প্রবন্ধ:: সুয়োরানি সিনেমা দুয়োরানি কমিকস - পার্থপ্রতিম মাইতি


সুয়োরানি সিনেমা দুয়োরানি কমিকস
পার্থপ্রতিম মাইতি

দুই ভাই বা দুই পিঠোপিঠি বোনের মতো কমিকস আর সিনেমার মধ্যে মিল অনেক। দুইয়ের জন্ম বলা যায় কমবেশি একই সময়। ছবি আর গল্প বলা বহুকাল থেকে চলে এলেও প্রকৃত অর্থে তার বিকাশ এবং গৌরবশিখর স্পর্শ সিনেমার সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলে। সেই নির্বাক যুগে চ্যাপলিন - বাস্টার কীটন থেকে চলচ্ছবির যে পাগল-পাগল জনপ্রিয়তার শুরু, পরবর্তীকালে ডি ডাব্লু গ্রিফিথ, আইজেনস্টাইনে এসে তার যেমন শিল্পকলার রাজসভায় পূর্ণ স্বীকৃতি প্রাপ্তি; এবং তারও পর হিচকক ও আরও পরে স্পিলবার্গের হাতে পড়ে জঁর ফিল্মেরও যেমনটা কৌলিন্যদুয়ারে প্রবেশ এবং মাঝখানে ইটালিয়ান ও ফরাসী নবতরঙ্গের স্রোত আছড়ে পড়ে খেলার মাঠটাকেই এলোমেলো করে দিয়ে গেল!
কমিকসে ব্যবসায়িক সাফল্যের কমতি না হলেও সুনাম ও স্বীকৃতি তার অধরা ছিল। যে কোনও মাধ্যম বা সাধারণভাবে যে কোনও পণ্যেরও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে প্রয়োজন হয় দু-একজন মার্কেটিং জিনিয়াসের। আর সেই একই মাধ্যমকে শিল্প-সুন্দরের স্থানে উঠতে হলে প্রয়োজন হয় ওই মাধ্যমে নিবেদিতপ্রাণ এক বা কয়েকজন দ্রষ্টা বা শিল্পীর। এখানে আমি একটু ডাইগ্রেস করে স্টিভ জবসের নাম নিতে চাই। উদাহরণ।



