হরেন দাদা ডিটেকটিভ
সুজাতা চ্যাটার্জী
হারানপুরে হরেন দাদার,
হারিয়ে পাওয়ার স্টল,
কারুর কিছু হারিয়ে গেলে,
পাবেই পাবে ফল।
গলির মোড়েই সাইনবোর্ডে,
ইনফো আছে পুরো -
‘এইখানেতেই হরেন দাদার ডিটেকটিভ ব্যুরো।।’
‘চশমা, জুতো, চাবি, ছাতা - খোঁজার রেট
বারো।
পার্স হলে দিতেই হবে,
পাঁচটি টাকা আরো।
চোর খোঁজবার পঁচিশ টাকা,
ডাকাত হলে তিরিশ,
পাঁচশো টাকায় করবে দাদা,
মার্ডার কেস ফিনিশ।
ঘন্টা পিছু দশ টাকা চাই,
পাততে হলে আড়ি,
একশো টাকা লাগবে পুরো,
হারায় যদি গাড়ি!
হারায় যদি দু-খান জিনিস,
একসাথেতে তবে,
মোটের ওপর পাঁচ পার্সেন্ট ছাড়টি জেনো হবে।’
হরেন দাদা তৈরি থাকেন,
সকাল বিকেল রাত,
কোনোরকম কেসই যেন, ফসকে না যায় হাত।
বলেন দাদা, “চোর বললেই, আনতে পারি ধরে,
খুঁজতে পারি সব কিছু ভাই,
বুদ্ধি খরচ করে।
কেবল দেখ একটা জিনিস,
দেয় যে আমায় ফাঁকি,
দশ বছরের চেষ্টা পরেও,
রয়েছে খোঁজা বাকি!
দেখত সবাই কেমন আমি ডিটেকটিভ জায়েন্ট,
একটু যদি পেতাম খুঁজে,
গোটা কতক ক্লায়েন্ট!”
----------
ছবি - আন্তর্জাল
বাহ বাহ বাহ, এমন ডিটেকটিভ একটা পেলে যে আমাদের বড়ো সুবিধা হয় গো। আমাদের দুজনের ই দিনরাত সব কিছু হারিয়ে যায়।
ReplyDelete😂😂 তাহলে তো ভালই হতো। হরেন দাদাও একটা ক্লায়েন্ট পেয়ে যেত!
Deleteঅসাধারন!
ReplyDelete