টিনটিনের জন্ম রহস্য
চন্দ্ররূপ ব্যানার্জী
খুদে
রিপোর্টার, মাথায়
টিকির বাঁকানো সোনালি চুল আর সব সময়ের সারমেয় সঙ্গী স্নোয়ি - এই বর্ণনা দিতেই যে কারোর মনে একটাই নাম ভেসে উঠবে,
আর তা হল ‘টিনটিন’। বলাই
বাহুল্য যে পৃথিবীতে যে কয়টি কমিকস চরিত্র আছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্রটির
নাম ‘টিনটিন’। আজ আমরা
সেই টিনটিনের-ই জন্ম
রহস্য উদঘাটন করব।
টিনটিনের
প্রথম বইটি
প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৯ সালের জানুয়ারি মাসে। এই বিখ্যাত
চরিত্রের স্রষ্টা হলেন বেলজিয়ান কার্টুনিস্ট ‘জর্জেস রেমি’। ১৯০৭
সালে বেলজিয়ামে এক অত্যন্ত সাধারণ পরিবারে জন্ম হয় জর্জেস রেমির। প্রথমে
বয় স্কাউট হলেও পরে একটি সংবাদপত্রে যোগ দেন। তবে
তিনি সাংবাদিক ছিলেন না,
সাধারণ প্রশাসনিক পদেই কাজ করতেন রেমি। নর্বার্ট
ওয়ালে ছিলেন ঐ পত্রিকার ডিরেকটর অব পাবলিকেশনস। তিনি
আবার একজন যাজকও ছিলেন। তিনিই
প্রথম তরুণ রেমির ভেতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভার সন্ধান পান। তিনি
রেমিকে সংবাদপত্রের জন্য ছবি আঁকতে বলেন এবং ক্রমাগত উৎসাহ দিতে থাকেন যাতে রেমি নিজের
পছন্দমতো একটি চরিত্রের সৃষ্টি করে।
অবশেষে
এসে গেল সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত। ১৯২৯
সালে জন্ম হল ঐতিহাসিক কমিকস চরিত্র ‘টিনটিনের’। রেমি
টিনটিনকে তৈরি করলেন একজন খুদে রিপোর্টার হিসেবে, যে সারা পৃথিবীময় ঘুরে বেড়ায় আর নানান
দুঃসাহসিক অভিযানে বেরোয়। টিনটিনের
প্রথম কমিকসের নাম ছিল
‘সোভিয়েত দেশে টিনটিন’। মাতাল
নাবিক ক্যাপটেন হ্যাডক,
বদ্ধ কালা প্রোফেসর ক্যালকুলাস, দুই অপদার্থ গোয়েন্দা টমসন এন্ড টমসনের
মতো চরিত্রগুলো টিনটিনের কমিকসকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলেছে। জর্জেস
রেমির বক্তব্য অনুসারে এই চরিত্রগুলির বেশ কয়েকটি তিনি তৈরি করেছিলেন বাস্তব জীবনের
কিছু ব্যক্তির আদলে। পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র এমনকি
চাঁদে পর্যন্ত পা রেখেছে এই খুদে রিপোর্টার।
এই বছরেই
এই জনপ্রিয় কমিকস নব্বই বছরে পা রাখল। নব্বই
বছর পার করলেও আজও টিনটিন
আট থেকে আশি সক্বলের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। আসুন
আমরাও টিনটিনের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
_____
ছবিঃ আন্তর্জাল
অসাধারন, ভাই,আরও সুন্দর তুমি পারবে।। আপ্লুত হয়ে উঠলাম ❤️❤️
ReplyDeleteherge jehetu boy scout chilen, tokhon sekhane toton bole arekta scout chilo jar adole tintin ke baniyechilen. namtao tar naam er adolei neoa. eta ami arek jaygay porechilam
ReplyDelete