১. স্থাপত্য, ২.ভাস্কর্য, ৩. চিত্রাঙ্কন, ৪.সঙ্গীত, ৫.কাব্য - হেলেনিক যুগে গ্রীকেরা যে পাঁচটি মাধ্যমকে শিল্পের স্তরে বসিয়েছিল তার আগে কি ঘরবাড়ি তৈরি হত না? বা, রাখাল উন্মুক্ত মাঠে আলুথালু হাওয়ায় চুল উড়িয়ে তার নিজের বানানো রাখালিয়া গান গাইত না? নিশ্চয়ই। তবে শুধুমাত্র সেখানেই যদি আটকে থাকত সংগীত, কোনদিনও তার শিল্পের স্তরে ওঠা হত না। শিল্পের স্তরে উঠতে সঙ্গীতের সে যুগের প্রয়োজন হয়েছিল কয়েকজন উৎসর্গীকৃত সঙ্গীতকার যাঁদের সৃষ্টিকলায় অভিভূত হয়ে শিল্পের মর্যাদায় উন্নীত করা ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না গ্রীকদের।
এভাবেই যুগে যুগে, নব নব শিল্পমাধ্যম তার স্বীকৃতি খুঁজে নিয়েছে। ক্রমশ এই পঞ্চ শিল্পের সঙ্গে যোগ হয়েছে নাট্যাভিনয়, রেডিও টেলিভিসন এবং অবশ্যই সিনেমা।
কিন্তু কমিকস?
সে কথাতেই আসছি। আবার বলি, কোনও মাধ্যমের সর্বজনস্বীকৃত শিল্পের স্তরে উঠতে গেলে মার্কেটিং জিনিয়াসদের দিয়ে হয় না। দরকার সেই শিল্পে নিবেদিতপ্রাণ কয়েকজন শিল্পীর। বা একজন।
বিজ্ঞানকে শিল্পে উন্নীত করতে একা আইনস্টাইন যথেষ্ট ছিলেন।।
আর এই জায়গাতেই হল কমিকসের সমস্যা। আমেরিকায় মার্কেটিং জিনিয়াসের অভাব তো ছিল না। আর সে জন্যই কমিকসের বিক্রি আমেরিকায় কখনও কমেনি। গ্রাফ সব থেকে বেশি চড়েছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুধ্যের মধ্যগগনে। আমেরিকার সুপারহিরো কমিকস তখন ফেনোমেনন। সুপারম্যান - ব্যাটম্যানের ভেতর তৎকালীন নবপ্রজন্ম দেখছে কালো কালে আশার আলো।
আর প্রায় একই সময়ে তার পিঠোপিঠি অপর দৃশ্য-মাধ্যম সিনেমায় কয়েকজন ভিশনারি পুরুষ এসে যখন তোলপাড় করে দিলেন, সিনেমাকে উত্তীর্ণ করালেন শিল্পের স্তরে, The Seventh Art, কমিকস তখনও শুধুমাত্র ব্যস্ত থেকেছে ব্যাবসা নিয়ে। শিল্পীরা পাননি সুযোগ তাকেও শিল্পের সারিতে নিয়ে আসার, মার্কেটিং জিনিয়াসরা নিয়ন্ত্রণ করেছে সব কিছু। তার পরে আরও বিতর্কিত কমিকস কোড এসে সেন্সরের নামে কাটাছেঁড়ায় কমিকস ব্যাপারটাকেই তুলে দিতে বসেছিল আর কি!
ফলে, সব মিলিয়ে, বিশেষত আমেরিকায়, সিনেমা যে ভাবে শিল্পবস্তু হিসেবে অগ্রগণ্য (অথবা সুয়োরানি) হয়ে উঠল, বেচারা কমিকসের কপালে তা কখনও জুটল না। তাকে জনপ্রিয়তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল। এখনও, প্রতি সপ্তাহে শয়ে শয়ে ডিসি মারভেল ও অন্যান্য সাব-পার সুপারহিরো কমিকস বেরোয় ও কিছুদিন বাদে ডিসপোজেবল আইটেম হিসেবে পাল্পড হয়ে যায়।
শিল্পবস্তু হিসেবে আমেরিকান কমিকসের গল্প এখানেই শেষ।

তারপর? তাহলে কমিকস কি তবে তার সমস্ত উৎকর্ষ, সমস্ত সম্ভাবনা নিয়েও সুয়োরানির সেবাই করে যাবে, তার নিজের স্বীকৃতি পাওয়া হবে না?
আমেরিকায় তাই ঘটছে বটে। আমেরিকায় কমিকস হলিউডের টেন্টপোল সামার ব্লকবাস্টার মুভিসমূহের কনটেন্ট সাপ্লায়ার ছাড়া আর তেমন কিছু নয়। বড়ো বড়ো কমিক হাউসগুলি হলিউডের আরও বড়ো স্টুডিওর কেনা ব্যাকলট ওয়ার্ক স্টেশন মাত্র। ডিসি ওয়ারনার ব্রাদারস আর মারভেল ডিজনির।
বাইরের সেলসটা শুধুই দর্শনধারী। মার্কেটিং জিনিয়াসরা কনট্রোল নিয়েছেন সব কিছুর। ভালো কমিকস তাদের না বানালেও চলে। শুধু দেখতে হয় প্রতি সপ্তাহে যেন নতুন নতুন ব্যাটম্যান, সুপারম্যান, ওয়ান্ডার উইম্যান, ফিমেল থর, মেল ক্যাপটেন মারভেল, র‍্যাবিট, ফ্ল্যাশ গরডন, এক্স ডগ, র‍্যাট ম্যান, ডোর ম্যান, বেড শীট ম্যান, মাড ম্যান, প্যাণ্ট ম্যান, নো প্যান্ট ম্যান, শর্ট প্যান্ট ম্যান, উইম্যান ম্যান ইত্যাদি ইত্যাদির টাইটেলগুলো কমিক স্টোরে এভেইলেবল হয়, যাতে পরে সেগুলো ২০০-৩০০ মিলিয়ন ডলারের মুভি এবং ১-২ বিলিয়ন ডলারের ফ্রাঞ্চাইজিতে পরিণত হতে পারে। গোটা আমেরিকায় সারা বছরে কমিকসে নেট প্রফিট যত তার দ্বিগুন হলিউডে একটি মিডিওকোর ব্লকবাস্টার থেকেই উঠে আসে। ফলে, কমিকস-এর ব্যাপারে যে তারা ‘গিভ নো-শীট’ ট্যাগ শার্টে লাগিয়ে ঘুরবে তা বলাই বাহুল্য।

