অনেক বেলা!
আসছে বছর আবার হবে এমন রং-খেলা।’
_____
ছবিঃ আন্তর্জাল
ছবিঃ আন্তর্জাল
No comments:
Post a Comment