যেখানে আমেরিকার শেষ, সেখানে ইয়োরোপ এবং এশিয়ার শুরু।
ফ্রানকো বেলজিয়ান কমিক বলতে বাঙালি জানে টিন টিন। এবং এসটেরিক্স। আমিও তাই জানতাম। তারপর একদিন আরও একটু বেশি জানলাম এবং সেদিন থেকেই, শিল্পের - প্রকৃত শিল্পের একটি রঙে রঙীন কল্পনায় ভাস্বর জগত আমার চোখের সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেছে।
ইয়োরোপিয়ান কমিকস-এর গুণমান নিয়ে কথা শুরু করলে শেষ হবে না, পড়তে শুরু করলে গোটা কুড়ি বছর লেগে যাবে, তাতেও শেষ হবে কি? এত ভালো একটা ইন্ডাস্ট্রি, এত কম জানি!
তার থেকেও বড়ো ব্যাপারটা হল, বর্তমানে কমিকসের যেটুকু সম্মান এই বন্দে দেসিনেই তা এনে দিয়েছে। হ্যাঁ, ইয়োরোপের বিভিন্ন দেশে কমিকস হলেও সেরা সেরা কমিকস তৈরি হয় ফ্রান্স আর বেলজিয়ামে - তাকেই বন্দে দেসিনে (Bandes Dessinees) বলে।
রীতিমতো এক জনসংযোগ ক্যাম্পেনিং-এর মাধ্যমে কমিকস-কে শিল্পের স্তরে উন্নীত করেছে তারা, কিছুটা দেরি হলেও কমিকস এখন স্বীকৃত শিল্প। The 9th Art.
এমনকি, সত্তরের দশকের শেষদিকে ওয়াচম্যান, দ্য ডার্ক নাইট রিটার্নস ও ব্যাটম্যান ইয়ার ওয়ানের মধ্য দিয়ে এলান মোর ও ফ্রানক মিলার যে ভাবে সুপারহিরো কমিকস এবং সাধারণভাবে আমেরিকান কমিকসকেও কিছুটা সম্মানীয় স্তরে আনতে পেরেছিলেন তার পেছনে এই বন্দে দেসিনের ভূমিকা ছিল ব্যাপক। মিলার খোলাখুলি স্বীকার করেছেন যে ইওরোপিয়ান কমিকস পড়ে তিনি নিজের ভাষা খুঁজে পেয়েছিলেন।
আমেরিকান কমিকসকে পরবর্তীকালে যারা কিছুটা সম্মানজনক স্তরে উত্তীর্ণ করবেন, সুপারহিরো কমিকস-কে পুনর্গঠন করবেন তারা প্রায় সকলেই ইউরোপিয়ান কমিকস থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন কখনও না কখনও স্টার ওয়ারস অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ ভ্যালেরিয়ান লরেলিন থেকে অনুপ্রাণিত, জর্জ লুকাস তা কিছুটা স্বীকারও করেছেন। ভালো লোক, সিনেমায় তিনি বেশ কয়েকজন নামকরা ইওরোপিয়ান শিল্পীকে ডিজাইনিং-এর কাজের জন্য হলিউডেও এনেছিলেন। মোয়েবিয়াস যেমন একজন। এই একজনই একটি মাধ্যমকে শিল্পের স্তরে তুলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাঁর কথা পরে।
সুখের বিষয়, সুপারহিরো কমিকস স্যাচুরেশন পয়েন্টে পৌঁছে যাওয়ায় আমেরিকার মানুষও ক্রমশ ইওরোপিয়ান কমিকস-এর স্বাদ নিচ্ছেন বেশি করে। সাম্প্রতিক বছরে ওই কমিকসের প্রকাশকের সংখ্যার প্রায় বিস্ফোরন ঘটেছে বলা যায়। সিনেবুক, হিউম্যানয়েডস, ইউরো কমিকস - সবার নাম করতে সময় লাগবে। জনপ্রিয়তার পেছনে ডিজিটাক কমিকসেরও ভূমিকা অনেক।

ওদিকে এশিয়ার কালচার জায়ান্ট জাপানের নিজস্ব মাঙ্গাও বিশ্বজয় করেছে বহু দিন আগেই। সত্তরের দশক থেকেই বিশ্বজুড়ে মাঙ্গা জনপ্রিয়।
শুধুমাত্র একই জঁরে আবদ্ধ না থেকে এই ইন্ডাস্ট্রি বিশালসংখ্যক বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে আসছে। জাপানে মাঙ্গা খুব পপুলার এবং সম্মানজনকও বটে। তবে, শিল্পীদের কাজের পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে সন্দেহ। এত বড়ো ইন্ডাস্ট্রি হয়েও শিল্পীরা উপযুক্ত পারিশ্রমিক পান না, যদিও তাদের পরিশ্রম করতে হয় অনেক বেশি। তা অবশ্য কখনোই মাঙ্গার কোয়ালিটিতে ছাপ ফেলেনি।

বাংলায় টিন টিন, এসটেরিক্স, কিছু লাকি লুক, এদিক ওদিক ছাড়া খুব কমই ইওরোপিয়ান কমিকস অনুবাদ হয়েছে। তবে, ইংরেজিতে পড়তে চাইলে ইউরোপিয়ান কমিকস পড়ার এখনই সেরা সময়।
আমি অবশ্যই আমার নিজের পড়া কিছু ইয়োরোপিয়ান এবং আমেরিকান কমিকস-এর লিস্টি দেব। প্যানেল থাকবে আপনার ইন্টারেস্টে জ্বালানি দেবার জন্য। এগুলো সবই মোটামুটি ইংরেজিতে অনুদিত। পাওয়াও যায়। তবে পাঠক, আপনি কিনে পড়বেন, নাকি খুঁজে পড়বেন সেটা একান্তই আপনার বিবেক - আপনার ব্যাবসা।

আমার লিস্টি...

BLUEBERRY
যারা ওয়েস্টার্ন পছন্দ করে, ক্লিন্ট ইস্টউডের মুভি পেলে আর কিছু চায় না, চোর ডাকাত লুম্পেনে পরিপূর্ণ হলেও ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্টে জীবনের প্রকৃত সত্যের মূর্ত প্রকাশ দেখতে পায়, তাদের জন্য মোয়েবিউসের আঁকা এই সিরিজ। মোয়েবিউস এটা নিজের নামে এঁকেছিলেন, যেমনটা তিনি নন-ফ্যান্টাসি কমিকসের ক্ষেত্রে করে এসেছেন। প্রত্যেকটা প্যানেল আলাদা করে মনোযোগ দাবি করে। আর গল্প সম্পূর্ণ পাল্পি, টান টান।

The Incal
আলেকজান্ডার জোডোরোস্কির গল্পে মোয়েবিউসের অলংকরণে এক অবিস্মরণীয় সায়েন্স ফ্যান্টাসি। এই কমিক পড়তে হয়, নইলে পিছিয়ে পড়তে হয়।

Les Cites Obscures
একদম ওয়ান অব ইটস কাইন্ড কমিক সিরিজ। প্রায় দশটার মতো বই আছে, একই কল্পিত বিশ্বে স্থাপিত হলেও গল্পগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ। The 1st Art কী বলুন তো? Architectureসেই আদি শিল্প এই কমিক সিরিজের প্রতিটি এলবামের মূল বিষয়বস্তু।

ARZAK
মোয়েবিউসের আরও একটি অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। মাত্র চারটি ছোটো ছোটো কমিক, কমিক ম্যাগ (অবশ্য কমিক ম্যাগ বললে কিছুই বোঝানো হয় না) মেটাল হারলান্ট ও পরবর্তীকালে হেভি মেটাল পত্রিকায় প্রকাশিত। সম্পূর্ণ নির্বাক। এই একটি কমিক পড়লেই বুঝে যাবেন কমিক মিডিয়াম আসলে কতটা শক্তি ধরে, ম্যাড ম্যাক্স জাতীয় মুভির অনুপ্রেরণা মিলার কোথায় পেয়েছিলেন। ছাড়বেন না।

The ALDEBARON
ফ্যান্টাসি পড়তে চাইলে ইউরো কমিক আপনাকে পড়তেই হবে। সায়েন্স ফিকশন আর ফ্যান্টাসির ককটেল বেলজিয়ামের মতো আর কোথাও হয় না। আরও একটি কমিক যা STAR WARS-এর অনুপ্রেরণা। এর অনেক গুলো album আছে। প্রত্যেকটাই ভালো। আমি spoon-feeding-এ বিশ্বাসী নই, wiki আছে, আপনার মোবাইলে jio আছে। search করুন।

The Black Moon Chronicles
সদ্য লর্ড অব দ্য রিংস দেখে বা পড়ে উঠেছেন। ঘোর কাটছে না। আরও ওইরকম পড়তে/ দেখতে মন চাইছে। আই হ্যাভ ইউর ব্যাক। দ্য ব্ল্যাক মুন ক্রনিকলস পড়ুন। যা চাইছেন তা পাবেন। আরও বেশি কিছু পাবেন।


The PHOENIX
এক ছটাক মাঙ্গা। মাঙ্গাকা ওসামু তেজুকাকে নিয়ে দুটো কথা বলব না এমন ‘বয়ে’ যাওয়া ছোকরা আমি নই। ওনার Buddha সব ভারতীয়র অবশ্য পড়া উচিত। ফিনিক্স ওনার আরেক ক্লাসিক। মিথলজি সম্পৃক্ত, কূটনীতি কলুষিত, অমলিন বালকবেলা সমন্বিত এই মাঙ্গা সিরিজ আপনাকে Avatar The last Airbender TV সিরিজের কথা মনে করিয়ে দেবে।
ভালো কথা, ম্যাজিক ল্যাম্পে Avatar এবং Ang নিয়ে কোনও আলোচনা নেই কেন! ম্যাজিক ল্যাম্প যদি না লেখে অমন ম্যাজিক্যাল শো নিয়ে কে আর লিখবে? সম্পাদিকার কাছে নালিশ জানান, বুঝলেন।

এবং
On the list but not the least,


VALERIAN AND LAURELINE
দ্য ওয়ান কমিক দ্যাট স্টারটেড ইট অল। ভ্যালেরিয়ানকে নিয়ে বলা শুরু করলে শেষ হবে না। তাই বলছিই না। প্রায় তিরিশটির মতো album আছে। বছর তিন আগে একটা ফিল্ম বেরিয়েছিল। বেশ ভালো ফিল্ম। বম্ব করেছিল। অত কিছু জেনে কাজ নেই, স্রেফ Star Wars-এর ফ্যান হলে জোগাড় করে নিয়ে পড়া শুরু করে দিন। ফিল্মটা তারপর দেখবেন। আমার বেশ পছন্দের ফিল্ম।

আমেরিকান কমিক মূল ধারার এবং সকলেই কম-বেশি পরিচিত। ফ্রাংক মিলারের বইগুলো পড়তে পারেন। নোলানের ডার্ক নাইট মুভির সোর্স। নীল গেইম্যানের স্যান্ডম্যান নিশ্চয়ই কিনবেন এবং পড়বেন।

ইউরো কমিক নিয়ে গোটা দশেক বই লেখা যায়, সেখানে একটা আর্টিকলের একটা লিস্টিতে সব পছন্দের কমিকের নাম দিতে পারা সম্ভব নয়। যেগুলো এখানে দিলাম তার সঙ্গের প্যানেলের ছবি, কভার আর একটু ওয়েব সার্চ আপনাকে এমন অনেক ট্রেজার ট্রোভের সন্ধান দেবে। আমার মূল লক্ষ্য শুধু পাঠক, আপনার সেই শুরু করার শুরুর উদ্দীপকটি আপনার ভালো কমিকের জন্য ক্ষুধার্ত চোখদুটির সামনে তুলে ধরা।
নিচে কমেন্ট বক্স রয়েছে, সফল হলাম কিনা জানাবেন, জানাবেন আপনার লিস্টিটিও।

_____
ছবিঃ আন্তর্জাল

1 comment:

  1. খুব ভাল লাগল। যারা একেবারে শুরুর পাঠক, তাঁদের গাইড হিসেবে কাজ করবে এই লেখাটা। অভিনন্দন...

    ReplyDelete